আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফুল

ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

ফুল এখন শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যই চাষ হয় না, বাণিজ্যিকভাবেও এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। বর্তমানে চাহিদার নিরিখে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফুল চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ফুল জন্মে।

এ সব ফুলের মধ্যে রয়েছে,- গোলাপ, গাঁদা, চামেলি, বেলি, জুঁই, শেফালি, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, গ্লাডিওলাস, শেফালি, দোপাট্টি, হাসনা-হেনা, চন্দ্রমলি্লকা, ডালিয়া, রঙ্গন, দোলনচাঁপা, কনকচাঁপা, অপরাজিতা জবা, মালতি, কামিনী ইত্যাদি। কিছু কিছু ফুল আছে দীর্ঘজীবী এবং কিছু মৌসুমী। সব ফুলেরই বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সমান গুরুত্ব রয়েছে।

কিছু কিছু ফুল এমনিতেই জন্মে আবার। কিছু কিছু ফুলের চাষ করতে হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, রঙ্গন, গ্লাডিওলাস ইত্যাদি খুলনা ও যশোরসহ কয়েকটি অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অনেকের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

ফুল রোপণের সময় ও জমি নির্বাচন
ফুল রোপণের সময় ও জমি নির্বাচন

রোপণের সময়: অধিকাংশ ফুলের বীজ, চারা, কলম বা কন্দ অশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত রোপণের উপযুক্ত সময়।

জমি নির্বাচন: এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। উঁচু দো-আঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। মনে রাখতে হবে, ফুল চাষের জন্য জমি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাগানের আকার-আকৃতি মানানসই হলে ভালো দেখায়।

ফুল চাষে বেড়া দেয়া, জমি তৈরি ও চারা রোপণ
ফুল চাষে বেড়া দেয়া, জমি তৈরি ও চারা রোপণ

বেড়া দেয়া: গবাদি পশুর বা অবাঞ্ছিত আক্রমণ থেকে ফুল গাছকে বাঁচাতে হলে শক্ত বাঁশের বা কাঁটাতার বা লোহার বেড়া দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গরু-ছাগল যেন সে বেড়া ভেঙ্গে না ফেলে।

জমি তৈরি ও চারা রোপণ: জমির পরিমাণ বেশি হলে বিভিন্ন জাতের ফুলের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা ভাগ করে পরিকল্পনা মাফিক চারা রোপণ করতে হবে। কন্দ, চারা বা কলম রোপণের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে জমি ভালোভাবে কুপিয়ে উপযুক্ত ও পরিমিত সার দিতে হবে।

ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন
ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন

এসব সারের মধ্যে রয়েছে,- পচা গোবর, টিএসপি, হাঁড়ের গুঁড়া, এম.পি. ইউরিয়া, খৈল, চায়ের উচ্ছিষ্টাংশ, ছাই ইত্যাদি মিশিয়ে মাটি ঝরঝরে করতে হবে। সার প্রয়োগে জৈব সারের প্রাধান্য দেয়া উচিত। সব সময় স্বাস্থ্যবান ও নিরোগ চারা বা কন্দ লাগাতে হবে। চারা লাগিয়ে উপরে চাপ না দিয়ে পাশের মাটি চাপ দিয়ে শক্তভাবে চেপে দিতে হবে এবং প্রয়োজনমত পানি দিতে হবে। চারাভেদে খুঁটি পুঁতে চারার গায়ে বেঁধে দিতে হবে।

ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন: শহরে বা গ্রামে বর্তমানে ভালো নার্সারিতে উন্নতজাতের বীজ, কলম ও চারা পাওয়া যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করলে চারা পাওয়া যাবে।

ফুল যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে
ফুল যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে

যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে: আগাছা নিড়ানী দিয়ে তুলে ফেলতে হবে এবং গোড়ার মাটি মাঝে-মধ্যে আলগা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। পিঁপড়া ও মাকড়সার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য হিপ্টেক্লোন-৪০ পরিমাণমতো দেয়া যায়। সাধারণ পোকার জন্য মেলতিয়ন বা ডাইমেক্রন ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। রোগ অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সার প্রয়োগের কলাকৌশল জেনে চাহিদামতো কয়েক দফা সুষম সার ও সেচ দিতে হবে। ফুল ধরার বেশ আগে থেকেই বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ফুলের পরিমাণ ও মান উভয় দিকেই খেয়াল রাখা দরকার। গাছভেদে পুরানো ও রোগা ডাল-পালা ছাঁটাই করে দিতে হবে।

ফুল সংগ্রহ
ফুল সংগ্রহ

ফুল সংগ্রহ: ফুল সম্পূর্ণ ফোটার আগে ডাঁটাসহ কেটে ফুল সংগ্রহ করা যায়। ডাঁটার নিচের অংশ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফুল সজীব থাকে। মান ভালো রাখার জন্য ডাঁটাসহ ফুল আঁটি বেঁধে পরিপাটি করে কালো পলিথিনে মুড়ে বাজারে পাঠাতে হবে।

টবে ফুল চাষ: জমির অভাবে দালানের ছাদে, বারান্দার টবে সৌখিন বা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্নজাতের বা রঙের গোলাপ ও গাঁদা। এছাড়া ডালিয়া, রঙ্গন, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, বিভিন্ন আর্কিড, নানাজাতের আকর্ষণীয় ক্যাকটাস ও বনসাই।

বর্তমানে বাজারে এসবের ভালো চাহিদা রয়েছে। সময় বাঁচানো এবং নির্মল আনন্দের জন্য বর্ষজীবি বা স্থায়ী ফুলের চাষ করা যায়। যেমন- গোলাপ, জবা, চেরি, দোলনচাঁপা, মালতি, কামিনী, রঙ্গন, পাতাবাহার, বিভিন্ন আর্কিড ও নানাজাতের ক্যাকটাস। ক্যাকটাস জাতীয় গাছের জন্য সার খুবই কম লাগে। ফলে ব্যয়ও হয় খুব কম।

  • ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

    ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে

  • ফুল রোপণের সময় ও জমি নির্বাচন

    ফুল রোপণের সময় ও জমি নির্বাচন

  • ফুল চাষে বেড়া দেয়া, জমি তৈরি ও চারা রোপণ

    ফুল চাষে বেড়া দেয়া, জমি তৈরি ও চারা রোপণ

  • ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন

    ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন

  • ফুল যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে

    ফুল যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে

  • ফুল সংগ্রহ

    ফুল সংগ্রহ

  • ফুল চাষে যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে
  • ফুল রোপণের সময় ও জমি নির্বাচন
  • ফুল চাষে বেড়া দেয়া, জমি তৈরি ও চারা রোপণ
  • ফুল গাছের বা বীজ যেখানে পাবেন
  • ফুল যেভাবে পরিচর্যা করতে হবে
  • ফুল সংগ্রহ

ফুল

সুর্যমুখী

ফুলসুর্যমুখী
ফুলসুর্যমুখী

ফসলের নাম :সূর্যমুখী(Sunflower)

উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম : Hellianthus annus.

১.  পুষ্টিমূল্য/উপাদান : বীজে লিনোলিক এসিড বিদ্যমান। উন্নতমানের তৈল থাকে।

২.  ভেষজগুণ : হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী।

৩.  ব্যবহার :সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর বীজ ছাড়ানোর পর মাথাগুলো গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গাছ ও পুষ্পস্তবক জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৪.  উপযুক্ত জমি ও মাটি : সূর্যমুখী সাধারণত সব মাটিতেই জন্মে। তবে দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে বেশী উপযোগী।

ফুলসুর্যমুখী
ফুলসুর্যমুখী

৫.  জাত পরিচিতি : এ পর্যন্ত বারি কর্তৃক ২টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। যথা (১) কিরণী (ডিএস-১) এবং বারি সুর্যমুখী-২।

কিরণী:১৯৯২ সালে জাতটির অনুমোদন দেয়া হয়। বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। জাতটির কান্ডের ব্যাস ১.৫-২.০ সে.মি.। পরিপক্ক পুষ্পমঞ্জুরী বা শাখার ব্যাস ১২-১৫ সে.মি.। প্রতি মাথায় বীজের সংখ্যা ৪০০-৬০০। বীজের রং কালো। ১০০০ বীজের ওজন ৬৮-৭২ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ শতকরা ৪২-৪৪ ভাগ। জাতটি মোটামুটি অলটারনারিয়া বৱাইট রোগ সহনশীল। জীবনকাল ৯০-১১০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ১.৬ হতে ১.৮ টন।

বারি সূর্যমুখী-২ : গাছের কান্ডের ব্যাস ২.০-২.৪ সে.মি.। পরিপক্ক পুষ্পমঞ্জুরী বা শাখার ব্যাস ১৫-১৮ সে.মি.। বীজের রং কালো। ১০০০ বীজের ওজন ৬৫-৭০ গ্রাম। প্রতি মাথায় বীজের সংখ্যা ৪৫০-৬৫০। তেলের পরিমাণ শতকরা ৪২-৪৪ ভাগ। জীবনকাল রবি মৌসুমে ৯৫-১০০ দিন এবং খরিফ মৌসুমে ৯০-৯৫ দিন।  হেক্টর প্রতি ফলন রবি মৌসুমে ২.০ হতে ২.৩ টন এবং খরিপ মৌসুমে ১.৫ হতে ১.৮ টন।

ফুলসুর্যমুখী
ফুলসুর্যমুখী

৬.  বীজের হার : ৮-১০ কেজি/হেক্টর।

৭.  বপন সময় ও বপন পদ্ধতি : সূর্যমুখী সারা বছর চাষ করা যায়। তবে অগ্রহায়ন মাসে (মধ্য  থেকে চাষ করলে এর ভালো ফলন পাওয়া যায়। খরিপ-১ মৌসুমে অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠে (মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য মে) মাসেও এর চাষ করা যায়। সূর্যমুখী বীজ সারিতে বুনতে হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সে.মি. এবং গাছ থেকে গাছের  দূরত্ব ২৫ সে.মি.।

৮.  সার ব্যবস্থাপনা :ভালো ফলনের জন্য সূর্যমুখীতে নিম্নরূপ সার ব্যবহার করতে হবে।

সারের নামসারের পরিমাণ/হেক্টর
ইউরিয়া১৮০-২০০ কেজি
টিএসপি১৫০-২০০ কেজি
এমওপি১২০-১৫০ কেজি
জিপসাম১২০-১৭০ কেজি
জিংক সালফেট৮-১০ কেজি
বরিক এসিড১০-১২ কেজি
ম্যাগনেসিয়াম সালফেট৮০-১০০ কেজি
* রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ ও রাজশাহী এলাকার জন্য প্রযোজ্য
ফুলসুর্যমুখী
ফুলসুর্যমুখী

সার প্রয়োগ পদ্ধতি :অর্ধেক ইউরিয়া এবং বাকি সব সার শেষ চাষের সময় জমিতে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ২ ভাগ করে প্রথম ভাগ চারা গজানোর ২০-২৫ দিন এবং দ্বিতীয় ভাগ ৪০-৪৫ দিন পর (ফুল ফোটার পূর্বে) প্রয়োগ করতে হবে।

৯.  সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা :সূর্যমুখী ফসলের ফলন বেশী পেতে হলে কয়েকবার সেচ দেয়া প্রয়োজন। প্রথম সেচ বীজ বপনের ৩০ দিন পর (গাছে ফুল আসার আগে), দ্বিতীয় সেচ বীজ বপনের ৫০ দিন পর (পুষ্পস্তবক তৈরির সময়) এবং তৃতীয় সেচ বীজ বপনের ৭০ দিন পর (বীজ পুষ্ট হবার আগে) সেচ দেয়া দরকার।সূর্যমুখীর জমি সর্বদা আগাছামুক্ত রাখতে হবে। জমিতে আগাছা দেখা দিলে উহা তুলে ফেলতে হবে।

ফুলসুর্যমুখী
ফুলসুর্যমুখী

১০.  পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা :

পোকার নাম : বিছা পোকা

ভূমিকা : ছোট অবস্থায় এরা দলবদ্ধভাবে থাকে।

পোকা চেনার উপায় : কীড়া বা বিছা হলুদ রংয়ের এবং গায়ে কাঁটা থাকে।

ক্ষতির নমুনা : এরা সাধারণত গাছের পাতায় আক্রমণ করে। এ পোকার কীড়া দলবদ্ধভাবে থেকে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে পাতলা সাদা পর্দার মতো করে ফেলে।

অনুকূল পরিবেশ :উষ্ণ আবহাওয়া।

সূর্যমুখী
সূর্যমুখী

ব্যবস্থাপনা : পোকা দেখার সংগে সংগে গাছ থেকে পোকাসহ পাতা সংগ্রহ করে পোকা মেরে ফেলতে হবে। সেচ নালায় কেরোসিন মিশ্রিত পানি থাকলে কীড়া পানিতে পড়ে মারা যায়।

প্রতি লিটার পানিতে ডায়াজিনন-৬০ ইসি ২ মিলি হারে মিশিয়ে বিকালে জমিতে স্প্রে করতে হবে।

সূর্যমুখী
সূর্যমুখী

১.  রোগ ব্যবস্থাপনা :

রোগের নাম :পাতা ঝলসানো রোগ

ক্ষতির নমুনা : অলটারনেরিয়াহেলিয়ানথী নামক ছত্রাকের সাহায্যে এ রোগ ছড়ায়। আক্রমণের শুরুতে পাতায় ধুসর বা গাঢ় বাদামী বর্ণের অসম আকৃতির দাগ পড়ে। এ দাগগুলো একত্রে মিলিত হয়ে বড় দাগের সৃষ্টি করে এবং অবশেষে পুরো পাতা ঝলসে যায়।

বিস্তার : বীজ এবং বায়ুর সাহায্যে বিস্তার লাভ করে।

সূর্যমুখীর হাসি
সূর্যমুখীর হাসি

ব্যবস্থাপনা : কিরণী জাতের চাষ করা

প্রতি লিটার পানির সাথে ২ গ্রাম রোভরাল-৫০ ডব্লিউ পি মিশিয়ে ১০ দিন পর পর ৩ বার সেপ্র করা বা ফসল কাটার পর পরিত্যক্ত কান্ড, মূল ও পাতা পুড়িয়ে ফেলা।

১২.  ফসল তোলা : ৯০-১১০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফুল

শীতে টবের গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীতে টবের গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে
শীতে টবের গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীতে প্রকৃতির প্রভাব সব কিছুর উপর পড়ে। বাসা-বাড়ির টবের পানিও শুকিয়ে যায়। ঘরের ভেতর, বাসার ছাদে বা বারান্দার টবে রাখা গাছগুলো এ সময় জীর্ণ হতে পারে। তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে।

এই শীতে টবের গাছের যত্ন নেবেন যেভাবে, তা জেনে নিন—

১. শীত মানেই গাছ ঠান্ডা থাকবে এমন নয়। এ সময় গাছেরও সূর্যের আলোর প্রয়োজন আছে।
২. গাছের গায়ে সকালের রোদ লাগতে দিন। এতে শীতেও ভালো থাকবে গাছ।
৩. শীত যদি খুব বেশি হয়, ছোট টবগুলো ঘরের ভেতরেই রাখুন। পরদিন সকালে বারান্দায় রোদে দিন।
৪. শীতে গাছে অতিরিক্ত পানি দেবেন না। মাটি সহজে শুকায় না বলে শিকড় পচে যেতে পারে। মাটি পরীক্ষা করে পানি দিন।

৫. শীতের সময় গাছের গায়ে বাড়তি ধুলো জমতে পারে। পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন।
৬. ঘরের টবে পানি দেওয়ার জন্য স্প্রে ব্যবহার করুন। এতে বাড়তি পানি নষ্ট হবে না।
৭. শীত বেশি হলে অনেক গাছ মরে যেতে পারে। এমন হলে গাছ খানিকটা ছেঁটে দিতে পারেন।
৮. শীত কমে গেলে নতুন পাতা গজিয়ে সতেজ হয়ে উঠবে আপনার শখের গাছটি।
৯. ফেলে দেওয়া চা-পাতা, শাক-সবজির ছিলকা, ডিমের খোসা মিলিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরে বানানো সার। এ সার বেশ উপকারী।
১০. পাতার রং যদি হালকা হয়ে যায়, তবে পানি না দিয়ে মাটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সূর্যের আলোতে গাছ রাখুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফুল

টবে গোলাপ চাষের নিয়ম

টবে গোলাপ চাষের নিয়ম
টবে গোলাপ চাষের নিয়ম

শহরে কিংবা গ্রামে বাড়ির ছাদে বা আশেপাশে শখ করে অনেকেই টবে ফুল চাষ করেন। সেই ক্ষেত্রে বেশির ভাগেরই পছন্দ গোলাপ। আপনি যদি টবে গোলাপ চাষ করতে চান তাহলে আপনাকে গোলাপ চাষ সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে।

চারা রোপণ

নতুন চারা না লাগিয়ে একবছরের পুরনো চারা লাগাতে পারেন। চারাটি সোজাভাবে গর্তের মধ্যে লাগাতে হবে। চারার শেকড় ভালোভাবে মাটি দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিতে হবে। জোড় কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত চারার জোড়ের স্থানটি মাটি থেকে অন্তত ৩-৪ সেন্টিমিটার উপরের দিকে রাখতে হবে।

গাছ ছাঁটাই

নতুন শাখা ভালোভাবে বিস্তৃত করার জন্য পুরনো ডাল, ক্ষত ও রোগাক্রান্ত ডাল কেটে বাদ দিতে হয়। বড় গোলাপ পেতে হলে গাছ নিয়মিত ছাঁটাই করতে হয়। আশ্বিন মাসকে গাছ ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত সময় ধরা হয়।

সার প্রয়োগ

গাছ ছাঁটাইয়ের ১০-১২ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছ প্রতি ২-৩ কেজি পঁচা শুকনো গোবরের সঙ্গে ৫০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হবে। টবের উপর থেকে ১০ সেন্টিমিটার মাটি সরিয়ে নিচের মাটি কিছুটা আলগা করে সারগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এসময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে শিকড়ের কোন ক্ষতি না হয়। হাঁস-মুরগি বা কবুতরের বিষ্ঠা সার হিসেবে গোলাপ গাছে দেওয়া যেতে পারে।

পানি

• চারা লাগানোর পরে চারার গোড়ায় প্রথম দিকে ঘন ঘন পানি দিতে হবে।
• টবের মাটিতে ভালোভাবে চারা গজালে এবং নতুন ডালপালা ছাড়ার পরে খরা মৌসুমে প্রতি ১০ দিন পর পর একবার করে সেচের মতো পানি দিতে হবে।
• প্রত্যেকবার পানি সেচের পরে গাছের গোড়ার মাটি ঝরঝরে করে দিতে হবে।

রোগ প্রতিরোধ

টবে চাষ করার সময় পোকা আক্রমণ করলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন।

পরিচর্যা

১. চারার জোড়া জায়গাটির নিচে কোন প্রকার ডালপালা বের হলে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিন।
২. বড় আকারে ফুল পেতে হলে প্রথম দিকে বের হওয়া পুষ্পকুড়ি ভেঙে দিন।
৩. মার্চ-এপ্রিল মাসে পঁচা গোবর এবং কম্পোস্টের মালচ গাছের গোড়ায় দিন।
৪. পুরান ডালে ফুল ভালো হয় না। তাই ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে।
৫. ছাঁটাইকৃত ডালের সামনে ছত্রাকনাশক ঘন করে গুলে লাগিয়ে দিন।
৬. গাছের গোড়া থেকে ২০ সেন্টিমিটার দূরে গোল করে মাটি খুঁড়ে শেকড় বের করে দিন।
৭. ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস করতে এভাবে মাটি খুঁড়ে ৮-১০ দিন রাখতে পারেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

বেকারত্ব দূর করতে ফুল চাষ

বেকারত্ব দূর করতে ফুল চাষ
বেকারত্ব দূর করতে ফুল চাষ

সৌন্দর্যপিপাসু মানুষের কাছে ফুলের আবেদন চিরন্তন। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে ফুলের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েই চলছে। ফলে এখন ফুলেও লেগেছে বাণিজ্যের ছোঁয়া। দিন দিন বেড়ে চলছে ফুলের চাষ ও ব্যবহার। তাই আপনিও ফুলের চাষ করে বেকারত্ব দূর করতে পারেন।

চাষের স্থান
সারাদেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করা যায়। গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বিলজুড়ে চাষ করা যায় নানা জাতের ফুল। এছাড়া বাড়ির পাশের জমিতে ফুলের চাষ করা যায়। চাষ করতে পারেন বাড়ির ছাদেও।

যে ধরনের ফুল
লাল গোলাপ, সাদা গোলাপ, রজনীগন্ধা, ভুট্টা ফুল, গাঁদা, বেলি, কামিনী, সূর্যমুখী, ডায়মন্ড, গরম ফেনিয়া, জারবরা, রতপুসুটি, টুনটুনি, জিপসি, স্টারকলি, ডালিয়া, কসমস, পপি, গাজানিয়া, স্যালভিয়া, ডায়ান্থাস, ক্যালেন্ডুলা, পিটুনিয়া, ডেইজি, ভারবেনা, হেলিক্রিসাম, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, লুপিন, কারনেশন, প্যানজি, অ্যাস্টার ও চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুল চাষ করা যায়।

পুঁজি
প্রথম খুব বেশি পুঁজির দরকার হয় না। জমির আকারের ওপর নির্ভর করে খরচ কম-বেশি হতে পারে।

চাষ ও পরিচর্যা
ফুলের বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর-নভেম্বর মাস। টবসহ চারাও কিনতে পাওয়া যায়। সাধারণত ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি মাপের টবই যথেষ্ট। টবের মাটির সঙ্গে জৈব সার বা কম্পোস্ট সার পর্যাপ্ত পরিমাণে মেশাতে হয়। সাবধানতার সঙ্গে চারা রোপণ করে ঝাঁঝর দিয়ে উপর থেকে বৃষ্টির মতো পানি ছিটিয়ে দিতে হবে। যাতে গাছ এবং পাতা উভয়ই ভেজে। প্রয়োজনে হেলে পড়া গাছকে লাঠি পুঁতে তার সঙ্গে বেঁধে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রয়োজনে কৃষিবিদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

বিক্রয়
শহরে গিয়ে ফুল বিক্রি করতে ঝামেলা হতে পারে। অনেক সময় ঠিকমতো দামও পাওয়া যায় না। তাই উৎপাদিত ফুল বিক্রির জন্য এলাকাতেই ফুলের দোকান গড়ে তুলতে পারেন।

কর্মসংস্থান
অন্যান্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষে লাভ অনেক বেশি। আর ফুল চাষ করার ফলে বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কারণ ক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার, ফুল ছেঁড়া, ফুলের মালা গাঁথাসহ অনেক কাজে পুরুষ এবং নারী সম্পৃক্ত হতে পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

ট্রে আর টবে ফুল চাষ করে মাসে ৫০ হাজার আয় করছেন যে যুবক

শুধু ট্রে আর টবে ফুল চাষ করে মাসে ৫০ হাজার আয় করেন এক কম্পিউটার প্রোগ্রামার। জেনে নিন সেই যুবক সম্পর্কে।

কাজের প্রতি যদি ভালোবাসা তৈরি না হয়, তা হলে যত টাকাই মাইনে পান না কেন, সে কাজে উত্সাহ আসে না। রোজ জোর করেই শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে অফিসে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু যদি এমন সুযোগ সামনে আসে, যেখানে টাকাও আছে আর ভালোলাগাও!
কাজের প্রতি যদি ভালোবাসা তৈরি না হয়, তা হলে যত টাকাই মাইনে পান না কেন, সে কাজে উত্সাহ আসে না। রোজ জোর করেই শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে অফিসে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু যদি এমন সুযোগ সামনে আসে, যেখানে টাকাও আছে আর ভালোলাগাও!
এমন সুযোগ কি কেউ হাতছাড়া করতে চাইবেন! না। যেমন চাননি ভারতের হরিয়ানার সইদপুরে এক চাষি পরিবারের ছেলে। তার নাম বিপিন রাও যাদব।
এমন সুযোগ কি কেউ হাতছাড়া করতে চাইবেন! না। যেমন চাননি ভারতের হরিয়ানার সইদপুরে এক চাষি পরিবারের ছেলে। তার নাম বিপিন রাও যাদব।
বিপিন পেশায় একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক বিপিন একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যান।
বিপিন পেশায় একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক বিপিন একটি কোম্পানিতে চাকরি পেয়ে যান।
বিপিনের বাবা চাষবাস করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি প্রথম থেকেই স্থির করে ফেলেছিলেন, তার দুই ছেলেকে কখনো এই কষ্টের পেশায় আনবেন না। তারা দু’জনেই ভালো চাকরি করবেন।
বিপিনের বাবা চাষবাস করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি প্রথম থেকেই স্থির করে ফেলেছিলেন, তার দুই ছেলেকে কখনো এই কষ্টের পেশায় আনবেন না। তারা দু’জনেই ভালো চাকরি করবেন।
বিপিন এবং বিপিনের দাদা দুজনেই বাবার স্বপ্ন দেখা পথেই এগিয়েছেন। তার দাদাও বি টেক সম্পূর্ণ করে চাকরিতে ঢুকে গিয়েছেন।
বিপিন এবং বিপিনের দাদা দুজনেই বাবার স্বপ্ন দেখা পথেই এগিয়েছেন। তার দাদাও বি টেক সম্পূর্ণ করে চাকরিতে ঢুকে গিয়েছেন।
আর বিপিন ২০১৫ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হয়ে গুরুগ্রামের একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। কিন্তু সেই চাকরি বিপিনের একেবারেই ভালো লাগত না।
আর বিপিন ২০১৫ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হয়ে গুরুগ্রামের একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। কিন্তু সেই চাকরি বিপিনের একেবারেই ভালো লাগত না।
এক, বিপিন যেভাবে জীবন কাটাতে চাইতেন, প্রাপ্য মাইনেতে তা সম্ভব ছিল না। দুই, তার উপর সেই কাজের প্রতি ভালোবাসাও তৈরি হচ্ছিল না।
এক, বিপিন যেভাবে জীবন কাটাতে চাইতেন, প্রাপ্য মাইনেতে তা সম্ভব ছিল না। দুই, তার উপর সেই কাজের প্রতি ভালোবাসাও তৈরি হচ্ছিল না।
এক বন্ধুর পরামর্শে বিপিন বাড়ির কাছের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি প্রশিক্ষণে যোগ দেন। কীভাবে লাভজনক উপায়ে কৃষিকাজ করা যায়, কী ভাবে প্রচুর জমি ছাড়াই চাষাবাদ করা যায়, এরকম নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন তিনি।
এক বন্ধুর পরামর্শে বিপিন বাড়ির কাছের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি প্রশিক্ষণে যোগ দেন। কীভাবে লাভজনক উপায়ে কৃষিকাজ করা যায়, কী ভাবে প্রচুর জমি ছাড়াই চাষাবাদ করা যায়, এরকম নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেন তিনি।
আর বিপিন ২০১৫ সালে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হয়ে গুরুগ্রামের একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। কিন্তু সেই চাকরি বিপিনের একেবারেই ভালো লাগত না।
সাহস এবং আত্মবিশ্মারের সঙ্গে গুরুগ্রামের চাকরি ছেড়ে চাষ করতে বাড়ি ফিরে আসেন বিপিন। বিপিনের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই মানতে পারছিল না তার পরিবার। গ্রামের লোকের কাছেও হাসির খোরাক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
কিন্তু সে সবে পাত্তা না দিয়ে নিজের জমানো দুই লাখ টাকা দিয়ে প্রথমেই চাষের প্রয়োজনীয় মালপত্র কিনে ফেলেন। বাবার জমি থেকে প্রথমে মাত্র ১০০ বর্গ ফুট জমিতে পলিহাউস তৈরি করে চাষ শুরু করেন।
কিন্তু সে সবে পাত্তা না দিয়ে নিজের জমানো দুই লাখ টাকা দিয়ে প্রথমেই চাষের প্রয়োজনীয় মালপত্র কিনে ফেলেন। বাবার জমি থেকে প্রথমে মাত্র ১০০ বর্গ ফুট জমিতে পলিহাউস তৈরি করে চাষ শুরু করেন।
প্রথমেই খুব লাভ হতে শুরু করে তা নয়। হাতে কলমে কাজ করতে গেলে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়, আর তা থেকেই শেখা যায়। বিপিনের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল।
প্রথমেই খুব লাভ হতে শুরু করে তা নয়। হাতে কলমে কাজ করতে গেলে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়, আর তা থেকেই শেখা যায়। বিপিনের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল।
মাটি ছাড়া কোকোপিট এবং আরও নানারকম উপকরণ দিয়ে টবেই চাষ করতে শুরু করেন তিনি। ২০১৬ সালে চাষ করা শুরু করেছিলেন বিপিন। তার দু’বছরের মধ্যেই আশাতীত ফল পান।
মাটি ছাড়া কোকোপিট এবং আরও নানারকম উপকরণ দিয়ে টবেই চাষ করতে শুরু করেন তিনি। ২০১৬ সালে চাষ করা শুরু করেছিলেন বিপিন। তার দু’বছরের মধ্যেই আশাতীত ফল পান।
নানা প্রজাতির ফুল, সব্জি সব কিছুই চাষ করতে শুরু করেন তিনি। আলাদা করে ১৮০০ বর্গ ফুটের জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে পলিহাউস তৈরি করে চাষ করতে শুরু করেন।
নানা প্রজাতির ফুল, সব্জি সব কিছুই চাষ করতে শুরু করেন তিনি। আলাদা করে ১৮০০ বর্গ ফুটের জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে পলিহাউস তৈরি করে চাষ করতে শুরু করেন।
বর্তমানে তার আড়াই হাজার ট্রে এবং টব রয়েছে। প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ ফুল ফোটান তিনি। মূলত ফুলের ব্যবসা তার।
বর্তমানে তার আড়াই হাজার ট্রে এবং টব রয়েছে। প্রতি মাসে প্রায় আড়াই লাখ ফুল ফোটান তিনি। মূলত ফুলের ব্যবসা তার।
বর্তমানে বিপিনের বয়স মাত্র ২০ বছর। এখনই তিনি মাসে আয় করেন অন্তত ৫০ হাজার টাকা। এই ব্যবসাকে আরও বড় করাই তার উদ্দেশ্য এখন। তার মতো তরুণরা অহেতুক চাকরির পিছনে না ছুটে চাষাবাদকেই আপন করে নিন, এটাই চান তিনি।
বর্তমানে বিপিনের বয়স মাত্র ২০ বছর। এখনই তিনি মাসে আয় করেন অন্তত ৫০ হাজার টাকা। এই ব্যবসাকে আরও বড় করাই তার উদ্দেশ্য এখন। তার মতো তরুণরা অহেতুক চাকরির পিছনে না ছুটে চাষাবাদকেই আপন করে নিন, এটাই চান তিনি।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ