আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

‘ছাগলের কাস্টমার আসছে না আবার আসলেও দাম বলছে না’ এমন অভিযোগ দিনাজপুর থেকে আসা ফিরোজের।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের গরুর হাটে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় তার।

ফিরোজ জানান, ১২-৩০ হাজার টাকা মূল্যের ছাগল রয়েছে তার কাছে। ৭৪টি ছাগল নিয়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে রাজধানীর পশুর হাটে আসলেও এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি ছাগল বিক্রি করতে পেরেছেন।

তিনি বলেন, ছাগলের কাস্টমার আসছে, আসছে না। আবার দাম বলছে না ঠিকভাবে।

পাল্টা অভিযোগ ছাগল কিনতে আসা সুমনের। রাজধানীর বসুন্ধরা বারিধারার বাসিন্দা সুমন বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।

কিছুটা রসিকতা করে তিনি বলেন, গরুর চেয়ে ছাগলের বাজার বেশি গরম। ছাগলের যে দাম চায় তাতে গরুই নেয়া সম্ভব।

রাজধানীর পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, গরুর ক্রেতা বিক্রেতা উভয় পক্ষের সরব উপস্থিতি থাকলেও ছাগলের বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। গুটিকয়েক ক্রেতা আসলেও বিক্রেতাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে না।

তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্য চাওয়া হলেও ক্রেতাদের কাছ থেকে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না তারা।

অপরদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ গরুর ক্রেতা কম থাকায় ছাগলের বিক্রেতারা দাম বেশি চাইছেন।

ফল

মরুভূমির সাম্মাম ফলছে সাতকানিয়ায়

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাখ মানুষের তিন মাসের খাবার মজুতের ব্যবস্থা ভাসানচরে

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য উপযোগী করে তোলা ভাসানচরে একসঙ্গে তিন মাসের বিভিন্ন খাদ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক লাখের বেশি লোকের খাদ্য সংরক্ষণে ২০৫ ফুট দৈর্ঘ্যের চারটি সুবিশাল ওয়্যারহাউস (গুদামঘর) বানানো হয়েছে সেখানে। রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পর এসব ওয়্যারহাউস বাংলাদেশের ভূমিহীনদের জন্য ব্যবহার করা হবে।

রোহিঙ্গাদের রাখার জন্য এখানে যে আবাসিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে, তার আওতায় প্রতিটি ব্যারাকে পৃথক সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকছে। প্রতিটি শেল্টারে ৫ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক সোলার সেলের মাধ্যমে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি শেল্টার স্টেশন আলোকিত রাখার পাশাপাশি সৌর পাম্প ব্যবহার করে পানি তোলা সম্ভব। এক মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল জেনারেটর এবং দুটি ৫০০ কিলোওয়াট ডিজেল জেনারেটর বসানো হয়েছে। এছাড়া রয়েছে ফুয়েল ট্যাংকও।

মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা নোয়াখালীর ভাসানচর ঘুরে সম্প্রতি এসব চিত্র দেখা গেছে

জানা গেছে, প্রকল্পটি মূলত ক্লাস্টার হাউজ, শেল্টার স্টেশন বা গুচ্ছগ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। প্রতিটি ক্লাস্টার হাউজ ও শেল্টার স্টেশন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী নির্মিত ভবনসমূহ ভূমি থেকে ৪ ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস্টার হাউজে ১২টি ঘর, প্রতিটি ঘরে ১৬টি করে রুম রয়েছে এবং একটি চারতলা বিশিষ্ট কম্পোজিট স্ট্রাকচারের (স্টিল) শেল্টার স্টেশন রয়েছে। মোট ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি এবং ১২০টি শেল্টার স্টেশন নিয়ে গুচ্ছগ্রামটি গঠিত। প্রকল্পটিতে যাতে এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থার আলোকে গুচ্ছগ্রামসমূহ নির্মাণ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক নৌবাহিনীর কমোডর আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, সৌর বিদ্যুৎ ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় ভাসানচরের প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের জন্য ৩২টি ফুয়েল ট্যাংক (২,২৫০ টন ক্ষমতাসম্পন্ন) নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য দুটি শেল্টার আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সেখানে প্রশাসনিক কাজের প্রতিনিধিদের জন্য একটি, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্য একটি, রেডক্রস ও আন্তর্জাতিক এনজিওর জন্য একটি, এতিমখানার ব্যবহারের জন্য একটি, ডে কেয়ার সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য একটি শেল্টার রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নোয়াখালী, তালপুর, ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ছোট জাহাজ/কার্গো ভেসেলসমূহ নিরাপদে যাতায়াতের জন্য কিছুসংখ্যক নেভিগেশনাল বয়া স্থাপিত রয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় ভাসানচর সংলগ্ন অত্যন্তরীণ নৌপথে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ছোট জাহাজ/কার্গোর সঠিক নেভিগেশনের জন্য ৯১ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতা এবং ১৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত নেভিগেশন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি লাইটহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের ক্লাস্টারে নির্মিত পুকুরের পানি অগ্নিনির্বাপণের কাজে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া স্থায়ী ফায়ার স্টেশনের জন্য প্রকল্প এলাকায় ৩১ একর জমি রাখা হয়েছে।

ক্লাস্টার ঘুরে দেখা যায়, ভাসানচরে আশ্রিতদের রান্নাবান্নার জন্য প্রায় তিন হাজার চুলা বসানো হয়েছে ঘরগুলোতে। এক লাখ লোকের জন্য প্রতি মাসে এক হাজার ১২৫ টন জ্বালানির প্রয়োজন হবে। এই জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার হলে আশপাশে বনভূমি উজাড় হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে, যেজন্য জ্বালানি হিসেবে চারকোল বা কাঠকয়লা ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া বসানো হয়েছে আড়াইশ বায়োগ্যাস প্লান্ট।

প্রথমে সেখানে ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে। এরা প্রত্যেকে অবৈধপথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিচ্ছিলেন। সাগরে ভাসতে ভাসতে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছিল। কিন্তু কোথাও ভিড়তে পারছিলেন না। পরে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের আশ্রয় দেয়। এদের মধ্যে ৯৭ জন পুরুষ, ১৭৬ জন নারী এবং ৩৩ জন শিশু। তাদের অনেক নারী ইতোমধ্যে সেলাই কাজে অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে, সেখানে প্রশস্ত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলও তৈরি করা হচ্ছে, যা ঘূর্ণিঝড়কালীন সমুদ্রের ঢেউয়ের প্রকোপ থেকে দ্বীপের ভূমি রক্ষা করবে। এ প্রকল্পটি সরকার প্রণীত ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সেখানে প্রয়োজন ছাড়া কোনো গাছ কাটা হয়নি। ফলে এখনো বিস্তৃত বনাঞ্চল রয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ভিডিও

শেষ দিনে ছাগলের কদর বেড়েছে

ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি। এই মুহূর্তে গরুর হাটে গরু নেই, তাই কদর বেড়েছে ছাগলের। গত কয়েকদিনের কোরবানির হাটের বাজার মূল্যের তুলনায় আজ (৩১ জুলাই) রাজধানীর প্রায় সকল হাটে গরুর দাম অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় হাট থেকে হাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগর বাসিন্দারা। কোথাও কোথাও অতিরিক্ত টাকায়ও মিলছে না পছন্দসই গরু। হাটে গরুর অপ্রতুলতা দেখা দেয়ায় শেষ মুহূর্তে এখন ছাগলই ভরসা। সকাল থেকেই ছাগলের কদর বেড়েছে।

শুক্রবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে ছোটবড় সড়কে ছাগলের অনির্ধারিত হাট বসেছে। যেখানে হাট সেখানেই মানুষের ভিড়। ছাগলের সরবরাহের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি হওয়ার সুযোগে বিক্রেতারাও অন্যান্য সময়ের চেয়ে ছাগলভেদে সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা বেশি দাম চাইছেন। গরু কিনতে না পেরে একাধিক ছাগল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।

রাজধানীর পলাশী মোড়ের মিউনিসিপ্যাল মার্কেটের রাস্তার পাশে ছাগলের অনির্ধারিত হাট বসেছে। এ হাটে সাত বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ছাগল কিনতে এসেছেন পলাশী স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা সরকারি কর্মকর্তা আবদুস সালাম। বিক্রেতা ছোট একটি ছাগলের দাম চাইলেন ১১ হাজার টাকা।

সাত হাজার থেকে দরদাম শুরু করে শেষ পর্য়ন্ত নয় হাজার টাকায় ছাগল কিনতে সমর্থ হন আবদুস সালাম। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এ ছাগলটির দাম কোনোভাবে সাত হাজার টাকার বেশ হওয়ার কথা নয়।’

বকশীবাজার মোড়ে এক তরতাজা ছাগলের দামাদামি করছিলেন মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন। বিক্রেতা একদাম ২২ হাজার টাকা জানালে তিনি বলেন, ‘হাটে যে গরু নাই এ খবর পাইয়া মাথা গরম অইয়া গেছে। বড়জোর ১৫ হাজার টাকার ছাগল একদাম ২২ হাজার টাকা চাও?’

তার পাশে দাঁড়ানো এক তরুণকে লক্ষ করে তিনি বলছিলেন, ‘এত দাম দিয়ে কোরবানি দেয়ার মানে হয় না। চল বাসায় ফিরে যাই।’

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর কয়েকজন মিলে গরু কোরবানি দেই। করোনার কারণে ব্যবসা ভালো না হওয়ায় শেষ দিন গরু কিনব বলে মনস্থির করেছিলাম। কিন্তু শেষ সময়ে এসে হাটে গরু পাওয়া যাবে না- তা ভাবতে পারিনি। বাজেট ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু পছন্দসই ছাগল কিনতে ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা লেগে যাবে।’

মোজাম্মেল হক নামে এক ছাগল বিক্রেতা বলেন, ‘ছাগলের মাংসের দাম এমনিতেই প্রতিকেজি ৯০০ টাকা। সে হিসাবে ছাগলের দাম বেশি। তার ওপর ঈদ সামনে রেখে কিছু লাভ করতেই তো গত কয়েকদিন কষ্ট করেছি।’

তবে হাটে গরু না থাকায় ছাগলের চাহিদা বেড়েছে। তাই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ভিডিও

মধ্যরাতেও সরগরম পশুর হাট

দিন গড়ালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর কোরবানির এই ঈদকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতেও সরগরম রাজধানীর পশুর হাট। সেখানে ক্রেতাদের আনাগোনা যেমন আছে তেমনি বিক্রেতাদের হাঁকডাকেও মুখর। মাইকে চলছে নানা ধরনের নির্দেশনা। আর রাতের অবসরে কোনো কোনো বিক্রেতা সাথীদের নিয়ে তাস খেলায় মেতেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর কমলাপুর, আফতাবনগর পশুর হাট ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশে খোলা জায়গায় বসেছে বিরাট পশুর হাট। সেখানে গরুর পাশাপাাশি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে।

অনেক গরুকে ঝলমলে রঙিন কাগজ ও কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে। রাতের আলো পড়ে সেই সাজসজ্জা চকচক করছে। আর বিক্রেতারা গভীর রাতেও গরুগুলোর যত্ন নিচ্ছেন। তবে কাঁদাজলের কারণে অনেকে ভোগান্তির কথাও বলছেন।

কমলাপুর পশুর বাজারে অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। এজন্য চলাচলের পাশাপাশি গরুগুলোর পায়ে ঘা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া থেকে ৮টি গরু আনা গফুর মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এবার গরু বিক্রি কম, দামও পাচ্ছি না। তাই আসল দাম পেলেই বিক্রি করে দেব’।

সেখানে হাসিল তুলছিলেন কবির হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ দিন শেষে বেচাকেনা বেড়েছে। রাতে সরগরম হলেও বেচা-বিক্রি দিনের চেয়ে কম। তবে শুক্রবার সারাদিন ও রাতে ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করি’।

আফতাবনগরের যাওয়া মমিনুল নামে এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, ‘দুইদিন আগে বৃষ্টি হয়েছে এখনও অনেক জায়গায় পানি জমে আছে। এতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে’।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ভিডিও

পশুহাটে না পেরে ঘুরে ঘুরে ছাগল বিক্রি করছেন তারা

করোনা ও বন্যার কারণে অর্থনৈতিক চাপে পড়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। এর মাঝে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। করোনায় একদিকে মানুষ কোরবানি দেয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে। অন্যদিকে বন্যার কারণে আর্থিক সংকটে পড়া অনেকেই কোরবানির পশু বিক্রি করতে আগ্রহী। এ অবস্থায় কোরবানির পশু বিক্রি করেই ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেকে কোরবানির পশু বিক্রিই করতে পারছেন না।

এমন প্রেক্ষিতে অনেক কৃষক, ব্যাপারী রাজধানীর পশুর হাটে কোরবানির পশু উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে না পেরে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর ফার্মগেটে এমন ভাসমান অবস্থায় কোরবানির ছাগল বিক্রি করতে দেখা গেছে অনেককে।

চাষি ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পশুর হাটে প্রত্যাশিত দামে ছাগল বিক্রি করতে পারছিলেন না। তারা রাজধানীর ফার্মগেটসহ বিভিন্ন গলিতে ঘুরে ঘুরে ছাগল বিক্রি করছেন।

নরসিংদী থেকে রাজধানীতে ছাগল নিয়ে আসা ব্যাপারী মো. ছবি জানান, তিনদিন আগে চারটা ছাগল এনেছিলাম। এখন পর্যন্ত দুটা বিক্রি হয়েছে। যে দামে কিনেছি, সেই দামেই বিক্রি করেছি। অন্যদিকে ভালো দাম উঠছে না দেখে নাখালপাড়ার পশুর হাট থেকে দুটি ছাগল নিয়ে ফার্মগেটে চলে আসি। এখন ফার্মগেট মোড়সহ আশপাশের রাস্তা ও গলিতে ঘুরে ঘুরে ছাগল দুটা বিক্রির চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ‘এবার ঘাটতি, সবারই ঘাটতি।’

আরেক ব্যাপারী রতন মিয়া জানান, কয়েক দিন আগে ৫-৬টা ছাগল নিয়ে ঢাকায় এসেছি। সেগুলো বিভিন্ন বাজারসহ অলিগলি ঘুরে বিক্রি করেছি। পরে আরও ছাগল এনেছি। এখন সেগুলোও ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ