আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হিম বাতাস থেকে ত্বক রক্ষার পন্থা

কালেভদ্রে মুখে শীতল হাওয়ার পরশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য তা মোটেই ভালো নয়।

বিশেষ করে যারা দুই চাকার বাহন চালান তাদের জন্য এই বাতাস অত্যন্ত ক্ষতিকর। ঠাণ্ডা লাগার প্রবল সম্ভাবনা তো আছেই। সঙ্গে আছে ত্বকের ক্ষতি।

ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস হিউস্টন’য়ের ম্যাকগোভেন মেডিকাল স্কুল এবং বেইলর কলেজ অফ মেডিসিন’য়ের অধ্যাপক এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ত্বক বিশেষজ্ঞ রজনি কাত্তা স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “প্রবহমান হিম শীতল বাতাসে সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চালানো, পাহাড়ে চড়া, দৌঁড়ানো, হাঁটাহাঁটি ইত্যাদির সময় দেখা দিতে ‘উইন্ড বার্ন।”

কী এই উইন্ড বার্ন?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ত্বক বিশেষজ্ঞ মেলিসা পিলিয়াঙ্গ বলেন, “ত্বকের বাহ্যিক অংশে বাতাসের কারণে হওয়া ক্ষতিকে আমরা ‘উইন্ড বার্ন’ বলি। ত্বকের বাইরের অংশটি আসলে পুরো ত্বকের সুরক্ষা আস্তর হিসেবে কাজ করে। হিম শীতল বাতাসের সংস্পর্শে আসলে এই আস্তরে থাকা ‘ফ্যাটি লিপিড’ ক্ষয়ে যায়, ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

ডা. কাত্তা বলেন, “এই অবস্থায় ত্বকে লালচেভাব, স্পর্শকাতরতা, চামড়া ওঠা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। নাক ও গালের ত্বক সবচাইতে বেশি ক্ষতির শিকার হয় এই পরিস্থিতিতে।”

রোদে পোড়ার সঙ্গে এর তফাৎটা অনুভবে। রোদে পোড়া হয় গরম, ফোলাভাব অনুভূত হয়। অন্যদিকে হিম বাতাসে ত্বকে সুঁচ ফোটানো বা টানটান ভাব অনুভূত হয়। সুবিধার দিক হল হিম বাতাসের এই ক্ষতি নিজ থেকেই সেরে যায় কয়েক দিনের মধ্যেই। তবে কোষ পর্যায়ে হওয়া ক্ষতিটা থেকে যেতে পারে স্থায়ীভাবে। 

ক্ষতি এড়ানোর উপায়

নিউ ইয়র্ক’য়ের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের ‘ডার্মাটোলজি’ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জশুয়া জেইকনার বলেন, “শীতকালে ত্বকে যথাসম্ভব মৃদুমাত্রার সাবান বা অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। ‘এক্সফোলিয়েশন’ কমিয়ে আনতে হবে অনেকটা, বন্ধ রাখতে পারলে ভালো, কারণ এতে ত্বক আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এমন ‘ময়েশ্চরাইজার’ ব্যবহার করতে হবে যাতে আছে ‘সেরামাইডস’। এটি ত্বকের কোষ পর্যায়ে সৃষ্টি হওয়া ফাটলগুলো পূরণ করে বাইরের সুরক্ষা আস্তরকে শক্তিশালী করবে।”

তিনি আরও বলেন, “ভালোমানের ‘পেট্রোলিয়াম’ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে ঠোঁটের জন্য। ত্বকের এই অংশের জৈবিক সুরক্ষা সবচাইতে কম। ফলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। এই প্রসাধনী সবসময়ই হাতের কাছে থাকা উচিত।”

“শীতের ‘সান প্রটেকশন’ জরুরি। ‘মিনারেল সানস্ক্রিন’ ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকবে ‘জিঙ্ক অক্সাইড’ কিংবা ‘টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড’ যা ত্বকের জন্য অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানের ‍তুলনায় কোমল”, বলেন জেইকনার।

ত্বকের ক্ষয় সারানোর উপায়

ডা. জেইকনার বলেন, “ভালোমানের একটি ‘ময়েশ্চারাইজার’ হবে আপনার পরম বন্ধু। ঘন ক্রিম বা মলম ত্বকের ক্ষয়পূরণ করবে। নারিকেল তেল কিংবা ‘করোডিয়াল ওটমিল’ সমৃদ্ধ প্রসাধনী ত্বকের অস্বস্তি দূর করতে বেশ উপকারী হবে। তবে যেকোনো নতুন প্রসাধনী ব্যবহারের আগে তা সামান্য ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।”

“গরম পানিতে গোসল আরামের হলেও তা অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে। গরম পানিতে লম্বা গোসল ত্বকের আর্দ্রতা দূর করে।” বলেন ডা. কাত্তা।

গা মুছেই শরীরের ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। হালকা ভেজা ত্বকের ময়েশ্চারাইজার মাখলে ত্বকের আর্দ্রতা আটকে থাকে।

ডা কাত্তা আরও বলেন, “নিয়মিত কোন প্রসাধনী ব্যবহার করছেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ‘অ্যান্টি-এইজিং ক্রিম’ যাতে আছে ‘রেটিনয়েড’ কিংবা ব্রণের চিকিৎসার প্রসাধনী যাতে আছে ‘বেনজয়েল পেরোক্সাইড’ কিংবা ‘স্যালিসাইলিক অ্যাসিড’, এগুলো সবই ত্বকে অস্বস্তি বাড়াবে শীতকালে।”

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com