আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

পরিবেশ

মানবসেবায় তিনি সাজিয়েছেন সহস্র ঔষধি গাছের বাগান

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও গাছ থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে রোগ নিরাময় বাড়াতে তার এ প্রয়াস

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকার বাসিন্দা শওকত আলী। এলাকার সবাই তাকে শওকত মাস্টার বলে চেনে, তবে তিনি এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন বিলুপ্ত ও দুর্লভ প্রজাতির ঔষধি এবং ফলজ বাগান করে। অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষক নিজের বাড়িতে বিলুপ্ত ও দুর্লভ প্রজাতির হাজারখানেক ঔষধি ও ফলজ গাছের বাগান গড়ে তুলেছেন। বাগান থেকে উৎপাদিত ওষুধ ও ফল বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন তিনি।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও গাছ থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে রোগ নিরাময় বাড়াতে তার এ প্রয়াস বলে জানান শওকত আলী।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শওকত আলী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পেশায়ও জড়িত। বয়স ৯০ এর কাছাকাছি হলেও মানবসেবার কাছে বয়স তাকে পরাজিত করতে পারেনি। মানুষ ও গাছের প্রতি ভালোবাসা তার শৈশব থেকেই। তিন ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রীর নিয়ে তার সংসার। তার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট পরিবারের সদস্যরাও।

শওকত আলী সারাদিন চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি বসতবাড়ির আশপাশে ও পুকুর পাড়ে গড়ে তুলেছেন প্রায় ১ হাজার বিলুপ্ত প্রায় ও দুর্লভ প্রজাতির ঔষধি ও ফলজ গাছ। গ্রামের অন্যান্য এলাকায় এসব বিলুপ্ত প্রায় ও দুর্লভ গাছের চারা ছড়িয়ে দিতে বিনামূল্য বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। সেইসঙ্গে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ডেকে এনে পরিচিত করে দেন এসব গাছের সঙ্গে, জানিয়ে দেন বিভিন্ন গাছের গুণাগুণ। গাছের প্রতি এমন মমত্ববোধের কারণে এলাকার মানুষ তার নাম দিয়েছে “বৃক্ষপ্রেমিক শওকত আলী”। তার এই কার্যক্রমে খুশি জেলা কৃষি বিভাগ ও সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল চৌধুরী বলেন, আমরা তো শুধু ধান ও অন্যান্য ফসল চাষ করে নিজের স্বার্থ বড় করে দেখি। নিজের স্বার্থের জন্য জমিতে নানা ফসলের চাষ করে বছরের খাবার জোগাড় করি। কিন্তু শওকত মাস্টার ব্যতিক্রম। নিজের জমিতে তিনি শুধুই খাদ্যশস্যের আবাদ করেন না। মানুষের মঙ্গলের জন্য নিজের অনেক জমিতে লাগিয়েছেন বিরল প্রজাতির ঔষধি গাছ। মানুষ তার গাছের বাগান দেখতে আসেন। মানুষ গাছ দেখতে এলে তিনিও খুশি হন।

শওকত আলী গাছ নিয়ে গবেষণায় অন্যান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু পুরস্কার ছাড়াও জেলা ও উপজেলায় একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন।

শওকত আলীর এমন কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়ে সবাইকে তার মতো গাছ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম ফেরদৌস। তার গাছের সংগ্রহ বাড়াতে বিরল গাছের চারা, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়তারও আশ্বাস দেন তিনি।

পরিবেশ

ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো

শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিবিসি প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে এমন ছবি চাওয়া হয়েছিল। বাছাই করা কিছু ছবি নিয়ে আমাদের এই ফটো গ্যালারি।

ছবির ক্যাপশান, শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশান, গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
ছবির ক্যাপশান, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন

  • ৪৫.৬৭ শতাংশ জমির মাটিরই অম্লতা বেশি
  • অম্লতা বেশি হলে মিলবে না কাঙ্ক্ষিত ফলন
  • দেশের সব অঞ্চলের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে
  • সমাধানে ডলোচুন প্রয়োগের সুপারিশ
মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন
মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন

দেশের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। ফসল উৎপাদনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একদিকে কৃষক কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে না, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে সংকট আরও বেড়ে হুমকিতে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। আজ ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রাক্কালে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন তাঁরা।

অম্ল মাটি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গঙ্গা অববাহিকা ছাড়া দেশের সব অঞ্চলের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। অম্লতা যত বাড়বে, ফসলের উৎপাদনও তত কমবে। মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বেশি হলে গম, ভুট্টা, আলু, সবজি, ডালসহ রবি শস্যে কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে না।’

মাটির গুণগত মান নিয়ে গবেষণা করে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। সংস্থাটির অম্ল মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির তথ্য অনুসারে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের আবাদযোগ্য জমিতে অম্লতার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে অধিক অম্ল থেকে অত্যধিক অম্ল জমির পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ৪১ দশমিক ২৩ শতাংশ, আর ২০২০ সালে অম্লতার পরিমাণ আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশে। মাটিতে অম্লতা বাড়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউরিয়া সারের অধিক ব্যবহার, ক্যালসিয়ামসহ ক্ষারীয় উপাদান হ্রাস, এক জমিতে অধিক চাষাবাদ, ফসল তোলার পর গাছ খেতের মাটির সঙ্গে মিশতে না দিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা ইত্যাদি।

গবেষকদের তথ্যমতে, মাটির অম্লত্ব কিংবা ক্ষারীয় অবস্থার ওপর ফসলের বৃদ্ধি ও ফলন অনেকাংশে নির্ভর করে। অম্লতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয় মাটির পিএইচ নির্ণয়ের মাধ্যমে। পিএইচ মান ৪ দশমিক ৫ এর নিচে হলে সেই মাটিকে অত্যধিক অম্ল, ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত অধিক অম্ল, ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ হলে মৃদু অম্ল এবং ৬ দশমিক ৬ থেকে ৭ দশমিক ৩ এর মধ্যে হলে তাকে নিরপেক্ষ মাটি বলা হয়। ফসলের জন্য মাটির আদর্শ পিএইচ ধরা হয় ৬ দশমিক ৫।

এসআরডিআইয়ের গবেষণার তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মোট ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার হেক্টর জমির মাটি অত্যধিক অম্ল (পিএইচ মান ৪.৫ এর নিচে) এবং প্রায় ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টর জমির মাটি অধিক অম্ল (পিএইচ মান ৪.৫ থেকে ৫.৫)। অর্থাৎ মোট আবাদি জমির প্রায় অর্ধেকের (৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মাটি অধিক থেকে অত্যধিক অম্ল। অধিক অম্ল মাটিতে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মলিবডেনামের স্বল্পতা এবং অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের আধিক্য থাকায় ফসলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং ফলন কমে যায়।

বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল এবং বরেন্দ্র ও মধুপুর গড় অঞ্চলের অধিকাংশ মাটি অধিক থেকে অত্যধিক অম্ল। এসব অঞ্চলের কৃষিজমি থেকে ফসলের কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসআরডিআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অম্ল মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জমিতে দিন দিন অম্লতার পরিমাণ বাড়বে। সার ব্যবহারে কৃষকের খরচ বাড়বে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে না।

মাটির অম্লতা কমিয়ে আনতে জমিতে ডলোচুন ব্যবহার ভালো সমাধান হতে পারে বলে এই মৃত্তিকাবিজ্ঞানী জানান। তিনি বলেন, এ জন্য সাধারণত প্রতি শতাংশ জমিতে ৪ কেজি থেকে ৮ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে মাটির বুনটের ওপর নির্ভর করে ডলোচুন প্রয়োগের মাত্রা কম-বেশি হতে পারে। তা ছাড়া জমিতে জৈব পদার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমন, শঙ্কা পোকার

ঝলমলে সোনা রাঙা রোদ পড়েছে সবুজ ধানক্ষেতে। যতদূর চোখ যায় দেখা মেলে শরতের বাতাসে দুলছে রোপা আমন ধান।কুষ্টিয়ায় এ বছর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে এই ধান। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফসলের মাঠে বেড়েছে পোকার উপদ্রব। পোকা নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর জেলার ছয়টি উপজেলায় ৮৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে ৭৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল উফশী, আট হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং এক হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের রোপা আমন।

তবে চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ হাজার ৩৮৮ হেক্টর জমিতে উফশী, ১০ হাজার ৪৭৪ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড এবং ১ হাজার ৩৩ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে স্থানীয় রোপা আমনের আবাদ। দেখা গেছে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উফশী ধানের চাষ কম হলেও বেড়েছে অন্য জাতের ধানের আবাদ। এর মধ্যে ধান গবেষণা উদ্ভাবিত ও বিনা উদ্ভাবিত ৩৪ জাতের উফশী, ১২ জাতের হাইব্রিড ও ২টি স্থানীয় জাতের ধান চাষ করেছে কৃষকরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে স্বর্ণা (১১ হাজার ৯৪৭ হেক্টর), ব্রিধান-৪৯ (১০ হাজার ৪১৬ হেক্টর) ও ব্রিধান-৩৯ (১০ হাজার ১৫৩ হেক্টর) চাষ করা হয়েছে। হাইব্রিড ধানের মধ্যে রয়েছে ধানীগোল্ড (পাঁচ হাজার ৮২১ হেক্টর), এটুজেড-৭০০৬ (দুই হাজার ৫৫৪ হেক্টর) ও মাহিকো-১ (৫২০ হেক্টর)। এছাড়া কুষ্টিয়ার দুটি স্থানীয় জাত কালোজিরা ও বাদশা ভোগের চাষ হয়েছে এক হাজার ৩৩ হেক্টর জমিতে। আবার, মিরপুর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে এবং খাটোবাবু ও ভেড়ামারায় ৫০০ হেক্টর জমিতে শুরু হয়েছে রূপসা জাতের চাষ।

জেলা কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান মতে, এ বছর জেলায় চার লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন রোপা আমন উৎপাদিত হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে পাওয়া যাবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ৩১৬ মেট্রিক টন চাল। আবার, রোপা আমনে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হলেও উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। এবার জেলা জুড়ে দেখা গেছে মাজরা বা কারেন্ট পোকার উপদ্রব। কৃষকরা কীটনাশক দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া মাঠের প্রায় অধিকাংশ জমিতে দেখা গেছে পোকার উপদ্রব।

ওই এলাকার কৃষক দুলাল আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘রোপা আমন ধান বেশ ভালো হয়েছে। তবে মাজরা পোকা আক্রমণ করেছে খুব। কীটনাশক দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। ’

ফরিদুল ইসলাম নামে অপর এক কৃষক বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও ধানের জমিতে গেলে মন ভরে যেতো। বেশ ভালো ফলন পাবো বলে আশা করেছিলাম। তবে এবার পোকার কারণে ফলন কম হতে পারে। ’

ভেড়ামারা উপজেলার ঠাকুর দৌলতপুর এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগের বছরের তুলনায় এবার মাজরা পোকার আক্রমণ বেশি। তবে খুব একটা ফলনের পার্থক্য হবে না। ’

এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কৃষকদের ফসলের উপকারী ও অপকারী পোকা চেনা উপায়, অধিক কীটনাশক ব্যবহার না করাসহ আধুনিক চাষাবাদ ও জৈব পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহিত করছি। ধানের দাম বাড়ায় ও সরকারি প্রণোদনার ফলে কৃষকরা ধান চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

পোকার আক্রমণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বছর জলবায়ুর কারণে পোকার আক্রমণ একটু বেশি। তবে আমরা সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি। ফলে পোকার আক্রমণ বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পোকায় ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মনে করি। ’

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন,  ‘এ বছর রোপা আমনের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধানের আবাদ হয়েছে। আশা করছি উৎপাদনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ’

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্বে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিন বেড়েছে দ্বিগুণ

প্রতি বছরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠে এমন দিনের সংখ্যা ১৯৮০’র দশকের তুলনায় এখন দ্বিগুণ বেড়েছে – বলা হচ্ছে বিবিসি’র এক বিশ্লেষণে।

আগের তুলনায় বিশ্বের আরো বেশি অঞ্চলে এ ঘটনা ঘটছে – যা মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার ওপর অভূতপূর্ব প্রভাব ফেলছে।

বিশ্লেষণে বলা হয়, ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা ওঠে এমন দিনের সংখ্যা ১৯৮০’র পর থেকে প্রতি দশকেই বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বছরে ১৪ দিন তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে।

২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রতি বছরে এ সংখ্যা ছিল বছরে ২৬ দিন।

একই সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি বা তার চেয়ে বেশি উঠেছিল এমন দিনের সংখ্যা প্রতি বছর গড়ে অন্তত দু’সপ্তাহ করে বেড়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল চেইঞ্জ ইন্সটিটিউটের সহযোগী পরিচালক ডক্টর ফ্রিডরিক অটো মন্তব্য করেন, “(তাপমাত্রা) বৃদ্ধির এই প্রবণতার কারণ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিকে ১০০% দায়ী করা যায়।”

সারা বিশ্ব যখন উষ্ণতর হচ্ছে, তাপমাত্রা অত্যন্ত উচ্চ হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উচ্চ তাপমাত্রা মানুষ এবং পরিবেশ উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। এছাড়া উচ্চ তাপমাত্রা দালানকোঠা, রাস্তাঘাট এবং পাওয়ার সিস্টেমেরও ক্ষতিসাধন করতে সম্ভব।

সাধারণত মধ্য প্রাচ্য এবং উপসাগরীয় অঞ্চলেই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে।

এই গ্রীষ্মে ইতালি (৪৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও ক্যানাডায় (৪৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) রেকর্ড তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না কমালে বিশ্বের অন্যান্য জায়গাতেও ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা অনুভূত হতে পারে।

“আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যত দ্রুত আমরা (ক্ষতিকর গ্যাস) নির্গমন কমাতে পারবো, ততই আমাদের জন্য ভালো”, বলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের জলবায়ু বিষয়ক গবেষক ডক্টর সিহান লি।

ডক্টর লি সতর্ক করেন, “নির্গমন অব্যাহত থাকলে ও তা কমানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ না নেয়া হলে যে এই উচ্চ তাপমাত্রার ঘটনা শুধু বাড়তেই থাকবে, তা-ই নয়, জরুরি পদক্ষেপ এবং পুনরুদ্ধার কার্যক্রমও ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে।”

বিবিসি’র বিশ্লেষণে জানা গেছে যে, সাম্প্রতিক দশকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯৮০ থেকে ২০০৯ এর তুলনায় ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে যে একই রকম ভাবে অনুভূত হবে, তা নয়।

পূর্ব ইউরোপ, আফ্রিকার দক্ষিণাংশ এবং ব্রাজিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বৃদ্ধি হয়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি, আর উত্তর মেরুর কিছু অঞ্চলে এবং মধ্য প্রাচ্যে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৃদ্ধি হয়েছে।

নভেম্বরে গ্লাসগোতে জাতিসংঘ সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের প্রতি বিজ্ঞানীরা আহ্বান জানাবেন – যেন ক্ষতিকর নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে তারা নতুনভাবে চিন্তা করেন।

তীব্র তাপমাত্রার প্রভাব

বিবিসি’র এই বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ আরম্ভ হয়েছে, যার নাম ‘লাইফ অ্যাট ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস’ বা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জীবন। এই সিরিজের মাধ্যমে যাচাই করার চেষ্টা করা হয়েছে যে অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানুষের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করছে।

৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ওপরেই নয়, এর নিচের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বর্তমান হারে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়তে থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর ১২০ কোটি মানুষ তাপমাত্রা জনিত চাপের ফলে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে – যেই সংখ্যাটি বর্তমানের তুলনায় অন্তত চার গুণ – বলে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায়, যেটি গত বছর প্রকাশিত হয়েছে।

অতি উচ্চ তাপমাত্রার কারণে খরা এবং দাবানলের সম্ভাবনা বাড়তে থাকায় মানুষের পারিপার্শ্বিক পরিবেশও পরিবর্তন হচ্ছে এবং জীবনযাপন কঠিন করে তুলেছে।

এই ধরণের ঘটনার পেছনে অন্যান্য কারণের ভূমিকা থাকলেও মরুকরণের অন্যতম প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।

গবেষণা পদ্ধতি

কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে তার এলাকায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকলেও তা কেন খবরে প্রকাশিত হল না?

রেকর্ড তাপমাত্রার রিপোর্ট সাধারণত একটি আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে পাওয়া উপাত্ত থেকে পাওয়া যায়। তবে আমরা যেই তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছি তা অপেক্ষাকৃত বড় জায়গা জুড়ে নেয়া হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক বিশ্বের উষ্ণতম স্থানগুলোর একটি। গ্রীষ্মে পার্কটির বিশেষ বিশেষ জায়গার তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে।

কিন্তু এই পার্কের আশেপাশের এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এলাকার গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যখন মাপা হয়, তখন গড় তাপমাত্রার মান ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।

তথ্যের উৎস কী?

এই গবেষণাটি করতে ইউরোপের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেইঞ্জ সার্ভিসের তৈরি বৈশ্বিক ইআরএ৫ ডাটাসেট থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তথ্য নেয়া হয়েছে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা যাচাই করতে মাঝে মধ্যে এই তথ্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ইআরএ৫ আবহাওয়া কেন্দ্র ও স্যাটেলাইটের মত বিভিন্ন সূত্র থেকে আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি আধুনিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলেরও সাহায্য নিয়ে থাকে।

আমরা কী বিশ্লেষণ করেছি?

১৯৮০ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রতিদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তথ্য নিয়ে আমরা শনাক্ত করেছি যে তাপমাত্রা কতটা ঘনঘন ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি অনুভূত হয়।

বছরে কতদিন এবং কত জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি বা তার বেশি অনুভূত হয়, আমরা তা গণনা করি যেন সময়ের সাথে সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা যাচাই করতে পারি।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিবর্তনও আমরা পর্যবেক্ষণ করি। সাম্প্রতিক দশকে (২০১০-২০১৯) ভূ-পৃষ্ঠ ও সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিবর্তনের সাথে তার আগের ৩০ বছরের (১৯৮০-২০০৯) গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পরিবর্তন যাচাইয়ের মাধ্যমে এই পর্যবেক্ষণটি করি আমরা।

‘অঞ্চল’ বলতে আমরা কী বুঝিয়েছি?

প্রত্যেকটি অঞ্চলকে ধরে নেয়া হয়েছে ২৫ বর্গ কিলোমিটার, অথবা বিষুবরেখায় ২৭-২৮ বর্গ কিলোমিটার। এই গ্রিডগুলো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে থাকতে পারে এবং ভিন্ন ধরণের ভৌগলিক এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হতে পারে।

এই গ্রিডগুলো .২৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ ও .২৫ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশের বর্গাকার অঞ্চল হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ডক্টর সিহান লি ও বার্কলি আর্থ অ্যান্ড কার্বন ব্রিফের ডক্টর যিক হাউসফাদারের সহায়তায় এ গবেষণা পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে।

এটি পর্যালোচনা করেছেন ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদারের সংস্থা কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের ড. ফ্রেয়া ভ্যামবর্গ, ড. জুলিয়েন নিকোলাস ও ড. সামান্থা বার্জেস।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

অতিভারী বর্ষণের আভাস, কমবে তাপমাত্রা

তিনদিন বিরতির পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। রয়েছে অতিভারী বর্ষণের আভাস।এর ফলে দেশে তাপমাত্রা কমবে ১ থেকে ২ ডিগ্রি।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা বেড়েছে। ফলে বৃষ্টিপাত বেড়েছে সারা দেশেই। সেসঙ্গে থার্মোমিটারের পারদ নেমে আসছে নিচের দিকে, যা তাপপ্রবাহের দিকে উঠছিল।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মােটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থায় রোববার (৮ আগস্ট) সকাল নাগাদ খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেন্টিমিটার হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৮-১৫ কিলোমিটার।

এদিকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দেশের নদীবন্দরগুলোকে সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে সমুদ্রবন্দরে এবং পাহাড় ধসে কোনো সতর্কতা নেই।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নেয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে টেকনাফে, ১৫০ মিলিমিটারের মতো। ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে আগের ২৪ ঘণ্টায়।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) নাগাদ আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

গত তিনদিনে বৃষ্টিপাত কমে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছিল সমান তালে। থার্মোমিটারের পারদ ঢাকায় গত বৃহস্পতিবার ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় ৩৭ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ