আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

২০২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ৫ উদ্ভাবন

র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট

২০২০ সালের গোড়া থেকেই শুরু হয় করোনাভাইরাসের দাপট। কিন্তু করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে যে পিসিআর টেস্ট করা হয়, তা যেমন সময়সাপেক্ষ তেমনই ব্যয়বহুল। এ জন্য দরকার হয় অত্যাধুনিক গবেষণাগার আর প্রশিক্ষিত জনবল। এই সমস্যা সমাধানে আগস্টের মাঝামাঝি উদ্ভাবন হয় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। ড্রাইভিং লাইসেন্সের সমান কাগজের কার্ডে স্বাস্থ্যকর্মী দুই ফোঁটা বিকারক বা রিঅ্যাজেন্ট নেন আর আক্রান্তের নাক থেকে নমুনা নিয়ে তাতে মিশিয়ে ভাঁজ করেন। দুটো গোলাপি দাগ দেখা গেলে করোনা পজিটিভ ধরে নিতে হয়। এতে সময় লাগে ১৫ মিনিট, আর প্রায় ৯৭ শতাংশ নির্ভুল ফল দিতে সক্ষম।বিজ্ঞাপন

২০২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ৫ উদ্ভাবন

পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক

করোনা মহামারির শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছিল ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী বিশেষ করে এন-৯৫ মাস্কের সংকট। এই সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) প্রথম উদ্ভাবন করে সহজ পদ্ধতি। তা হলো, একবার ব্যবহারের পর এন-৯৫ মাস্ক একটি কাগজের প্যাকেটে ৫ দিন রেখে আবার ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এতে কার্যকারিতা কিছুটা কম। এরপর একে একে বাজারে আসে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রেসপিরেটর। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) উদ্ভাবন করেছে সিলিকন রাবারের তৈরি ফেস মাস্ক (আইমাস্ক), যা ব্যবহারের পর বাষ্প, ব্লিচ দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব, আর বারবার ব্যবহারে কার্যকর।

২০২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ৫ উদ্ভাবন

টেলিহেলথ সেবায় বিশেষ যন্ত্র

২০২০ সালে অভূতপূর্বভাবে ব্যবহৃত হয়েছে টেলিহেলথ সেবা, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে। মানুষ ঘরে বসে নানা প্রযুক্তির সাহায্যে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আগ্রহী হয়েছেন। তাই বিজ্ঞানও মনোযোগ দিয়েছে এদিকে। শিগগিরই আসছে ইউএসবি সংযুক্ত চিকিৎসকদের ব্যবহারযোগ্য বিশেষ যন্ত্র, যাতে ১০ ধরনের পরীক্ষার উপাত্ত নেওয়া সম্ভব। স্পন্দন, রক্তচাপ, অক্সিজেন সেচুরেশন, তাপমাত্রা মাপার পাশাপাশি এতে থাকবে ইসিজি সেনসর, স্টেথিসকোপ, চোখের রেটিনা পরীক্ষার অফথালমোস্কোপ, কান পরীক্ষার অটোস্কোপ প্রভৃতিও। যন্ত্রটি একটি কফি মগের চেয়ে বড় নয়। এই প্রযুক্তি বাজারে এলে একজন প্রত্যন্ত এলাকার রোগী অনেক দূর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সব ধরনের পরামর্শ সহজে নিতে পারবেন।বিজ্ঞাপন

২০২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ৫ উদ্ভাবন

বহনযোগ্য স্বয়ংক্রিয় ডিফিব্রিলেটর

হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর হৃৎস্পন্দন ফেরাতে তাৎক্ষণিক ডিফিব্রিলেশনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই আসছে ছোট্ট মানিব্যাগের সমান বহনযোগ্য স্বয়ংক্রিয় ডিফিব্রিলেটর, যা ঝুঁকিপূর্ণ হৃদ্‌রোগীরা বাড়িতে রাখতে পারবেন। হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কোনো চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়াই একটি আঠালো প্যাডের সাহায্যে যন্ত্রটিকে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে লাগালে যন্ত্রটি নিজে নিজে হৃৎস্পন্দনের পরিবর্তন বুঝে ইলেকট্রিক শক দিতে সক্ষম।

২০২০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে ৫ উদ্ভাবন

স্লিপ এপনিয়া ঠেকাতে হাতঘড়ি

৮০ শতাংশ স্লিপ এপনিয়ার রোগী জানেন না যে তাঁদের এ রোগ আছে। এ বছর এসেছে স্মার্ট হাতঘড়ি, যা হাতে পরে ঘুমালে সারা রাত ধরে ঘুম পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম। এতে হৃৎস্পন্দন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে অক্সিজেন সেনসর ও মোশন সেনসর লাগানো আছে, যা রাতভর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও অক্সিজেনের ওঠানামা রেকর্ড করে রাখবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com