আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

লাইভস্টক

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র
চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কোয়েল পাখির খামার গড়ে উঠেছে। অনেকটা শখের বশেই বাড়িতে কোয়েল পাখি পালন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাহাবুবুল আলম নাঈম।

মাত্র নয় মাস যেতে না যেতেই তিনি দেখেন লাভের মুখ। এরপর পৌর শহরের সিকদার সড়ক এলাকার নিজবাড়িতে গড়ে তোলেন নূর জাহান লাইভস্টক অ্যান্ড এগ্রো নামের একটি খামার।

শুধু কোয়েল পাখি নয় তার খামারে রয়েছে দেশি হাঁস, মুরগি ও কবুতর। পাশাপাশি নিজের পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষ করছেন তিনি। তবে কোয়েল পাখি পালন লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন খামার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের আবহাওয়া কোয়েল পাখি পালনের উপযোগী। কোয়েলের মাংস ও ডিম মুরগির মাংস ও ডিমের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এটি গৃহপালিত পাখি। কোয়েল পাখির আদি জন্মস্থান জাপানে। পরবর্তীতে এটা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হয়ে উঠে।

কোয়েল খামারি মাহাবুবুল আলম নাঈম বলেন, মাত্র নয় মাস আগে নরসিংদীর একটি খামার থেকে ৬০০ কোয়েল পাখির বাচ্চা কিনে আনি। তখন অনেকেই বলেছে বাচ্চাগুলো বাঁচবে না, মারা যাবে। তাদের কথা শুনে অনেক কষ্ট হয়েছিল তখন। যখন বাচ্চাগুলো একটু বড় হতে শুরু করেছে তখন খুশিতে মনটা ভরে যায়। ধীরে ধীরে বড় হয় বাচ্চাগুলো সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে বড় হয় আমার স্বপ্নগুলো। একপর্যায়ে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে ডিম পাড়া শুরু করে। তখন আমার কষ্ট দূর হয়ে যায়।

মাহাবুবুল আলম নাঈম বলেন, প্রথমে বাচ্চাগুলো কিনতে আমার সর্বমোট ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমার খামারে ১২০০ কোয়েল পাখি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০০ ডিম দেয়। ডিমগুলো স্থানীয় বাজারে ২ টাকা পিস বিক্রি করি। সেই হিসাবে আমার প্রতিদিন আয় ১৬০০ টাকা। মাস শেষে দেখা যায়, কোয়েল পাখির ডিম বিক্রি করে আমার আয় হয় ৫০ হাজার টাকা।

নাঈম আরও বলেন, দিন দিন কোয়েল পাখির ডিম ও মাংসের চাহিদা বাড়ছে। কম পুঁজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়। কোয়েলের আকার ছোট বলে এদের লালন-পালনের জন্য জায়গাও কম লাগে। একটি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ১০ থেকে ১২টি কোয়েল পাখি পালন করা যায়। এই পাখির রোগব্যাধি নেই বললেই চলে। সাধারণত ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়সেই একটি কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এরা ৩৬৫ দিনে ৩২০ ডিম দেয়।

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র
চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র

নাঈমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন মাহাবুবুল আলম নাঈম। এরপর একটি ইন্টারন্যাশনাল এনজিওতে প্রজেক্টের আওতায় চাকরি করেন। পরে বেকার হয়ে যান নাঈম। কিছুদিন পর বাজার থেকে শখের বসে দুটি কোয়েল পাখি কিনে লালন-পালন শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মাথায় আসে, অধিকহারে এই পাখি পালন করলে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। সেই থেকেই তার পথ চলা শুরু। এখন তার মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দা ফোরকানুল ইসলাম বলেন, নাঈমের কোয়েল চাষ দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এই পাখির ডিম ও মাংস পুষ্টিকর হওয়ায় এলাকার অনেকে খাওয়ার জন্য বাসায় নিয়ে যান। এছাড়া দামও খুব কম। আমার মতে, কোয়েলের খামার করে বেকার যুবকেরা কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামান বলেন, কোয়েলের ডিম ও মাংসে প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। কোয়েলের ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

কলাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মাঝে মাঝে নাঈম তার খামারের বিষয়ে পরামর্শ নিতে আসেন। আমরা তাকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি। অল্প পুঁজি ও স্বল্প পরিসরে কোয়েল পালন করা যায়। এর মাংস, ডিম সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। এ কারণে দিন দিন কোয়েল পালনে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন।

লাইভস্টক

কোয়েল পাখির জাত

কোয়েল পাখির জাত
কোয়েল পাখির জাত

কোয়েল পোল্ট্রির ক্ষুদ্রতম সদস্য। বিশ্বব্যাপী বহু বুনো প্রজাতি/কোয়েল পাখির জাত রয়েছে, যেমন- ‘রেইন কোয়েল’, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কোয়েল’, ‘মাউন্টেন কোয়েল’, ‘মন্টেজুমা কোয়েল’, ‘হারলেকুইন কোয়েল’, ‘রঙিলা কোয়েল’ ইত্যাদি।

তবে এসব কোয়েল পাখির জাতের মধ্যে ‘জাপানি কোয়েল’ ও ‘বব হোয়াইট কোয়েল’ ছাড়া অন্য কোন প্রজাতিকে যেমন গৃহপালিত করা হয়নি, তেমনি বাণিজ্যিকভিত্তিতে পোল্ট্রি হিসেবে এই দু’প্রজাতি ছাড়া অন্য কোন কোয়েল পালন করা হয় না।

জাপানি কোয়েল ডিম মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হলেও বব হোয়াইট কোয়েল মূলত মাংসের জন্যই পোষা হয়।

বাণিজ্যিক জাপানি কোয়েল পাখির জাত বেশ কয়েকটি আছে এবং উপজাতও রয়েছে, যেমন- ‘ফারাও’, ‘ব্রিটিশ রে’, ‘ইংলিশ হোয়াইট’, ‘ম্যানচুরিয়ান গোল্ডেন’, ‘টুক্সেডো’, ‘ফন/ব্রাউন’ কোয়েল ইত্যাদি।

নিম্নে ডিম মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা জাপানি কোয়েল পাখিরফারাওফনউপজাতের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো

কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’
কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’

কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’

উৎপত্তি প্রাপ্তিস্থান 

এই উপজাতের জাপানি কোয়েলটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এদের উৎপত্তি জাপান, চীনসহ এশিয়া অন্য কয়েকটি দেশে। জাপানে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে এর ডিম উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোহয়েছে। 

বৈশিষ্ট্য

  • এরা ছোট ও গাট্টাগোট্টা পাখি।
  • পালকের মূল রং বাদামি; এর উপর থাকে গাঢ় চকোলেট বা কালো রঙের ছোঁপ।
  • বুকের উপরের অংশের বাদামি রঙের উপর কালো বা খয়েরি গোলাকার ফোঁটা থাকে।
  • বুকের নিচের অংশ তামাটে।
  • এরা ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে। বার্ষিক ডিম উৎপাদন- ২৭৫-৩০০টি।
  • প্রাপ্তবয়ষ্ক কোয়েলের ওজন- ১৫০- ১৭৫ গ্রাম।
কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’
কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’

কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’

উৎপত্তি প্রাপ্তিস্থান: এদের উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান ফারাওয়ের মতোই। 

বৈশিষ্ট্য:

  • এদের পালকের রঙের ধরন ফারাওয়ের মতোই, কিন্তু রং একেবারেই হালকা। কোন কালচে ভাব নেই।
  • বাচ্চাগুলোর দেহের কোমল পালকের রং হলদে; এর উপরের ছোপগুলো বেশ হালকা।
  • এরা অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। ফারাওয়ের মতো মারামারি বা ঠোঁকরাঠুকরি করে না।
  • বাকি সব বৈশিষ্ট্য ফারাওয়ের মতোই।
  • এরা ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে। বার্ষিক ডিম উৎপাদন- ২৭৫-৩০০টি।
  • এদের প্রাপ্তবয়ষ্ক কোয়েলের ওজন- ১৫০-১৭৫ গ্রাম।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে

গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে
গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে প্রাণীর অভ্যন্তরীণ বিপাকীয় এবং অভ্যাসগত পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশে সংকরায়ণের ফলে তৈরি জাত শীত সহ্য করতে পারে না। গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে।

খাদ্য অভ্যাস : শীতকালে প্রাণী শরীরে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে দুধের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বাড়তি উৎপাদনের জন্য চাই বাড়তি শক্তি। তাই শীতকালে গরুকে অধিক খাবার দেয়া জরুরি। তবে একই সাথে এটাও মনে রাখতে হবে শীতকালে গরুর শরীরে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের প্রবলতা দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে থেকে রক্ষা করতে গরুকে অধিক আশযুক্ত খাবার যেমন ঘাস খড় দেয়া আবশ্যক।

পানি : শরীরবৃত্তীয় কাজে কম পানি দরকার হওয়ায় এবং অধিক ঠান্ডা হওয়ায় শীতকালে সকল প্রাণী পানি পানের পরিমান কমিয়ে দেয়। এই সমস্যা উত্তরণের জন্য গরুকে ট্যাংকে সংরক্ষিত বাসি ঠান্ডা পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে হবে। গরুর জন্য বিশুদ্ধ ফ্রেশ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

বাসস্থান : শীতকালে ঠান্ডা বাতাস যেন সরাসরি গরুর গায়ে না লাগে এইজন্য ঠান্ডা বাতাস প্রবেশের রাস্তা গুলো চটের বস্তা অথবা পলিথিন বা অন্য কোন উপায়ে বন্ধ করে দিতে হবে। ঠান্ডা বাতাসে গরুর নিউমোনিয়া সহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রয়োজনে গরুকে পুরান কম্বল বা পাটের বস্তা এই জাতীয় জিনিস দিয়ে রাতে জড়িয়ে রাখতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: ঠান্ডায় গরুর শেডে যেন পানি জমে না থাকে অথবা গরুর প্রস্রাব জমে না থাকে এবং ফ্লোর যেন অধিক শুষ্ক থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। দরকার হলে ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।

রোগ ব্যাধি : শীতকালে গরু নিউমোনিয়া, কাশি সহ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই রোগের বিষয়ে বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। ঠান্ডা জনিত কোনো সমস্যার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাতের কাছে বিশুদ্ধ মধু এবং তুলসী গাছ রাখতে হবে।

বাছুরের যত্ন : ঠান্ডায় সবচে বেশি আক্রান্ত হয় নবজাতক বাছুর। যেহেতু বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই ঠাণ্ডাজনিত রোগের শিকার ও সবচে বেশি হয়। তাই শীতকালে অবশ্যই বাছুরকে গরম কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে এবং গরম এবং শুষ্ক জায়গা রাখতে হবে। কোনো প্রকার ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতে আপনার বিশেষ যত্নই আপনার খামারকে শীতকালীন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। আর এজন্য আপনার সচেতনতা সবচে বেশি জরুরি।

গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে সংবাদের তথ্য বাংলাদেশ গবাদি পশু ও পাখি খামারি উন্নয়ন সংগঠন নামক কমিউনিটি সংস্থা থেকে নেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

পোলট্রি খামারে শীতকালীন পরিচর্যা

পোলট্রি খামারে শীতকালীন পরিচর্যা
পোলট্রি খামারে শীতকালীন পরিচর্যা

বর্তমানে আমিষের অভাব দূরীকরণে আমাদের দেশে পোল্ট্রি পালনের বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকার দেশের যুব সমাজের জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ ঋণ দিয়ে পোল্ট্রি পালনে উত্সাহিত করছে।

শীতকালে পোল্ট্রি খামারের বিশেষ যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি, লেয়ার খামারে ডিমের সংখ্যা এবং বেড়ে যেতে পারে মৃত্যু ঝুঁকি। তাই শীতকালে মুরগির বাচ্চার সঠিক তাপমাত্রা সরবরাহ করা একটি প্রধান সমস্যা।

এছাড়াও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খামারিরা মুরগির ঘরে পলিথিন বা মোটা কাপড়ের পর্দা ঝুলিয়ে রাখেন। এ কারণে মুরগির বাচ্চার ঘরে মুক্ত বাতাস বিশেষ করে অক্সিজেন সরবরাহে অপ্রতুলতা, এমোনিয়া গ্যাস বৃদ্ধির কারণে শ্বাসকষ্ট, মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়াসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। ফলে প্রতিদিনই বাচ্চা মারা যায়। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিচের বিষয়গুলো ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে:

১. ঘরে অবশ্যই ছালার বা চটের পর্দা ঝুলাতে হবে।

২. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাবল করে চটের পর্দা সেলাই করে তবেই পর্দা ঝুলাতে হবে। অতিরিক্ত শীতে চিক গার্ডের চারদিকে এবং উপরে মশারীর মত করে চটের পর্দা ঝুলানো যেতে পারে।

৩. ব্রুডার বক্সে ২০০ ওয়াটের বাল্ব লাগিয়ে ব্রুডিং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়াও তাপ দেওয়ার ঘরে অতিরিক্ত কিছু বাল্ব রিফ্লেকটারসহ নিচু করে ঝুলানো যেতে পারে এবং প্রয়োজন অনুসারে এগুলো জ্বালাতে হবে।

৪. লোডশেডিং এবং তীব্র শীতের সময় তাপ দেয়ার ঘরে চিক গার্ডের চারদিকে প্রয়োজনমত কেরোসিনের স্টোভ জ্বালিয়ে ব্রুডিং তাপমাত্রা ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কেরোসিনের স্টোভের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেগুলো নীলাভ আগুন বের হয় এবং যেগুলো হোটেল রেস্তরাঁয় ব্যবহূত হয়।

৫. ব্রুডিং তাপমাত্রা কম হলে বাচ্চা এক জায়গায় জড়ো হয়ে গাদাগাদি করে থাকে, বিশেষ করে রাতের বেলায় এবং এতে করে নিচে চাপে পড়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে অনেক বাচ্চা মরে যেতে দেখা যায়। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য ঘরের তাপমাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে বাচ্চাগুলোকে নাড়িয়ে দিতে হবে যেন অনেকক্ষণ একসাথে গাদাগাদি করতে না পারে।

সবসময় মনে রাখতে হবে ইলেকট্রিক ব্রুডারের মাধ্যমে তাপ সরবরাহ করার চেয়ে গ্যাস ব্রুডার ব্যবহার করাই সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত। কারণ ইলেকট্রিক ব্রুডার ব্যবহারের মাধ্যমে মুরগির ঘরে আলোর কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে শীতকালে ইলেকট্রিক ব্রুডারের পাশাপাশি গ্যাস ব্রুডার ব্যবহার করলে সঠিকভাবে আলোর কর্মসূচি পালন করা যাবে, সেইসাথে ব্রুডিং তাপমাত্রাও যখন যা প্রয়োজন সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেমন- ১ম সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ২য় সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ৩য় সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ৪র্থ সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ৫ম সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা: ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইড রাখতে হবে তবে চিক গার্ড খুলে দিতে হবে। ব্রুডিং -এর সময় প্রথম ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত দৈনিক একবেলা প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম করে Electrolyte খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি
কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

বর্তমানে কোয়েল পালন অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। হাঁস-মুরগির পরিপূরক হিসেবে কোয়েল পাখি বেশ জনপ্রিয়। এই পাখিটির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং ডিমও খুব উপাদেয়। ফলে এটি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বেশ ভালোভাবে মেটায়।

সাধারণভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়সের কোয়েল দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করতে পারে। মাত্র ৬ সপ্তাহে বা ৪২ দিনে কোয়েল পাখি ডিম এবং মাংস প্রদানের জন্য দৈহিকভাবে উপযোগী হয়।

স্বল্প জায়গা ও স্বল্প পুঁজিতে কোয়েল পালন করা যায়। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ১টি মুরগির জায়গায় ৮টি কোয়েল পালন করা সম্ভব। ফলে প্রান্তিক চাষীদের কিংবা যারা শখের বসে খামার করে, তাদের কাছে কোয়েল পালনও দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে আমরা কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি জানব।

এখানে আপনি  কোয়েল পাখি পালন ও জাপানি কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো সম্পর্কে  জানতে পারবেন। কোয়েল পাখির বাসস্থান সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বিভিন্ন বয়সের জাপানি কোয়েলের কোয়েল পাখির খাবার তালিকা তৈরি করতে পারবেন। কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা এবং কোয়েল পাখি পালনে আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

কোয়েল পালনের সুবিধা(Benefits of bater farming)
কোয়েল পাখি পালন

কোয়েল পাখি পালন

জাপানি কোয়েল পোল্ট্রি শিল্পের নতুন সদস্য। বাণিজ্যিক জাপানি কোয়েলের অনেকগুলো জাত ও উপজাত রয়েছে, যেমন- ফারাও, ব্রিটিশ রেঞ্জ, ইংলিশ হোয়াইট, ম্যানচুরিয়ান গোল্ডেন, টুক্সেডো ও ব্রাউন কোয়েল।

মুরগির পরে পোল্ট্রি শিল্পে আরও যেসব পোল্ট্রি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাদের মধ্যে কোয়েল পাখি পালন, হাঁস, রাজহাঁস ও কবুতর পালন অন্যতম। পোল্ট্রি শিল্পে তুলনামূলকভাবে জাপানি কোয়েল বর্তমানে বিকল্প পোল্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

জাত ও উপজাতভেদে কয়েল পাখির বিভিন্ন জাত ও উপজাতগুলোর পালকের রং, ওজন, আকার, আকৃতি, ডিম পাড়ার হার, ডিমের ওজন, বেঁচে থাকার হার ইত্যাদিতে পার্থক্য থাকলেও ডিম ও মাংস উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় একই।

খাঁচায় কোয়েল পালন
কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো

কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো

জাপানি কোয়েল পালনের প্রথম ধাপই হলো ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো।

  • বাচ্চা ফোটানোর লক্ষ্যে ডিম উৎপাদনের জন্য প্যারেন্ট স্টকের বয়স ১০-৩০ সপ্তাহের মধ্যে হওয়া ভালো।
  • উর্বর ডিম ফোটানোর জন্য স্ত্রীঃপুরুষ অনুপাত ১ঃ২ হওয়া প্রয়োজন।
  • কোয়েলের ডিম অত্যন্ত পাতলা খোসাবিশিষ্ট হওয়ায় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে।
  • ডিমের ওজন ৯-১১ গ্রাম হলে ভালো।
  • মুরগির ডিমের মতোই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদ্ধতিতে কোয়েলের ডিম ফোটানো যায়।
  • জাপানি কোয়েলের ডিম গড়ে ১৭ দিনে ফোটে।
কোয়েল পাখি পালনে দ্বিগুন অর্থ লাভ করুন
কোয়েল পাখির বাচ্চা লালন পালন

কোয়েল পাখির বাচ্চা লালন পালন

জাপানি কোয়েলের প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় গ্রাম।

  • ৪-৫ সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়েলের বাচ্চাগুলোকে লিটারে রেখে মুরগির বাচ্চার মতো তাপ প্রদান করতে হবে যাকে ব্রুডিং বলে।
  • ঘরটিকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
  • ব্রুডারের ভিতরের অর্থ্যাৎ চিকগার্ডের মধ্যে প্রতি বাচ্চার জন্য ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ১২৫-১৪০ বর্গ সেমি জায়গা প্রয়োজন।
  • চিকগার্ডের মধ্যে পযার্প্ত বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ট্রেতে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

কোয়েল পালনে ব্রুডারের নিচে আদর্শ তাপমাত্রা হলো

বয়সতাপমাত্রা (সেলসিয়াস)
দিন৩৫ সে.
১৪ দিন৩২.২০ সে.
১৫২১ দিন২৯.৫০ সে.
২২২৮ দিন২৬.৫০ সে.
কোয়েল পাখির বাসস্থান
কোয়েল পাখির বাসস্থান

কোয়েল পাখির বাসস্থান

জাপানি কোয়েল মেঝে থেকে খাঁচায় পালন অধিকতর ভালো।

  • কোয়েলের বাসস্থানটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ঐ ঘরে পর্যপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
  • ৫০টি কোয়েল পালনের জন্য ১২০ সেমি দৈর্ঘ্য, ৬০ সেমি প্রস্থ ও ৫ সেমি উচ্চতার একটি খাঁচাই যথেষ্ট।
  • খাঁচার মেঝেটি তারের জাল দিয়ে তৈরি হতে হবে।
  • খাঁচার মেঝের জালের ফাঁক হবে ৪ মিমি ৪ মিমি।

গবেষণায় দেখা গেছে, কোয়েলকে ১২ মাস খাঁচায় এবং মেঝেতে পালনে যথাক্রমে ১৩৫. গ্রাম এবং ১৪০. গ্রাম দৈহিক ওজন হয় এবং মাসিক ডিম উৎপাদন বাড়ে যথাক্রমে ৬০% এবং ৫৮%

কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা
কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা

কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা

জাপানি কোয়েলের স্বাস্থ্য রক্ষা, দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম মাংস উৎপাদনের জন্য সুষম কোয়েল পাখির খাবার প্রয়োজন।

  • ০-৩ সপ্তাহ বয়সের পাখির জন্য খাদ্যে আমিষের প্রয়োজন শতকরা ২৭%, ৪-৫ সপ্তাহে ২৪% এবং ৬ সপ্তাহ থেকে বাকি সময়ের জন্য ২২% প্রয়োজন।
  • সাধারণত একটি পূর্ণ বয়ষ্ক কোয়েল প্রতিদিন ২০-২৫ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।
  • প্রতিটি বাচ্চার জন্য ১ মাস পর্যন্ত ১ মিমি পানির জায়গা দিতে হবে। খোলা পানি দেয়া যাবে না। এতে বাচ্চা সহজেই পানিতে পড়ে যাবে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে মারাও যেতে পারে।
  • কোয়েল পাখির খাবার ও পানির পাত্র মুরগির খামারে ব্যবহৃত আকারে একটু ছোট হলে ভাল হয়। তবে কোয়েল খুব ঘন ঘন পানি পান করে। তাই কোয়েলের খাচায় কয়েকটি স্থানে পানির ব্যবস্থা খাকতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে পানির পাত্রগুলো যেন খাঁচার সাথে শক্ত করে আটকানো থাকে। যাতে পানির পাত্র উপচে বা উল্টে পড়ে কোয়েলের গা ভিজে না যায়।

প্রারম্ভিক (স্টারটার) ( সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন

খাদ্য উপাদান (%)পরিমাণ (%) সূত্রপরিমাণ (%) সূত্র
. গম ভাঙ্গা৫০.০০৫০.০০
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৭.০০০৬.০০
. তিলের খৈল১৫.০০২৩.০০
. শুটকি মাছের গুঁড়া২০.০০১৮.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া০২.০০০২.৪০
. মাছের তেল০১.০০
. লবণ০০.২৫০০.৩০
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

বৃদ্ধির (গ্রোয়ার) ( সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন

খাদ্য উপাদান (%)পরিমাণ (%) সূত্রপরিমাণ (%) সূত্র
. গম ভাঙ্গা৫৩.০০৫৩.০০
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০০৮.০০
. তিলের খৈল১৫.০০২৩.০০
. শুটকি মাছের গুঁড়া১৮.০০১৫.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া০৩.৫০০৩.৪০
. মাছের তেল০১.০০
. লবণ০০.২৫০০.৩০
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

লেয়ার রেশন ( সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন

খাদ্য উপাদানপরিমাণ (%)
. গম ভাঙ্গা৫০.০০
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০
. তিলের খৈল২৩.০০
. শুটকি মাছের গুঁড়া১২.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া০৫.০০
. মাছের তেল
. লবণ০০.৪০
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.৩০

কোয়েল পাখির আদর্শ খাবার বা রেশন

খাদ্য উপাদান সপ্তাহ পর্যন্ত (%)৪র্থ সপ্তাহশেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত (%)
. গম/ভুট্টা ভাঙ্গা৪৮.০০৫০.০০
. চালের কুঁড়া৮.০০৮.০০
. তিলের খৈল২২.০০২০.০০
. প্রোটিন কনসেনট্রেট৯.০০৮.০০
. সয়াবিন মিল১০.০০১০.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া২.৫০৩.৫০
. লবণ০.৫০০.৫০
মোট১০০.০০১০০.০০

কোয়েল পাখির খাবার গ্রহনের আদর্শ গাইড লাইন

বয়সখাদ্যের পরিমাণ/কোয়েল/দিন
সপ্তাহ৩-৪ গ্রাম
২য় সপ্তাহ৭-৯ গ্রাম
৩য় সপ্তাহ১১-১৪ গ্রাম
৪র্থ সপ্তাহ১৫-১৮ গ্রাম
৫ম সপ্তাহ১৮-২০ গ্রাম
৬ষ্ঠ সপ্তাহ হতে শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত২০-২৪ গ্রাম

কোয়েল পাখি পালনে আলোর ব্যবস্থাপনা

বয়সপ্রয়োজনীয় আলোক ঘন্টা
৪র্থ সপ্তাহ১২ ঘন্টা
৫ম সপ্তাহ১৩ ঘন্টা
৬ষ্ঠ সপ্তাহ১৪ ঘন্টা
৬ষ্ঠ সপ্তাহ হতে শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত১৬ ঘন্টা

কোয়েল পাখির দানাদার খাবার তৈরিকরণ

কোয়েল পাখির আদর্শ খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদান সপ্তাহ পর্যন্ত (%)৪র্থ  সপ্তাহশেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত (%)
. গম/ভুট্টা ভাঙ্গা৪৮.০০৫০.০০
. চালের কুঁড়া৮.০০৮.০০
. তিলের খৈল২২.০০২০.০০
. প্রোটিন কনসেনট্রেট৯.০০৮.০০
. সয়াবিন মিল১০.০০১০.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া২.৫০৩.৫০
. লবণ০.৫০০.৫০
মোট১০০.০০১০০.০০
কোয়েলেই কোটিপতি শামীম
কোলের পাখির ডিম

বিভিন্ন বয়সের কোলের পাখির খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদানফরমুলা: প্রারম্ভিক (স্টারটার) ( সপ্তাহ)ফরমুলাপ্রারম্ভিক (স্টারটার) ( সপ্তাহ)
. গম ভাঙ্গা৫০.০০ %৫০.০০ %
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৭.০০ %০৬.০০ %
. তিলের খৈল১৫.০০ %২৩.০০ %
. শুটকি মাছের গুড়া২০.০০ %১৮.০০ %
. ঝিনুকের গুড়া০২.০০ %০২.৪০ %
. মাছের তেল০১.০০ %
. লবণ০০.২৫ %০০.৩০ %
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

বিভিন্ন গ্রোয়ার বা বৃদ্ধি পর্যায়ের কোলের পাখির খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদানফরমুলা: বৃদ্ধি (গ্রোয়ার) ( সপ্তাহ)ফরমুলা: বৃদ্ধি (গ্রোয়ার) ( সপ্তাহ)
. গম ভাঙ্গা৫৩.০০ %৫০.০০ %
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০ %০৮.০০ %
. তিলের খৈল১৫.০০ %২৩.০০ %
. শুটকি মাছের গুড়া১৮.০০ %১৫.০০ %
. ঝিনুকের গুড়া০৩.৫০ %০৩.৪০ %
. মাছের তেল০১.০০ %
. লবণ০০.২৫ %০০.৩০ %
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

বিভিন্ন লেয়ার বা ডিম পাড়া কোলের পাখির খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদানলেয়ার রেশন ( সপ্তাহ)
. গম ভাঙ্গা৫০.০০ %
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০ %
. তিলের খৈল২৩.০০ %
. শুটকি মাছের গুড়া১২.০০ %
. ঝিনুকের গুড়া০৫.০০ %
. মাছের তেল
. লবণ০০.৪০ %
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.৩০ %

কোয়েল একটি সৌখিন পাখি বর্তমানে এর মাংস এবং ডিম খুব জনপ্রিয়। কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো, বাচ্চা লালন পালন, খাদ্য এবং পানি ব্যবস্থাপনা রেশন তৈরি করা এবং আলোক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

অন্যান্য

মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ
মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাস কৃষি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতকালীন ফসলের শেষ পরিচর্যা এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের প্রস্তুতি এ সময়ে শুরু হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সময়ে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এখানে মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
ধান চাষ

ধান চাষ

বোরো ধানের পরিচর্যা

  • ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করুন।
  • পোকামাকড় যেমন ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার (Brown Plant Hopper) এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নিন।
  • ইউরিয়া এবং পটাশ সারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রয়োগ করুন।

গ্রীষ্মকালীন ধান চাষ

  • গ্রীষ্মকালীন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করুন।
  • উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন করুন।
গম চাষ
গম চাষ

গম চাষ

  • গম ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
  • ফসল কাটার পর জমি পরিষ্কার করুন এবং পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।
ডালশস্য
ডালশস্য

ডালশস্য

  • মুগ, মাসকলাই, এবং ছোলার বীজ বপন করুন।
  • আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং সঠিক সময়ে সেচ দিন।

তৈলবীজ চাষ

সূর্যমুখী এবং সয়াবিন

  • বীজ বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
  • সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করুন।
সবজি চাষ
সবজি চাষ

সবজি চাষ

গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন

  • লাউ, কুমড়ো, করলা, এবং ঢেঁড়স বীজ বপন করুন।
  • আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সেচ প্রদান করুন।

শীতকালীন সবজি সংগ্রহ

  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, এবং মূলা সংগ্রহ করে বাজারজাত করুন।

ফল চাষ

  • আম, লিচু, এবং কাঁঠাল গাছের মুকুল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
  • নতুন ফলের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।
মৎস্য চাষ
মৎস্য চাষ

মৎস্য চাষ

  • পুকুর পরিষ্কার করুন এবং পানি পরিবর্তন করুন।
  • মাছের খাবারের পরিমাণ এবং পুষ্টি বাড়িয়ে দিন।
  • পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু পালন
গবাদি পশু পালন

গবাদি পশু পালন

  • গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।
  • গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা নিশ্চিত করুন।

মার্চ মাসে কৃষি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের আয় বাড়ে। সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে করণীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে সফল কৃষিকাজ নিশ্চিত করা সম্ভব।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ