দৈনন্দিন
করোনাভাইরাস: যতসব ভুল ধারণা- কি বলছে ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসে নিয়ে জনমনে আতঙ্ক যত বাড়ছে, সেই সাথে ছড়িয়ে পড়েছে পরিত্রাণের নানা ফর্মুলা।
ফেসবুকের মত সামাজিক গণমাধ্যমে চোখ রাখলেই প্রতিদিন এমন হাজারো পরামর্শ তত্ত্ব চোখে পড়বে যেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন কিছু ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে মানুষকে সাবধান করেছে।
গরম আবহাওয়াতেও ছড়াতে পারে কোভিড-১৯
এটা ঠিক যে অনেক সংক্রামক রোগ- বিশেষ করে ফ্লু, শীতের মাসগুলোতেই বেশি হয়। ডিসেম্বরে প্রথম যখন চীনের করোনাভাইরাস ছড়ায় তখন সেখানে বেশ ঠাণ্ডা ছিল। পরবর্তীতে যেসব দেশে এই ভাইরাস ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে, সেগুলোর অনেকগুলোই শীতপ্রধান। ফলে, একটি সাধারণ ধারণা তৈরি হয়েছে যে গরম পড়লেই এই ভাইরাস মরে যাবে। কিছু কিছু গবেষণাতেও দেখা, গরম আবহাওয়াতে নতুন এই করোনাভাইরাসের স্থায়িত্ব অপেক্ষাকৃত কম।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, যেহেতু ভাইরাসটি নতুন, সুতরাং নিশ্চিতভাবে বলা এখনও সম্ভব নয় যে, গরম- স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এই ভাইরাস বাঁচেনা । বরঞ্চ এখন পর্যন্ত যেসব প্রমাণ বিজ্ঞানীদের হাতে রয়েছে, তাতে যে কোনো জায়গায়, যে কোনো আবহাওয়াতেই কোভিড-১৯ ভাইরাস বিস্তারের ক্ষমতা রাখে।
সুতরাং, ডব্লিইএইচও বলছে, গরম পড়লেও আপনার উচিৎ হবে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করা। মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন, বারবার হাত ধুতে হবে, এবং চোখ,মুখ বা কান স্পর্শ করবেন না।
বরফে ঢাকা পড়ে যাবে ভাইরাস
শীতের দেশের বহু মানুষ মনে করছেন, ভারী বরফ পড়লে হয়তো করোনাভাইরাস টিকবে না। ভুল। বাইরের তাপমাত্রা যত বেশিই থাকুক না কেন আপনার শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ডিগ্রি সেলসিয়াস। সুতরাং বিভ্রান্তিতে না ভুগে, সাবধানতা অবলম্বন করুন।
গরম পানিতে গোসল কি বাঁচার উপায়
শুধু গরম পানিতে গোসল করলেই কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয়। বরঞ্চ বেশি গরম পানিতে গোসল করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। গরম পানিতে গোসল নয়, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে আপনি ভাইরাস ঠেকাতে পারেন।
রসুন খেলে কি সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে?
সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে এই ভাইরাস ঠেকাতে রসুন খাওয়ার বহু পরামর্শ চোখে পড়েছে। কিন্তু ডব্লিউএইচও বলছে, এই ধারণা ঠিক নয়। রসুন স্বাস্থ্যকর একটি খাবার যার ভেতর জীবাণুনাশক কিছু উপাদান হয়তো রয়েছে। কিন্তু, নতুন এই করোনাভাইরাস ঠেকাতে রসুন কাজ করবে- এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আদৌ নেই।
কমবয়সীরা কি নিরাপদ, করোনাভাইরাস কি শুধু বয়স্কদেরই হামলা করে?
যে কোনো বয়সের লোকই নতুন এই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এটা ঠিক যে, বেশি বয়স্ক লোক এবং যারা জমা, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের মত রোগে ভুগছেন, তাদের ওপর এই ভাইরাসের প্রতিক্রিয়া বেশি হবে, কিন্তু অল্পবয়সীরাও এই ভাইরাসে সমানভাবে আক্রান্ত হতে পারেন।
মশার কামড়ে কি করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে?
এখন পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ বিজ্ঞানীদের হাতে নেই যে মশার কামড়ের মাধ্যমে করোনাভাইরাস একজনের দেহ থেকে অন্যের দেহে যেতে পারে। নতুন এই করোনাভাইরাস শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে, এবং আক্রান্ত মানুষের হাঁচি-কাশি, থুতুর মাধ্যমেই তা অন্যের শরীরে ঢোকে। সুতরাং কারো ভেতর এসব উপসর্গ দেখলে দূরে থাকুন।
শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন ছিটিয়ে কি বাঁচা যাবে
এক কথায় উত্তর – না। শরীরে যদি একবার ভাইরাস ঢুকে যায়, তাহলে শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন ছিটিয়ে কোনো লাভ নেই। বরঞ্চ তাতে চোখ বা মুখের ক্ষতি হতে পারে।
নিউমোনিয়ার টিকা কি কোভিড-১৯ ঠেকাবে?
এখন যে যে ধরণের নিউমোনিয়ার টিকা বাজারে রয়েছে, সেগুলো নতুন এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করেনা। করোনাভাইরাসের জন্য সম্পূর্ণ নতুন টিকা তৈরির কাজ চলছে।
লবণ-পানি দিয়ে নাক ধুলে কি কাজ হবে?
না। লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে নিয়মিত নাক ধুয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচা যায়- এমন কোনো প্রমাণ এখনো নেই।
আ্যন্টিবায়েটিক দিয়ে করোনাভাইরাস ঠেকানো বা চিকিৎসা করা যাবে?
না, অ্যান্টিবায়োটিক কোনো ভাইরাসের ক্ষেত্রেই কাজ করেনা। করোনাভাইরাস একটি ভাইরাস এবং এটা ঠেকাতে বা এর চিকিৎসায় কোনোভাবেই অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ঠিক নয়।
তবে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে যদি আপনি কোনো ব্যাকটেরিয়াতেও আক্রান্ত হন, তাহলে আপনাকে হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হতে পারে।
করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ আছে?
এখন পর্যন্ত নতুন এই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বা এর চিকিৎসায় কোনো ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি।। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যে সব শারীরিক উপসর্গ দেখা দেবে, সে সসব উপসর্গ – যেমন শ্বাসকষ্ট- প্রশমনে রোগীকে সাহায্য করতে হবে। এখন পর্যন্ত সেটাই এর চিকিৎসা।
দৈনন্দিন
ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি

ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনরা প্রতিদিনই পাতে রাখেন ঘি। আগে অনেকেরই ধারণা ছিল, ঘি খেলে ওজন বেড়ে যাবে। তবে এ ধারণা একেবারেই ভুল।
কারণ ঘি’তে থাকা ভালো চর্বি শরীরে জমে থাকা খারাপ চর্বিকে ধ্বংস করে। এছাড়াও ঘি’র অনেক উপকারিতা আছে। তবে বাজার থেকে কেনা খাঁটি ঘি আর ঘরে তৈরি ঘি’র মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।
বাজারে অনেক ভেজাল ঘি’র মোড়কে খাঁটি লেখা স্টিকার থাকে। যা খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে ঘরেই খুব সহজে তৈরি করতে পারেন খাঁটি ঘি।
অনেকেই ভাবেন ঘরে ঘি তৈরি করা খুবই কষ্টকর। তবে জানলে অবাক হবেন মাত্র ২ উপাদান দিয়েই ঘরে তৈরি করতে পারবেন খাঁটি ঘি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-

উপকরণ
১. দুধের সর ১ কেজি ও
২. ঠাণ্ডা পানি পরিমাণমতো।
পদ্ধতি
প্রথমে দুধের সর খুব মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে পরিষ্কার শিল-পাটায় বেটেও নিতে পারেন। এবার সর বাটা মাটির পাত্রে নিয়ে কাঠের পরিষ্কার ডাল ঘুটনি দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ঘুটতে থাকুন।
ডিম ফেটানোর বিটার দিয়েও এটি করতে পারেন। দেখবেন সর থেকে একসময় মাখন আলাদা হয়ে গেছে। বাটার আলাদা হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে আবার বিট করলে দেখবেন পানি ও মাখন আলাদা হয়ে যাবে।
যখন মাখন সবটুকু পরিষ্কার হয়ে পানির উপরে উঠে আসবে তখন পানি থেকে মাখন ছেঁকে তুলুন। আর পানি আলাদা করে রাখুন। এই পানিই হলো বাটার মিল্ক। যা স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। এই বাটার মিল্ক পরে রুটি, পিঠা ইত্যাদিতে ব্যবহার করতে পারেন।

এবার মাখন থেকে পানি পুরোপুরি বের করতে একটি পাতলা মসলিন কাপড়ে ছেঁকে নেওয়া মাখন বেঁধে নিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন ৪-৫ ঘণ্টা। এরপর একটি পরিষ্কার লোহার কড়াইয়ে মাখন অল্প আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন।
বেশ কিছুক্ষণ নাড়ার পরে মাখন থকে থেকে ঘি বের হতে থাকবে। এটাই হলো খাঁটি গাওয়া ঘি। সবটুকু মাখন যখন পুড়ে কালো হয়ে যাবে তখন দেখবেন ঘি গাঢ় সোনালি রং ধারণ করেছে ও সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। আর তখনই বুঝতে হবে আসল ঘি তৈরি হয়ে গেছে।
এরপর ঘি নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। দেখবেন পোড়া অংশ ঘি’র সঙ্গে যেন মিশে না যায়। তারপর শুকনো কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল খাঁটি ঘি।
মনে রাখবেন, মাখন আলাদা করার জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। স্টিল বা অন্যান্য তৈজসপত্র ব্যবহার করলে মাখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
দৈনন্দিন
রক্তশূন্যতা দূর করতে উপকারী যেসব পানীয়

যে কারও রক্তশূন্যতা হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে এই সমস্যা প্রবল। মূলত শরীরে আয়রনের অভাব থেকেই এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে শরীরে আয়রনের পরিমাণ বা ভারসাম্য ঠিক রাখা প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।
রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে নীচে নেমে গেলে সেটাকেই রক্তশূন্যতা বলে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে লোহিত রক্তকণিকার গণনা ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরিমাপ সম্ভব।
মাংস, মাছ, পালং শাক, বিট, মটরের মতো খাবার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। যাদের রক্তশূন্যতা আছে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় তারা কিছু পানীয় যোগ করতে পারেন। যেমন-
বিটের জুস: যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, চিকিৎসকরা প্রায়ই তাদের বিটের রস পান করার পরামর্শ দেন। এতে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, বেটাইন এবং ভিটামিন সিসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিটের জুস পান করলে লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করতে সাহায্য করে।
তৈরির পদ্ধতি: বিটের রস তৈরি করতে ২টি মাঝারি বিট, ১টি শসা এবং ১ ইঞ্চি আদা পাতলা টুকরো করে কেটে নিন। প্রথমে লেবুর হলুদ খোসা কেটে নিন। টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে দিন। লেবুর বীজগুলো ফেলে দিন। এবার এটিকে জুসারে রেখে ফিল্টার করে পান করুন।
পালং ও পুদিনার রস: রক্তশূন্যতা দূর করতে শাক দারুন উপকারী। এতে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন বি টুয়েলভ, ফলিক অ্যাসিডের মত পুষ্টি রয়েছে। আধা কাপ পালং শাকে প্রায় ৩৫ শতাংশ আয়রন এবং ৩৩ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। পালং এর স্যুপও রক্তাশূন্যতা দূর করার একটি অন্যতম উপাদান। এ ছাড়া এক গ্লাস তাজা পালং শাকের রসে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
তৈরির পদ্ধতি: ১ কাপ সুক্ষ্ম করে কাটা পুদিনা এবং আধ কাপ পানিতে ২ কাপ মোটা করে কাটা পালং শাক কেটে রেখে দিন। এর পর দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। ভালো করে মিশে গেলে ছেঁকে নিন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১চা চামচ জিরা গুঁড়ো যোগ করতে পারেন। চাইলে এতে বরফ কিউবও যোগ করতে পারেন।
ডালিমের রস: রক্তশূন্যতা দূর করতে ডালিম বা বেদানার রসের তুলনা নেই। এক কাপ ডালিমের রসে এক চতুর্থাংশ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালের নাস্তার সঙ্গে এই মিশ্রণটি খেতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধে দু’চামচ শুকনো ডালিমের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে একবার বা দু’বার পান করলেও উপকার মিলবে।
মিক্সড ভেজিটেবল জুস: ভেজি মিক্স স্যুপ হল বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ,আয়রন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়। আয়রন সমৃদ্ধ এই রস পান করতে খুবই সুস্বাদু।
তৈরির পদ্ধতি: ১ কাপ কলা, ১ কাপ কাটা লাউ, ১/৪ কাপ আমলকি এবং এক টেবিল চামচ মধু, দু’কাপ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে মিক্সারে ব্লেন্ড করুন। সম্পূর্ণ ব্লেন্ড হয়ে গেলে এটি ছেঁকে নিয়ে পরিবেশন করুন।
দৈনন্দিন
বড় মাছের এক পদ

সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ক্রিসপি জিনজার হানি ফিশ
উপকরণ ১
রুই মাছের ফিলে ২৫০ গ্রাম, আদার রস ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ও গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ।
উপকরণ ২
ময়দা ৩ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ ও লবণ সামান্য।
উপকরণ ৩
আদা (জুলিয়ান কাট) ২ টেবিল চামচ, রসুন মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ, লাইট সয়াসস ১ টেবিল চামচ, অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, মধু ২ টেবিল চামচ, পাপরিকা ১ চা–চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ, লবণ সামান্য ও তেল ৫ টেবিল চামচ।
প্রণালি
প্রথমে মাছ পছন্দমতো টুকরা করে উপকরণ–১–এর সব দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর উপকরণ–২–এর সবকিছুতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মেখে মাছগুলো ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে বাদামি রং করে ভেজে ওঠাতে হবে।
এরপর পাঁচ টেবিল চামচ তেল গরম করে আদা ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলে রসুন ও পেঁয়াজ ভেজে আধা কাপ পানি দিয়ে পর্যায়ক্রমে উপকরণ–৩–এর সব দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।
পরিবেশন পাত্রে ঢেলে মাছের ওপরে ভাজা আদাকুচি দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে ফ্রায়েড রাইস, পোলাও বা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
দৈনন্দিন
ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?

ত্বক পরিচর্যায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন উপাদানের নাম শোনা যায়। তবে রূপচর্চায় গোলাপ একেবারেই নতুন নয়। বহু প্রাচীনকালেও রানিদের গোসলের জন্য তাঁর সখীরা দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখতেন। ত্বকচর্চায় গোলাপজলের ভূমিকাও কম নয়। তবে গোলাপের তেলের কথা শুনেছেন কি? রাজা-রানিদের ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপের তেলের ব্যবহারও কিন্তু হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। শোনা যায়, ব্রিটেনের যুবরানি ডায়ানা নিজের ত্বক চর্চার জন্য ব্যবহার করতেন গোলাপের তেল আর অ্যাভোকাডো মাস্ক। ডায়ানার সৌন্দর্য্যের কথা কারও অজানা নয়। চাইলে আপনিও নিজের ত্বক পরিচর্যায় ডায়ানার টিপস ব্যবহার করতে পারেন।

গোলাপের তেল কেন উপকারী?
বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, গোলাপের তেল ত্বকে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। গোলাপের তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কোষের তন্তুতে প্রবেশ করে ত্বকে টানটান ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বক অনেক বেশি উজ্জলতা দেখায়।

কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?
একটি সসপ্যানে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার একটি কাচের পাত্রে ভাল মানের অলিভ অয়েল নিয়ে তাতে গোলাপের পাপড়ি থেঁতো করে ভিজিয়ে দিন। কাচের পাত্রের মুখ ঢেকে পাত্রটিকে গরম পানির পাত্রে ডুবিয়ে রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা গরম কুসুম গরম পানিতেই রাখতে হবে কাজের পাত্রটিকে। দরকার হলে বার বার পানি বদলে দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পরে একটি ছাঁকনির সাহায্যে তেল ছেঁকে নিন। ওই তেল কোনো গাঢ় রঙের বোতলে ঢেলে রাখুন। রোদে বা গরম জায়গায় রাখবেন না।

কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?
রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অথবা মধু কিংবা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট ২০ রেখে হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন। কোনো রকম অস্বস্তি না হলে তবেই মুখে মাখুন গোলাপের তেল।
দৈনন্দিন
সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রাঁধবেন যেভাবে

বাঙালির খাবার মানেই নানা রকম মাছের পদ। কোনোটা ভাজা তো কোনোটা ঝোল, কোনোটা আবার পাতুরি। কত স্বাদ, কত ধরনের যে রেসিপি! গরম ভাতের সাথে যেকোনো মাছের ঝোল হলে আর কিছু দরকার হয় না। আর তা যদি হয় পাবদা মাছ, তবে তো কথাই নেই! চলুন জেনে নেয়া যাক পাবদা মাছের ঝোল তৈরির রেসিপি-
উপকরণ:
পাবদা মাছ- ৪-৫ টি
লবণ
হলুদ
সরষের তেল
রসুন- ৫ থেকে ৬ কোয়া
কাশ্মীরী লাল মরিচ গুঁড়া- ২ চামচ
টমেটো পিউরি- ৩ চামচ
কাঁচা মরিচ- ২ থেকে ৩টি
ধনেপাতা কুচি।

প্রণালি:
পাবদা মাছ কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার লবণ, হলুদ আর সামান্য সরষের তেল মাখিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এবার যে পাত্রে মাছ রান্না করবেন সেই পাত্রে ১ চামচ হলুদ, ১ চামচ মরিচ গুঁড়া, ১ চামচ হলুদ, তিন চামচ টমেটো পিউরি, রসুনের পেস্ট ১ চামচ আর ২ চামচ সরষের তেল দিন। এবার এর মধ্যে অল্প হালকা গরম পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
এবার অল্প আঁচে কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে দুটি কাঁচা মরিচ দিন। অন্য একটি কড়াইতে সরষের তেল গরম করে মাছ ভেজে নিন। এবার সাবধানে মাছগুলো ছাড়ুন ঝোলের মধ্যে।মাছে সামান্য ধনেপাতা কুচি, সামান্য গরম পানি আর ২টি কাঁচা মরিচ চিরে দিয়ে দিন। নামানোর আগে একটু কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিন। অল্প আঁচে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৈরি হয়ে গেলো সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন