আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

যেসব খাবার প্রতি পাঁচ জন লোকের মধ্যে একজনের অকাল মৃত্যু ডেকে আনছে

ডায়েটের কারণেই প্রতি পাঁচ জনে একজনের জীবনের আয়ু কমে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে শুধু খাবারের কারণেই।

ল্যানসেটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে দৈনন্দিন যে খাদ্য তালিকা সেটিই ধূমপানের চেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটায় এবং বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য এই ডায়েট বা খাবারই দায়ী।

যেমন ধরুন লবণ- তা রুটি, সস বা মাংস- যেটার সাথেই দেয়া হোক না কেন -এটিই জীবনের আয়ু কমিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা শুধু মাত্র স্থূলতার বিষয়ে নয় বরং দেখা হয়েছে কিভাবে নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস (পুওর কোয়ালিটি) হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে বা ক্যান্সারের কারণ হচ্ছে।

কোন খাবার নিয়ে চিন্তার কারণ আছে?

দ্যা গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজেস স্টাডি হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ যেখানে দেখা হয়েছে কিভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে।

বিপদজনক খাদ্য হিসেবে যেসব উপাদানের কথা বলা হচ্ছে :

১. অতিরিক্ত লবণ- ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ

২. কম দানাদার শস্য খাওয়া- ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ

৩. ফলমূল কম খাওয়া- ২০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ

এছাড়া বাদাম, বীজ, শাক-সবজী, সামুদ্রিক থেকে পাওয়া ওমেগা-৩ এবং আঁশ জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম হওয়াটাও মৃত্যুর বড় কারণগুলোর অন্যতম।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার মুরে বিবিসিকে বলছেন, “ডায়েটকেই আমরা স্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান পরিচালক হিসেবে পেয়েছি। এটা সত্যিই অনেক গভীর।”

কিভাবে মানুষকে হত্যা করছে?

এক কোটি দশ লাখ ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যুর মধ্যে এক কোটির মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।

অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় যা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

হার্টে ও রক্ত বহনকারী ধমনীর ওপর লবণের প্রভাব পড়ে সরাসরি যা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের ঝুঁকি তৈরি করে।

সঠিক ডায়েট থেকে কত দূরে বিশ্ব?

আমরা কি সঠিক খাবার সঠিক পরিমাণে খাচ্ছি- এটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেমন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার দিনে ২৫ গ্রাম খাওয়ার কথা বলা হলেও গড়ে মানুষ খাচ্ছে মাত্র ৩ গ্রাম। আবার দুধ খাওয়া উচিত ৪৪৩ গ্রাম অথচ মানুষ গ্রহণ করছে ৭১ গ্রাম।

একই ভাবে দানাদার শস্য জাতীয় খাবার ১২৬ গ্রামের জায়গায় ২৯ গ্রাম খাচ্ছে।

অথচ লাল মাংস ২২ গ্রাম খাওয়া উচিত হলেও সেটি খাচ্ছে ২৭ গ্রাম, লবণ ৩.২ গ্রামের ওপর খাওয়া উচিত নয় কিন্তু সেটি গ্রহণ করছে ৬ গ্রাম আর প্রক্রিয়াজাত মাংস ২.১ গ্রামের স্থানে ৪ গ্রাম।

এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী যে স্বাস্থ্যকর খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বেশি বাদ যাচ্ছে তা হলো – বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিতা ফরোউহি বলছেন, ধারণা করা হয় যে এসব খাবারের ছোট একটি প্যাকেটে একজনকে মোটা বানাতে পারে অথচ এগুলো সব ভালো ফ্যাটে ভর্তি।

আর বেশিরভাগ লোকই এটাকে প্রধান খাবার ভাবতে পারেনা, তিনি বলেন।

রেড মিট বা লাল মাংস আর প্রক্রিয়াজাত করা মাংসের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবছর অনেক সংবাদ হয়।

প্রফেসর মারে বলছেন, কিন্তু সেটা শস্য, দানাদার ও আঁশজাতীয় খাবার ও ফলমূল কম খাওয়ার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ।

গবেষকরা তাই মনে করছেন, স্বাস্থ্য নিয়ে যারা সচেতনতা তৈরি করেন তাদের চর্বি কিংবা সুগারের কথা কম বলে স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বেশি বলা উচিত।

খারাপ ডায়েট মানুষের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে বিশ্বজুড়ে এটি এখন গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে বলে বলছেন গবেষকরা।

কোনো দেশ ভালো করছে?

ফ্রান্স, স্পেন এবং ইসরায়েলের মতো কিছু দেশ ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

আর দক্ষিণ পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার চিত্র উল্টো।

ইসরায়েলে যেখানে প্রতি এক লাখে এ ধরণের মৃত্যুর হার মাত্র ৮৯, সেখানে উজবেকিস্তানে ৪৯২ জন।

তবে প্রফেসর মারে বলছেন, জাপানে আগে ব্যাপক লবণ খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও সেটি এখন নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে।

তবে চীনারা প্রচুর পরিমাণে লবণ খায় এবং খাদ্য তালিকায় লবণ দিয়ে সস বেশি পছন্দ করে তারা।

আর যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে এখনো ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামের পেছনে আছে।

তবে এজন্য ফলমূল বা দানাদার ও শস্যজাতীয় খাবারের স্বল্পতাও কম দায়ী নয়।

দেশটিতে ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যু প্রতি লাখে ১২৭ জন।

কোনো পরামর্শ?

প্রফেসর মারে বলছেন, “কোয়ালিটি ডায়েট হলো আসল কথা, আপনার ওজন কতো সেটা এখানে বিবেচ্য নয়।”

তিনি সবজি, আঁশজাতীয় খাবার ও ফলমূল খাওয়া বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে বড় বিষয় হলো টাকা।

প্রফেসর ফরউহি বলছেন, লোকজন জানলে আর রিসোর্স থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে পারে।

তবে তারা দুজনই একমত যে ফ্যাট, সুগার বা সল্ট এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে মানুষের উচিত ভালো খাবারের দিকে মনোযোগ দেয়া।

দৈনন্দিন

সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

 সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে
সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

বাঙালির খাবার মানেই নানা রকম মাছের পদ। কোনোটা ভাজা তো কোনোটা ঝোল, কোনোটা আবার পাতুরি। কত স্বাদ, কত ধরনের যে রেসিপি! গরম ভাতের সাথে যেকোনো মাছের ঝোল হলে আর কিছু দরকার হয় না। আর তা যদি হয় পাবদা মাছ, তবে তো কথাই নেই! চলুন জেনে নেয়া যাক পাবদা মাছের ঝোল তৈরির রেসিপি-

উপকরণ:
পাবদা মাছ- ৪-৫ টি
লবণ
হলুদ
সরষের তেল
রসুন- ৫ থেকে ৬ কোয়া
কাশ্মীরী লাল মরিচ গুঁড়া- ২ চামচ
টমেটো পিউরি- ৩ চামচ
কাঁচা মরিচ- ২ থেকে ৩টি
ধনেপাতা কুচি।

 সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে
সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

প্রণালি:
পাবদা মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার লবণ, হলুদ আর সামান্য সরষের তেল মাখিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এবার যে পাত্রে মাছ রান্না করবেন সেই পাত্রে ১ চামচ হলুদ, ১ চামচ মরিচ গুঁড়া, ১ চামচ হলুদ, তিন চামচ টমেটো পিউরি, রসুনের পেস্ট ১ চামচ আর ২ চামচ সরষের তেল দিন। এবার এর মধ্যে অল্প হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এবার অল্প আঁচে কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে দুটি কাঁচা মরিচ দিন। অন্য একটি কড়াইতে সরষের তেল গরম করে মাছ ভেজে নিন। এবার সাবধানে মাছগুলো ছাড়ুন ঝোলের মধ্যে।মাছে সামান্য ধনেপাতা কুচি, সামান্য গরম পানি আর ২টি কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে দিন। নামানোর আগে একটু কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিন। অল্প আঁচে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

গোলাপ ফুল কি ত্বকের জন্য উপকারী?

পরিচিতি
সৌন্দর্য্য ও লাবন্যের প্রতীক গোলাপ ফুল

গোলাপ ফুলকে ফুলের রাণী বলা হয়ে থাকে। এর কোমলতা, বর্ণ, সুগন্ধ এমন কেউ নেই যাকে আকৃষ্ট করে না। সাজ সজ্জায় কাটা ফুল হিসেবে কদর রয়েছে। এছাড়া সুগন্ধি প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। শাখা কলম, দাবা কলম এবং চোখ কলম এর মাধ্যমে গোলাপের বংশ বিস্তার করা হয়।

সৌন্দর্য ও ঘ্রাণের দিক দিয়ে গোলাপ অতুলনীয়। আমাদের দৈনন্দিন জিবনে গোলাপ ফুল গুরুক্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।গোলাপের ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল সুন্দর হয়।তাছাড়া গোলাপের পাপড়ির গুড়া বিভিন্ন ধরণের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুলের পাপড়ির গুড়া দিয়ে তৈরি চা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি।

ত্বক উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ করতে গোলাপফুল বেশ কার্যকর। গোলাপ জলের থেকে কাঁচা ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এই উপাদানটি ত্বকের রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর করে চেহারার জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য কীভাবে মুখে গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের লাইফস্টাইল বিভাগে

  • নিয়মিত গোলাপফুলের রস মুখে লাগান। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে, যা চেহারার বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান করে।
  • গোলাপফুলের রস ত্বককে সতেজ রাখে। দুশ্চিন্তা দূর করতে কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি মুখে ঘষে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতাও দূর করবে।
  • যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও স্পর্শকাতর, তাঁরা নিয়মিত ত্বকে গোলাপফুলের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
  • গোলাপফুলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। ত্বকের কালচে ভাব, ব্রণের দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত গোলাপফুলের পাঁপড়ির সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা গোলাপের পাঁপড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পাঁপড়ি শিলপাটায় বেটে এর সঙ্গে চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

সকালের নাস্তায় পাউরুটি না হলে কি চলে! সাধারণত দোকান থেকেই পাউরুটি কিনে খায় সবাই। তবে দোকানের পাউরুটি আর ঘরে বানানো পাউরুটির মধ্যে অবশ্যই ফারাক আছে।

চাইলে কিন্তু স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন নরম তুলতুলে পাউরুটি। তাও আবার হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে চুলায়ই তৈরি করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

উপকরণ

১. ময়দা ২ কাপ
২. ইস্ট ২ চা চামচ
৩. চিনি ২ টেবিল চামচ
৪. লবণ আধা চা চামচ
৫. গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ
৬. তেল ৪ টেবিল চামচ
৭. কুসুম গরম পানি আধা কাপ+ ১ টেবিল চামচ ও
৮. ডিমের কুসুম ১টি।

পদ্ধতি

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

পানি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এখন পানি দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভালো করে মথে নরম তুলতুলে ডো তৈরি করুন। এবার ডো একটি এয়ারটাইট পাত্রে ঘণ্টাখানেক গরম স্থানে রাখুন।

এক ঘণ্টা পর ডো ফুলে উঠবে। তারপর সেটি বের করে আবারও ভালো করে মথে বাতাস বের করে নিন। এরপর ডো বেলুন দিয়ে রুটির মতো বেলে নিন। রুটি এবার রোল করে চারদিক সমান করে নিন।

এরপর একটি পাউরুটির মোল্ডে সামান্য তেল মাখিয়ে রোলটি মোল্ডে রাখুন। এরপর আবার ১৫ মিনিট গরম স্থানে রেখে দিন। চাইলে গরম পানির পাত্রের মুখে ঢাকনায় পাউরুটির মোল্ড বসিয়ে রাখতে পারেন।

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

১৫ মিনিট পর দেখবেন ডো ফুলে পুরো মোল্ড ভরে যাবে। এবার ডো’র উপরে ডিমের কুসুম ব্রাশ করে দিন। এখন চুলায় একটা বড় পাত্র বসিয়ে তাতে কিছুটা বালু (১ ইঞ্চি পুরু করে) দিন। এর ভেতরে একটি স্টিলের স্ট্যান্ড (হাড়ি রাখা) বসিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিন।

১ মিনিট উচ্চ তাপে হাঁড়িটা গরম করে নিন। স্টিলের স্ট্যান্ডের উপর পাউরুটির মোল্ড বসিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিয়ে উপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ মিনিট। চুলার আঁচ মাঝারিতে রাখুন।

এরপর আঁচ একেবারে কমিয়ে আরও ৫ মিনিট রেখে ঢাকনা খুলে দেখুন। পাউরুটির উপরের অংশ যদি বাদামি হয়ে যায় তাহলে নামিয়ে নিন। এর ১০-১৫ মিনিট পর একটা প্লেটের উপর মোল্ড উল্টে পাউরুটি বের করুন।

এবার একটি ভেজা তোয়ালে বা কাপড় মোটা করে ভাজ করে পাউরুটি ঢেকে রাখুন। এতে পাউরুটি বেশি নরম হয়ে যাবে। ঠান্ডা হলে পাউরুটি কেটে পরিবেশন করুন। এভাবেই ঘরে তৈরি করতে পারেন নরম তুলতুলে পাউরুটি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!

পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!
পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!

চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আসলে একেকজনের চুল পড়ার কারণও কিন্তু ভিন্ন। তবে হঠাৎ যদি আপনার অত্যধিক চুল পড়ে ও খুশকি কিংবা মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যা থাকে তাহলে ব্যবহার করুন পেঁয়াজ।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন অনেকেই। চুল পড়া বন্ধের এটি একটি কার্যকরী দাওয়াই। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেমন পেঁয়াজের হাজারও উপকারিতা আছে ঠিক চুলের ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ খুব উপকারী।

চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চুল ঘন করার ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ দুর্দান্ত কার্যকরী। পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন?

>> পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পের যে কোনো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য পেঁয়াজে অল্প পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।

তারপর তুলা ভিজিয়ে পেঁয়াজের রস মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। একদিন পরপর এই টোটকা ব্যবহার করুন।

>> পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেলও মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চুলে। নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মেশালে এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়। এজন্য প্রথমে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ নারকেল তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন।

খুশকির সমস্যা থাকলে, মিশ্রণটিতে ৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েলও মেশাতে পারেন। এরপর মিশ্রণটি ভালো করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

>> অলিভ অয়েল ও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন খুশকির সমস্যা সমাধানে। তাছাড়া অলিভ অয়েল, চুল ও মাথার ত্বককে কন্ডিশনিং করতেও সহায়তা করে। পেঁয়াজের রস চুলকে দ্রুত বড় করে।

এজন্য প্রথমে তিন টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ও দেড় টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। দুই ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটিও একদিন পরপর করতে পারেন।

>> ক্যাস্টর অয়েল ও পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে চুল বড় হয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। প্রথমে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

>> ডিম ও পেঁয়াজের হেয়ারমাস্ক চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে। পাশাপাশি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস, একটি ডিম ও ২-৩ ফোঁটা রোজমেরি কিংবা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন।

তারপর এ হেয়ার প্যাকটি স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

ফিলেট ও সাসিমি বিদেশিদের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। তবে বাংলাদেশেও এর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটিই জানাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি বিদেশে রফতানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

যে সব মাছের মাংসল অংশে ছোট ছোট, কাটা নেই; সে সব মাছ থেকে তৈরি করা হয় ফিলেট (মাছের মাংসল অংশ)। এর জন্য আমাদের দেশের পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বিভিন্ন ক্যাটফিশ ও সামুদ্রিক মাছ ব্যবহার করা হয়।

 ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

সাসিমি তৈরিতেও এ ধরনের মাছ ব্যবহৃত হয়। তবে সাসিমি হলো- তাজা মাছের পাতলা মাংসল অংশ। এর দৈর্ঘ্য ২.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ দশমিক ৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এটা সস বা বিভিন্ন সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়।

 ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

পাঙ্গাস মাছ থেকে প্রথমে ফিলেট তৈরি করে সাসিমি বানাতে হয়। এজন্য প্রথমে মাছটির মাথার কাছে ছুরি রেখে মাছের মেরুদণ্ড বরাবর লেজের দিকে কাটতে হয়। কাটার পর এর উপরের চামড়া সতর্কতার সঙ্গে ছাড়াতে হয়। এরপর ফিলেট অংশটি পাতলা ছোট ছোট অংশে কেটে তৈরি করতে পারেন ফেলিট সাসিমি।

 ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

পরিবেশনের জন্য টমেটো, ধনেপাতা, পিঁয়াজ সাসিমির চারিদিকে শৈল্পীক রূপে সাজিয়ে নিতে হয়। আমাদের দেশের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া ফিলেট ও সাসিমি তৈরি করে বিদেশে রফতানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ