আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ‘ফ্লেইভানয়েডস’

বিভিন্ন ধরনের সবজি ও উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে মিলবে এই ‘ফ্লেইভানয়েডস’।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো অনন্য এক উপায় হল ‘ফ্লেইভানয়েডস’।

‘জেনি ক্রেইগ সাইন্স অ্যাডভাইজরি বোর্ড’য়ের সদস্য পুষ্টিবিদ অ্যাবি গেলম্যান বলেন, “এক ধরনের উদ্ভিজ্জ ‘পিগমেন্ট’ বা ‘ফাইটোকেমিকাল’ এই ‘ফ্লেইভানয়েডস’। সাধারণত এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’য়ের চাইতেও বেশি সক্রিয় ও কার্যকর।”

রিয়েল সিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “কোলাজেন ফাইবার’য়ের সঙ্গে ‘ফ্লেইভানয়েডস’য়ের সম্পর্ক আছে। ‘কোলাজেন’ শরীরের সবচাইতে অবহেলিত প্রোটিন। তবে শরীরের বিভিন্ন ‘টিস্যু’কে নিজ নিজ অবস্থানে ধরে রাখতে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শরীরে কোনো প্রদাহ হলে তা এই ‘কোলাজেন’কে ধ্বংস করে। আর সে কারণেই ‘ফ্লেইভানয়েডস’ অত্যন্ত জরুরি, যাতে ‘কোলাজেন’য়ের সরবরাহে ঘাটতি না হয়।”

পেঁয়াজ: গেলম্যান বলেন, “পেঁয়াজে থাকে ‘কোয়েরসেটিন’ নামক ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ যা প্রদাহ ও অ্যালার্জি কমায়। ‘ইনসুলিন’সহ আরও কয়েকটি হরমোন নিয়ন্ত্রণে এই উপাদানের ভূমিকা আছে। আর রান্নার ক্ষেত্রে পেঁয়াজ প্রায় সব পদেরই ভিত্তি হতে পারে।”

আঙুর: এতে থাকা ‘অ্যান্থোসায়ানিডিনস’ পিগমেন্ট কোষে গিয়ে সেখানে ভিটামিন সি’য়ের মাত্রা বাড়ায়। এই উপাদান শরীরকে মুক্ত মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচায়। ‘কোলজেন’কেও সুরক্ষা দেয়। আর আঙুর খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। স্ন্যাকস হিসেবে যেমন খাওয়া যায় তেমনি টকদই, ওটমিল, বেইক করা খাবার, সালাদ ইত্যাদিতে যোগ করেও খাওয়া যায় মিষ্টি এই ফল।

জাম: ‘নিউরাল মেডিসিন’ বিশেষজ্ঞ অলিভিয়া অড্রে (এনডি, বিসিএনডি) বলেন, “‘ফ্লেইভানয়েডস’ আর ভিটামিন সি, দুটোরই আদর্শ উৎস জাম। পাশাপাশি মিলবে ভোজ্য আঁশ ও ‘বায়োটিন’- দুটাই ত্বকের জন্য উপকারী।”

জামজাতীয় বিভিন্ন ফল ‘ব্লেন্ডার’য়ে নিয়ে স্মুদি বানিয়ে সকালে পান করার অভ্যাসটা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। আবার দিনের অন্যবেলার খাবারের পর ‘ডেজার্ট’ হিসেবেও তা মজাদার।”

সবুজ খাবার: ‘রিসা গ্রোউক্স নিউট্রিশন এবং ফুডফ্রেম প্রোগ্রাম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা রিসা গ্রোউক্স বলেন, “সব ধরনের সবুজ পত্রল শাক সবজিকে বলা যায় ‘সুপারফুড’। যে সবজিতে ক্যালরি কম, সেগুলো রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভোজ্য আঁশ ও পানির মাত্রা বেশি এমন সবজি কোষ থেকে বর্জ্য বের করে দেয়। পালংশাক, ব্রকলি, ‘সেলেরি’ ইত্যাদি আদর্শ সবুজ পত্রল সবজি।”

লাল সবজি: গ্রোউক্স বলেন, “লাল-মরিচ, গাজর, লালশাক, লাল পেঁয়াজ ইত্যাদিতে প্রচুর ‘ফ্লেইভানয়েডস’ পাওয়া যায়। সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন, রান্না করে খেতে পারেন। আবার অন্য সবজির সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। উপকারিতায় কমতি আসবে না।”

মসলা ও ভেষজ উপাদান: ফল কিংবা সবজির স্বাদ আর স্বাস্থ্যগুন দুটোই কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে মসলা। টমেটো, আলু, শসা ইত্যাদির সঙ্গে ‘পার্সলে’, লেবু, ‘থাইম’, ‘ওরিগানো’ ইত্যাদি বেশ মানানসই। খাবারে ভিন্ন স্বাদ আনতে দারুচিনিও অনন্য। আর পুষ্টিগুনেও ভরপুর।

সিট্রাস: ‘ফ্লেইভানয়েডস’ আর ভিটামিন সি’তে টইটম্বুর সকল ‘সিট্রাস’ বা টক ধরনের ফল ও সবজি। পানীয়, সস, রান্নার পদ সবকিছুরই স্বাদ যেন বাড়িয়ে দেয় এই খাবারগুলো। লেবু, কমলা, আঙুর, লাইম ইত্যাদি সিট্রাস ফলের আদর্শ উদাহরণ।

বীজজাতীয় খাবার: সয়াবিন, ‘ব্ল্যাক বিন্স’, কিডনি বিন্স’ ইত্যাদিও ‘ফ্লেইভানয়েডস’ যোগায়। অন্যান্য পুষ্টিগুন তো আছেই, স্বাদও চমৎকার। লম্বা সময় পেট ভরা রাখতেও এদের ভূমিকা অনেক।

চকলেট: চকলেট ও ‘পাউডার্ড কোকো’ থেকে ‘ফ্লেইভানয়েডস’ মেলে। চকলেট যত বেশি কালচে রংয়ের, তাতে পুষ্টিমান ততই বেশি।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com