আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মানসিক স্বাস্থ্য: নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার বেশি কেন

আর্থিক এবং পারিবারিক যে চাপ, এমনও অনেক সময় মনে হয় যে কিডনি বেইচা হইলেও সংসারডারে টিকাইয়া রাখি।”

এই কথাগুলো বলছিলেন পয়ত্রিশ বছরের বেশি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুরুষ। সপ্তম শ্রেণি থেকে পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন করছেন তিনি।

বহুদিন ধরে বাবা-মা, দুই বোন, স্ত্রী, দুই কন্যা সন্তান এমনকি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দায়িত্বও তাকে বহন করতে হয়। তিনি বলছিলেন, নিজেকে তার প্রায়ই “হালের গরু” বলে মনে হয়।

তিনি বলছেন, “ধরেন আমাদের দেশে মানুষ গরু পালে চারটা কারণে- দুধ, মাংস খাওয়ার জন্য, হাল চাষ করার জন্য, আর বেইচা টাকা পাওয়ার আশায়। আমাদের দেশে ছেলেদেরকেও ওইভাবে পালে যে এরা বড় হইলে কামাই করে খাওয়াবে, দেখাশোনা করবে। কিছু পাওয়ার আশায়, কিছু একটা লাভের আশাতেই বাবা মায়েরা যেন ছেলেদের এইভাবে পালে। যে কারণে ছেলেদের উপরে অনেক চাপ পড়ে।”

এই “চাপের বোঝা” নীরবেই বহন করেন তিনি। চাপ সামাল দেবার জন্য নিজেই খুঁজে নিয়েছেন কিছু পদ্ধতি।

“আমার মানসিক কষ্ট হইলে সেটা আমি কারো কাছে প্রকাশ করি না। মেন্টাল কোন প্রেশার আসলে আমি ওজু করি, দুই রাকাত নামাজ পরি। তারপর একা একা কান্নাকাটি করি। আমি যে কষ্ট পাচ্ছি এটা আমি আজ পর্যন্ত আমার পরিবারের কাউকে বুঝতে দেইনি।”

পুরুষ হয়ে ওঠার সামাজিক শিক্ষা

একজন পুরুষ পরিবারের সবার জন্য অর্থ উপার্জন করবে, সবার দায়িত্ব বহন করবে, জীবনে সফল হবে, সবার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে- সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেন পুরুষ হয়ে ওঠার এই সামাজিক শিক্ষা জন্ম থেকেই তার ঘাড়ে বিশাল এক বোঝা চাপিয়ে দেয়।

তার কাছ থেকে আশা করা হয় এসব চাপে পুরুষ ভেঙে পড়বে না। পুরুষ দুর্বলতা প্রকাশ করবে না।

সমাজবিজ্ঞানী সামিনা লুৎফা বলছেন, কেন বংশ পরম্পরায় পুরুষ এই শিক্ষা বহন করে চলেছে।

তিনি বলছেন, “এটাকে আমরা বলি জেন্ডার রোল। সমাজ নারী ও পুরুষের জন্য শ্রম বিভাজন করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে সমাজ তার কাছ থেকে এটা কেন চায়, তার উত্তর জানতে হলে আমাদের অনেক পেছনের দিকে যেতে হবে।”

“মূলত আমরা দেখেছি যে এর সাথে কৃষিভিত্তিক সভ্যতার একটা সম্পর্ক আছে। এই যে রোল অ্যসাইনমেন্ট, সেটা সমাজ করেছে নানান কারণে। ফেমিনিস্টরা বলবেন সমাজ এটা করেছে পুরুষের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য, অন্যদিকে ফাঙ্কশনালিস্টরা বলবে এটা অর্ডার মেইনটেইন করবার জন্য জরুরী। সেখান থেকেই শুরু।”

“কিন্তু এখনো নানা ফর্মে এই জেন্ডার রোল বহন করে চলেছি। সেটাকে বদলে দেয়া, সাংস্কৃতিক উপাদানকে খুব দ্রুত ফেলে দেয়া সহজ নয়,” বলেন তিনি।

পুরুষ নিজেই কি পিতৃতন্ত্রের শিকার

বিশ্বব্যাপী পিতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ক্ষমতা, অর্থ, সম্পদের মালিকানা এবং সিদ্ধান্ত প্রণেতা হিসেবে পুরুষের অবস্থান নারীর উপরে।

তাই মনে করা হয় পিতৃতন্ত্র পুরুষকে শুধু সুবিধাই দেয়। কিন্তু নৃবিজ্ঞানী জোবাইদা নাসরিন মনে করেন নিজের তৈরি পিতৃতন্ত্রের বেড়াজালে পুরুষ নিজেই বন্দী হয়ে রয়েছে।

তার ভাষায়, “পুরুষতান্ত্রিকতার ভিক্টিম কিন্তু পুরুষরাও। তাদের উপর একটা বাড়তি চাপ থাকে যে তাকে চাকরি পেতেই হবে, সংসারের হাল ধরতে হবে, সে যখন বিয়ে করবে তখন স্ত্রীর খরচ দিতে হবে – এটা একটা বিশাল মনস্তাত্ত্বিক চাপ।”

“কিন্তু চাপের মধ্যে থাকলেও কাউকে কিছু বলা যাবে না। বললে তাকে দুর্বল মনে করা হবে। ছোট বেলা থেকে তাকে যেভাবে তৈরি করা হয়, পুরুষের যে কাঠামো সেটা কিন্তু পুরুষতান্ত্রিকতারই ছকে তৈরি। পুরুষরা যে পুরুষতান্ত্রিকতার ভিকটিম, এই বেড়াজাল থেকে সে কিভাবে বের হবে সেই তরিকাটা খুঁজে বের করা জরুরি,” বলেন তিনি।

উপেক্ষিত পুরুষের মানসিক স্বাস্থ্য

কিন্তু এই বেড়াজাল থেকে বের হতে না পারা, এসব বিষয় নিয়ে কথা না বলা, অথবা বলতে না পারার ফল হলো বিশ্বব্যাপী পুরুষরা বেশি আত্মহত্যা করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বব্যাপী নারীদের তুলনায় পুরুষরা দ্বিগুণ সংখ্যায় আত্মহত্যা করে। ব্যাপক মানসিক চাপে নানা ধরনের শারীরিক অসুখে বেশি ভোগেন পুরুষেরা।

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী নারীদের তুলনায় পুরুষের গড় আয়ু কম।

‘কান পেতে রই’ বাংলাদেশে মানসিক সহায়তা বিষয়ক একটি হেল্পলাইন। বেসরকারি এই সংস্থাটি বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে এবছরের মে মাস পর্যন্ত তাদের হেল্পলাইনে ফোন করে কাউন্সেলিং চেয়েছেন প্রায় ১৩ হাজার মানুষ।

তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। এই পুরুষদের মধ্যে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি কল করেছেন।

সংস্থাটির সমন্বয়ক অরুণ দাস বলছেন, বেশিরভাগই তাদের মানসিক কষ্টের উৎস হিসেবে উপার্জনের চাপের কথা উল্লেখ করেন।

“তাদের একটা বড় অংশ সম্পর্ক নিয়ে সমস্যার কথা বলেন এবং মূলত মেয়েরাই এবিষয় নিয়ে বেশি কথা বলেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে কাজ বিষয়ক ইস্যু বেশি পাওয়া যায়- কারো হয়ত চাকরি চলে গেছে, অর্থনৈতিক অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, যে কারণে মানসিক চাপ- এসব বিষয় নিয়ে পুরুষরা কল করেন বেশি। আর একটা বিষয়ে পুরুষদের কাছ থেকে আমরা কল পাই সেটা হচ্ছে অ্যাডিকশন।”

ব্যর্থতার গ্লানি

অরুণ দাস বলছেন, যথেষ্ট উপার্জন করতে না পারা এবং পরিবারের জন্য দায়িত্ব পালন করতে না পারার জন্য অনেক পুরুষ ব্যর্থতার গ্লানিও বহন করেন, যা তার জন্য একটি বড় মানসিক চাপ।

মানবসম্পদ নিয়ে কাজ করেন মোহাম্মদ ওমর সিদ্দিক। তার ভেতরে কিভাবে ব্যর্থতার ভয় কাজ করে সেটি বর্ণনা করে তিনি বলছিলেন, “যেকোনো ভাবেই হোক আমাকে উপার্জন করতে হবে, এই চাপ আমার মধ্যে সবসময় ছিল।”

“যাতে আমি আমার পরিবার, আমার উপর যারা পুরোপুরি এবং আংশিকভাবে নির্ভরশীল তাদেরকে যাতে আমি সোসাইটির স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সঠিক সাপোর্ট দিতে পারি। আমার কাছে ফিয়ার অফ ফেইলিউর হলো যথাযথ সাপোর্ট তাদেরকে না দিতে পারা।”

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলছেন, বেশিরভাগ সময় পুরুষদের প্রবণতা হচ্ছে ছোটখাটো মানসিক উদ্বেগকে গুরুত্ব না দেয়া।

অনেক বড় ধরনের মানসিক সমস্যা নিয়ে সবকিছু ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি হলে তখনই পুরুষরা তাদের শরণাপন্ন হন।

তবে তিনি বলছেন, পুরুষ তার ভূমিকা পালন করার জন্য সমাজের যে স্বীকৃতি ও ক্ষমতা পান সে কারণে তিনি নিজেও এসব দায়িত্বকে চাপ মনে করেন না।

তার মতে, “সমাজ তাকে যে দায়িত্ব দেয় সেটাকে সে চাপ হিসেবে দেখে না। কারণ হলো ছোট বেলা থেকেই তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা দেয়া হয়েছে।”

“এই যে এত কাজ করছে, টাকা আয় করছে- এটার জন্য সে এক ধরনের পাওয়ার হোল্ড করছে। খুব স্বাভাবিক যে সেই পাওয়ারের জায়গাটা তারা ছাড়তে চাইবেন না। তাই এত দায়িত্বকে সে আর নেগেটিভলি দেখতে পারে না। এটা যে তার প্রতি এক ধরনের অন্যায়ও সে সেটা সেভাবে চিহ্নিতও করতে পারে না,” বলেন তিনি।

দৈনন্দিন

বেগুনের দোলমা তৈরির সহজ রেসিপি

 বেগুনের দোলমা তৈরির সহজ রেসিপি
বেগুনের দোলমা তৈরির সহজ রেসিপি

সুস্থ থাকতে সবজি খেতেই হবে। সারাবছরই পাওয়া যায় এমন সবজির মধ্যে বেগুন অন্যতম। সবাই কমবেশি বেগুন ভাজি থেকে শুরু করে নানা পদের তরকারি খান।

তবে সব সময় তো আর সবজির একঘেয়েমি পদ খেতে ভালো না! তাই সাধারণ সবজি দিয়ে চেষ্টা করুন অসাধারণ পদ তৈরি করার। তেমনই এক পদ হলো বেগুনের দোলমা।

এর স্বাদ একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে সব সময়। আর তৈরি করাও বেশ সহজ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মজাদার এই পদ তৈরির সহজ উপায়-

উপকরণ

১. ভাজা বেগুন আধা কেজি
২. সরিষার তেল এক কাপ
৩. পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ
৪. পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ
৫. টকদই এক কাপ
৬. আদা বাটা এক চা চামচ
৭. রসুন বাটা এক চা চামচ
৮. মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ
৯. হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ
১০. লবণ স্বাদমতো
১১. পানি পরিমাণমতো
১২. তেঁতুল গোলা এক কাপ
১৩. চিনি এক চা চামচ
১৪. পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ

পদ্ধতি

ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে নিন। এবার একে একে পেঁয়াজ বেরেস্তা, পেঁয়াজ বাটা, টকদই, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ ও পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।

এবার কষানো মসলার মধ্যে ভাজা বেগুন, তেঁতুল গোলা, চিনি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ভাজা জিরার গুঁড় দিয়ে রান্না করুন।

অন্য চুলায় প্যান গরম করে সরিষার তেল দিন। গরম তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে ভেজে নিন। এবার রান্না করা বেগুন পাঁচফোড়নের মধ্যে দিয়ে দিন।

অন্তত পাঁচ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা বেগুনের দোলমা। ভাত, রুটি সবকিছুর সঙ্গেই দারুন মানিয়ে যায় এই পদ।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

আমরা কমবেশি সবাই কদবেল খেতে পছন্দ করি। পুষ্টিগুণে ভরপুর কদবেল। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে আলসার ও কিডনির সমস্যায় কদবেল কতটা উপকারি ফল। বিশেষ করে কাশি, সর্দি, হাঁপানি, ও যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ে খুবই কার্যকর। সুগারে কুপোকাত? ওষুধের লম্বা লিস্ট নিয়ে দোকানে ছুটছেন?  কদবেল খান। 

আসুন জেনে নেই কদবেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। 

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। ফলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

পেট রোগ নিরাময়

কদবেলে ট্যানিন রয়েছে। ট্যানিন দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কদবেল গাছের বাকল মধু সঙ্গে মিশ্রিত করে খেলে পেটের রোগ আমাশা ভাল করে।

বদহজম নিরাময়ে

কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়

কদবেলের ফুল শুকিয়ে পাউডার করে কয়েক মাস সংরক্ষণ করে রাখা যায়। ফল দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠবদ্ধতা ও আমাশা দূর করে।

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ

কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেলের ক্বাথ মলম হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কিডনি সুরক্ষা

এই ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষা থাকবে। যকৃত্‍ ও হৃদপিন্ডের জন্যও উপকারি।

ক্যান্সার নিরাময়ে

স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কদবেল।

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি

চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে কদবেল। চোখের ছত্রাক জনিত রোগে কদবেল পাতা একটি কাপড়ে পুটলি করে হালকা গরম অবস্থায় সেক নিলে চোখে লাল ভাব নিরাময় হয়।

রূপচর্চায় সহায়ক

কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে ব্রণ ও মেছতার সমস্যা কমে।।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে
জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

মশার আক্রমণ প্রায় সব ঋতুতেই দেখা যায় কমবেশি। এখন শীতকাল। প্রকৃতি এ সময়ে নিজেকে শীতল চাদরে মুড়িয়ে নিলেও মশার প্রকোপ বেড়ে যায় অনেকটাই। গাছ হতে পারে মশা তাড়ানোর সমাধান। এমন কিছু গাছ আছে, যা পড়ে থাকে অযত্নে, কিন্তু মশার যম। মশা দমন করতে ঘরে কিছু গাছ আনলে উপকার তো হবেই, আবার সবুজের ছোঁয়াও পাবেন একই সঙ্গে।

তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার ও গাঁদাজাতীয় গাছে কীট প্রতিরোধক কিছু যৌগ থাকে। সাইপারমেথিরিন ও ম্যালাথিওন জাতীয় সক্রিয় যৌগ মশার ডিম, লাভা ও মশার বৃদ্ধি রোধ ও ধ্বংস করতে কাজ করে। যৌগিক পদার্থের সাধারণত দুই ধরনের প্রোপার্টিজ থাকে। একটি হলো শারীরিক, অন্যটি রাসায়নিক প্রোপার্টিজ। গাছের পাতার বা ফুলের তীব্র গন্ধ এর শারীরিক প্রোপার্টিজের জন্য। গন্ধ থাকার পাশাপাশি কীট প্রতিরোধক যৌগিকের সক্রিয় উপস্থিতি থাকতে হবে অবশ্যই। তবেই এ ধরনের গাছ মশা দূর করতে বা অনেক ক্ষেত্রে মশা ধ্বংস করতে কাজ করবে। এমনটাই জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক নুহু আলম।

মশার মতো কীটপতঙ্গ তাড়াতে পারে এমন কিছু গাছের কথা থাকছে এখানে।

ল্যাভেন্ডার গাছ
ল্যাভেন্ডার গাছ

ল্যাভেন্ডার গাছ

বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ থাকলে খেয়াল করে দেখবেন, এর পাতার কাছে কোনো পোকাই বসে না। তার কারণ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় একধরনের এসেনশিয়াল তেল থাকে। তাই এর সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে আসতে পারে না মশা। তাই অনেকে ল্যাভেন্ডারের গন্ধযুক্ত সুগন্ধিও ব্যবহার করে থাকেন। দেশীয় গাছ না হলেও ল্যাভেন্ডার কিন্তু খুব সহজেই জন্মায় এ দেশে। এই গাছের জন্য পানিনিষ্কাশন ও সূর্যের আলোর ব্যবস্থা থাকলেই হয়।

গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুল

গাঁদা ফুল

শীতকালের অন্যতম ফুল এটি। বাড়ির চারপাশে বা বারান্দায় সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই হলুদ বা কমলা রঙের এই ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। এই ফুলের গন্ধেও অনেকেই বিমোহিত হন। কিন্তু গাছের পাতা বা ফুলের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না মশা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি এবং গাছের পাতায় থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক। যার কারণে মশা একেবারেই দূরে থাকে এই গাছ থেকে। গাঁদা ফুলের গাছের যত্ন নেওয়াও বেশ সহজ, প্রয়োজনীয় পানি ও আলো পেলেই এই গাছ জন্মায়।

তুলসী গাছ
তুলসী গাছ

তুলসী গাছ

ঘরের আঙিনায় তুলসী গাছ লাগানোর রীতি বহু পুরোনো। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণও আছে। তুলসীগাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূর করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন পানি এবং প্রয়োজনীয় সার ব্যবহারে সহজেই এজাতীয় গাছ বাঁচে।

পুদিনা গাছ
পুদিনা গাছ

পুদিনা গাছ

আজকাল অনেকেই শখ করে বারান্দায় ছোট পুদিনাপাতার গাছ লাগান। রান্না বা চায়ের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি মশার হাত থেকেও বাঁচাতে পারে এই গাছ। পেপার মিন্ট বা মেন্থলের সুগন্ধ মশা তাড়ানোর জন্য কার্যকর। এটি মশার প্রাকৃতিক কীটনাশকও বটে।

ঘাস প্রজাতির উদ্ভিদ সাইট্রোনেলা, রোজমারি ও লেমন বাম জাতীয় কিছু গাছও মশা দূরে রাখতে পারে। আগারগাঁও, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, দোয়েল চত্বর এলাকাসহ যেকোনো নার্সারিতে পেয়ে যাবেন এই গাছের চারা। গাছের চারার বয়স অনুসারে ৭০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এসব গাছ।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি
রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

ডাবের পানির উপকারিতা সকলেই জানে। আমাদের শরীরকে  যেমন ডাবের পানি অনেক রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখে , তেমনই উজ্জ্বল ত্বকের জন্যও ডাবের পানি উপকারী। কাঠফাটা রোদে হঠাৎ স্বস্তি দিতেও ডাবের পানির তুলনা নেই। 

রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি
রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

আজ দেখে নেব, ডাবের পানি ব্যবহার করে কীভাবে ত্বক আর চুলের জৌলুস বজায় রাখা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ কমানো

ডাবের পানিতে পটাশিয়াম থাকার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ

নারকেল হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি সাহায্য করে। এই পানি খেলে নিয়মীত পান করলে আমাদের বাজে কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে হার্টের সমস্যা গুলো প্রতিরোধে সাহায্য করে।

হাইপোথাইরয়েডিজমযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য

 হাইপোথাইরয়েডিজম, যা অপ্রচলিত থাইরয়েড বা কম থাইরয়েড হিসাবে পরিচিত, যাদের আছে তাদের জন্য ডাবের পানি পান করা উপকারী। এই পানিতে একটি প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে যা একটি সক্রিয় থাইরয়েডকে উদ্দীপ্ত করতে সহায়তা করে। এটি যদি হাইপ্র্যাকটিভ হয় তবে এটি আপনার থাইরয়েডও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ডাবের পানি ব্যবহার করা ভাল কারণ এটি ওজন বাড়াতে এবং আপনার অন্ত্রগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। খাওয়ার পরে ২০ দিনের জন্য দুই বা তিন গ্লাস ডাবের পানি পান করার চেষ্টা করুন।

রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি
রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

ত্বকের যত্নে

তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক, যেকোনও ত্বকের ক্ষেত্রেই ডাবের পানি ভীষণ উপকারি। যাদের ব্রণ হওয়ার খুব ধাত রয়েছে, তারা ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মাঝে মধ্যেই মুখ মুছতে পারেন। দেখবেন এতে ভাল ফল পাবেন।

মুখের দাগে

মুখে যদি কোনো অ্যালার্জির দাগ বা ব্রণর দাগ থাকে, তাহলে ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন। এক মাস এটা করলেই দেখবেন দাগগুলো আসতে আসতে কমে যাচ্ছে।
মুখে দানা বা কালো দাগ থাকলে প্রত্যেকদিন ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে এবং প্রচুর ডাবের পানি খেলে মুখের কালো দাগ সেরে যায় এবং দানা উঠাও বন্ধ হয়ে যায়। 

রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি
রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

চুল পড়ার সমস্যায়
অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। ডাবের পানি হালকা গরম করে তা দিয়ে মাথায় আলতো করে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন খুব কম সময়ের মধ্যেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া শ্যাম্পু করার পরে নারকেলের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে পারেন। এতে চুল যেমন উজ্জ্বল হবে, তেমনি খুশকির সমস্যাও দূর হবে।

ঘামের দুর্গন্ধ
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতেও ডাবের পানি দারুণ কাজ করে। শরীরের যে অংশগুলোতে বেশি ঘাম হয় সেখানে ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুছে নিতে পারেন। কিংবা স্প্রেয়ার বোতলের মধ্যে ডাবের পানি ভরে স্প্রেও করতে পারেন। এতে ত্বকের ঐ জায়গার দুর্গন্ধ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চলে যায়।

কোষ্টবদ্ধতায় 
প্রতিদিন সকালে একেবারে খালি পেটে এক কাপ করে ঝুনো ডাবের পানি ১০/১২ দিন খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা চলে যাবে।

ক্রিমিতে
খাবার গ্রহণের পর একেবারে প্রাথমিক দিকের কচি ডাবের পানি যার স্বাদ লবণাক্ত ও কষাক্ত, মিষ্টি হলে একেবারেই চলবে না। তাতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে। খেতে হবে ৭/৮ দিন।

রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি
রোগ নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি

ডায়াবেটিস নিরাময়ে
ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি অনেক বেড়ে যায়, এক্ষেত্রে একটি কচি ডাবের মুখ ফুটো করে তাতে দুই চিমটি পরিমাণ কালোজিরা রাতে ঐ ডাবের পানিতে দিয়ে রাখবেন। পরের দিন সকালে খালি পেটে পুরো ডাবের পানি কালোজিরাসহ খাবেন। এরূপ পদ্ধতিতে দেড়-দুই সপ্তাহ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তারপর মাঝে মাঝে খেলেই চলবে।

মাথা ব্যাথায়
এ রোগে ডাবের পানিতে ১০-১২টি দানা চিনি মিশিয়ে অল্প অল্প করে নাক দিয়ে টেনে অথবা ড্রপারে করে নাকে গলাধঃকরণ করতে হবে, ম্যাজিকের মাতা কাজ করবে।

মুত্রকৃচছতায়
অজীর্ণ জনিত কারণে, অত্যধিক রৌদ্রে ঘোরায়, অত্যধিক পরিশ্রমে অথবা একনাগাড়ে এক আসনে চেপে বসে থাকায় যে প্রস্রাবের কৃচ্ছতা আসে, এক্ষেত্রে একটা বা দুইটা ডাবের পানি খেলে সাময়িক ঐ অসুবিধা চলে যাবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা
বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

মাছ পুষ্টির অসাধারণ উৎস এবং সুস্থ জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিটি মাছের আলাদা পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতা
ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতা

ইলিশ মাছ

উপকারিতা: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।  মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক এবং চুল সুস্থ রাখে। আর্থ্রাইটিস এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

রুই মাছ
রুই মাছ খাওয়ার উপকারিতা

রুই মাছ

উপকারিতা: প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ, যা হাড় মজবুত করে। হজমশক্তি উন্নত করে। রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

কাতলা মাছ খাওয়ার উপকারিতা
কাতলা মাছ খাওয়ার উপকারিতা

কাতলা মাছ

উপকারিতা: ভিটামিন এ এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ, যা চোখের জন্য ভালো। মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

পুঁটি মাছ
পুঁটি মাছ খাওয়ার উপকারিতা

পুঁটি মাছ

উপকারিতা: ছোট মাছ হিসেবে ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

তেলাপিয়া মাছ
তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা

তেলাপিয়া মাছ

উপকারিতা: কম ক্যালোরি এবং উচ্চ প্রোটিনযুক্ত, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

চিংড়ি মাছ
চিংড়ি মাছ খাওয়ার উপকারিতা

চিংড়ি মাছ

উপকারিতা: সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি ত্বক ও চুলের জন্য ভালো। কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

বোয়াল মাছ খাওয়ার উপকারিতা
বোয়াল মাছ খাওয়ার উপকারিতা

বোয়াল মাছ

উপকারিতা: হজমশক্তি উন্নত করে। পুষ্টিকর প্রোটিন সরবরাহ করে। ত্বক এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়।

মাগুর মাছ খাওয়ার উপকারিতা
মাগুর মাছ খাওয়ার উপকারিতা

মাগুর মাছ

উপকারিতা: আয়রন সমৃদ্ধ, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পেটের অসুখে উপকারী।

শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা
শিং মাছ খাওয়ার উপকারিতা

শিং মাছ

উপকারিতা: ক্যালসিয়াম এবং আয়রনে সমৃদ্ধ, যা হাড় মজবুত করে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক।

পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার উপকারিতা
পাঙ্গাস মাছ খাওয়ার উপকারিতা

পাঙ্গাস মাছ

উপকারিতা: প্রোটিন এবং ফ্যাট সরবরাহ করে, যা শরীরের শক্তি বজায় রাখে। হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

কৈ মাছ খাওয়ার উপকারিতা
কৈ মাছ খাওয়ার উপকারিতা

কৈ মাছ

উপকারিতা: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়। সর্দি-কাশি এবং পেটের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা
বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

মাছ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ এবং এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় মাছ রাখলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই, পুষ্টিগুণ অনুযায়ী মাছ বেছে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ