আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশ বান্ধব খাবার কোনগুলো?

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে বিশ্বে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় তার এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী খাদ্য উৎপাদন। অর্থাৎ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পেছনে এই খাদ্য উৎপাদন অন্যতম প্রধান কারণ।

তবে, গবেষকরা দেখেছেন যে একেক ধরণের খাবারের পরিবেশগত প্রভাব একেক রকম।

পরিবেশ সচেতন অনেকেই এখন প্লাস্টিকের ব্যাগ এবং প্লাস্টিকের স্ট্র ব্যবহার বাদ দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন যতোটা সম্ভব নিজের ব্যবহার্য জিনিষগুলো পুনর্ব্যবহার করার, যেন উষ্ণতা কয়েক ডিগ্রী কমানো যায়।

তবে আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনার সাপ্তাহিক বাজার এই বিশ্বের পরিবর্তনে কতোটা ভূমিকা রাখতে পারে?

বিবিসি রেডিও ফাইভ তাদের কুল প্ল্যানেট সিজনে এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত তথ্যচিত্র প্রচার করে।

সেখানে তারা এটা খোঁজার চেষ্টা করেছে যে আমাদের প্রাত্যহিক বাজারে ছোটখাটো কোন পরিবর্তনগুলো কিভাবে আমাদের গ্রহের ওপর বড় ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে।

ল্যানক্যাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাই বার্নার্স লি গিয়েছিলেন বাজার করতে। তিনি একাধারে একজন জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ।

বাজার করতে গিয়ে কয়েকটি খাবারের উদাহরণ সামনে আসে।

মাংস এবং মাছ

বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে মাছ মাংস খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোয়। ভেবে দেখুন সপ্তাহের ওই বিশেষ দিনগুলোর ডিনারে গড়ে কি পরিমাণ গ্রিল মুরগি, সসেজ, নুডুলস ইত্যাদি খাওয়া হয়?

অধ্যাপক বার্নার্স-লি বলেছেন যে গরুর মাংস বিশ্বের সর্বোচ্চ কার্বন উৎপাদনকারী মাংস।

তিনি বলেন, মুরগি পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভাল। সঙ্গে তিনি এটাও জানান, “উদ্ভিদজাত খাবার অর্থাৎ শাক সবজির উৎপাদনের চাইতে সব ধরণের মাংসের উৎপাদন বেশ সহজ। এতে কৃষিকাজের মতো সময় ও শ্রম দিতে হয়না।”

মাছ সম্পর্কে অধ্যাপক বার্নার্স-লি পরামর্শ দিয়েছেন মাছ খাওয়া কমিয়ে আনতে। যেমন প্রতিদিনের পরিবর্তে প্রতি সপ্তাহে এক অথবা দুই বেলায় মাছ খাওয়া সীমিত রাখা।

এবং প্রতিবারই বিভিন্ন ধরণের মাছ খাওয়ার চেষ্টা করা।

তবে সবচেয়ে ভাল উপায় হল নিরামিষভোজী হয়ে যাওয়া। যদি আপনি নিরামিষাশী হওয়ার কথা ভাবতেই রা পারেন, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনি বাদ দিতে না পারেন, অন্তত মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করতে পারেন।

যদি আপনার প্রতিদিন মাংস খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সপ্তাহে মাত্র একটি দিন বেছে নিন যেদিন আপনি কোন মাংস খাবেন না। এই ছোট পরিবর্তন পরিবেশে বড় ধরণের প্রভাব ফেলবে।

২০১৮ সালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায় যে, গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ অর্ধেকেরও বেশি হ্রাস করা হবে যদি আমরা সবাই সপ্তাহে রেড মিট খাওয়ার পরিমাণ এক বেলায় নামিয়ে আনতে পারি।

ফল এবং সবজি:

ফল এবং সবজি সবসময়ের জন্য সবচেয়ে ভাল এবং টেকসই খাবার। তবে এর কিছু ব্যতিক্রম আছে বলে মনে করেন অধ্যাপক বার্নার্স-লি।

“আপনার কাছে থাকা ফল বা সবজিটি যে মৌসুমে ফলন হয় এটা যদি ওই সময়ের পরিবর্তে অন্য কোন মৌসুমে আপনার হাতে আসে তাহলে সেটি খাওয়ার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করে নেবেনে এটি এখানে এলো কিভাবে?

“যদি ওই ফল ও সবজি দেখতে অনেক তরতাজা হয় তাহলে ধরে নিতে পারেন যে এটি আপনার দেশের নয়। বিদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আমদানি করা হয়েছে।

হয় এটি পানিপথে এসেছে না হলে আকাশপথে। আর এসব পরিবহনে প্রচুর পরিমাণে কার্বন নির্গত হয়েছে। উড়োজাহাজের একটি ফ্লাইটেই কয়েকশ টন জ্বালানি পোড়ানো হয়। একইভাবে হয় নৌযানের ক্ষেত্রেও।

যদি শীতকাল চলে যাওয়ার পরও আপনার শীতের ফল খেতে ইচ্ছা করে তাহলে সবচেয়ে ভাল উপায় হল সেই ফল ও সবজিগুলোকে হিমায়িত সংরক্ষণ করা।

প্রফেসর বার্নার্স-লি বলেছেন: “খাবার হিমায়িত অবস্থায় অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা ও সুস্বাদু থাকে।”

তবে এতেও কার্বন নির্গমনের প্রশ্ন থেকে যায়। কেননা রেফ্রিজারেটর থেকেও কার্বন নির্গত হয়।

তবে অধ্যাপক বার্নার্স লি বলেছেন, ফ্রিজ থেকে যে পরিমাণ কার্বন নির্গত হয় সেটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো নয়।

আবার বারো মাস ফলন হয় এমন অনেক সবজি রয়েছে যেগুলো কিনা উচ্চমাত্রার কার্বন নি:সরণের জন্য দায়ী। যেমন কচি ব্রোকোলি।

আমরা সবসময় ধরে নিই যে এটি অন্য সব ব্রোকোলির মতোই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, এই বিশেষ ধরণের ব্রোকোলিটি বিপুল পরিমাণ কার্বন নির্গমন করে থাকে।

কেননা বিশ্বের বেশিরভাগ ব্রোকোলি আসে বিভিন্ন দেশ থেকে আকাশপথে।

ফুল:

যদি আপনি ফুল খুব ভালবাসেন এবং দিনটাকে রঙিন করে তুলতে মাঝে মাঝে একগুচ্ছ ফুল কেনেন। তাহলে সেই ফুল কেনার ক্ষেত্রেও আনতে পারেন কিছুটা পরিবর্তন।

সবার পছন্দের গোলাপ বা লিলি ফুল সাধারণত দুইভাবে বাজারে আসে। প্রথমত উষ্ণ ঘরে উৎপাদনের মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়ত আকাশ পথে আমদানি হয়ে। আবার দুটি বিষয়ও হতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনি পটারি প্লান্ট বা টবের গাছ কিনতে পারেন। অথবা ফুলের মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। যখন দেশেই উৎপাদিত তাজা ফুল হাতে পাবেন।

গোল্ডেন রুলস:

পরিবেশের বিষয়ে সচেতনতার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মাইক বার্নার্স লি কিছু গোল্ডেন রুলস বা নিয়মের কথা বলে গেছেন। সেগুলো হল:


  • জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর জন্য সবচেয়ে বড় প্রভাব রাখতে, মাংস এবং
    দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর
    ক্ষেত্রে এই দুই ধরণের খাবার সবচেয়ে কম কার্যকর। অথচ এই খাবারগুলো কার্বন
    ফুটপ্রিন্টের মূল কারণ।
  • যদি
    আপনি সম্পূর্ণ মাংস-মুক্ত থাকতে না চান তাহলে আপনি গরু বা খাসির মাংসের
    পরিবর্তে মুরগি বা মাছ বেছে নিন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেই মুরগি ও মাছের
    কোনটাই যেন খামারে উৎপাদন না হয়।
  • আপনি
    যা কিছু কিনবেন তার সবটাই খেয়ে নিন। কোন খাবার নষ্ট করবেন না। এজন্য
    সপ্তাহের বাজার করতে যাওয়ার আগে ভালভাবে ফ্রিজ এবং রান্নাঘর দেখে নিন। যেন
    বুঝে শুনে কিনতে পারেন।
  • বাজারে
    প্রায়ই চটকদার সব অফার দেখিয়ে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়। এসব
    দেখে কখনোই প্রলুব্ধ হবেননা। দাম কম হওয়ার চাইতে এটা জানা জরুরি, এই
    জিনিষটা আপনার কতোটা প্রয়োজন।
  • আপনি
    যতো বেশি ফল এবং সবজি খাবেন ততোই ভাল। তবে খেয়াল রাখবেন যেটা আপনি
    খাচ্ছেন সেটা মৌসুমি ফল/সবজি কিনা। যদি সেটা ওই ঋতুতে উৎপাদিত খাবার না হয়
    এবং তা সত্ত্বেও খাবার চেহারা যদি টাটকা থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে যে এটি
    আকাশ বা নৌপথে আমদানি করা হয়েছে।

প্রিয় খাবারটি পরে খাওয়ার জন্য রেফ্রিজারেটরে সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করে রাখুন। যেন আমদানি করা খাবার খেতে না হয়।

দৈনন্দিন

ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?

ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?
ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?

ত্বক পরিচর্যায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন উপাদানের নাম শোনা যায়। তবে রূপচর্চায় গোলাপ একেবারেই নতুন নয়। বহু প্রাচীনকালেও রানিদের গোসলের জন্য তাঁর সখীরা দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখতেন। ত্বকচর্চায় গোলাপজলের ভূমিকাও কম নয়। তবে গোলাপের তেলের কথা শুনেছেন কি? রাজা-রানিদের ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপের তেলের ব্যবহারও কিন্তু হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। শোনা যায়, ব্রিটেনের যুবরানি ডায়ানা নিজের ত্বক চর্চার জন্য ব্যবহার করতেন গোলাপের তেল আর অ্যাভোকাডো মাস্ক। ডায়ানার সৌন্দর্য্যের কথা কারও অজানা নয়। চাইলে আপনিও নিজের ত্বক পরিচর্যায় ডায়ানার টিপস ব্যবহার করতে পারেন।

গোলাপের তেল কেন উপকারী?
গোলাপের তেল কেন উপকারী?

গোলাপের তেল কেন উপকারী?

বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, গোলাপের তেল ত্বকে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। গোলাপের তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কোষের তন্তুতে প্রবেশ করে ত্বকে টানটান ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বক অনেক বেশি উজ্জলতা দেখায়।

কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?
কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?

কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?

একটি সসপ্যানে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার একটি কাচের পাত্রে ভাল মানের অলিভ অয়েল নিয়ে তাতে গোলাপের পাপড়ি থেঁতো করে ভিজিয়ে দিন। কাচের পাত্রের মুখ ঢেকে পাত্রটিকে গরম পানির পাত্রে ডুবিয়ে রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা গরম কুসুম গরম পানিতেই রাখতে হবে কাজের পাত্রটিকে। দরকার হলে বার বার পানি বদলে দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পরে একটি ছাঁকনির সাহায্যে তেল ছেঁকে নিন। ওই তেল কোনো গাঢ় রঙের বোতলে ঢেলে রাখুন। রোদে বা গরম জায়গায় রাখবেন না।

কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?
কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?

কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?

রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অথবা মধু কিংবা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট ২০ রেখে হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন। কোনো রকম অস্বস্তি না হলে তবেই মুখে মাখুন গোলাপের তেল।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

 সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে
সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

বাঙালির খাবার মানেই নানা রকম মাছের পদ। কোনোটা ভাজা তো কোনোটা ঝোল, কোনোটা আবার পাতুরি। কত স্বাদ, কত ধরনের যে রেসিপি! গরম ভাতের সাথে যেকোনো মাছের ঝোল হলে আর কিছু দরকার হয় না। আর তা যদি হয় পাবদা মাছ, তবে তো কথাই নেই! চলুন জেনে নেয়া যাক পাবদা মাছের ঝোল তৈরির রেসিপি-

উপকরণ:
পাবদা মাছ- ৪-৫ টি
লবণ
হলুদ
সরষের তেল
রসুন- ৫ থেকে ৬ কোয়া
কাশ্মীরী লাল মরিচ গুঁড়া- ২ চামচ
টমেটো পিউরি- ৩ চামচ
কাঁচা মরিচ- ২ থেকে ৩টি
ধনেপাতা কুচি।

 সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে
সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

প্রণালি:
পাবদা মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার লবণ, হলুদ আর সামান্য সরষের তেল মাখিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এবার যে পাত্রে মাছ রান্না করবেন সেই পাত্রে ১ চামচ হলুদ, ১ চামচ মরিচ গুঁড়া, ১ চামচ হলুদ, তিন চামচ টমেটো পিউরি, রসুনের পেস্ট ১ চামচ আর ২ চামচ সরষের তেল দিন। এবার এর মধ্যে অল্প হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এবার অল্প আঁচে কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে দুটি কাঁচা মরিচ দিন। অন্য একটি কড়াইতে সরষের তেল গরম করে মাছ ভেজে নিন। এবার সাবধানে মাছগুলো ছাড়ুন ঝোলের মধ্যে।মাছে সামান্য ধনেপাতা কুচি, সামান্য গরম পানি আর ২টি কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে দিন। নামানোর আগে একটু কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিন। অল্প আঁচে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

গোলাপ ফুল কি ত্বকের জন্য উপকারী?

পরিচিতি
সৌন্দর্য্য ও লাবন্যের প্রতীক গোলাপ ফুল

গোলাপ ফুলকে ফুলের রাণী বলা হয়ে থাকে। এর কোমলতা, বর্ণ, সুগন্ধ এমন কেউ নেই যাকে আকৃষ্ট করে না। সাজ সজ্জায় কাটা ফুল হিসেবে কদর রয়েছে। এছাড়া সুগন্ধি প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। শাখা কলম, দাবা কলম এবং চোখ কলম এর মাধ্যমে গোলাপের বংশ বিস্তার করা হয়।

সৌন্দর্য ও ঘ্রাণের দিক দিয়ে গোলাপ অতুলনীয়। আমাদের দৈনন্দিন জিবনে গোলাপ ফুল গুরুক্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।গোলাপের ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল সুন্দর হয়।তাছাড়া গোলাপের পাপড়ির গুড়া বিভিন্ন ধরণের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুলের পাপড়ির গুড়া দিয়ে তৈরি চা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি।

ত্বক উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ করতে গোলাপফুল বেশ কার্যকর। গোলাপ জলের থেকে কাঁচা ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এই উপাদানটি ত্বকের রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর করে চেহারার জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য কীভাবে মুখে গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের লাইফস্টাইল বিভাগে

  • নিয়মিত গোলাপফুলের রস মুখে লাগান। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে, যা চেহারার বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান করে।
  • গোলাপফুলের রস ত্বককে সতেজ রাখে। দুশ্চিন্তা দূর করতে কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি মুখে ঘষে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতাও দূর করবে।
  • যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও স্পর্শকাতর, তাঁরা নিয়মিত ত্বকে গোলাপফুলের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
  • গোলাপফুলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। ত্বকের কালচে ভাব, ব্রণের দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত গোলাপফুলের পাঁপড়ির সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা গোলাপের পাঁপড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পাঁপড়ি শিলপাটায় বেটে এর সঙ্গে চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

সকালের নাস্তায় পাউরুটি না হলে কি চলে! সাধারণত দোকান থেকেই পাউরুটি কিনে খায় সবাই। তবে দোকানের পাউরুটি আর ঘরে বানানো পাউরুটির মধ্যে অবশ্যই ফারাক আছে।

চাইলে কিন্তু স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন নরম তুলতুলে পাউরুটি। তাও আবার হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে চুলায়ই তৈরি করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

উপকরণ

১. ময়দা ২ কাপ
২. ইস্ট ২ চা চামচ
৩. চিনি ২ টেবিল চামচ
৪. লবণ আধা চা চামচ
৫. গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ
৬. তেল ৪ টেবিল চামচ
৭. কুসুম গরম পানি আধা কাপ+ ১ টেবিল চামচ ও
৮. ডিমের কুসুম ১টি।

পদ্ধতি

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

পানি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এখন পানি দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভালো করে মথে নরম তুলতুলে ডো তৈরি করুন। এবার ডো একটি এয়ারটাইট পাত্রে ঘণ্টাখানেক গরম স্থানে রাখুন।

এক ঘণ্টা পর ডো ফুলে উঠবে। তারপর সেটি বের করে আবারও ভালো করে মথে বাতাস বের করে নিন। এরপর ডো বেলুন দিয়ে রুটির মতো বেলে নিন। রুটি এবার রোল করে চারদিক সমান করে নিন।

এরপর একটি পাউরুটির মোল্ডে সামান্য তেল মাখিয়ে রোলটি মোল্ডে রাখুন। এরপর আবার ১৫ মিনিট গরম স্থানে রেখে দিন। চাইলে গরম পানির পাত্রের মুখে ঢাকনায় পাউরুটির মোল্ড বসিয়ে রাখতে পারেন।

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

১৫ মিনিট পর দেখবেন ডো ফুলে পুরো মোল্ড ভরে যাবে। এবার ডো’র উপরে ডিমের কুসুম ব্রাশ করে দিন। এখন চুলায় একটা বড় পাত্র বসিয়ে তাতে কিছুটা বালু (১ ইঞ্চি পুরু করে) দিন। এর ভেতরে একটি স্টিলের স্ট্যান্ড (হাড়ি রাখা) বসিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিন।

১ মিনিট উচ্চ তাপে হাঁড়িটা গরম করে নিন। স্টিলের স্ট্যান্ডের উপর পাউরুটির মোল্ড বসিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিয়ে উপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ মিনিট। চুলার আঁচ মাঝারিতে রাখুন।

এরপর আঁচ একেবারে কমিয়ে আরও ৫ মিনিট রেখে ঢাকনা খুলে দেখুন। পাউরুটির উপরের অংশ যদি বাদামি হয়ে যায় তাহলে নামিয়ে নিন। এর ১০-১৫ মিনিট পর একটা প্লেটের উপর মোল্ড উল্টে পাউরুটি বের করুন।

এবার একটি ভেজা তোয়ালে বা কাপড় মোটা করে ভাজ করে পাউরুটি ঢেকে রাখুন। এতে পাউরুটি বেশি নরম হয়ে যাবে। ঠান্ডা হলে পাউরুটি কেটে পরিবেশন করুন। এভাবেই ঘরে তৈরি করতে পারেন নরম তুলতুলে পাউরুটি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!

পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!
পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!

চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আসলে একেকজনের চুল পড়ার কারণও কিন্তু ভিন্ন। তবে হঠাৎ যদি আপনার অত্যধিক চুল পড়ে ও খুশকি কিংবা মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যা থাকে তাহলে ব্যবহার করুন পেঁয়াজ।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন অনেকেই। চুল পড়া বন্ধের এটি একটি কার্যকরী দাওয়াই। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেমন পেঁয়াজের হাজারও উপকারিতা আছে ঠিক চুলের ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ খুব উপকারী।

চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চুল ঘন করার ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ দুর্দান্ত কার্যকরী। পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন?

>> পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পের যে কোনো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য পেঁয়াজে অল্প পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।

তারপর তুলা ভিজিয়ে পেঁয়াজের রস মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। একদিন পরপর এই টোটকা ব্যবহার করুন।

>> পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেলও মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চুলে। নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মেশালে এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়। এজন্য প্রথমে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ নারকেল তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন।

খুশকির সমস্যা থাকলে, মিশ্রণটিতে ৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েলও মেশাতে পারেন। এরপর মিশ্রণটি ভালো করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

>> অলিভ অয়েল ও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন খুশকির সমস্যা সমাধানে। তাছাড়া অলিভ অয়েল, চুল ও মাথার ত্বককে কন্ডিশনিং করতেও সহায়তা করে। পেঁয়াজের রস চুলকে দ্রুত বড় করে।

এজন্য প্রথমে তিন টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ও দেড় টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। দুই ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটিও একদিন পরপর করতে পারেন।

>> ক্যাস্টর অয়েল ও পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে চুল বড় হয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। প্রথমে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

>> ডিম ও পেঁয়াজের হেয়ারমাস্ক চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে। পাশাপাশি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস, একটি ডিম ও ২-৩ ফোঁটা রোজমেরি কিংবা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন।

তারপর এ হেয়ার প্যাকটি স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ