আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

যেসব খাবার প্রতি পাঁচ জন লোকের মধ্যে একজনের অকাল মৃত্যু ডেকে আনছে

ডায়েটের কারণেই প্রতি পাঁচ জনে একজনের জীবনের আয়ু কমে যাচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছর এক কোটিরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে শুধু খাবারের কারণেই।

ল্যানসেটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে দৈনন্দিন যে খাদ্য তালিকা সেটিই ধূমপানের চেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটায় এবং বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য এই ডায়েট বা খাবারই দায়ী।

যেমন ধরুন লবণ- তা রুটি, সস বা মাংস- যেটার সাথেই দেয়া হোক না কেন -এটিই জীবনের আয়ু কমিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা শুধু মাত্র স্থূলতার বিষয়ে নয় বরং দেখা হয়েছে কিভাবে নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস (পুওর কোয়ালিটি) হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করছে বা ক্যান্সারের কারণ হচ্ছে।

কোন খাবার নিয়ে চিন্তার কারণ আছে?

দ্যা গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজেস স্টাডি হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ যেখানে দেখা হয়েছে কিভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে মানুষ মারা যাচ্ছে।

বিপদজনক খাদ্য হিসেবে যেসব উপাদানের কথা বলা হচ্ছে :

১. অতিরিক্ত লবণ- ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ

২. কম দানাদার শস্য খাওয়া- ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ

৩. ফলমূল কম খাওয়া- ২০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ

এছাড়া বাদাম, বীজ, শাক-সবজী, সামুদ্রিক থেকে পাওয়া ওমেগা-৩ এবং আঁশ জাতীয় খাবারের পরিমাণ কম হওয়াটাও মৃত্যুর বড় কারণগুলোর অন্যতম।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার মুরে বিবিসিকে বলছেন, “ডায়েটকেই আমরা স্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান পরিচালক হিসেবে পেয়েছি। এটা সত্যিই অনেক গভীর।”

কিভাবে মানুষকে হত্যা করছে?

এক কোটি দশ লাখ ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যুর মধ্যে এক কোটির মৃত্যু হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।

অতিরিক্ত লবণ উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় যা স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

হার্টে ও রক্ত বহনকারী ধমনীর ওপর লবণের প্রভাব পড়ে সরাসরি যা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের ঝুঁকি তৈরি করে।

সঠিক ডায়েট থেকে কত দূরে বিশ্ব?

আমরা কি সঠিক খাবার সঠিক পরিমাণে খাচ্ছি- এটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যেমন, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার দিনে ২৫ গ্রাম খাওয়ার কথা বলা হলেও গড়ে মানুষ খাচ্ছে মাত্র ৩ গ্রাম। আবার দুধ খাওয়া উচিত ৪৪৩ গ্রাম অথচ মানুষ গ্রহণ করছে ৭১ গ্রাম।

একই ভাবে দানাদার শস্য জাতীয় খাবার ১২৬ গ্রামের জায়গায় ২৯ গ্রাম খাচ্ছে।

অথচ লাল মাংস ২২ গ্রাম খাওয়া উচিত হলেও সেটি খাচ্ছে ২৭ গ্রাম, লবণ ৩.২ গ্রামের ওপর খাওয়া উচিত নয় কিন্তু সেটি গ্রহণ করছে ৬ গ্রাম আর প্রক্রিয়াজাত মাংস ২.১ গ্রামের স্থানে ৪ গ্রাম।

এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী যে স্বাস্থ্যকর খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বেশি বাদ যাচ্ছে তা হলো – বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নিতা ফরোউহি বলছেন, ধারণা করা হয় যে এসব খাবারের ছোট একটি প্যাকেটে একজনকে মোটা বানাতে পারে অথচ এগুলো সব ভালো ফ্যাটে ভর্তি।

আর বেশিরভাগ লোকই এটাকে প্রধান খাবার ভাবতে পারেনা, তিনি বলেন।

রেড মিট বা লাল মাংস আর প্রক্রিয়াজাত করা মাংসের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবছর অনেক সংবাদ হয়।

প্রফেসর মারে বলছেন, কিন্তু সেটা শস্য, দানাদার ও আঁশজাতীয় খাবার ও ফলমূল কম খাওয়ার চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ।

গবেষকরা তাই মনে করছেন, স্বাস্থ্য নিয়ে যারা সচেতনতা তৈরি করেন তাদের চর্বি কিংবা সুগারের কথা কম বলে স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা বেশি বলা উচিত।

খারাপ ডায়েট মানুষের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে বিশ্বজুড়ে এটি এখন গবেষণায় পাওয়া যাচ্ছে বলে বলছেন গবেষকরা।

কোনো দেশ ভালো করছে?

ফ্রান্স, স্পেন এবং ইসরায়েলের মতো কিছু দেশ ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।

আর দক্ষিণ পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার চিত্র উল্টো।

ইসরায়েলে যেখানে প্রতি এক লাখে এ ধরণের মৃত্যুর হার মাত্র ৮৯, সেখানে উজবেকিস্তানে ৪৯২ জন।

তবে প্রফেসর মারে বলছেন, জাপানে আগে ব্যাপক লবণ খাওয়ার প্রবণতা থাকলেও সেটি এখন নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে।

তবে চীনারা প্রচুর পরিমাণে লবণ খায় এবং খাদ্য তালিকায় লবণ দিয়ে সস বেশি পছন্দ করে তারা।

আর যুক্তরাজ্য এ বিষয়ে এখনো ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামের পেছনে আছে।

তবে এজন্য ফলমূল বা দানাদার ও শস্যজাতীয় খাবারের স্বল্পতাও কম দায়ী নয়।

দেশটিতে ডায়েট সম্পর্কিত মৃত্যু প্রতি লাখে ১২৭ জন।

কোনো পরামর্শ?

প্রফেসর মারে বলছেন, “কোয়ালিটি ডায়েট হলো আসল কথা, আপনার ওজন কতো সেটা এখানে বিবেচ্য নয়।”

তিনি সবজি, আঁশজাতীয় খাবার ও ফলমূল খাওয়া বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে বড় বিষয় হলো টাকা।

প্রফেসর ফরউহি বলছেন, লোকজন জানলে আর রিসোর্স থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নিতে পারে।

তবে তারা দুজনই একমত যে ফ্যাট, সুগার বা সল্ট এসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে মানুষের উচিত ভালো খাবারের দিকে মনোযোগ দেয়া।

দৈনন্দিন

খাঁটি ঘি চেনার উপায় এবং উপকারিতা

খাঁটি ঘি চেনার উপায় এবং উপকারিতা
খাঁটি ঘি চেনার উপায় এবং উপকারিতা

ঘি একটি উৎকৃষ্ট এবং পুষ্টিকর খাবার। তাই আমাদের প্রাত্যহিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে আমাদের সকলের খাদ্যতালিকায় ঘি প্রাধান্য দেয়া উচিত। আজকাল সকলের পছন্দের কথা বিবেচনা করা অনেক কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট আইটেম হিসেবে বাজারে এনেছে ঘি।

একটি পুষ্টিকর উপাদান হিসেবে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণে আমরা অনেকে বাসায় নিয়ে আসি সেই ঘি। কিন্তু আমরা কি কখনো যাচাই করি আমরা যে ঘি বাজার থেকে নিয়ে আসছি সে ঘি কতটা পুষ্টিসমৃদ্ধ বা খাঁটি। তাই চলুন জেনে নেই সঠিক উপায়

খাঁটি ঘি চেনার উপায় কি এবং ঘি নির্বাচন পদ্ধতি

আসল কিংবা নকল ঘি চেনার জন্য রয়েছে বেশ কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি। চলুন জেনে নেই ঘি নির্বাচনের পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে

হাতের তালুতে নিয়ে খাঁটি ঘি শনাক্তকরণ 

আপনি যদি ঘি শনাক্তকরণের প্রাথমিক ভাবে কোন একটি উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে-অবলম্বন করতে পারেন এই পদ্ধতি। প্রথমে এক চামচ ঘি আপনার হাতের তালুতে রাখুন। আপনার শরীরের উষ্ণতায় যদি ঘি গলে যায় তাহলে বুঝে নিতে পারেন যে আপনার ব্যবহৃত ঘি খাঁটি। 

ল্যাবে টেস্ট করার মাধ্যমে ভেজাল ঘি চেনার উপায় 

ঘি শনাক্তকরণের আরেকটি পদ্ধতির নাম হল ল্যাব টেস্ট। ল্যাবে ঘি টেস্টের মাধ্যমে খুব সহজে আপনি আসল কিংবা নকল ঘি শনাক্ত করতে পারবেন। দেশের যে কোনো অনুমোদিত সরকারি ল্যাব থেকে টেস্ট করতে পারেন। 

চুলায় গরম করে ঘি শনাক্তকরণ পদ্ধতি

আপনি যদি খাঁটি ঘি শনাক্ত করতে চান তাহলে চুলায় শনাক্ত করতে পারেন। প্রথমে একটি কড়াইয়ে আপনি ঘি নিয়ে চুলার উপর বসিয়ে নিন। চুলায় বসানো পর যদি দেখেন ঘি এর রং পরিবর্তন হয়ে হলুদ হয়ে যাচ্ছে তখন  বুঝে নিতে হবে আপনাকে নকল ঘি দেওয়া হয়েছে। 

কোলটার ডাই শনাক্তকরনের মাদ্ধমে খাঁটি ঘি চেনার উপায়

ঘি শনাক্তকরণের জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি উপায় হল কোলটার ডাই শনাক্তকরণ পদ্ধতি। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে আপনার ব্যবহৃত ১ চামচ ঘি নিয়ে ৫ মিঃলিঃ হাইড্রোক্লোরিক এসিড যুক্ত করতে হবে। ভালোভাবে মেশানোর কিছুক্ষণ পর যদি মিশ্রণটির রং লাল হয়ে যায় তাহলে আপনি বুঝতে হবে যে, আপনি যে ঘি ব্যবহার করেছেন যে ঘি খাঁটি নয়। এটি তৈরির ক্ষেত্রে কোলটার ডাই ব্যবহার করা হয়েছে। 

সিদ্ধ আলু ব্যবহার করে শনাক্তকরণ

ঘি এর মধ্যে আলু সিদ্ধ ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটা যদি শনাক্ত করতে চান তার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি পাত্রে এক চামচ ঘি নিতে হবে। সেই ঘি এর সাথে আপনি সামান্য পরিমাণ আয়োডিন মেশাতে হবে। কিছুক্ষনের মধ্যে লক্ষ্য করে দেখবেন যদি ঘি এর মিশ্রণের রং পরিবর্তন হয়ে নীল হয় তাহলে বুঝে নিবেন যে ঘি তৈরি করার ক্ষেত্রে সিদ্ধ আলু ব্যবহার করা হয়েছে। 

ঘি থেকে ডালডা শনাক্তকরনের মাদ্ধমে ভেজাল ঘি চেনার উপায় 

প্রথমে একটি পাত্রে এক চামচ ঘি নিয়ে তার মধ্যে আপনাকে যুক্ত করতে হবে হাইড্রোক্লোরিক এসিড। যদি কিছুক্ষন পর দেখন যে, ঘি এর রং পরিবর্তন হয়ে তা বেশ লালচে কিংবা বাদামি লালচে রং ধারণ করেছে তাহলে বুঝতে হবে যে ঘি তৈরি করার ক্ষেত্রে ডালডা ব্যবহার করা হয়েছে। 

তিলের তেল ব্যবহার করে খাঁটি ঘি চেনার উপায়

ঘি থেকে তিলের তেল শনাক্তকরণের জন্য প্রথমে আপনি একটি পাত্রে অল্পকিছু ঘি নিয়ে নিন । ঘি এর সাথে আপনি পরিমাণ অনুযায়ী ফারফিউরাল এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। যদি আপনার মিশ্রণটিতে রং পরিবর্তন হয় এবং তা লালচে রং ধারণ করে তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনি যে ঘি ব্যবহার করেছেন সে ঘি তৈরি করার জন্য তিলের তেল ব্যবহার করা হয়েছে। 

ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি?
ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি?

ঘি খাওয়ার উপকারিতা কি?

ঘি এমন একটি খাবার যা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমাদের অনেক উপকার করে । খাঁটি ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে বললে অনেক কথাই বলা যায় তবে এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: 

– চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

– মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

– শরীরে হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে।

– হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

– ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে।

– স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।

ঘি খাওয়ার অপকারিতা কি?
ঘি খাওয়ার অপকারিতা কি?

ঘি খাওয়ার অপকারিতা কি?

প্রতি জিনিসেরই ভালো মন্দ ২ টা দিকই থাকে । অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয় ।  ঘি এর বেলাতেও এটি ব্যতিক্রম নয় । উপকারিতার পাশাপাশি বেশি ঘি খাওয়ার কারণে বেশ কিছু ঘি এর অপকারিতা রয়েছে যেমন –
– অতিরিক্ত ঘি খেলে আমাদের হজমে সমস্যা হতে পারে। 
– অতিরিক্ত ঘি গ্যাস্ট্রিকের মতো স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দিতে পারে। 
– অতিরিক্ত ঘি খেলে শরীরে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা জন্ম দিতে পারে। 

আমাদের সকলের পছন্দ এর একটি খাদ্য হল ঘি। উপকারী একটি খাবার হলেও কখনো প্ৰয়োজনের বেশি ঘি খাওয়া উচিত নয়, ঘি এর ব্যবহার ঠিক মত না করলে তখন হিতে-বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে কি ওজন কমে?

লেখক

সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে কি ওজন কমে?
সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে কি ওজন কমে?

অনেকেই রান্নার জন্য ভিন্ন ভিন্ন তেল ব্যবহার করেন। কিন্তু পুষ্টিবিদরা রান্নার ক্ষেত্রে সরিষার তেল ব্যবহারের কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, একদম নন রিফাইন্ড সরিষার তেল খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঘানি থেকে আনা সরিষার তেল স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্যেও ভালো।

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হল করোনারি হার্ট ডিজিজ । রান্নার তেলগুলি এই হার্টের রোগের চিকিৎসা ও ঝুঁকি হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে। সেই সঙ্গে হৃদরোগজনিত নানা ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

সরিষার তেল যেভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে

সরিষার তেলের রান্না হৃৎপিণ্ড, হাড়, হজম এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। এতে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের উপস্থিতি রয়েছে। এই তেল ডিপ ফ্রাই, খাবার গরম এবং খাবারে অনন্য স্বাদ আনতে অসাধারণ কার্যকর। যারা পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাদের হজমে সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিনের রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার করা উচিত। এই তেল হজ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সরিষার তেল লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। আর খাবার দ্রুত হজম হলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে,ঝাঁঝালো স্বাদের সরিষার তেলে ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই তেলে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিডে কেবল খাবারের স্বাদই উন্নত করে না, রক্তে চর্বির মাত্রাও হ্রাস করে।

​যেভাবে ব্যবহার করবেন সরিষার তেল

অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয় । অতএব, যতটা সম্ভব সরিষার তেলে ভাজা জিনিস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। সবজি রান্না করার সরিষার বীজ ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন, রান্নার ক্ষেত্রে সরিষার তেল আগে ভালো করে গরম করতে হবে। তেল অপরিশোধিত হলে ব্যবহার করবেন না।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি

ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি
ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি

ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনরা প্রতিদিনই পাতে রাখেন ঘি। আগে অনেকেরই ধারণা ছিল, ঘি খেলে ওজন বেড়ে যাবে। তবে এ ধারণা একেবারেই ভুল।

কারণ ঘি’তে থাকা ভালো চর্বি শরীরে জমে থাকা খারাপ চর্বিকে ধ্বংস করে। এছাড়াও ঘি’র অনেক উপকারিতা আছে। তবে বাজার থেকে কেনা খাঁটি ঘি আর ঘরে তৈরি ঘি’র মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে।

বাজারে অনেক ভেজাল ঘি’র মোড়কে খাঁটি লেখা স্টিকার থাকে। যা খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে ঘরেই খুব সহজে তৈরি করতে পারেন খাঁটি ঘি।

অনেকেই ভাবেন ঘরে ঘি তৈরি করা খুবই কষ্টকর। তবে জানলে অবাক হবেন মাত্র ২ উপাদান দিয়েই ঘরে তৈরি করতে পারবেন খাঁটি ঘি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-

ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি
ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি

উপকরণ

১. দুধের সর ১ কেজি ও
২. ঠাণ্ডা পানি পরিমাণমতো।

পদ্ধতি

প্রথমে দুধের সর খুব মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। চাইলে পরিষ্কার শিল-পাটায় বেটেও নিতে পারেন। এবার সর বাটা মাটির পাত্রে নিয়ে কাঠের পরিষ্কার ডাল ঘুটনি দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ঘুটতে থাকুন।

ডিম ফেটানোর বিটার দিয়েও এটি করতে পারেন। দেখবেন সর থেকে একসময় মাখন আলাদা হয়ে গেছে। বাটার আলাদা হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে আবার বিট করলে দেখবেন পানি ও মাখন আলাদা হয়ে যাবে।

যখন মাখন সবটুকু পরিষ্কার হয়ে পানির উপরে উঠে আসবে তখন পানি থেকে মাখন ছেঁকে তুলুন। আর পানি আলাদা করে রাখুন। এই পানিই হলো বাটার মিল্ক। যা স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। এই বাটার মিল্ক পরে রুটি, পিঠা ইত্যাদিতে ব্যবহার করতে পারেন।

ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি
ঘরেই ২ উপকরণে তৈরি করুন খাঁটি ঘি

এবার মাখন থেকে পানি পুরোপুরি বের করতে একটি পাতলা মসলিন কাপড়ে ছেঁকে নেওয়া মাখন বেঁধে নিয়ে ঝুলিয়ে রাখুন ৪-৫ ঘণ্টা। এরপর একটি পরিষ্কার লোহার কড়াইয়ে মাখন অল্প আঁচে অনবরত নাড়তে থাকুন।

বেশ কিছুক্ষণ নাড়ার পরে মাখন থকে থেকে ঘি বের হতে থাকবে। এটাই হলো খাঁটি গাওয়া ঘি। সবটুকু মাখন যখন পুড়ে কালো হয়ে যাবে তখন দেখবেন ঘি গাঢ় সোনালি রং ধারণ করেছে ও সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। আর তখনই বুঝতে হবে আসল ঘি তৈরি হয়ে গেছে।

এরপর ঘি নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। দেখবেন পোড়া অংশ ঘি’র সঙ্গে যেন মিশে না যায়। তারপর শুকনো কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল খাঁটি ঘি।

মনে রাখবেন, মাখন আলাদা করার জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। স্টিল বা অন্যান্য তৈজসপত্র ব্যবহার করলে মাখন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

রক্তশূন্যতা দূর করতে উপকারী যেসব পানীয়

লেখক

রক্তশূন্যতা দূর করতে উপকারী যেসব পানীয়
রক্তশূন্যতা দূর করতে উপকারী যেসব পানীয়

যে কারও রক্তশূন্যতা হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে এই সমস্যা প্রবল। মূলত শরীরে আয়রনের অভাব থেকেই এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে শরীরে আয়রনের পরিমাণ বা ভারসাম্য ঠিক রাখা প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার।

রক্তের মধ্যে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে নীচে নেমে গেলে সেটাকেই রক্তশূন্যতা বলে। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে লোহিত রক্তকণিকার গণনা ও হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরিমাপ সম্ভব।

মাংস, মাছ, পালং শাক, বিট, মটরের মতো খাবার শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। যাদের রক্তশূন্যতা আছে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় তারা কিছু পানীয় যোগ করতে পারেন। যেমন-

বিটের জুস: যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, চিকিৎসকরা প্রায়ই তাদের বিটের রস পান করার পরামর্শ দেন। এতে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, বেটাইন এবং ভিটামিন সিসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বিটের জুস পান করলে লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করতে সাহায্য করে।

তৈরির পদ্ধতি
: বিটের রস তৈরি করতে ২টি মাঝারি বিট, ১টি শসা এবং ১ ইঞ্চি আদা পাতলা টুকরো করে কেটে নিন। প্রথমে লেবুর হলুদ খোসা কেটে নিন। টুকরো টুকরো করে কেটে রেখে দিন। লেবুর বীজগুলো ফেলে দিন। এবার এটিকে জুসারে রেখে ফিল্টার করে পান করুন।


​পালং ও পুদিনার রস:
রক্তশূন্যতা দূর করতে শাক দারুন উপকারী।  এতে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন বি টুয়েলভ, ফলিক অ্যাসিডের মত পুষ্টি রয়েছে। আধা কাপ পালং শাকে প্রায় ৩৫ শতাংশ আয়রন এবং ৩৩ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। পালং এর স্যুপও রক্তাশূন্যতা দূর করার একটি অন্যতম উপাদান। এ ছাড়া এক গ্লাস তাজা পালং শাকের রসে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।

তৈরির পদ্ধতি: ১ কাপ সুক্ষ্ম করে কাটা পুদিনা এবং আধ কাপ পানিতে ২ কাপ মোটা করে কাটা পালং শাক কেটে রেখে দিন। এর পর দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। ভালো করে মিশে গেলে ছেঁকে নিন। স্বাদ বাড়াতে চাইলে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ১চা চামচ জিরা গুঁড়ো যোগ করতে পারেন। চাইলে এতে বরফ কিউবও যোগ করতে পারেন।

ডালিমের রস: রক্তশূন্যতা দূর করতে ডালিম বা বেদানার রসের তুলনা নেই। এক কাপ ডালিমের রসে এক চতুর্থাংশ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালের নাস্তার সঙ্গে এই মিশ্রণটি খেতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধে দু’চামচ শুকনো ডালিমের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে একবার বা দু’বার পান করলেও উপকার মিলবে।

মিক্সড ভেজিটেবল জুস: ভেজি মিক্স স্যুপ হল বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ,আয়রন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়। আয়রন সমৃদ্ধ এই রস পান করতে খুবই সুস্বাদু।

তৈরির পদ্ধতি: ১ কাপ কলা, ১ কাপ কাটা লাউ, ১/৪ কাপ আমলকি এবং এক টেবিল চামচ মধু, দু’কাপ ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে মিক্সারে ব্লেন্ড করুন। সম্পূর্ণ ব্লেন্ড হয়ে গেলে এটি ছেঁকে নিয়ে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বড় মাছের এক পদ

সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ক্রিসপি জিনজার হানি ফিশ
সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ক্রিসপি জিনজার হানি ফিশ

সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ক্রিসপি জিনজার হানি ফিশ

উপকরণ ১

রুই মাছের ফিলে ২৫০ গ্রাম, আদার রস ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ ও গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ।

উপকরণ ২

ময়দা ৩ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ ও লবণ সামান্য।

উপকরণ ৩

আদা (জুলিয়ান কাট) ২ টেবিল চামচ, রসুন মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, ফিশ সস ১ টেবিল চামচ, লাইট সয়াসস ১ টেবিল চামচ, অয়েস্টার সস ১ টেবিল চামচ, মধু ২ টেবিল চামচ, পাপরিকা ১ চা–চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা–চামচ, লবণ সামান্য ও তেল ৫ টেবিল চামচ।

প্রণালি

প্রথমে মাছ পছন্দমতো টুকরা করে উপকরণ–১–এর সব দিয়ে মেখে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর উপকরণ–২–এর সবকিছুতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মেখে মাছগুলো ব্যাটারে ডুবিয়ে ডুবো তেলে বাদামি রং করে ভেজে ওঠাতে হবে।

এরপর পাঁচ টেবিল চামচ তেল গরম করে আদা ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলে রসুন ও পেঁয়াজ ভেজে আধা কাপ পানি দিয়ে পর্যায়ক্রমে উপকরণ–৩–এর সব দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নামাতে হবে।

পরিবেশন পাত্রে ঢেলে মাছের ওপরে ভাজা আদাকুচি দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে ফ্রায়েড রাইস, পোলাও বা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ