আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

নতুন বছরে ভালো থাকা

২০২০ সালে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ফিটনেস, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, টিকা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যতটা ভাবনাচিন্তা আর আলোচনা হয়েছে, তা বোধ হয় গত ১০০ বছরেও হয়নি। বছরজুড়ে পরিবার বা বাড়ি থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বা গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় ছিল স্বাস্থ্য। করোনা মহামারি এ বছর আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছে তা হলো সুস্বাস্থ্য ও ফিটনেস মানুষের টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে জরুরি, আর সবকিছুর চেয়ে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মহামারির পর মানুষের স্বাস্থ্যবিষয়ক ধ্যানধারণা, আচরণ ও জ্ঞানের পরিবর্তন হবে অভূতপূর্ব। আর আগামী বিশ্বও নিজেকে নতুনভাবে সাজাতে বাধ্য হবে মানুষের সুস্বাস্থ্যকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে। ২০২১ সালে কেমন হওয়া উচিত আমাদের জীবনাচরণ, সুস্বাস্থ্যের জন্য কীভাবে লড়াই করব আমরা?বিজ্ঞাপন

নতুন বছরে ভালো থাকা

পরিচ্ছন্নতাবোধ ও স্বাস্থ্যবিধি

সংক্রামক ব্যাধি গুরুত্ব ফিরে পেয়েছে এ বছর। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণুর সঙ্গে লড়াই-ই যে মানবজাতির আসল যুদ্ধে পরিণত হবে, তা গত বছরও কেউ ভাবেনি। সংক্রামক ব্যাধির সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক পরিচ্ছন্নতাবোধ, হাইজিন ও স্বাস্থ্য-সতর্কতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র বলে স্বীকৃত। হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশির আদবকেতা, যেখানে-সেখানে থুতু-কফ না ফেলা, বিশুদ্ধ খাবার ও পানি গ্রহণ, বাইরের যেকোনো বস্তু আগে জীবাণুমুক্ত বা পরিষ্কার করে ব্যবহার করা, গণপরিবহন বা কমন স্পেস ব্যবহারে সতর্কতা, পারস্পরিক স্পর্শের আগে হাত পরিষ্কার করা ইত্যাদি সু-অভ্যাস মানুষকে চর্চা করে যেতে হবে এখন থেকে সব সময়। কেবল নিজেকে নয়, পরিবেশ, বাড়িঘর, আশপাশের মানুষগুলোকেও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর না রাখতে পারলে বাঁচা সম্ভব নয়। জনসাধারণের এ ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

অসংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ

দীর্ঘমেয়াদি অসংক্রামক ব্যাধি মানুষের স্বাস্থ্যকে কীভাবে নাজুক করে তোলে আর জীবাণুর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, তা-ও প্রমাণিত হলো নতুন করে। করোনাভাইরাসের আক্রমণে সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত হলেন তাঁরা, যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, কিডনি জটিলতা, ক্যানসার, হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিস রয়েছে। তাই জীবাণু প্রতিরোধের সঙ্গে অসংক্রামক ব্যাধি রোধের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে সামনে। সুশৃঙ্খল জীবনাচরণ, সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান বর্জন ইত্যাদি পারে এই রোগগুলোকে প্রতিহত করতে।

সঠিক ও সুষম পুষ্টি

পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতার সঙ্গে এর সম্পর্ক—এটি ছিল এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। মহামারির শুরু থেকেই বিজ্ঞানীরা বলছেন যে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়াতে হলে সঠিক ও সুষম পুষ্টি থাকা চাই। জনপ্রিয় সব ডায়েট, যেমন কিটো, প্যালিউ, নো কার্ব, হোল ৩০ ইত্যাদি জনপ্রিয়তা হারিয়েছে এ বছর। ক্রাশ ডায়েটের প্রতি ক্রাশ কমেছে, অপরদিকে পুষ্টিকর ভিটামিন মিনারেলযুক্ত খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। শাকসবজি, ফলমূল ও প্রোটিন গ্রহণের মাত্রা বেড়েছে। কোন খাবারে ভিটামিন সি এবং ডি ইত্যাদি বেশি, তার খোঁজ অনেকে নিয়েছেন, অনেকেই ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেছেন। যাঁরা বাইরের খাবার, বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতেন, তাঁরা সে অভ্যাস থেকে সরে আসছেন। বাড়িতে তৈরি তাজা বা ফ্রেশ খাবারের প্রতি ঝুঁকেছেন সবাই। ২০২০ সালের পর মানুষের অন্যতম চিন্তাভাবনার বিষয় হতে যাচ্ছে পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার, অর্গানিক খাবার আর তার যথাযথ ব্যবহার।বিজ্ঞাপন

নতুন বছরে ভালো থাকা

ফিটনেস

এ বছর ফিটনেস বাড়াতে মনোযোগী হয়েছেন সবাই। লকডাউনের সময় বাড়িতে ব্যায়াম, শারীরিক কসরত, যন্ত্রপাতির ব্যবহার, ভিটামিন ডি পেতে সূর্যের আলোতে নিয়মিত হাঁটা, পর্যাপ্ত ও সময়মতো ঘুমানোর চেষ্টা ইত্যাদির দিকে মনোযোগ বেড়েছে। গুরুত্ব পেয়েছে নানা ধরনের ফিজিওথেরাপি, শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম (ব্রিদিং এক্সারসাইজ), ফিটনেস এক্সারসাইজ। ঘরোয়া পদ্ধতি, যেমন হারবাল ড্রিংক, আদা ও গরমমসলার চা, প্রোটিনযুক্ত স্যুপ, ফলের রস, ভাপ বা স্টিম ইত্যাদি জনপ্রিয় হয়েছে। শর্করা, উচ্চ রক্তচাপ, চর্বি কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন সবাই।

বয়স্কদের যত্ন

কোভিড মহামারি বয়স্কদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল। এ বছর বহু পরিবার তাদের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকে হারিয়েছে বা তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে লড়াই করেছে। তাই পরিবারে বয়স্কদের স্বাস্থ্যের গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে। তাঁদের পুষ্টি ব্যবস্থাপনা, হাইজিন বা পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, ফিটনেস বাড়ানো, রোগবালাইয়ের সঠিক চিকিৎসা ইত্যাদি দিকে নজর বাড়ানো উচিত আরও। বয়স্কদের মধ্যে নানা রকম টিকা দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রবণতাও বেড়েছে এ বছর।

মানসিক স্বাস্থ্য

মহামারির নানামুখী আঘাতে মানসিকভাবে পর্যুদস্ত হওয়ার হার বেড়েছে, বেড়েছে বিষণ্নতা, অতি উদ্বেগ, নির্ঘুম ইত্যাদি। এ-ও প্রমাণিত হয়েছে যে স্ট্রেস বা মানসিক চাপ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি) কমায়। সামনের দিনগুলোতে টিকে থাকতে হলে মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। সে জন্য বারবার বলা হচ্ছে পরিবারে আনন্দময় সময় কাটানো, সঠিক ও পর্যাপ্ত ঘুম, স্ক্রিন টাইম কমানো, খেলাধুলা ও পারিবারিক বিনোদন, শখের পরিচর্যা ও পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়াতে। এ বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ মানসিক সমস্যার জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই প্রবণতা হয়তো সামনে আরও বাড়বে।

বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যসেবা

অনেক ক্ষেত্রেই বাইরে না গিয়েও বাড়িতে বসে স্বাস্থ্যসেবা নেওয়া, বাড়ি থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নমুনা দেওয়া, অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ইত্যাদি যে সম্ভব, তা প্রমাণিত হয়েছে আর সামনে এ প্রবণতা আরও বাড়বে। আগামী বছরে হয়তো এ খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বাড়বে। আরও বেশি মানুষ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বাড়ি বসে চিকিৎসাসেবা নিতে আগ্রহী হবেন।

নতুন বছরে ভালো থাকা

টিকা

নতুন বছরে নিশ্চয় সবচেয়ে আগ্রহ-উদ্দীপনার বিষয় হবে করোনার টিকা। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, টিকা পাওয়ার পরও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও চর্চাগুলো চালিয়ে যেতে হবে আরও দীর্ঘকাল। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি অভ্যাস বাদ দেওয়া চলবে না। তার সঙ্গে বাড়াতে হবে ইমিউনিটি, ফিটনেস, চাই যথার্থ পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য। টিকার বিরুদ্ধে নানা প্রকার গুজব ও কুসংস্কার নিয়ে একশ্রেণির মানুষ ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই। তাই এসব কুসংস্কারে কান না দেওয়াই ভালো।

সব মিলিয়ে ২০২০ মানবজাতির জন্য একটি দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন (প্যারাডিম শিফট)। আমাদের নিত্যদিনের সমস্ত জাগতিক ভাবনাচিন্তার পরিবর্তন এনে নিজের শরীর ও মনের সঠিক যত্ন নেওয়া, পরিবারের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া আর সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন জীবনাচরণের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোই হবে আগামী দিনের ভালো থাকার মূলমন্ত্র।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com