পরিবেশ
ইটভাটার মাটি যোগাতে ফসলি জমিতে পুকুর খনন ‘উৎসব’
ইটভাটার মালিকরা তাদের প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়ে ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করছে
“কৃষি জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না” এমন সরকারি নীতিমালা থাকলেও সেই নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় ফসলি জমিগুলোকে পুকুরে পরিণত করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ইটভাটা মালিকেরা বিভিন্ন মহলকে “ম্যানেজ” করে পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খননকে ঘিরে আবার গড়ে উঠেছে পুকুর খনন ব্যবসায়ী যারা এলাকায় “পুকুর ব্যবসায়ী” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানা গেছে, ইটভাটার মালিকরা তাদের প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়ে ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করছে। এতে জমির মালিকেরা পুকুর খনন করতে খরচের পরির্বতে অতিরিক্ত টাকা পাচ্ছেন। এতে কৃষকেরা না বুঝেই তাদের পুকুরকে ইটভাটা মালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। ফলে জেলায় দিন দিন কমেই চলেছে ফসলি জমি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৭২ হাজার ২৭৬ হেক্টর। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল একই পরিমাণ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬১২ হেক্টর এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৮ হেক্টর। গত ৫ বছরে আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে ১ হাজার ৭২২ হেক্টর। আত্রাই উপজেলায় বর্তমানে ফসলি জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ১০০ হেক্টর। গত ৫ বছরের ব্যবধানে ২০০ হেক্টর আবাদি জমি কমেছে। অপরদিকে, বর্তমানে সরকারি পুকুর রয়েছে ২২৪ টি এবং ব্যক্তিগত পুকুর রয়েছে ২ হাজার ৮৩৭টি। গত ৫ বছরের ব্যবধানে ব্যক্তিগত পুকুরে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৫০টি।
উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের দ্বীপ চাঁদপুর গ্রামে এলজিইডি রাস্তা সংলগ্ন প্রায় ২০ বিঘা এলাকা জুড়ে এস্কেভেটর দিয়ে পুকুর খনন করছেন গ্রামের সুমন তালুকদার। স্থানীয় মেসার্স এমইএম ইটভাটার মালিক আসাদুজ্জামান টপি মোল্লা ওই জমিতে পুকুর খনন করে তার ভাটায় মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। একইভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন করে তার ইটভাটায় মাটি নেওয়া হচ্ছে।
পুকুর ব্যবসায়ী সুমন তালুকদার বলেন, প্রতি বছর ২৮ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে ১২ বছরের জন্য ১৫ বিঘা জমি ইজারা নিয়েছি। পুকুর খননের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটা আবেদন করেছি। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কৃষি ও মৎস্য অফিসারকে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। তবে তিনি জানান, অনুমোদন পাওয়ার আগেই পুকুর খনন করছেন তিনি।
আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাওছার হোসেন বলেন, ফসলি জমির পরিমাণ কমছে। গত দেড় মাসে পুকুর খনন বিষয়ে প্রায় ৪৪টির মতো প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছি। যেগুলোতে প্রায় এক ফসলের আবাদ হয়ে থাকে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ মুর্শেদ মিশু বলেন, “ডিসি স্যার যদি পুকুর খননের জন্য অনুমোতি দেয় তাহলে খনন করতে পারবে। দ্বীপচাঁদপুর গ্রামের পুকুর খননের প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে কি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তা বলা যাবে না।”
এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ছানাউল ইসলাম বলেন, “কেউ পুকুর খনন করতে চাইলে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে তিনিই বিষয়টি দেখবেন। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।”
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ঘরবাড়ি, ইটভাটা ও পুকুর খননের কারণে প্রতি বছরই কমছে আবাদি জমির পরিমাণ। অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করা হচ্ছে। এটি একটি জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও ভূমি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে আবাদি জমি রক্ষা করা সম্ভব হবে।”
পরিবেশ
সুতার রঙে ‘রঙিন’ মানুষের দুঃখের কাব্য
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার কাঁঠালতলার ফুরিন্দা গ্রামে সুতার রঙে প্রায় রঙিন হয়ে যাওয়া মানুষের দেখা মেলে। তবে জীবনটা সেই অর্থে রঙিন নয়। বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য কেনা হয়েছিল, কিন্তু বেঁচে যাওয়া বা বাতিল হওয়া সুতা নারায়ণগঞ্জের কারখানার মালিকেরা দিয়ে যান মহাজনদের। নতুন করে বিভিন্ন রং করা সুতায় বোনা হয় গামছা, লুঙ্গি বা থ্রিপিস। মহাজনেরা সুতা রং করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের কাজে লাগান। থাকা ও খাবারের খরচ মহাজনের। শ্রমিকেরা মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পান।
কারখানার মালিকের চাহিদা অনুযায়ী কেমিক্যাল মিশিয়ে, জ্বাল দিয়ে বিভিন্ন রঙে সুতা রং করেন। রোদে শুকিয়ে পাঠিয়ে দেন সুতার মালিকের কাছে। বছরের পর বছর কাজ করতে করতে শ্রমিকদের হাত-পায়ে রং লেগেই থাকে। খাওয়ার সময় কটু স্বাদ লাগে। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য অসুখ-বিসুখ তো আছেই। করোনার প্রাদুর্ভাবসহ নানা কারণে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সুতায় রং করার কারিগরদের চাহিদাও কমছে। রঙিন এসব মানুষের ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা।












দৈনন্দিন
জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

মশার আক্রমণ প্রায় সব ঋতুতেই দেখা যায় কমবেশি। এখন শীতকাল। প্রকৃতি এ সময়ে নিজেকে শীতল চাদরে মুড়িয়ে নিলেও মশার প্রকোপ বেড়ে যায় অনেকটাই। গাছ হতে পারে মশা তাড়ানোর সমাধান। এমন কিছু গাছ আছে, যা পড়ে থাকে অযত্নে, কিন্তু মশার যম। মশা দমন করতে ঘরে কিছু গাছ আনলে উপকার তো হবেই, আবার সবুজের ছোঁয়াও পাবেন একই সঙ্গে।
তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার ও গাঁদাজাতীয় গাছে কীট প্রতিরোধক কিছু যৌগ থাকে। সাইপারমেথিরিন ও ম্যালাথিওন জাতীয় সক্রিয় যৌগ মশার ডিম, লাভা ও মশার বৃদ্ধি রোধ ও ধ্বংস করতে কাজ করে। যৌগিক পদার্থের সাধারণত দুই ধরনের প্রোপার্টিজ থাকে। একটি হলো শারীরিক, অন্যটি রাসায়নিক প্রোপার্টিজ। গাছের পাতার বা ফুলের তীব্র গন্ধ এর শারীরিক প্রোপার্টিজের জন্য। গন্ধ থাকার পাশাপাশি কীট প্রতিরোধক যৌগিকের সক্রিয় উপস্থিতি থাকতে হবে অবশ্যই। তবেই এ ধরনের গাছ মশা দূর করতে বা অনেক ক্ষেত্রে মশা ধ্বংস করতে কাজ করবে। এমনটাই জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক নুহু আলম।
মশার মতো কীটপতঙ্গ তাড়াতে পারে এমন কিছু গাছের কথা থাকছে এখানে।

ল্যাভেন্ডার গাছ
বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ থাকলে খেয়াল করে দেখবেন, এর পাতার কাছে কোনো পোকাই বসে না। তার কারণ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় একধরনের এসেনশিয়াল তেল থাকে। তাই এর সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে আসতে পারে না মশা। তাই অনেকে ল্যাভেন্ডারের গন্ধযুক্ত সুগন্ধিও ব্যবহার করে থাকেন। দেশীয় গাছ না হলেও ল্যাভেন্ডার কিন্তু খুব সহজেই জন্মায় এ দেশে। এই গাছের জন্য পানিনিষ্কাশন ও সূর্যের আলোর ব্যবস্থা থাকলেই হয়।

গাঁদা ফুল
শীতকালের অন্যতম ফুল এটি। বাড়ির চারপাশে বা বারান্দায় সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই হলুদ বা কমলা রঙের এই ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। এই ফুলের গন্ধেও অনেকেই বিমোহিত হন। কিন্তু গাছের পাতা বা ফুলের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না মশা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি এবং গাছের পাতায় থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক। যার কারণে মশা একেবারেই দূরে থাকে এই গাছ থেকে। গাঁদা ফুলের গাছের যত্ন নেওয়াও বেশ সহজ, প্রয়োজনীয় পানি ও আলো পেলেই এই গাছ জন্মায়।

তুলসী গাছ
ঘরের আঙিনায় তুলসী গাছ লাগানোর রীতি বহু পুরোনো। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণও আছে। তুলসীগাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূর করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন পানি এবং প্রয়োজনীয় সার ব্যবহারে সহজেই এজাতীয় গাছ বাঁচে।

পুদিনা গাছ
আজকাল অনেকেই শখ করে বারান্দায় ছোট পুদিনাপাতার গাছ লাগান। রান্না বা চায়ের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি মশার হাত থেকেও বাঁচাতে পারে এই গাছ। পেপার মিন্ট বা মেন্থলের সুগন্ধ মশা তাড়ানোর জন্য কার্যকর। এটি মশার প্রাকৃতিক কীটনাশকও বটে।
ঘাস প্রজাতির উদ্ভিদ সাইট্রোনেলা, রোজমারি ও লেমন বাম জাতীয় কিছু গাছও মশা দূরে রাখতে পারে। আগারগাঁও, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, দোয়েল চত্বর এলাকাসহ যেকোনো নার্সারিতে পেয়ে যাবেন এই গাছের চারা। গাছের চারার বয়স অনুসারে ৭০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এসব গাছ।
জার্মানি
মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জার্মানি। তবে এই সৌন্দর্য শুধু পাহাড়-নদীতেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশটির মাটির নিচেও রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান।
জালফেল্ড ফেয়ারি গ্রোটোস: ১৯৯৩ সালে জার্মানির এই গ্রোটো গুহার নাম ওঠে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গ্রোটো গুহা’র তালিকায়। অ্যালাম স্লেট খনন করার ফলে ঠ্যুরিঙ্গেন রাজ্যের এই গুহাটি নানা রঙের স্ট্যালাকটাইটে ভরে ওঠে। এই গুহায় দেখা যায় একশরও বেশি ধরনের বাদামি-হলুদ রঙের খেলা।
লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর: বেলেপাথরে খোদাই করে তৈরি এই গুহা-ঘরগুলো দেখতে অবিকল রূপকথায় পড়া রাজকন্যার প্রাসাদের মতো। কিন্তু আদতে হারৎজ পর্বতের শ্যাফারবের্গ অঞ্চলের এই গুহা-ঘরগুলো উনিশ শতকে বানিয়েছিলেন স্থানীয় খামারকর্মীরা। বর্তমানে এই গুহাঘরের ভেতরে চিত্রায়িত করা আছে এই গুহার শেষ বাসিন্দা লুডভিগ শ্মিডটের জীবনকাহিনী।
বাড জেগেবার্গের কালকবের্গ গুহা: উত্তর জার্মানির একমাত্র প্রাকৃতিক গুহার ভেতর রয়েছে বাদুড়দের বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতকালীন বাসস্থান। এই গুহার ভেতরের প্রাণীদের শীতঘুমে ব্যাঘাত না ঘটাতে পর্যটকদের যাওয়ার সুযোগ মার্চ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে।

আটেনডর্নের আটা গুহা: জার্মানির সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় গুহা নর্থ-রাইন ভেস্টফালিয়া রাজ্যের গুহা এটি। হঠাৎ করেই ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত হয় এই গুহা। ছয় হাজার মিটার দীর্ঘ এই গুহায় পাওয়া যায় আটা চিজ নামের একটি বিশেষ ধরনের পনীর।
এনেপেটালের ক্লুটার্ট গুহা: বহু হ্রদ, তিনশটি পথ ও ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুহাকে এক সময় জার্মানির সবচেয়ে বড় গুহা ভাবা হতো। এখন নর্থ-রাইন ভেস্টফ্রালেনের এই গুহার ভেতর পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের রোমাঞ্চকর সফরের সুবিধা রয়েছে। হাঁপানি রোগীদের জন্যেও ভালো এই গুহার ভেতরের পরিবেশ।
হমবুর্গের শ্লসবের্গ গুহা ও দুর্গ: জারলান্ড রাজ্যের এই গুহা প্রকৃতি নয়, তৈরি করেছে মানুষ। লাল বেলেপাথরের খোঁজে খনন করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এই গুহা। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গুহা সৃষ্টি হতে শুরু করে মধ্য যুগেই। কিন্তু এর পূর্ণ রূপে গড়ে ওঠা শুরু হয় খননের সময় ঘটা বিস্ফোরণের পরেই।
সোফিয়েন গুহা: সোফিয়েন গুহার ভেতর থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৬০ হাজার বছর পুরোনো ভালুকের হাড়। এছাড়া এই গুহার ভেতরে পাওয়া গেছে তুষার যুগের বহু প্রাণীর দেহাবশেষ। এই গুহায় আজকাল বেশ কিছু অনুষ্ঠান বা জলসা দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় দর্শক।

সুইফাল্টেনডর্ফের ড্রিপস্টোন গুহা: জার্মানির সবচেয়ে ছোট এই গুহা মাত্র ৮৮ বর্গফুট বড়। ১৯৮২ সালে একটি সুড়ঙ্গ তৈরির সময় খুঁজে পাওয়া যায় গুহাটি। এই গুহার প্রবেশ পথ একটি হোটেল ও পানশালার ভেতর দিয়ে, যার ফলে হোটেলের খদ্দেরদের কাছে এই গুহাটি একটি বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
রিজেন্ডিং গুহা: জার্মানির উন্টার্সবের্গে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘ গুহা (তিন হাজার ৭৭০ ফুট লম্বা)। ভেতরে গেলে দেখতে পাবেন নানা আকারের হ্রদ ও একাধিক ঝর্ণা। ২০১৪ সালে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে পর্যটকের জন্য বন্ধ রয়েছে গুহাটি। এখন সেখানে কেবল বিজ্ঞানীরাই যেতে পারেন।
শেলেনবের্গ তুষার গুহা: উন্টার্সবের্গেই রয়েছে জার্মানির একমাত্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত তুষার গুহা বা আইসকেভ। ৬০ হাজার ঘনমিটার বরফের আস্তরণ রয়েছে এই গুহায়, যার মধ্যে বেশ কিছু অংশ প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো। তবে পুরো গুহায় ঘুরতে পারেন না পর্যটকরা। শুধু ৫০০ মিটার অঞ্চলই রয়েছে উন্মুক্ত, এবং সেটাও শুধু হাইকিং করার জন্যেই।
পরিবেশ
পৃথিবীর সবচেয়ে গোলগাল প্রাণী কি এগুলোই?

পৃথিবীতে অনেক প্রাণী রয়েছে, আর তাদের মধ্যে অনেক প্রাণিই গোলগাল।
সেগুলোকে আপনি গোলাকৃতির আদুরে বল মনে করলেও তাদের এই আকৃতি আসলে প্রকৃতিতে তাদের টিকে থাকতে সহায়তা করে।
প্রাণীজগতের সবচেয়ে গোলগাল কয়েকটি প্রাণীর তালিকা দেয়া হলো এখানে।

পাফার ফিশ/ পটকা মাছ
আমাদের তালিকার শুরেুতেই রয়েছে পাফার ফিশ পরিবার (টেট্রাওডোনটিডায়ে), যারা পটকা মাছ নামেও পরিচিত।
এই গোলাকার মাছ আত্মরক্ষার্থে বলের মত বৃত্তাকার আকার ধারণ করতে পারে।
নিজেদের ইলাস্টিকের মত পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবেশ করিয়ে তারা এই আকৃতি ধারণ করতে পারে। এর ফলে তাদেরকে খুবই কম আকর্ষণীয় মনে হয়, সেসময় এই মাছের আকৃতি দেখে মনে হয় যে এটি খেতেও কঠিন।
বল আকৃতির এই মাছগুলো দেখতে ভাল লাগেও এটিকে ছোঁয়া একেবারেই উচিত নয়।
দুইশো’রও বেশি জাতের পটকা মাছের অধিকাংশের মধ্যেই টেট্রোডোটক্সিন নামের এক ধরনের বিষ রয়েছে, যা সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।

আরমাডিলো
স্প্যানিশ ভাষায় আরমাডিলো শব্দের অর্থ ‘বর্ম পরিহিত ছোট প্রাণী।’
পৃথিবীতে মোট ২১ ধরণের আরমাডিলো রয়েছে যাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রটির নাম ‘গোলাপী পরী আরমাডিলো’ (ক্ল্যামিফোরাস ট্রাঙ্ক্যাটাস), যার দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মধ্যে হয়।
আরমাডিলোরা দিনে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। এছাড়া প্রাণী হিসেবে তাদের যথেষ্ট ফ্যাশন সচেতনও বলতে পারেন। লাল, হলুদ, কালো, গোলাপী – এমন নানা রঙয়ের আরমাডিলো হয়ে থাকে।

টওনি আওল/পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা
যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাওয়া সাধারণ প্যাঁচাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির প্যাঁচা হলো টওনি আওল বা পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা।
এই প্যঁচাগুলোর নরম, গোলাকার মাথা থাকে যেটি তারা ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাতে পারে।
প্রজননের সময় এই ধরণের পুরুষ প্যাঁচা শুরুতে স্ত্রী প্যাঁচাকে দীর্ঘ ‘হুউউ’ ডাকে ডাক দেয়।
এরপর অপেক্ষাকৃত কম দীর্ঘ ‘হু’ এবং সবশেশে ‘হুহুহোওওওও’ ডাক দিয়ে শেষ করে।
জবাবে স্ত্রী প্যাঁচা ‘কী-উইক’ ডাকে জবাব দেয়।

সিল
সিল সাধারণত একা থাকলেও প্রজননের মৌসুমে একত্রিত হয়।
এই বৃত্তাকার মাছ গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার কাটতে পারে।
তবে কখনো কখনো তারা ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতেও সাঁতারাতে সক্ষম হয়।
এই ধরণের সিল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

হেজহগ
হেজহগ অনেকটা সজারুর মত দেখতে একটি প্রাণী, নিজেকে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এর পিঠে অনেকগুলো কাঁটার মত থাকে।
বৃত্তাকার হওয়ায় শরীরের কাঁটামুক্ত অংশগুলো রক্ষা করতে সুবিধা হয় এর জন্য।
ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় ১৫ ধরণের হেজহগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবকটিই নিশাচর।
পরিবেশ
ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিবিসি প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে এমন ছবি চাওয়া হয়েছিল। বাছাই করা কিছু ছবি নিয়ে আমাদের এই ফটো গ্যালারি।












অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন