আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

এগ্রোবিজ

৩০ টাকার বীজে ৪৫ হাজার টাকা আয়

বর্গাচাষী হিসেবে কৃষি উদ্যোক্তায় ২০১৭ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারও পেয়েছেন। তার দেখাদেখি এ উপজেলার অনেকেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন

খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার বর্গাচাষী সুরশ্বের মল্লিক। তিনি ৩০ টাকার পালং শাকের বীজ ক্রয় করে বর্গা জমিতে চাষ করেন। সেই ৩০ টাকার বীজে উৎপাদিত ফসল (শাক) বিক্রি করেছেন ৪৫ হাজার টাকা। তার এই সাফল্যে হতবাক স্থানীয়রা।   

এভাবেই নিরলস প্রচেষ্টায় অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ফসল ফলিয়ে হতদরিদ্র এই কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এক সময় নিজের বসতভিটাটুকুই ছিল তার। কয়েক বছর আগেও সে অন্যের জমিতে কামলা (দিনমজুর) দিয়ে সংসার চালাতো। এখন গড়েছেন নিজের পাকা বাড়ি। পেয়েছেন জাতীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারও।

ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দকাঠি গ্রামের কৃষক সুরেশ্বর মল্লিক। বাড়ির পাশের একখন্ড (৫০ শতক) পতিত জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ওই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল ফলিয়ে এলাকায় চমক সৃষ্টি করছেন এই কৃষক।

এক বছরের জন্য ওই জমি বর্গা নেয় কৃষক মল্লিক। জমির মালিককে বছরে দিতে হয় ২৫ হাজার টাকা। এ জমিতে মাত্র ৩০ টাকার পালং শাকের বীজ বপন করেন তিনি। বীজ বপনের ৪৫ দিনের মাথায় স্থানীয় পাইকারদের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় ক্ষেতের সব শাক বিক্রি করেছেন।

একজন বর্গাচাষী হিসেবে কৃষি উদ্যোক্তায় ২০১৭ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারও পেয়েছেন। তার দেখাদেখি এ উপজেলার অনেকেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

কৃষক সুরেশ্বর মল্লিক জানান, আমি আগে অন্যের জমিতে কাজ করতাম। এখন অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করি। আমি এলাকার গরিব বেকার মহিলাদের আমার ক্ষেতে কাজে লাগাই। যাতে তারা কিছু আয় করতে পারে।

তিনি ইউএনবিকে বলনে, ৪৫ দিনের মাথায় এই আয় হয়েছে। বছরের বাকী দিনে আরও ফসল ফলাতে পারবো এবং আয় করতে পারবো।

ডুমুরিয়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকতিয়ার হোসেন জানান, এটি একটি লাভজনক চাষ। পালং শাক চাষে তেমন কোনো খরচ নেই বললেই চলে। বীজ বপনের পর কয়েকদিন ঠিকমতো পানি দিতে হয় এবং আগাছা পরিষ্কার রাখতে হয়। তাকে এলাকার অনেকেই অনুসরণ করে।

একই এলাকার চাষী মো. ইমরান হোসেন মোড়ল জানান, তাকে দেখে এলাকার অনেকেই চাষাবাদে আগ্রহী হচ্ছে। সুরেশ্বরের নিজের কোনো জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছেন। সে আমাদের অনেকের কাছে অনুসরণীয় একজন কৃষক।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, কৃষকরা যাতে অল্প জমিতে বেশি লাভ করতে পারে এবং কীটনাশক ব্যবহার না করে আমরা সে ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি। সুরেশ্বর একজন বর্গা চাষী। সে প্রথমদিকে জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করতো। আমাদের পরামর্শে সে এখন জৈব সার (ভার্মি কম্পোস্ট) ব্যবহার করে। তার বাড়িতেই আমরা কৃষক স্কুল মাঠ (স্থানীয় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র) তৈরি করেছি।

‘উপজেলা কৃষি অফিসের নিবীড় তত্ত্বাবধানে উপজেলার অনেক কৃষকই সাফল্য অর্জন করছে। যাদের মধ্যে সুরেশ্বর অন্যতম, বলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।

এগ্রোবিজ

বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি – দা এগ্রো নিউজ

??বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি ???
??বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি ???

বীজ হলো কৃষির প্রাণ। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা বাড়ে এবং ফসলের ফলন নিশ্চিত হয়। তাই উন্নত ফসল উৎপাদনের জন্য বীজের যত্ন ও পরিচর্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পদ্ধতিতে বীজ সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করলে ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং উৎপাদন খরচ কমে।

বীজ পরিচর্যার ধাপসমূহ

ভালো বীজ নির্বাচন করুন

  • বীজ নির্বাচন ফসল উৎপাদনের প্রথম ধাপ।
  • রোগমুক্ত, ভালো মানের, এবং আকারে সমান বীজ নির্বাচন করুন।
  • প্রত্যয়িত বা পরীক্ষিত বীজ ব্যবহার করুন।

বীজ শোধন প্রক্রিয়া

  • শোধন কী? বীজ শোধন হলো বীজ থেকে রোগজীবাণু ও পোকামাকড় দূর করার পদ্ধতি।
  • পদ্ধতি: ছত্রাকনাশক বা কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • উদাহরণ: প্রতি কেজি বীজে ২-৩ গ্রাম ছত্রাকনাশক মিশিয়ে শোধন করুন।
  • জৈব শোধন: জৈব উপাদান যেমন নিম পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।

বীজের সঠিক সঞ্চয়ন

  • শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন: বীজ এমন জায়গায় সংরক্ষণ করুন যেখানে আর্দ্রতা কম এবং বাতাস চলাচল করে।
  • আলো ও তাপ থেকে দূরে রাখুন: সরাসরি সূর্যের আলো বা তাপ থেকে বীজকে দূরে রাখুন।
  • বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করুন: বীজ রাখার জন্য বায়ুরোধী পাত্র বা প্যাকেট ব্যবহার করুন।

অঙ্কুরোদগম পরীক্ষা করুন

  • বীজের অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা পরীক্ষা করুন।
  • পদ্ধতি: ১. ১০০টি বীজ একটি ভেজা কাপড়ে মোড়ান। ২. কয়েকদিন পর দেখুন কতগুলো বীজ অঙ্কুরিত হয়েছে। ৩. ৮০% বা তার বেশি অঙ্কুরোদগম হলে সেই বীজ চাষের জন্য উপযুক্ত।

বীজ প্রাক-চাষ পরিচর্যা

  • ভিজিয়ে রাখা: বীজ চাষের আগে ১২-২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এটি অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
  • উপযুক্ত তাপমাত্রা বজায় রাখা: চাষের আগে বীজের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা নিশ্চিত করুন।

বীজ এর পরিচর্যা করার সুবিধাসমূহ

  • মাটি ও বীজজাত জীবাণু ও পোকামাকড় থেকে অঙ্কুরিত বীজ ও চারাগাছ রক্ষা
  • বীজের অঙ্কুরোদ্গম করার ক্ষমতা বৃদ্ধি
  • দ্রুত এবং সুসংবদ্ধ বৃদ্ধি
  • শুঁটি জাতীয় শস্যের দ্রুত শুঁটি বেরোনো
  • মাটি ও পাতায় নজর দেওয়ার চেয়ে বীজে বেশি নজর দেওয়া সুবিধাজনক
  • খারাপ পরিস্থিতিতেও (অতিরিক্ত বা কম আর্দ্রতায়) শস্যের উৎপাদনে সমতা

বীজ এর পরিচর্যা করার পদ্ধতি

বীজ পরিচর্যা এমন একটা শব্দ, যা একই সঙ্গে পণ্য এবং প্রক্রিয়া দুই-ই বোঝায়। নীচে বর্ণিত যে কোনও একটি পদ্ধতিতে বীজ পরিচর্যা করা যেতে পারে।

বীজ ড্রেসিং

এটা বীজ পরিচর্যার সবচেয়ে চালু পদ্ধতি। বীজকে শুকনো বা তরল মিশ্রণে অথবা থকথকে কাদার মধ্যে রাখা হয়। বীজের সঙ্গে কীটনাশক মেশানোর জন্য সস্তা মাটির পাত্র ব্যবহার করা যায়। পলিথিন চাদরের উপর বীজ ছড়িয়ে তার উপর উপযুক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে। চাষিরা যান্ত্রিক পদ্ধতিতেও এই কাজ করতে পারেন। খামার এবং শিল্পক্ষেত্র, দু’জায়গাতেই বীজ ড্রেসিং করা হয়ে থাকে।

বীজ আচ্ছাদন
বীজ এর পরিচর্যা করার পদ্ধতি

বীজ আচ্ছাদন

বীজের ক্ষমতা বাড়াতে একটি বিশেষ দ্রব্য দিয়ে তাকে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়। এই আচ্ছাদনের জন্য উন্নত বীজ পরিচর্যা প্রযুক্তির প্রয়োজন। এই পদ্ধতি সাধারণত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

বীজের বড়ি দেওয়া
বীজের বড়ি দেওয়া

বীজের বড়ি দেওয়া

এটা সবচেয়ে উন্নত বীজ পরিচর্যা পদ্ধতি। এতে বীজের আকার পাল্টে যায়, স্বাদ বাড়ে এবং বীজ ব্যবহার করাও সুবিধাজনক হয়। এর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দরকার এবং এটা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ পদ্ধতি।

বীজ এর পরিচর্যা করার পরামর্শ সমূহ

শস্যকীট/রোগবীজ পরিচর্যা
আখশিকড়ে পচন, ধসা রোগকার্বেন্ডাজিম(০.১%)
২ গ্রাম প্রতি কিলো বীজে
ট্রাইকোডার্মা এসপিপি
৪-৬ গ্রাম প্রতি কিলো বীজে
ধানশিকড়ে পচনট্রাইকোডার্মা ৫-১০ গ্রাম প্রতি কিলো বীজে (রোপণের আগে)
অন্যান্য পোকামাকড়ক্লোরোপাইরিফস ৫-১০ গ্রাম প্রতি কিলো বীজে
ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে শুকিয়ে যাওয়াসিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স ০.৫% ডবলিউ পি ১০ গ্রাম, প্রতি কিলো বীজে
শিকড়ের গ্রন্থিতে নেমাটোড০.২% মোনোক্রোটোফসে ৬ ঘণ্টা বীজ ভিজিয়ে রাখুন
অগ্রভাগে রোগ নেমাটোড০.২% মোনোক্রোটোফসে বীজ ভিজিয়ে রাখুন
লঙ্কাস্যাঁতস্যাতে হয়ে যাওয়া, অ্যানথ্রাকনোস এসপিপিপ্রতি কিলো বীজে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডে, প্রতি ১০০ গ্রাম বীজে ১ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম
মাটিবাহিত ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণপ্রতি কিলো বীজে ২ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডে এবং সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স ১০ গ্রাম, প্রতি কিলো বীজে, কাপ্তান ৭৫ ডব্লিউ এস, এক লিটার জলে দেড় থেকে আড়াই গ্রাম এআই মিশিয়ে মাটি ভেজানো
জাসিদ, আফিদ, থ্রিপসইমিডাক্লোপ্রিড ৭০ ডব্লিউএস, প্রতি কিলো বীজে ১০-১৫ গ্রাম এআই
অড়হরধসা, শিকড়ে পচন, শুকিয়ে যাওয়াপ্রতি কিলো বীজে ৪ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা এসপিপি
মটরশিকড়ে পচনব্যাসিলাস সাবটিলিস বা সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স দিয়ে বীজের পরিচর্যা,
১০০ গ্রাম এফওয়াইএম-এ আড়াই থেকে ৫ গ্রাম মাটিতে প্রয়োগ অথবা প্রতি কিলো বীজে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম বা কাপ্তান প্রয়োগ
সাদা পচনপ্রতি কিলো বীজে ২ গ্রাম থিরাম+কার্বেন্ডাজিম
প্রতি কিলো বীজে ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম বা কাপ্তান
ঢ্যাঁড়শশিকড়ের গ্রন্থিতে রোগবীজ ড্রেসার হিসেবে প্রতি কিলো বীজে ১০ গ্রাম প্যাসিলোমিসেস লিলাসিনাস এবং সিউডোমিনাস ফ্লুরোসেন্স
টম্যাটোমাটি বাহিত ছত্রাক জাতীয় রোগ বা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যাওয়া, ধসা রোগ, শুকিয়ে যাওয়া১০০ গ্রাম বীজে ২ গ্রাম টি ভিরিডে, কাপ্তান ৭৫ ডব্লিউএস প্রতি লিটার জলে দেড় থেকে ২ গ্রাম এআই মিশিয়ে মাটি ভেজানো,
বীজ ড্রেসার হিসেবে প্রতি কিলো বীজে ১০ গ্রাম সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স এবং ভি ক্ল্যামিডোস্পোরিয়াম
ধনেধসাপ্রতি কিলো বীজে ৪ গ্রাম টি ভিরিডে
বেগুনব্যাকটেরিয়াজনিত ধসাপ্রতি কিলো বীজে ১০ গ্রাম সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স
শুঁটিজাতীয় শস্যমাটি বাহিত সংক্রমণ১০০ গ্রাম বীজে ২ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডে
নেমাটোডকাবোর্ফুরান অথবা কার্বোসালফান ৩%(ডব্লিউ/ডব্লিউ)
সূর্যমুখীবীজের পচনপ্রতি কিলো বীজে ৬ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ভিরিডে
জাসিডস, হোয়াইট ফ্লাইপ্রতি কিলো বীজে ৫-৯ গ্রাম এআই মিডাক্লোরোপিড ৪৮ এফএস,
প্রতি কিলো বীজে ৭ গ্রাম এআই ইমিডাক্লোরোপিড ৭০ ডব্লিউএস
গমউইরোপণের আগে প্রতি কিলো বীজে ৪ এমএল ক্লোরোপাইরিফস বা ৭ এমএল এনডোসালফান দিয়ে পরিচর্যা করতে হবে
শিষে কালো হয়ে যাওয়াথিরাম ৭৫ % ডব্লিউপি,
কার্বক্সিন ৭৫ % ডব্লিউপি,
টেবুকোনাজল ২ ডিএস প্রতি কিলো বীজে ১.৫ থকে ১.৮৭ গ্রাম এআই,
প্রতি কিলো বীজে ৪ গ্রাম টি ভিরিডে ১.১৫ % ডব্লিউপি
ফুলকপি,
বাঁধাকপি,
ব্রকলি,
মুলো
মাটি বা বীজ বাহিত রোগ (স্যাঁতস্যাতে হয়ে যাওয়া)১০০ গ্রাম বীজে ২ গ্রাম টি ভিরিডে দিয়ে বীজ পরিচর্যা,
১ লিটার জলে দেড় থেকে আড়াই গ্রাম এআই কাপ্তান ৭৫% ডব্লিউএস দিয়ে মাটি ভেজানো
শিকড়ের গ্রন্থিতে রোগ(নেমাটোড)বীজ ড্রেসার হিসেবে প্রতি কিলো বীজে ১০ গ্রাম সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স বা ভার্লিসিলিআম ক্ল্যামিডোস্পোরিয়াম
ছোলাধসা রোগ ও স্যাঁতস্যাতে হয়ে যাওয়াপ্রতি কিলো বীজে ৯ গ্রাম টি ভিরিডে ১% ডব্লিউপি দিয়ে বীজ পরিচর্যা,
কার্বেন্ডাজিম ও কাবোর্সালফিন ২% মিশিয়ে বা
কার্বেন্ডাজিম, থিরাম ও কাবোর্সালফিন ২ % মিশ্রণ প্রয়োগ,
প্রতি কিলো বীজে ১৫-৩০ এমএল এআই ক্লোরোফাইরোফস ২০ ইসি দিয়ে বীজ পরিচর্যা
আলুমাটি ও স্ফীতমূল বাহিত রোগএমইএমসি ৩% ডব্লিউএস ০.২৫ % বা বোরিক অ্যাসিড ৩ % দিয়ে সংরক্ষণ করার ২০ মিনিট আগে পরিচর্যা
বার্লিকালো হয়ে যাওয়া, উইপ্রতি কিলো বীজে ১.৫ থকে ১.৮৭ গ্রাম এআই, কার্বক্সিন ৭৫% ডব্লিউপি, থিরাম ৭৫% ডব্লিউপি প্রয়োগ,
প্রতি কিলো বীজে ৪ এমএল ক্লোরোফাইফস দিয়ে বীজ পরিচর্যা
ক্যাপসিকামশিকড়ের গ্রন্থিতে নেমাটোডপ্রতি কিলো বীজে ১০ গ্রাম সিউডোনোমাস ফ্লুরোসেন্স ১ %, ডব্লিউপি প্যাসিলোমিসেস লিলাকিরাস ও ভার্টিসিলাম ক্ল্যামিডেস্পোরিয়াম ১ % ডব্লিউপি বীজ ড্রেসার হিসেবে প্রয়োগ

বীজ ড্রেসিং-এর জন্য ধাতব বীজ ড্রেসার /মাটির পাত্র অথবা পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করা হয়

বীজ পরিচর্যার উপকারিতা
বীজ পরিচর্যার উপকারিতা

বীজ পরিচর্যার উপকারিতা

১. উচ্চ অঙ্কুরোদগম হার: পরিচর্যার ফলে বীজ দ্রুত অঙ্কুরিত হয়।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: বীজ শোধনের ফলে রোগ ও কীটপতঙ্গ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

৩. উন্নত ফলন: পরিচর্যায় বীজের গুণগত মান বজায় থাকে, যা ফলন বৃদ্ধি করে।

৪. খরচ সাশ্রয়: বীজের সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে কৃষি খরচ কমে।

বীজ পরিচর্যার কিছু টিপস
বীজ পরিচর্যার কিছু টিপস

বীজ পরিচর্যার কিছু টিপস

  • সংরক্ষণের আগে বীজ পুরোপুরি শুকিয়ে নিন।
  • পোকামাকড় প্রতিরোধে নিমতেল বা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • পুরনো বীজের পরিবর্তে প্রতি মৌসুমে নতুন বীজ ব্যবহার করুন।
  • উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের বীজের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।

সঠিক পদ্ধতিতে বীজ পরিচর্যা করলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি কৃষকের জন্য একটি সহজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। তাই, উন্নত ফলনের জন্য বীজ পরিচর্যার সঠিক ধাপগুলো অনুসরণ করুন এবং কৃষি কাজে সফলতা অর্জন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ – দা এগ্রো নিউজ

জয়পুরহাটে পাঁচবিবি উপজেলার বিনধারার গ্রামে এবার হচ্ছে মাঠজুড়ে চায়না জাতের তরমুজের চাষ। উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম শাহিন এবং কয়েকজন প্রান্তিক কৃষক বিনধারা মাঠে প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে চায়না জাতের ব্লাকবেবী তরমুজের চাষ করছেন।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ

আকারে ছোট খেতে সুস্বাধু এ জাতের তরমুজের গায়ের রং কালো হওয়ায় ”ব্লাকবেবী” হিসাবেই পরিচিত। ব্লাকবেবী চাষ অন্য ফসলের তুলনায় বহুগুনে লাভজনক।

মাচা পদ্ধতিতে বারোমাসি তরমুজ চাষ বিবেচিত হচ্ছে সম্ভাবনাময় একটি কৃষি পণ্য হিসাবে। এই তরমুজের জীবনকাল মাত্র ৬০ দিনের। ১ বিঘা জমির জন্য প্রয়োজন ৫০ গ্রাম বীজ। যার দাম ৩ হাজার ৮’শ টাকা। বিঘাপ্রতি সেড তৈরীর মালসিং পেপার ৭ হাজার ৫’শ,  মাচা পদ্ধতিতে শেড তৈরীর বাঁশ আর মজুরী খরচ ১০ হাজার, সার মাটি আর বালাই নাশক স্প্রে বাবদ ৭ হাজার ৫’শ, পরিচর্য্যা মজুরী ৬ হাজার, পরিবহন খরচ ২ হাজার সর্বমোট বিঘা প্রতি তরমুজ  চাষে খরচ হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ

এক বিঘা জমিতে ৬০ দিনে তরমুজ উৎপাদন হয় প্রায় ১২ ’শ থেকে ১৫’শ পিস তরমুজ যার ওজন প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ মেট্রিক টন। প্রতিটি তরমুজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে যার বিক্রি মূল্য হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় নীট লাভ থাকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। যা তুলনামূলক অন্যান্য ফসলের চাইতে অনেক লাভজনক। একটি সেড তৈরী হলে  সেই শেডে নুন্যতম তিনটি তরমুজের আবাদ করা যায়। ফলে স্থায়ী এই খরচটি পরের দু’বার হয় না। ফলে পরের দু’বারে উৎপাদন খরচ কমে গিয়ে লাভের ভাগ আরো বেশী হয়।আবার বারোমাসই এই তরমুজ পাওয়া যায় বলে এর চাহিদা বেশী। তাইওয়ানের  জেসমিন-১,  জেসমিন-২ ও ব্লাক প্রিন্স জাতের তরমুজে পোকামাকড়ের আক্রমণ তুলনা মূলক বলে ফসলে মার খাওয়ার ঝুঁকিও কম। গাছের গোড়ায় জলাবদ্ধতা ছাড়া এই জাতের উৎপাদন ব্যাহত হবার আর কোন কারন নেই। এই তরমুজ অনেক সুস্বাদু, পুষ্টিকর। সবচেয়ে বড় আশা জাগানিয়া কথা হচ্ছে বোরো ধান কাটার পর প্রায় দু’ আড়াই মাস জমি পতিত থাকে। দু’টি ধান চাষের মাঝে অনায়াসে একার তরমুজের ফলন সম্ভব। ফলে জমির সঠিক ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হচ্ছে তেমনি বাড়ছে আয়। এ সব কারনে তরমুজ চাষে বাড়ছে কৃষকের সংখ্যা।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লাভজনক চায়না তরমুজের চাষ

সরেজমিনে দেখাযায়, পলিথিন দিয়ে তরমুজের বীজ বোপনের জন্য বরাবর বেড তৈরী করা হয়েছে। বাশ ও জিআই তারে তৈরী ঝাংলায় তরমুজ গাছের সবুজ পাতাগুলো শোভা বর্ধন করছে। কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, পরিচিত এক বন্ধুর এ জাতের তরমুজ চাষে লাভবান হয়েছে এবং তার কথা শুনেই তিনিও শুরু করেছেন। প্রায় ৪০ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হলেও এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রয় হবে এমন আশা প্রকাশ করেন তিনি। চায়না তরমুজ ছাড়াও তিনি টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী সবজিও চাষ করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার – দা এগ্রো নিউজ

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে ‘পোকা’ এনে সিলেটের বিশ্বনাথে খামার গড়ে তুলেছেন খলিলুর রহমান নামের এক প্রবাসী যুবক। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে ‘হাজি বায়োসাইকেল কোম্পানি’ নামে প্যারেট পোকার (ব্ল্যাক সোল্ডার ফ্লাই) এই খামারটি গড়ে তুলেছেন তিনি। এ ধরনের পোকার খামার সিলেট বিভাগে এই প্রথম বলে জানা গেছে।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

রোববার সকালে সরেজমিনে খামারটিতে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিনসেড ঘরের ভেতরে ৫টি বড় মশারি দিয়ে সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে ৫টি খাঁচা। খাঁচার ভেতরে রয়েছে পোকা। আর এই পোকার খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিত্যক্ত বিভিন্ন খাবার (ওয়েস্ট ফুড)।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

যুক্তরাজ্য প্রবাসী খলিলুর রহমান জানান, মাতৃভূমিতে কিছু একটা করার ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাই জন্মভূমি বিশ্বনাথে একটি কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগির খামার করি। কিন্তু কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগির খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় চিন্তা করি কীভাবে কম মূল্যে খাবার সংগ্রহ করা যায়। এরপর সিদ্ধান্ত নেই একটি প্যারেট পোকার খামার করার। যাতে কম মূল্যে খামারের কোয়েল পাখি ও লেয়ার মুরগির পুষ্টিকর খাবার সংগ্রহ সম্ভব হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী যুক্তরাজ্যর একটি ফার্ম থেকে ১৫০ গ্রাম (প্রায় ১৫০টি) পোকা সংগ্রহ করে দেশে নিয়ে আসি। এরপর গত ২৬ জুন থেকে বাড়ির পাশে খামার তৈরি করে থেকে পোকার চাষ শুরু করি।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

তিনি আরও জানান, পাখি ও মুরগির পুষ্টিকর খাবার ‘প্যারেট পোকা’। এই পোকায় রয়েছে ৪০ শতাংশ প্রোটিন ও ২০ শতাংশ ফ্যাট। একটি স্ত্রী পোকা ৫০০ থেকে ৬০০টি ডিম দেয়। ডিম থেকে বাচ্চা (লার্ভা) জন্ম নেয়। এরপর ২১দিনে পোকা পরিপূর্ণ হলে তা পাখি ও মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৫ দিনে একটি পোকা ডিম দেয়ার উপযুক্ত হয় এবং ডিম দেয়ার পরই ওই পোকা মারা যায়। মরা এই পোকাই কোয়েল ও মুরগির প্রিয় খাবার।

পোকার খাদ্য হিসেবে উচ্ছিষ্ট ও পঁচা খাবার ব্যবহৃত হয়। চাষের জন্য প্রতি কেজি পোকা ১২ হাজার টাকা এবং পাখি ও মুরগির খাবারের জন্য ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব। এটি একটি লাভজনক খামার। খামারে তিন ধরনের (ভিটল, কিক্রেটস ও ব্ল্যাক সোল্ডার ফ্লাই) পোকা চাষ করা হচ্ছে।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

খলিলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ‘বায়োকনর্ভাশন ইনোভেটিভ’ সেন্টার শুরু করার লক্ষ্যে ১৫০ গ্রাম (প্রায় ১৫০টি) পোকা ২৫০ টাকায় ক্রয় করি। বর্তমানে আমার খামারে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার পোকা রয়েছে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে খামারটি আরও বড় করার পরিকল্পনা আছে।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

এদিকে পোকার এই ব্যতিক্রমী খামার দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের লোকজন প্রতিদিন খলিলুর রহমানের খামারে ভিড় করছেন। মানুষের এই আগ্রহ ও কৌতুহল তাকে আরও বেশি খামারের প্রতি মনোযোগী করে তুলছে বলে জানান তিনি।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার

এদিকে পোকার এই ব্যতিক্রমী খামার দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের লোকজন প্রতিদিন খলিলুর রহমানের খামারে ভিড় করছেন। মানুষের এই আগ্রহ ও কৌতুহল তাকে আরও বেশি খামারের প্রতি মনোযোগী করে তুলছে বলে জানান তিনি।

প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
প্রবাসী খলিলুরের ব্যতিক্রমী ‘পোকা’র খামার
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

গরুর খাঁটি দুধ প্রতি কেজি ৬০ টাকা

সন্দ্বীপে প্রতিদিন সকালে বসে খাঁটি গরুর দুধের বাজার। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় গোয়ালেদের। গরুর খামার এবং গৃহপালিত গরু-মহিষ থেকে দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন তারা। প্রতি কেজি গরুর দুধ বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকায়।

জানা যায়, খাঁটি দুধের এ বাজারগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও লক্ষণীয়। সন্দ্বীপের শিবেরহাট, ধোপারহাট, আলীমিয়া বাজার, চৌধুরী বাজার, গুপ্তছড়া বাজার, সেনেরহাট, তালতলী বাজার, চৌমুহনী বাজার, আকবর হাটে সকালে এ দুধ পাওয়া যায়। পণ্ডিতের হাটে বিকেলেও পাওয়া যায়। সন্দ্বীপের অধিকাংশ বাড়িতেই দু-তিনটি করে গরু পালন করা হয়। ফলে দুধের বিশাল ঘাটতি পূরণে সহায়তা হচ্ছে। সন্দ্বীপের বিয়ে-শাদিতে দইয়ের রেওয়াজ বহুদিনের পুরোনো। প্রতিদিন পাইকারিভাবে দুধ কিনে দইয়ের ঘাটতি পূরণ করেন ব্যবসায়ীরা।

গরুর খাঁটি দুধ হাত ও দল বদল হয়ে শহরে গিয়ে খাঁটি থাকে না। সন্দ্বীপের বাজারগুলো হচ্ছে খাঁটি দুধের বাজার। দুধের হাটে গিয়ে দেখা যায়, বোতল কিংবা জগে ভর্তি দুধ সাজিয়ে বসে আছেন অনেকে। ক্রেতারা এসে পরিমাণমতো দুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

ধোপারহাট বাজারে ফোরকান উদ্দিন নামে একজন দুধ কিনতে এসেছিলেন। তিনি জানান, তার নাতির জন্য প্রতিদিন দুধ লাগে। এখানে দাম একটু বেশি হলেও দুধ ভেজালমুক্ত। তাই তিনি এখান থেকেই কিনে নেন।

দুধ বিক্রতা মো. বেলাল বলেন, ‘আগে ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম। এখন খুচরাসহ বিভিন্ন হোটেলে পাইকারি দরে দুধ বিক্রি করি। হোটেল মালিকরা দুধ দিয়ে দই, রসগোল্লা, সন্দেশসহ বিভিন্ন মিষ্টি তৈরি করেন। আমার চারটি গাভি রয়েছে। প্রতিদিন ১০-১২ কেজি দুধ দেয়। তবে ভুষির দাম বেশি হওয়ায় খরচ একটু বেশি।’

সন্দ্বীপের এই দুধ আসলে খাঁটি কি-না, তা জানার কোনো উপায় নেই। ফলে স্যানেটারি কার্যক্রম না থাকার অভিযোগ অনেকের। যে কারণে দুধ কখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় না। এ ব্যাপারে পল্লীচিকিৎসক ডা. নুরুল আনোয়ার হিরন বলেন, ‘বর্তমানে চারদিকে ভেজালের ছড়াছড়ি। মাঝে মাঝে দুধ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।’

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

আনারস চাষে বাড়তি আয়

আনারস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষ করে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত আনারস বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশে মূলত সিলেট, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও টাঙ্গাইল জেলায় ব্যাপক আকারে আনারস চাষ হয়।

আনারস একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসলও বটে। পুষ্টিগুণের দিক থেকেও আনারস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে জেনে নিন কীভাবে আনারস চাষ করে বাড়তি আয় করবেন।

মূলধন
এক বিঘা জমিতে আনারস চাষের জন্য প্রায় ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকটাত্মীয়, সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) শরণাপন্ন হতে পারেন। এসব প্রতিষ্ঠান শর্তসাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।

প্রশিক্ষণ
আনারস চাষের আগে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে খুঁটিনাটি জেনে নিন। এছাড়া চাষসংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে।

জলবায়ু
আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময় আনারস চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে সেচের সুবিধা থাকলে মাঘ মাসের মাঝামাঝি থেকে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময়েও চারা লাগানো যায়।

মাটির প্রকৃতি
দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি আনারস চাষের জন্য বেশি উপযুক্ত।

জাত
হানিকুইন: পাকা আনারসের শাঁস হলুদ বর্ণের হয়। চোখ সূঁচালো ও উন্নত। গড় ওজন প্রায় ১ কেজি। পাতা কাঁটাযুক্ত ও পাটল বর্ণের। হানিকুইন বেশ মিষ্টি।

জায়েন্ট কিউ: পাকা আনারস সবুজাভ ও শাঁস হালকা হলুদ, চোখ প্রশস্ত ও চেপ্টা। গড় ওজন প্রায় ২ কেজি। গাছের পাতা সবুজ ও প্রায় কাঁটাবিহীন।

ঘোড়াশাল: পাকা আনারস লালচে এবং ঘিয়ে সাদা রঙের হয়। চোখ প্রশস্ত। গড় ওজন প্রায় ১.২৫ কেজি। পাতা কাঁটাযুক্ত, চওড়া ও ঢেউ খেলানো।

বংশ বিস্তার
স্বাভাবিক অবস্থায় আনারসের বীজ হয় না। তাই বিভিন্ন ধরনের চারার মাধ্যমে আনারসের বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। সাধারণত পার্শ্ব চারা, বোঁটার চারা, মুকুট চারা ও গুঁড়ি চারা দিয়ে এর বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। এরমধ্যে পার্শ্ব চারা বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।

জমি তৈরি
• মাটি ঝরঝরে করে চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল করে নিতে হবে। যাতে বৃষ্টির পানি কোথাও জমে না থাকে।
• জমি থেকে ১৫ সেন্টিমিটার উঁচু এবং ১ মিটার প্রশস্ত বেড তৈরি করতে হবে।
• এক বেড থেকে অপর বেডের মধ্যে ৫০-১০০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রাখতে হবে।

রোপণ
• এক মিটার প্রশস্ত বেডে ২ সারিতে চারা রোপণ করতে হবে।
• সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেন্টিমিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ৩০-৪০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।

সার প্রয়োগ
ভালো ফলন পেতে চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে।

সেচ ও নিষ্কাশন
• শুষ্কমৌসুমে আনারস ক্ষেতে সেচ দেওয়া খুবই জরুরি।
• বর্ষা মৌসুমে গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে, সেজন্য নালা কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

রোগ-বালাই ও প্রতিকার
জমিতে পোকার আক্রমণ হলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।

পরিচর্যা
• চারা বেশি লম্বা হলে ৩০ সেন্টিমিটার পরিমাণ রেখে আগার পাতা সমান করে কেটে ফেলা।
• জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখা।

ফল সংগ্রহ
সাধারণত চারা রোপণের ১৫-১৬ মাস পর মাঘ মাসের মাঝামাঝি থেকে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে আনারস গাছে ফুল আসে। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি থেকে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে আনারস পাকে। এসময় পাকা ফল সংগ্রহ করতে হয়।

বাজার সম্ভাবনা
টিনজাত খাদ্য হিসেবে আনারস সংরক্ষণ করা যায়। খাওয়ার পাশাপাশি আনারস দিয়ে জ্যাম, জেলি ও জুস তৈরি করা যায়। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন
কফি চাষের প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে কফি চাষের সম্ভাবনা

কফি চাষের প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে কফি চাষের সম্ভাবনা

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার: ফলনের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর সেরা উপায়!

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার: ফলনের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর সেরা উপায়!

জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! – দা এগ্রো নিউজ

জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ: নিয়ম, উপকারিতা ও গুরুত্ব

জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ: নিয়ম, উপকারিতা ও গুরুত্ব – দা এগ্রো নিউজ

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র – দা এগ্রো নিউজ

খামার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পদ্ধতি: পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ

খামার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পদ্ধতি: পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ – দা এগ্রো নিউজ

ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও ইলিশ রান্নার মজাদার রেসিপি

ইলিশ মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও ইলিশ রান্নার মজাদার রেসিপি – দা এগ্রো নিউজ

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন – দা এগ্রো নিউজ

??বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি ???

বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি – দা এগ্রো নিউজ

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের – দা এগ্রো নিউজ

স্মার্ট এরিয়েটর এর সাথে অটো ফিডিং সিস্টেম – লাভজনক মাছ চাষ করার প্রযুক্তি

স্মার্ট এরিয়েটর এর সাথে অটো ফিডিং সিস্টেম – লাভজনক মাছ চাষ করার প্রযুক্তি – দা এগ্রো নিউজ

ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন

ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন – দা এগ্রো নিউজ

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার – দা এগ্রো নিউজ

কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয়

কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয় – দা এগ্রো নিউজ

জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান

জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান – দা এগ্রো নিউজ

ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছ

ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন – দা এগ্রো নিউজ

খামার বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করব কীভাবে?

খামার বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করব কীভাবে? – দা এগ্রো নিউজ

শীর্ষ সংবাদ