লাইভস্টক
কোয়েল পাখি পালনে দ্বিগুন অর্থ লাভ করুন – দা এগ্রো নিউজ
কোয়েল পালন খুবই লাভজনক। প্রায় সব ধরণের আবহাওয়া কোয়েল পাখি পালনের উপযুক্ত | পোল্ট্রির প্রায় ১১ রকম প্রজাতির মধ্যে কোয়েল এক ছোট গৃহপালিত পাখি, যা খুব সহজেই পালন (Quail rearing) করে যায় | স্বল্প মূল্যে, অল্প জায়গায়, অল্প খাদ্যে কোয়েল পালন কৃষকবন্ধুদের জন্য বেশ লাভজনক ব্যবসা | কোয়েলের ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং আমিষ বেশি | সর্বোপরি, কোয়েলের মাংস বেশ সুস্বাদু, তাই বাজারে এর চাহিদা সারাবছর বেশ থাকে |
কোয়েল পালনের সুবিধা(Benefits of bater farming):
১) কোয়েল দ্রুত বাড়ে, ৬-৭ সপ্তাহে ডিম পাড়া শুরু করে এবং বছরে ২৫০-২৬০ টি ডিম পাড়ে |
২) ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রোটিনের ভাগ বেশি |
৩) কোয়েলের দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশি |
৪) ৮-১০টা কোয়েল একটি মুরগির জায়গায় পালন করা যায় এবং ১৭-১৮ দিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয় |
৫) কোয়েলের রোগবালাই খুব কম এবং খাবার খুবই কম লাগে |
৬) অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে অল্প দিনে বেশি লাভ করা যায়।
জাত:
পৃথিবীতে বর্তমানে ১৭-১৮ জাতের কোয়েল আছে। অন্যান্য পোলট্রির মতো কোয়েলের মাংস এবং ডিম উৎপাদনের জন্য পৃথক পৃথক জাত আছে। কোয়েলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘জাপানিজ কোয়েল’ অন্যতম।
প্রজনন(Breeding):
শুধুমাত্র ডিম ফুটাতে চাইলে স্ত্রী এবং পুরুষ কোয়েল একত্রে রাখার প্রয়োজন। স্ত্রী কোয়েল প্রতিপালন অধিক লাভজনক। আশানুরূপ ডিমের উর্বরতা পেতে হলে ৩টি স্ত্রী কোয়েলের সাথে ১টি পুরুষ কোয়েল রাখার ৪ দিন পর থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করা উচিৎ। স্ত্রী কোয়েল থেকে পুরুষ কোয়েল আলাদা করার পর ৩ দিন পর্যন্ত ফুটানোর ডিম সংগ্রহ করা যায়। উপযুক্ত পরিবেশে প্রথম বছর গড়ে ২৫০-৩০০টি ডিম পাড়ে। কোয়েলের ডিমের গড় ওজন ১০-১২ গ্রাম।
বাচ্চার যত্ন:
সদ্য জন্মানো কোয়েলের বাচ্চা খুবই ছোট থাকে, ওজন মাত্র ৫-৭ গ্রাম। এ সময় যে কোনো রকম ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনার প্রভাব স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম উৎপাদন এবং বেঁচে থাকার ওপর পড়ে। এঅবস্থায় খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টিমান এবং কাম্য তাপমাত্রা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বজায় রাখতে হবে। বাচ্চা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্রুডিং ঘরে এনে প্রথমে গ্লুকোজ এবং এমবাভিট ডলিউ এস জলের সাথে মিশিয়ে পরপর ৩ দিন খেতে দিতে হবে এবং পরে খাদ্য দিতে হবে। প্রথম সপ্তাহ খবরের কাগজ বিছিয়ে তার ওপর খাবার ছিটিয়ে দিতে হবে এবং প্রতিদিন খবরের কাগজ পরিবর্তন করতে হবে। এক সপ্তাহ পর ছোট খাবার পাত্র বা ফ্লাট ট্রে ব্যবহার করতে হবে।
খাঁচায় কোয়েল পালন:
খাঁচায় ৬০টি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১২০ সেমি. দৈর্ঘ্য, ৬০ সেমি. প্রস্থ এবং ৩০ সেমি. উচ্চতা বিশিষ্ট একটি খাঁচার প্রয়োজন। খাঁচার মেঝের জালিটি হবে ১৬-১৮ গেজি | ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত বাচ্চার খাচার মেঝের জালের ফাঁক হবে ৩ মিলিমিটার এবং বয়স্ক কোয়েলের খাঁচায় মেঝের জালের ফাঁক হবে ৫ মিলিমিটার। খাঁচার দুই পার্শ্বে একদিকে খাবার পাত্র অন্যদিকে জলের পাত্র সংযুক্ত করে দিতে হবে। খাঁচায় ৬০টি কোয়েলের জন্য ৩ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট ২৮ বর্গ সেন্টিমিটার বা ৩ বর্গফুট জায়গার প্রয়োজন।
খাদ্য(Food):
ডিম পাড়া কোয়েলের প্রতি কেজি খাবারে ২.৫-৩.০% ক্যালসিয়াম থাকতে হবে। ডিমের উৎপাদন ধরে রাখার জন্য গরমের সময় ৩.৫% ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। সকালে এবং বিকালে খাবার পাত্র ভালো করে পরিষ্কার সাপেক্ষে মাথাপিছু দৈনিক ২০-২৫ গ্রাম খাবার দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, প্রথম সপ্তাহ থেকে ৫ গ্রাম দিয়ে শুরু করে প্রতি সপ্তাহে ৫ গ্রাম করে বাড়িয়ে ২০-২৫ গ্রাম পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রতিটি বয়স্ক কোয়েলের জন্য ১.২৫-২.৫ সেন্টিমিটার (১/২ থেকে ১ ইঞ্চি) খাবার পাত্রের জায়গা দিতে হবে। খাবার জল সবসময় পরিষ্কার দিতে হবে এবং যে পাত্রে দেওয়া হবে সেটিকে প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে |
লিটার ব্যবস্থাপনা:
তুষ, বালি, ছাই, কাঠের গুড়া প্রভৃতি দ্রব্যাদি কোয়েলের লিটার হিসাবে মেঝেতে ব্যবহার করা যায়। অবস্থাভেদে লিটার পরিবর্তন আবশ্যক যেন কোনো রকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি না হয়। মেঝেতে ডিপ লিটার পদ্ধতি অবলম্বন করা ভালো। প্রথমেই ৫-৬ ইঞ্চি পুরু তুষ বিছিয়ে দিতে হবে এবং লক্ষ্য রাখতে হবে যেন লিটার ভিজে না যায়। স্বাভাবিকভাবে শীতকালে লিটার পরিবর্তন এবং স্থাপন করতে হবে, অন্য ঋতুতে লিটার পরিবর্তন এবং স্থাপন করলে লিটারের শতকরা ১-২ ভাগ কলি চুন মিশিয়ে দিতে হবে যেন লিটার শুষ্ক এবং জীবাণুমুক্ত হয়।
কোয়েল পাখি পালনের গুরুত্ব
কোয়েল পাখি পালন বাংলাদেশের পশুপালন খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি স্বল্প জায়গা, কম খরচ এবং দ্রুত উৎপাদনের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কোয়েল পাখি পালনের গুরুত্ব
স্বল্প জায়গায় পালন: কোয়েল পাখি পালনে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। ছোট খামার বা বাড়ির আঙিনায়ও সহজে পালন করা যায়।
খরচ কম: অন্যান্য পোলট্রির তুলনায় কোয়েল পাখি পালনের খরচ অনেক কম। খাদ্য এবং ব্যবস্থাপনা সহজ ও সাশ্রয়ী।
দ্রুত উৎপাদন: কোয়েল পাখি মাত্র ৬-৭ সপ্তাহে ডিম পাড়া শুরু করে। এর বাচ্চাগুলোও দ্রুত বেড়ে ওঠে।
উচ্চ উৎপাদন হার: একটি কোয়েল পাখি বছরে প্রায় ২৫০-৩০০ টি ডিম পাড়ে।
আয়ের সুযোগ: কোয়েলের মাংস এবং ডিমের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, যা কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় টিকে থাকার ক্ষমতা: কোয়েল পাখি বিভিন্ন প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় সহজেই মানিয়ে নিতে পারে।
কোয়েল পাখি পালন শুধু একটি লাভজনক উদ্যোগ নয়, বরং এর ডিম এবং মাংস মানুষের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
মাংসের পুষ্টিগুণ
প্রোটিনে সমৃদ্ধ: কোয়েল পাখির মাংস উচ্চমানের প্রোটিনের একটি উৎস, যা শরীরের পেশি গঠনে সহায়তা করে।
লো ফ্যাট ও ক্যালরি: এর মাংসে ফ্যাট এবং ক্যালরির পরিমাণ কম, যা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য নিরাপদ।
ভিটামিন ও মিনারেল: কোয়েল পাখির মাংসে ভিটামিন বি৬, বি১২, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে: এর মাংসে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হাড় মজবুত করে: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উপস্থিতি হাড় শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক: ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকায় এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
শক্তি বৃদ্ধি: প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি শরীরে শক্তি জোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে।
ত্বকের জন্য ভালো: কোয়েলের মাংসের পুষ্টি উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
কোয়েল পাখি পালন শুধু একটি লাভজনক উদ্যোগ নয়, বরং এর ডিম এবং মাংস মানুষের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
লাইভস্টক
কোয়েলই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে – দা এগ্রো নিউজ
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস, ইচ্ছা, ধৈর্য আর চেষ্টা থাকলে অনেকভাবেই আয় করা যায়। এমনই এক দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন চুন্নু নামের এক যুবক। কোয়েল পাখির খামার দিয়ে তা বিক্রি করে তিনি এলাকার বেকারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন। নিজে হয়েছেন স্বাবলম্বী। চুন্নুর দেখাদেখি ফরিদপুরের বেকার যুবকরা দিন দিন কোয়েল ও টার্কি মুরগি পালনের দিকে ঝুঁকছে। বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় এবং দামও ভালো পাওয়ায় অনেক বেকার যুবক এখন টার্কি-কোয়েল পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে চুন্নু মিয়া গত কয়েক বছর আগে ১৬ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে কোয়েল পালন শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার পুঁজি ২৩ লাখ টাকা। তিনি কোয়েলের পাশাপাশি টার্কি ও তিতির পালন করছেন।
অভাবের সংসারে চুন্নু মিয়া পড়াশোনা বেশিদূর এগোতে পারেনি। তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তখন থেকেই তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। এ কারণে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি।
পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে পঞ্চম চুন্নু। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। চুন্নু তার নিজের ১৬ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে কোয়েল পালন। খলিলপুর বাজারের কাছে ২০ শতাংশ জমি বাৎসরিক ১০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে একটি শেড নির্মাণ করে কোয়েলের খামার করেন তিনি। এ খামারটি শুরু করতে সব মিলিয়ে তার ব্যয় হয়েছিল ৫৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে নিজের ১৬ হাজার টাকা বাদে বাকি টাকার জোগান দিয়েছিল তার এক আত্মীয়।
খলিলপুর বাজার সংলগ্ন ‘ফ্রেন্ড কোয়েল হ্যাচারি টার্কি ও তিতির ফার্ম’-এ গিয়ে কথা হয় চুন্নুর সঙ্গে। চুন্নু জানায়, প্রথমে নওগাঁ থেকে ৩৩৫টি কোয়েল এনে শুরু করেন খামার। প্রতিটি কোয়েলের দাম পড়েছিল ১০ টাকা করে, পরিবহন খরচসহ মূল্য পড়েছিল ১২ টাকা। তিনি জানান, প্রতিটি কোয়েল বছরে ৩ শটি ডিম দেয়। ডিম দেয়া বন্ধ করে দিলে প্রতিটি কয়েল ৩০/৩৫ টাকা দরে বিক্রি করে দেন। তবে ডিম তিনি বিক্রি করেন না। বাচ্চা ফুটিয়ে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন জেলার অন্তত ২৫ জন খামারিদের কাছে সরবরাহ করে থাকেন।
চুন্নু ইনকুইবেটরের মাধ্যমে ডিম থেকে কোয়েলের বাচ্চা ফুটিয়ে প্রতিমাসে গড়ে ৩০ হাজার কোয়েল বিক্রি করেন বিভিন্ন খামারিদের কাছে। এই ইনকিউবেটরটি দুই বছর আগে কিনেছেন তিনি। কোয়েল দিয়ে খামার শুরুর কিছুদিন পর লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন চুন্নু। কিন্তু তাতে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। তবে এখন কোয়েলের পাশাপাশি টার্কি ও তিতির পালন করছেন। ইন্টারনেট ঘেটে টার্কি ও তিতিরের লালন পালন বিষয়ে ধারণা নিয়ে এ ব্যাপারে উৎসাহি হন তিনি।
তিনি জানান, তিতির ও টার্কি বিক্রি হয় ওজন হিসেবে। তিতির সাধারণত সৌখিন ব্যক্তিবর্গ বাড়ির শোভা বাড়াতে পালন করার জন্য সংগ্রহ করে থাকেন। প্রতি কেজি তিতির নয়শ টাকা দরে বিক্রি হয়। আর খাবারের মাংস হিসেবেই টার্কি বিক্রি হয়। এ মাংস মুরগির মাংসের চেয়ে শক্ত এবং কোলেস্টরেল মুক্ত, খেতেও ভালো। টার্কির মাংস বিক্রি হয় ৮শ টাকা কেজি দরে। একটি টার্কিতে আট, দশ থেকে শুরু করে ১৮ কেজি পর্যন্ত মাংস হয়। কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা হতে সময় লাগে ১৮ দিন। অপরদিকে টার্কি ও তিতিরের ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সময় নেয় ২৮ দিন।
চুন্নু অভিযোগ করে বলেন, জেলার পশু হাসপাতালে গিয়ে তেমন একটা সহযোগিতা পাওয়া যায়না। অনেক সময় কাউকেই পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, পশু হাসপাতালের সহযোগিতা পেলে আরও লাভবান হতে পারতাম।
‘আমার রুটি রুজি কোয়েলের মাধ্যমে হয়েছে’-মন্তব্য করে চুন্নু বলেন, অভাবের কারণে বেশিদূর পড়াশোনা করতে পারিনি। তাই চাকরি বাকরির বিফল চেষ্টা না করে সরাসরি নেমে গেছি কোয়েল পালনে। হয়ে উঠেছি একজন খামারি। কোয়েলই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। সঙ্গে দিয়েছে আর্থিক স্বচ্ছলতা আর পরিচিতি।
ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুল হক বলেন, জেলার তরুণ ও যুবকরা কোয়েল চাষে উৎসাহিত হচ্ছে এটি একটি ভালো দিক। কোয়েল চাষ খুবই লাভজনক মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরা খাবার কম খায়, রোগ বালাই হয় না বললেই চলে। পশু হাসপাতালে গিয়ে ভোগান্তির ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাবিবুল হক বলেন, আমাদের জনবলের তীব্র সংকট রয়েছে। ফলে ইচ্ছে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা আমরা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি।
ফরিদপুরে কতজন কোয়েল খামারি রয়েছেন জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের হাতে এ ব্যাপারে পরিপূর্ণ পরিসংখ্যান নেই। তবে আমরা তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি, কিছুদিনের মধ্যে এ সংখ্যা জানাতে পারবো। তবে দিন দিন এর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, বর্তমান সরকার বেকার যুবকদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দিয়ে আসছে। জেলাতে যুব উন্নয়ন, মৎস্য বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ, বিসিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া আছে বেকার ও শিক্ষিত যুব সমাজকে ট্রেনিংসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলার। এ কারণে ফরিদপুরের অনেক বেকার যুবকরাই এখন গাভি পালন, কোয়েল কিংবা টার্কি মুরগি পালনের দিকে বেশি ঝুঁকছে। এতে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
অন্যান্য
জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ
জানুয়ারি মাস বাংলাদেশের কৃষিতে শীতকালীন রবি মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে ফসলের যত্ন নেওয়া, রোপণ, এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা যায়। জানুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজগুলো নিম্নরূপ:
ধান চাষ
বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুতি ও পরিচর্যা:
- বীজতলায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
- বীজতলায় রোগ বা পোকার আক্রমণ হলে তা দ্রুত প্রতিকার করুন।
- চারা ৩০-৩৫ দিনের হলে জমিতে রোপণের জন্য প্রস্তুতি নিন।
বোরো ধানের জমি প্রস্তুত:
- জমি চাষ ও মই দিয়ে সমান করুন।
- সঠিক পরিমাণ সার প্রয়োগ করে জমি প্রস্তুত করুন।
শাকসবজি চাষ
বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি:
- ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, শিম, বেগুন ইত্যাদির পরিচর্যা চালিয়ে যান।
- অতিরিক্ত শীত বা কুয়াশা থেকে ফসল রক্ষায় পাতার আবরণ ব্যবহার করুন।
সেচ এবং আগাছা দমন:
- প্রয়োজন মতো সেচ দিন।
- জমিতে আগাছা জন্মালে দ্রুত পরিষ্কার করুন।
গম ও ভুট্টা চাষ
গম:
- গমের জমিতে প্রয়োজনীয় সেচ দিন।
- রোগবালাই দেখা দিলে উপযুক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
ভুট্টা:
- সঠিক পরিমাণ সার প্রয়োগ করুন।
- পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিন।
ডাল ফসল চাষ
- মসুর, খেসারি, মুগ ইত্যাদি ডালের জমিতে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন।
- জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিয়ে আর্দ্রতা বজায় রাখুন।
সরিষা ও অন্যান্য তেল ফসল
- সরিষার ফুল ধরার সময় জমি শুকনো থাকলে সেচ দিন।
- পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
আলু চাষ
- আলুর জমিতে সঠিক সেচ এবং রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
- আলু সংগ্রহের আগে জমি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ও গবাদি পশুর যত্ন
মাছ চাষ
- পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
- মাছের খাদ্য সরবরাহ নিয়মিত করুন।
গবাদি পশু
- ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘর গরম রাখুন।
- গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পরিষ্কার পানি দিন।
জানুয়ারি মাসের সঠিক কৃষিকাজ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লাইভস্টক
চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র – দা এগ্রো নিউজ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখির খামার গড়ে উঠেছে। অনেকটা শখের বশেই বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাহাবুবুল আলম নাঈম।
মাত্র নয় মাস যেতে না যেতেই তিনি দেখেন লাভের মুখ। এরপর পৌর শহরের সিকদার সড়ক এলাকার নিজবাড়িতে গড়ে তোলেন নূর জাহান লাইভস্টক অ্যান্ড এগ্রো নামের একটি খামার।
শুধু কোয়েল পাখি নয় তার খামারে রয়েছে দেশি হাঁস, মুরগি ও কবুতর। পাশাপাশি নিজের পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ করছেন তিনি। তবে কোয়েল পাখি পালন লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন খামার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পাখি পালনের উপযোগী। কোয়েলের মাংস ও ডিম মুরগির মাংস ও ডিমের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি গৃহপালিত পাখি। কোয়েল পাখির আদি জন্মস্থান জাপানে। পরবর্তীতে এটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
কোয়েল খামারি মাহাবুবুল আলম নাঈম বলেন, মাত্র নয় মাস আগে নরসিংদীর একটি খামার থেকে ৬০০ কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে আনি। তখন অনেকেই বলেছে বাচ্চাগুলো বাঁচবে না, মারা যাবে। তাদের কথা শুনে অনেক কষ্ট হয়েছিল তখন। যখন বাচ্চাগুলো একটু বড় হতে শুরু করেছে তখন খুশিতে মনটা ভরে যায়। ধীরে ধীরে বড় হয় বাচ্চাগুলো সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে বড় হয় আমার স্বপ্নগুলো। একপর্যায়ে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে ডিম পাড়া শুরু করে। তখন আমার কষ্ট দূর হয়ে যায়।
মাহাবুবুল আলম নাঈম বলেন, প্রথমে বাচ্চাগুলো কিনতে আমার সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমার খামারে ১২০০ কোয়েল পাখি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০০ ডিম দেয়। ডিমগুলো স্থানীয় বাজারে ২ টাকা পিস বিক্রি করি। সেই হিসাবে আমার প্রতিদিন আয় ১৬০০ টাকা। মাস শেষে দেখা যায়, কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করে আমার আয় হয় ৫০ হাজার টাকা।
নাঈম আরও বলেন, দিন দিন কোয়েল পাখির ডিম ও মাংসের চাহিদা বাড়ছে। কম পুঁজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়। কোয়েলের আকার ছোট বলে এদের লালন-পালনের জন্য জায়গাও কম লাগে। একটি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ১০ থেকে ১২টি কোয়েল পাখি পালন করা যায়। এই পাখির রোগব্যাধি নেই বললেই চলে। সাধারণত ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়সেই একটি কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এরা ৩৬৫ দিনে ৩২০ ডিম দেয়।
নাঈমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন মাহাবুবুল আলম নাঈম। এরপর একটি ইন্টারন্যাশনাল এনজিওতে প্রজেক্টের আওতায় চাকরি করেন। পরে বেকার হয়ে যান নাঈম। কিছুদিন পর বাজার থেকে শখের বসে দুটি কোয়েল পাখি কিনে লালন-পালন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মাথায় আসে, অধিকহারে এই পাখি পালন করলে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। সেই থেকেই তার পথ চলা শুরু। এখন তার মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা ফোরকানুল ইসলাম বলেন, নাঈমের কোয়েল চাষ দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এই পাখির ডিম ও মাংস পুষ্টিকর হওয়ায় এলাকার অনেকে খাওয়ার জন্য বাসায় নিয়ে যান। এছাড়া দামও খুব কম। আমার মতে, কোয়েলের খামার করে বেকার যুবকেরা কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কোয়েলের ডিম ও মাংসে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। কোয়েলের ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মাঝে মাঝে নাঈম তার খামারের বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি। অল্প পুঁজি ও স্বল্প পরিসরে কোয়েল পালন করা যায়। এর মাংস, ডিম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এ কারণে দিন দিন কোয়েল পালনে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন।
লাইভস্টক
শখের বশে কোয়েল পালন করে সফল মন্টু – দা এগ্রো নিউজ
মাগুরা সদর উপজেলার নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামে কোয়েল পাখির খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রেজাউল ইসলাম মন্টু। বর্তমানে তার খামারের ডিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। অন্যদিকে কোয়েল পাখির মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হওয়ায় প্রতি মাসেই হাজার জোড়া কোয়েল পাখির বাচ্চা বিক্রি করছেন। তবে অর্থনৈতিক কারণে খামারটি আর বড় করা সম্ভব হচ্ছে না।
গ্রামের অনেক বেকার যুবক খামারটিতে কাজ করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ আবার সকালে এসে বিকেলে বাড়ি ফেরেন। খামারের মালিক রেজাউল ইসলাম মন্টু ও তার দুই ভাই খামারে সময় দিয়েই নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
পাইকাররা জানান, খামারটি থেকে উৎপাদিত ডিমের আকার ভালো হওয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকাররা ভিড় জমান নালিয়ারডাঙ্গি গ্রামে। আবার ডিমের আকার-আকৃতি ভালো হওয়ায় বিক্রেতারা ডিম বিক্রি করেও লাভবান হন।
ওই গ্রামের ভ্যানচালক রহমান শেখ জাগো নিউজকে জানান, আড়াই একর (২৫০ শতক) জমির উপর নির্মিত খামারটিতে গ্রামের ১৪-১৫ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। খেয়ে-পড়ে বেশ ভালোই আছে বেশ কয়েকটি পরিবার। এ ছাড়া অনেক ভ্যানচালকও এখানে কাজ করছেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ (২০০ টাকা) পাওয়ায় মানুষ পরিবহন করা বাদ দিয়ে নেমে পড়েছেন এ কাজে।
খামারের মালিক রেজাউল ইসলাম মন্টু জাগো নিউজকে জানান, ১৯৯৬ সালে প্রথম পোল্ট্রি ও লেয়ারের ব্যবসা শুরু করলে তাতে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরে ২০০১ সালে যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর শখের বশে নতুন করে শুরু করেন কোয়েল পাখির খামার। তখন থেকেই তিনি এ ব্যবসা ধরে রেখেছেন এবং সফল হয়েছেন। বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি থেকে শুরু করে কিনেছেন চাষের ট্রাক্টরও।
পোল্ট্রি ও লেয়ারের চেয়ে কোয়েল পাখির খামারে ঝুুঁকি কম ও লাভ বেশি হওয়ায় স্থানীয় অনেকেই এখন কোয়েল পাখির খামার তৈরির কথা ভাবছেন। এ ছাড়া শ্রীপুর উপজেলায়ও ১টি খামার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান এলাকার যুবকরা।
মাগুরা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আনোয়ারুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নসহ এসব ছোট খামারিদের সহজ শর্তে অথবা সুদমুক্ত ঋণ দিলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক সাড়া পড়বে।’ তিনি ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনার জন্য উদ্যোগী হওয়ারও আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টদের।
এগ্রোটেক
কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয় – দা এগ্রো নিউজ
সেই দিন কি তাহলে প্রায় এসে গেল, যখন এমন খাবার বিক্রি হবে দোকানে – যা তৈরি কৃত্রিম মাংস দিয়ে, কিন্তু তা থেকে আসল মাংসের মতোই ‘রক্ত’ বেরোয়?
সম্প্রতি কিছু কিছু দেশে ‘মিট-ফ্রি’ খাবার সহজলভ্য হয়ে ওঠায় বিশেষজ্ঞরা এমন কথাই বলছেন।
মানুষের খাদ্য কিভাবে পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে – তা নিয়ে একদিকে যেমন উদ্বেগ বাড়ছে, অন্যদিকে নিরামিষভোজী হবার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
এই ভেজিটেরিয়ানরা যে খাবার খান তাকে বলে ভেগান ফুড। বিভিন্ন মাংস-জাত খাবারের ভেগান সংস্করণ বের হতে যাচ্ছে এখন। যেমন: ভেগান সসেজ-রোল বা ভেগান বার্গার।
এতে যে মাংস ব্যবহৃত হবে – তা দেখতে চিরাচরিত মাংসের মতোই। এই ‘নিরামিষ মাংসের’ গন্ধ ও স্বাদও আসল মাংসের মতো। এ থেকে আসল মাংসের মতো ‘রক্ত’ও বেরোয়।
এগুলো তৈরি হচ্ছে উদ্ভিদজাত প্রোটিন থেকে। সাধারণত এ কাজে ব্যবহার হচ্ছে গম, মটরশুঁটি বা আলু থেকে। আর এই মাংসের ‘রক্ত’ তৈরি হচ্ছে বীটের রস দিয়ে।
গরুর মাংসের রঙ এবং স্বাদ তৈরি হয় যে প্রাণীজ উপাদানটি থেকে তার নাম হচ্ছে ‘হেম’। ইম্পসিবল ফুডস নামে একটি আমেরিকান ফার্ম সম্প্রতি উদ্ভিজ্জ ‘হেম’ তৈরি করেছে – যা কৃত্রিম মাংসকে আসলের চেহারা এনে দেবে বলেই তারা মনে করছেন।
বিজ্ঞানীরা এখন ল্যাবরেটরিতেও কৃত্রিম মাংস তৈরি করছেন। এটা তৈরি হচ্ছে প্রাণীর স্টেম সেল দিয়ে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন স্তরের কৃত্রিম মাংস তৈরি করা যা রান্না করা বা খাওয়ার অভিজ্ঞতা হবে একেবারেই আসল মাংসের মতো – এর পার্থক্য ধরাই প্রায় অসম্ভব হবে।
এখন পাশ্চাত্যের কিছু সুপারস্টোরে একটা মাংস-মুক্ত শাখাও দেখা যাচ্ছে।
তবে কৃত্রিম মাংস দিয়ে তৈরি খাদ্য পণ্য এখনো বাজারে বা রেস্তোরাঁয় না এলেও কয়েক বছরের মধ্যেই তা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘জাস্ট’ নামে একটি ফার্ম বলছে, ২০১৯ সাল শেষ হবার আগেই তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপার স্টোরগুলোতে ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা চিকেন বা ‘মুরগির মাংস’ আনতে পারবে বলে তারা আশা করছে।
অবশ্য এ জন্য আমেরিকার ফুড এ্যান্ড ড্রাগ এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমতি লাগবে।
তা ছাড়া সে অনুমতি পাওয়া গেলেও ল্যাবরেটরিতে তৈরি মাংস সম্পর্কে মানুষের যে বিরূপ ধারণা বা ‘ছি ছি’ করে ওঠার প্রবণতা – তা একটি বড় বাধা হবে, এমনটাই অনেকের ধারণা।
বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি – দা এগ্রো নিউজ
মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের – দা এগ্রো নিউজ
ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন – দা এগ্রো নিউজ
কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয় – দা এগ্রো নিউজ
জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান – দা এগ্রো নিউজ
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন