আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

পরিবেশ

নওগাঁয় চালকলের দূষিত পানিতে কৃষকের মাথায় হাত

বছরের পর বছর ধরে এমন ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা

নওগাঁ সদর উপজেলায় নওগাঁ-সান্তাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের সাহাপুরে কার্লভার্টের মুখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চালকল স্থাপন করেছেন বেলাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী। ওই কল স্থাপনের কারণে কার্লভার্ট দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাঁধার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া চালকলের দূষিত পানি সরাসরি ফসলের মাঠে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকবাসীর। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে নওগাঁ-সান্তাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশে সাহাপুরে “বেলকন চাউল কল” স্থাপন করা হয়। কিন্তু তার আগেই তৈরি করা হয় কার্লভার্ট। কার্লভার্টের মুখ ঘেঁষে চাউল কল স্থাপন করায় পাশ্ববর্তী ধামকুড়ি, সাহাপুর ও বশিপুরসহ কয়েকটি গ্রামের পানি ওই কার্লভার্ট দিয়ে যেতে পারে না। ফলে এলাকাবাসীর অভিযোগ, কালভার্টটি তাদের কোনো কাজেই আসছে না।

এছাড়া চাউল কল থেকে দূষিত কালো কালভার্টের নালা হয়ে পার্শ্ববর্তী ফসলের ক্ষেতে পড়ছে। এতে করে প্রায় শতাধিক কৃষকের ফসলের ক্ষতি হওয়ায় ঠিকমতো ফসল হয় না এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দেয়। চাউলকলের দূষিত পানিতে উত্তর ও দক্ষিণ পাশের প্রায় দুই থেকে আড়াইশ বিঘা জমিতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এমন ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। স্থানীয়রা বিষয়টি চাউল কল মালিককে জানানো পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

দোগাছী গ্রামের হান্নান বলেন, চাল কলের লোকেরা আগে গাড়ি দিয়ে দূষিত পানি বাইরে নিয়ে ফেলতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে তারা পানি কালভার্টের নালায়ই ফেলছে। কালভার্টের ভেতর দিয়ে নালা হয়ে পানি সরাসরি যাচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। ফলে মাঠেল ফসল পোকা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সাহাপুর গ্রামের মুঞ্জুর রহমান বাবু বলেন, আগে জমিতে যে পরিমাণ ফসল হতো এখন তার অর্ধেকও হয় না।

বেলকন গ্রুপের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, “ক্ষেতে শুধু আমার একাই চাউল কলের পানি যায় না, অন্যান্য চাউল কলের পানিও যায়।”

নওগাঁ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, “দূষিত পানি ফসলি জমিতে পড়লে ফসল নষ্ট হবে। যদি ওই চাউল কলের দূষিত পানি ফসলের মাঠে যায় তাহলে ফসল রক্ষার্থে পদক্ষেপ নিতে হবে।”

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

পরিবেশ

মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন

  • ৪৫.৬৭ শতাংশ জমির মাটিরই অম্লতা বেশি
  • অম্লতা বেশি হলে মিলবে না কাঙ্ক্ষিত ফলন
  • দেশের সব অঞ্চলের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে
  • সমাধানে ডলোচুন প্রয়োগের সুপারিশ
মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন
মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন

দেশের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। ফসল উৎপাদনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একদিকে কৃষক কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে না, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে সংকট আরও বেড়ে হুমকিতে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। আজ ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রাক্কালে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন তাঁরা।

অম্ল মাটি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গঙ্গা অববাহিকা ছাড়া দেশের সব অঞ্চলের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। অম্লতা যত বাড়বে, ফসলের উৎপাদনও তত কমবে। মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বেশি হলে গম, ভুট্টা, আলু, সবজি, ডালসহ রবি শস্যে কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে না।’

মাটির গুণগত মান নিয়ে গবেষণা করে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। সংস্থাটির অম্ল মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির তথ্য অনুসারে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের আবাদযোগ্য জমিতে অম্লতার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে অধিক অম্ল থেকে অত্যধিক অম্ল জমির পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ৪১ দশমিক ২৩ শতাংশ, আর ২০২০ সালে অম্লতার পরিমাণ আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশে। মাটিতে অম্লতা বাড়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউরিয়া সারের অধিক ব্যবহার, ক্যালসিয়ামসহ ক্ষারীয় উপাদান হ্রাস, এক জমিতে অধিক চাষাবাদ, ফসল তোলার পর গাছ খেতের মাটির সঙ্গে মিশতে না দিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা ইত্যাদি।

গবেষকদের তথ্যমতে, মাটির অম্লত্ব কিংবা ক্ষারীয় অবস্থার ওপর ফসলের বৃদ্ধি ও ফলন অনেকাংশে নির্ভর করে। অম্লতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয় মাটির পিএইচ নির্ণয়ের মাধ্যমে। পিএইচ মান ৪ দশমিক ৫ এর নিচে হলে সেই মাটিকে অত্যধিক অম্ল, ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত অধিক অম্ল, ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ হলে মৃদু অম্ল এবং ৬ দশমিক ৬ থেকে ৭ দশমিক ৩ এর মধ্যে হলে তাকে নিরপেক্ষ মাটি বলা হয়। ফসলের জন্য মাটির আদর্শ পিএইচ ধরা হয় ৬ দশমিক ৫।

এসআরডিআইয়ের গবেষণার তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মোট ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার হেক্টর জমির মাটি অত্যধিক অম্ল (পিএইচ মান ৪.৫ এর নিচে) এবং প্রায় ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টর জমির মাটি অধিক অম্ল (পিএইচ মান ৪.৫ থেকে ৫.৫)। অর্থাৎ মোট আবাদি জমির প্রায় অর্ধেকের (৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মাটি অধিক থেকে অত্যধিক অম্ল। অধিক অম্ল মাটিতে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মলিবডেনামের স্বল্পতা এবং অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের আধিক্য থাকায় ফসলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং ফলন কমে যায়।

বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল এবং বরেন্দ্র ও মধুপুর গড় অঞ্চলের অধিকাংশ মাটি অধিক থেকে অত্যধিক অম্ল। এসব অঞ্চলের কৃষিজমি থেকে ফসলের কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসআরডিআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অম্ল মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জমিতে দিন দিন অম্লতার পরিমাণ বাড়বে। সার ব্যবহারে কৃষকের খরচ বাড়বে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে না।

মাটির অম্লতা কমিয়ে আনতে জমিতে ডলোচুন ব্যবহার ভালো সমাধান হতে পারে বলে এই মৃত্তিকাবিজ্ঞানী জানান। তিনি বলেন, এ জন্য সাধারণত প্রতি শতাংশ জমিতে ৪ কেজি থেকে ৮ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে মাটির বুনটের ওপর নির্ভর করে ডলোচুন প্রয়োগের মাত্রা কম-বেশি হতে পারে। তা ছাড়া জমিতে জৈব পদার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

ঢাকায় ঘরের বাতাসও সমান দূষিত

পাঁচ দিন ধরে বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে ঢাকা। ভারতের দিল্লি বা মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর, কোনোটি ঢাকাকে ওই স্থান থেকে টলাতে পারেনি। বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে সংস্থাটি বায়ুর মান পরিমাপ করে মূলত ঘরের বাইরে থেকে। ফলে ঘরের ভেতরের বাতাস কেমন, সে সম্পর্কে ওই পর্যবেক্ষণ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম রাজধানীর ঘরের ভেতরের বায়ুর মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঢাকায় ঘরের ভেতরে ও বাইরের বায়ুর মান প্রায় সমান দূষিত হয়ে পড়েছে।

অধ্যাপক সালাম গত জানুয়ারি মাসের ১৪, ১৯, ২৩ ও ২৮ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ঘরের বাইরে ও ভেতরে বায়ুর মান কেমন ছিল তার পর্যবেক্ষণ নিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে, দুদিন ঘরের ভেতরের বায়ুর মান বাইরের চেয়ে খারাপ ছিল। আর বাকি দুদিন বাইরের বায়ু বেশি খারাপ ছিল। ঘরের ভেতরে ও বাইরে বায়ুর মানের পার্থক্য ১০ থেকে ১২ শতাংশ বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

অন্যদিকে গত ২৮ জানুয়ারি ঘরের ভেতরে বায়ুদূষণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান ও রয়্যাল কলেজ অব পেডিয়াট্রিক চাইল্ড হেলথ নামের দুটি সংস্থা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের যে দেশগুলোর শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের বেশির ভাগ গ্রামীণ পরিবারে নারীরা গোবর, কাঠ, পাটকাঠি ও খড় পুড়িয়ে রান্না করেন। ওই পোড়ানো থেকে ঘরের ভেতরের বাতাস মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়ে।

অধ্যাপক আবদুস সালামের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ঢাকায় ঘরের ভেতরে ও বাইরের বায়ুর মান প্রায় সমান দূষিত হয়ে পড়েছে।

‘দ্য ইনসাইড স্টোরি: হেলথ ইফেক্ট অবইনডোর এয়ার কোয়ালিটি অন চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পিপল’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের ঘরের ভেতরে দূষিত বায়ুর কারণে জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যে অনেক শিশু মারা যায়। অধিকাংশ শিশু কম ওজন (২ দশমিক ৫ কেজির কম) নিয়ে জন্ম নেয়। যারা বেঁচে থাকে তাদের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি কম হয়, দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে আক্রান্ত হয় তারা।

ঘরের বাইরে ও ভেতরে বায়ুর মান একই রকমের খারাপ হওয়ার কারণ তুলে ধরতে গিয়ে অধ্যাপক আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলে ঘরের ভেতরে মূলত রান্নাঘরে বায়ু অন্য এলাকাগুলোর চেয়ে দূষিত থাকে। কারণ, সেখানে জৈব জ্বালানি পুড়িয়ে রান্না করা হয়। কিন্তু শহরে ঘরের মধ্যে দূষিত বায়ু মূলত বাইরে থেকে আসছে। বাইরে বাতাস চলাচল ও আবহাওয়াগত কারণে অনেক সময় বায়ুর মান ঘরের ভেতরের চেয়ে ভালো থাকে। কারণ, ঘরের মধ্যে দূষিত বায়ু একবার প্রবেশ করলে তা আর বের হতে পারে না। এ ধরনের দূষণের হাত থেকে শিশু ও বৃদ্ধদের রক্ষা করতে হলে তাদের চলাফেরা বাড়ানো উচিত। কারণ, যে কেউ স্থির হয়ে থাকলে, সে দূষণের শিকার বেশি হবে।

এর আগে ২০১৮ সালে অধ্যাপক সালাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের পক্ষ থেকে রাজধানীর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বায়ুদূষণের মাত্রা পরিমাপ করেন। সেখানে শ্রেণিকক্ষ ও মাঠের বায়ুতে সূক্ষ্ম বস্তুকণা (পিএম ওয়ান, পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ ও পিএম টেন) ও উদ্বায়ী জৈব যৌগ উপাদান পরিমাপ করে দেখা গেছে, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক এসব উপাদান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানমাত্রার চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি। বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা শিশুদের স্বাস্থ্যেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বায়ুদূষণের কারণে শিশুদের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বায়ুদূষণের সব ধরনের উৎস বন্ধ করা শুরু করেছি। অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করার পাশাপাশি নির্মাণকাজের ধুলা নিয়ন্ত্রণেরও উদ্যোগ নিয়েছি। এ ছাড়া দেশের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণে সভা করেছি। তাদের মতামতের ভিত্তিতে আরও দূষণবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করতে যাচ্ছি।’

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালে নিয়মিতভাবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের ঘরের ভেতরের (ইনডোর) বায়ুর মান নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে সংস্থা থেকে প্রকাশ করা সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ঘরের ভেতরের বায়ুর মান শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। সংস্থাটির হিসাবে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ৭০ হাজার ৩৪৫ জন ঘরের ভেতরের বায়ুদূষণের কারণে মারা গেছে। এদের বেশির ভাগই নবজাতক, যারা জন্মের এক সপ্তাহের মধ্যে মারা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে, শিশুদের রান্নার সময় ঘরের বাইরে থাকা ও ধোঁয়ার সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে শহরে ঘরের ভেতরে শিশুদের চলাফেরা বাড়িয়ে ও ঘরে বাতাস চলাচলের যথেষ্ট ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে ঘরের মধ্যে বাতাস আটকে থাকতে না পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

আবার সবুজে ভরে উঠল মাঠ

বর্ষায় থাকত থইথই পানি। আর শুষ্ক মৌসুমে ইটভাটার লোকজনের কর্মচাঞ্চল্যে জমজমাট থাকত পুরো এলাকা। রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ায় তুরাগ নদের উভয় পাশের এই চিত্র এবার কিছুটা বদলে গেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া ইটভাটার আশপাশের অব্যবহৃত জমিতে এবার দেখা যাচ্ছে সবুজের সমারোহ। স্থানীয় কৃষকেরা আবাদ করেছেন লাউ, শিম, টমেটো, কপিসহ নানা ধরনের সবজি।

সাভার থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তুরাগ নদের পাশে আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এ এলাকার পাশে তুরাগ নদের তীরে ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি ইটভাটা। অথচ একসময় ওই সব জমিতে সব ধরনের ফসলের আবাদ করতেন এলাকার কৃষকেরা। ইটভাটার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গত বছর ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান জোরদার হওয়ার পর এলাকার কৃষকেরা আবার আশার আলো দেখছেন।

পাড়াগ্রামের কৃষক মজিবর রহমানের নিজের জমি না থাকলেও তিনি একসময় অন্যের জমি বন্ধক নিয়ে কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। তবে চাষের জমি ইটভাটা দখল করে নেওয়ার পর তিনি পেশা বদল করেছিলেন। কিন্তু গত এক বছরে কয়েকটি ইটভাটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবার তিনি চাষাবাদ শুরু করেছেন। তিনি এবার ইটভাটার আশপাশে অব্যবহৃত পাঁচ বিঘা জমি বন্ধক নিয়ে লাউ, শিম, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ করেছেন।

মজিবর রহমান জানালেন, পাঁচ বিঘা জমি তিনি এক বছরের জন্য বন্ধক নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকায়। সার, কীটনাশক, বীজ, শ্রমিকের মজুরিসহ চাষ বাবদ তাঁর খরচ হয়েছে আরও প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে দুই বিঘা জমির ধুন্দুল বিক্রি করে পেয়েছেন তিনি ৮০ হাজার টাকা। লাউ, শিম ও টমেটো থেকে আরও প্রায় দুই লাখ টাকা পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

খেত থেকে ফুলকপি তুলছিলেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি ইটভাটার পাশে ২৮ শতাংশ জমিতে কপির আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছেন। আরও ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার কপি তাঁর খেতে রয়েছে। এরই মধ্যে তিনি ওই জমিতে ধুন্দুলের বীজ বপন করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ইটভাটার কারণে তাঁদের এলাকায় চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার কৃষকেরা আবার চাষাবাদে ঝুঁকবেন।

স্থানীয় আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও পাড়াগ্রামের বাসিন্দা রুহুল মণ্ডল বলেন, তাঁর এলাকায় একসময় ধান, পাট, গম, সরিষাসহ নানা ধরনের সবজির আবাদ হতো। এলাকার অধিকাংশ মানুষের আয়ের উৎস ছিল কৃষি, কিন্তু ২০ বছর আগে একের পর এক ইটভাটা গড়ে ওঠায় সব জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে। সরকার ইটভাটা বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ায় এ এলাকায় আবার চাষাবাদের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়া ভাটার আশপাশে সবজির আবাদ শুরু করেছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানীর চারপাশের সব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে আশুলিয়াসহ রাজধানীর চারপাশের বেশ কয়েকটি ভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে কৃষকেরা আবার ওই সব জমি কৃষিকাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

সাভারের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিয়াত আহমেদ বলেন, ইটভাটার কারণে সাভারে কৃষি উৎপাদন কমে গেছে। ভাটা বন্ধ হয়ে গেলে কৃষিজমি বাড়বে। ইটভাটার ব্যবহৃত জমি চাষের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে। প্রয়োজনে তাঁদের বিনা মূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আশুলিয়ায় বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়েকটি ভাটার আশপাশে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হচ্ছে। এতে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

শাপলার হ্রদে ‘পাখির বাড়ি’

২২ একর জমিজুড়ে আঁকাবাঁকা হ্রদ। পাশঘিরে ছোট ছোট চা-গাছের টিলা। হ্রদভর্তি শাপলা। আর সেখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাস। জায়গাটি ‘পাখির বাড়ি’ নামেই স্থানীয় মানুষের কাছে পরিচিত। এটি মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল চা-বাগানে। উপজেলা সদর থেকে ওই স্থানের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার।

 সেদিন সকাল সাতটার দিকে বাগানে ঢোকার পর পথে দেখি চার-পাঁচজন নারী চা-শ্রমিক কনকনে শীতে কাজে যাচ্ছেন হেঁটে।

হ্রদটিতে পৌঁছাব কীভাবে, তা জানতে চাইলে তাঁদের একজন হেসে বললেন, ‘পাখির বাড়ি যাইবেন?’ 

তাঁরা রাস্তা দেখিয়ে দিলেন।

হ্রদে পৌঁছানোর আগেই দূর থেকে শোনা যায় পাখির কিচিরমিচির। বাগানের কারখানার পেছনে হ্রদে ফুটেছে শাপলা। টলটলে পানিতে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে বালি হাঁস, চখাচখি, ভুঁতি হাঁস, লেঞ্জা হাঁস, পানকৌড়িসহ নানা প্রজাতির পাখি। মানুষের সাড়া পেলে তারা ঝাঁক বেঁধে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে উড়ে যায়। হ্রদের এক পাড়ে টিলার ওপর একটি বাংলো। শাপলা আর পাখি দেখতে টিলার ঢালে বাঁশ দিয়ে সিঁড়ি ও বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশে টিনের ছাউনির একটি পাকা ঘর ও বাঁশের তৈরি বেঞ্চ।

জানা গেল, হ্রদে বাগান কর্তৃপক্ষÿ ১৫-২০ বছর ধরে মাছ চাষ করছে। সেখানে শাপলা ও কিছু পাখি সারা বছরই থাকে। তবে শীতের সময় বেশি দেখা যায়। এখানে পাখি শিকার ও ফুল ছেঁড়া নিষিদ্ধ। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এখানে বেড়াতে আসে। তবে বাগান কর্তৃপক্ষেরÿ অনুমতি ছাড়া সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। সকাল ও শেষ বিকেলে হ্রদে পাখি বেশি থাকে।

বাগানের ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার সাহা বলেন, বাগানটি ১৮৩৮ সালে স্থাপিত। ২০১৪ সাল থেকে এটি দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ পরিচালনা করছে। তারা বাগান পরিচালনা শুরুর পর শাপলা ও পাখির আবাসস্থল রক্ষায় হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয়। এরপর পাখির সমাগম বাড়তে থাকে। পাখি সেখানে ডিম ফোটায়। বাচ্চা জন্ম দেয়। স্থানটি পাখির অভয়াশ্রম।

হ্রদটি পাহারার জন্য কয়েকজন শ্রমিককে নিয়োজিত করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

পরিবেশ-বান্ধব থেকেও আপনি হতে পারবেন স্টাইল আইকন

আপনি নতুন নতুন ফ্যাশনেবল জামাকাপড় কিনতে এবং পরতে পছন্দ করেন কিন্তু আপনি আবার পরিবেশ রক্ষার বিষয়েও সচেতন। এই দুটোর ভারসাম্য রাখতে গিয়ে কি একটু ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন?

তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনি চাইলে পৃথিবীকে রক্ষায় কাজ করার পাশাপাশি নিজের পোশাকি রুচির সঙ্গে আপোষ ছাড়াই ফ্যাশনেবল থাকতে পারবেন। সাহায্য করতে পারবেন ফ্যাশন শিল্পের পরিবর্তনে ।

পৃথিবীর সবুজ রক্ষায় ফ্যাশন সচেতন ভোক্তাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ লুসি সিগল।

এরপর থেকে কেনাকাটা করার আগে নীচে উল্লেখিত ১০টি উদ্ভাবন, প্রবণতা এবং টিপস বিবেচনায় রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। যা আপনাকে সবসময় স্টাইলিশ থাকতে সাহায্য করবে।

১. বারবার না কিনে, অদলবদল করুন

আপনি হয়তো মনে করতে পারেন যে আলমারির চকমকে এই পোশাকটি আপনি ইতোমধ্যে অনেকগুলো অনুষ্ঠানে পরে ফেলেছেন।

কিন্তু পোশাকটি এখনও নতুনের মতো আছে এবং আপনার বন্ধু বান্ধবের অনেকেই সুযোগে আছেন পোশাকটি আপনি কবে বাতিল করবেন।

সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পোশাকটি এমনই কারও সঙ্গে অদল বদল করে নিতে পারেন, যার ওয়ারড্রবেও হয়তো এমন কোন পোশাক আছে যেটা কিনা তার কাছে পুরনো হলেও আপনার জন্য নতুন।

এভাবে অদল বদল অথবা গরিব মানুষদের দান করার মাধ্যমে একটি পোশাকের আয়ু বাড়িয়ে দেয়া সম্ভব।

ওয়েস্ট অ্যান্ড রিসোর্স অ্যাকশন প্রোগ্রাম-র‍্যাপ নামে একটি দাতব্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, পুরনো পোশাক অদল বদল বা বিতরণের কারণে যুক্তরাজ্যে পোশাক বর্জ্যের পরিমাণ ২০১২ সালের তুলনায় ৫০ হাজার টন কমে গিয়েছে।

২. তাপমাত্রা কমিয়ে নিন

পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হওয়া মানে এই নয় যে দাগযুক্ত ময়লা কাপড় পরতে হবে। কিন্তু যখনই আপনি কাপড় ধুতে যাবেন তখন পানির তাপমাত্রা ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের পরিবর্তে ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে নিন।

এছাড়া ওয়াশিং মেশিনে টাম্বল ড্রায়ারে কাপড় শুকানোর পরিবর্তে বাইরের বাতাসে কাপড় শুকিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে যতোটা সম্ভব আয়রনের ব্যবহার কমিয়ে হালকা কোঁচকানো পোশাকে অভ্যস্ত হওয়ার কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়।

র‍্যাপের মতে, শুধুমাত্র বাড়িতে ওয়াশিং মেশিনে পানির তাপমাত্রা কমিয়ে সেইসঙ্গে টাম্বল ড্রাইং ও আয়রনের ব্যবহার কমিয়ে কার্বন নি:সরণের হার ৭০ লাখ টন কমানো সম্ভব হয়েছে।

৩. লেস ইজ মোর

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পোশাকের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে দেখা যায়।

২০১৬ সালে শুধু যুক্তরাজ্যেই ১১ লাখ ৩০ হাজার টন পোশাক বিক্রি হয়েছে।

তবে এখনকার ভোক্তাদের মধ্যে যে প্রবণতাটি লক্ষ্য করা যায়, সেটি হল টাকা জমিয়ে দামি ও ভালো মানের টেকসই পোশাক কেনা।

একটি কাপড় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার, নতুন পোশাকের উৎপাদন কমাতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখে।

মনে রাখতে হবে: “সস্তা কিনুন, দু’বার কিনুন!”

৪. ভাগ্যবান জামা তত্ত্ব:

মনোবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ এমন একটি পোশাক ধরে রাখতে চান যেটার কোন প্রতীকী অর্থ রয়েছে।

যদি তিনি বিশ্বাস করেন যে, কোন সফল সাক্ষাতকারের জন্য সেদিনের পরে থাকা জামাটি ভাগ্য-কবজের মতো কাজ করেছে। তাহলে পরের সাক্ষাতকারেরও তিনি এই পোশাকটি পরিধান করতে চাইবেন।

একই বিষয় কাজ করে জন্মদিন বা বিয়ের পোশাকের ক্ষেত্রে।

এভাবেই আমাদের সবার উচিত নিজেদের প্রতিটি পোশাককে ঘিরে একটি ব্যাখ্যা তৈরি করা।

এতে পুরনো পোশাককে ঘিরেও আমাদের ভালোলাগা তৈরি হবে এবং আমরা একে হারাতে চাইব না।

৫. বিনিময় হতে পারে অনলাইনে

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন অনলাইন শপ থেকে দর কষাকষি করে স্বল্প মূ্ল্যের ব্যবহৃত পোশাক কেনেন।

পুরানো কাপড় ফেলে না দিয়ে এমনই কোন অনলাইন শপে নিজের পোশাকটি বিক্রি করা যেতে পারে।

এছাড়া অনেক চেইন শপ বা ফ্যাশন হাউজ ব্যবহৃত কাপড় রি-কন্ডিশন স্টকে বিক্রি করে থাকে।

এতে পোশাক বিনিময় শিল্পটি যেমন বিস্তার লাভ করবে তেমনি পুরনো পোশাকও পায় নতুনত্বের ছোঁয়া।

৬. থ্রিডি মুদ্রণ

তেল আবিব-ভিত্তিক ফ্যাশন ডিজাইনার দেনিত পেলেগ “ফিলাফ্লেক্স” নামের শক্তিশালী ও নমনীয় ফিলামেন্ট ব্যবহার করে থ্রি-ডি মুদ্রিত পোশাক ডিজাইন করেছেন। যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

চাইলে যে কেউ তার পুরনো পোশাকে থ্রিডি প্রিন্ট করে নতুন রূপ দিতে পারেন।

এ ধরণের একটি প্রিন্টার থাকলে বাড়িতে বসে যে কেউই নিজের কাপড় নিজে ডিজাইন করতে পারবেন।

৭. নতুন কিছু তৈরি করুন

আগেকার মানুষের সেলাইয়ের দক্ষতা থাকার কারণে নিজেদের পোশাকটিকে নিজেরাই মাপ মতো বানাতে পারতেন বা কাটছাঁট করে নতুন রূপ দিতে পারতেন। কিন্তু আজকাল কেউ আর সুঁই সুতা হাতে তোলেননা।

এখনও অনেকেন বোতাম পর্যন্ত জোড়া দিতে সংগ্রাম করতে হয়।

তবে আজকাল সেই মানুষগুলোর সাহায্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নানা ধাঁচের দর্জির দোকান।

আয়োজন করা হচ্ছে সেলাই নিয়ে নানা ধরণের কর্মশালার। এছাড়া অনলাইনে সেলাইয়ের টিউটোরিয়ালগুলো দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

সামান্য জোড়াতালি, রিফু, বোতাম জুড়ে দেয়া অথবা জিপার প্রতিস্থাপন একটি পোশাককে ডাস্টবিনের পরিবর্তে আপনার ওয়ারড্রবে জায়গা দিতে পারে।

এছাড়া পুরাতন পোশাককে মেরামত বা কাটছাঁট করে নতুন করে তোলা যায়।

যেমন ফুলপ্যান্ট কেটে বানিয়ে নিতে পারেন শর্টস। প্রিয় টপসটা হয়তো রং করে নিতে পারেন। নতুন পকেট জুড়ে, বোতাম লাগিয়ে বা সেলাইয়ের ফোড় দিয়ে বদলে দিতে পারেন পুরো পোশাকটাই।

৮. ফলের তৈরি কাপড়

ফল থেকে তৈরি কাপড় ফ্যাশন শিল্পে নতুন জোয়ার তুলেছে। এখন কমলা, আনারস এমনকি আপেলের শাঁস থেকে তৈরি করা হচ্ছে নানান ধাঁচের কাপড়।

সাধারণত নানা ধরণের ফলের বর্জ্যে পলিইউরেথেন মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই কাপড়।

এ ধরণের কাপড় এবং চামড়া যেমন হালকা এবং টেকসই। তেমনই পরিবেশ-বান্ধব।

কিন্তু এই ফলের তৈরি কাপড় যদি আপনার পছন্দ না হয় তাহলে আপনি “নিউলাইফ”-এর পোশাক পরতে পারেন।

“নিউলাইফ” এক ধরণের সুতা যেটা কিনা পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল থেকে বানানো হয়।

. টেকসই তুলো

তুলার উৎপাদন পরিবেশের ওপর একটি বিধ্বংসী প্রভাব ফেলে।

এক কেজি তুলা উৎপাদনের জন্য গড়ে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার লিটার পানি খরচ হয়। একজন মানুষের ২০ বছর সময়ে এই পরিমাণ পানি পান করে থাকে।

অথচ ওই এক কেজি তুলা দিয়ে একটি শার্ট ও দুটি জিনসের চেয়ে বেশি কিছু বানানো সম্ভব না।

তাছাড়া তুলা চাষের জন্য প্রচুর ফাঁকা জমির প্রয়োজন হয়। সেইসঙ্গে দরকার হয় প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকর কীটনাশকের।

তবে বর্তমানে কয়েকটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ টেকসই তুলা ব্যবহারের অঙ্গিকার করেছে।

এই টেকসই তুলা উৎপাদনে পানি ও কীটনাশকের ব্যবহার যেমন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যাবে। তেমনি কাজের নিরাপদ পরিবেশও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

১০. সৌর আনুষঙ্গ

ভোক্তাদের খুশি করার লক্ষ্যে এখন বাজারে এসেছে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত কাপড়। যেটা ভোক্তারা বারবার পরিধান করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

তেমনই একটি কাপড় হল “সোলার ফাইবার” বা “সৌর তন্তু”।

মূলত সুতার আকারে উৎপাদিত এই সৌর কোষ দিয়ে কাপড় বোনা হয়।

সেইদিন আর দূরে নয় যেদিন আমরা নিজেদের মাথার সৌর স্কার্ফটিতে ফোন প্লাগ ইন করে পোর্টেবল চার্জার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবো।

যেখানে পরনের কাপড়ে পাওয়া যাবে ঘাড় গরম রাখার সুবিধা।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন
কফি চাষের প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে কফি চাষের সম্ভাবনা

কফি চাষের প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে কফি চাষের সম্ভাবনা

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার: ফলনের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর সেরা উপায়!

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার: ফলনের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর সেরা উপায়!

জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! – দা এগ্রো নিউজ

জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ: নিয়ম, উপকারিতা ও গুরুত্ব

জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ: নিয়ম, উপকারিতা ও গুরুত্ব – দা এগ্রো নিউজ

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র – দা এগ্রো নিউজ

খামার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পদ্ধতি: পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ

খামার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পদ্ধতি: পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ – দা এগ্রো নিউজ

ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও ইলিশ রান্নার মজাদার রেসিপি

ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও ইলিশ রান্নার মজাদার রেসিপি – দা এগ্রো নিউজ

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন – দা এগ্রো নিউজ

??বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি ???

বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি – দা এগ্রো নিউজ

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের – দা এগ্রো নিউজ

স্মার্ট এরিয়েটর এর সাথে অটো ফিডিং সিস্টেম – লাভজনক মাছ চাষ করার প্রযুক্তি

স্মার্ট এরিয়েটর এর সাথে অটো ফিডিং সিস্টেম – লাভজনক মাছ চাষ করার প্রযুক্তি – দা এগ্রো নিউজ

ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন

ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন – দা এগ্রো নিউজ

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার – দা এগ্রো নিউজ

কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয়

কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয় – দা এগ্রো নিউজ

জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান

জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান – দা এগ্রো নিউজ

ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছ

ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন – দা এগ্রো নিউজ

খামার বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করব কীভাবে?

খামার বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করব কীভাবে? – দা এগ্রো নিউজ

শীর্ষ সংবাদ