আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

জীবনের মানে খুঁজে নিন

নতুন বছর। বছরটা শুরু করুন খাতা কলম নিয়ে আঁটশাট বসে। না, নতুন করে পড়ালেখার প্রতি সিরিয়াস হতে বলছি না। ভাবুন আপনার একটাই তো জীবন, এই জীবনের অর্থ কি? ভেবে যা পেলেন, চটপট খাতায় লিখুন। চরম বিষণ্নতা ও অনিশ্চয়তায় ভরা জীবনটা এতে করে খুঁজে পেতেও পারে নতুনভাবে বেঁচে থাকার মানে! আপনি পেতে পারেন দীর্ঘ ও সুখী একটি জীবন।


জীবনের বিগত বছরগুলোতে আপনি কী কী করেছেন এই মহা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করার অভ্যাস করুন। এটি এমন একটি প্রশ্ন, যার উত্তর বছর বছর পরিবর্তন হবে, হতে বাধ্য। আর এই অনুশীলনটি যে আপনাকে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করবে, এটি পরীক্ষিত। ‘দ্য উইজডম প্রজেক্ট’ নামের একটি প্রকল্পের উদ্ভাবক হিসেবে গত বেশ কয়েক বছর দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে ব্যক্তিস্বাধীনতার উপরে বেশ কিছু মানুষের নিজস্ব লিখিত মতামত সংগ্রহ করেছি।
২০১৪ তে প্রকাশিত দুটি গবেষণার কথা উল্লেখ করতে পারি। প্রথমটিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার ষাটোর্ধ মানুষ, পরেরটিতে ২০ থেকে ৭৫ বছর বয়সী প্রায় ৬ হাজার মানুষ অংশ নেন। এদের মধ্যে যারা জীবনকে অর্থহীন মনে করতেন তাদের তুলনায় যারা জীবনের কোনো না কোনো অর্থ ভেবে বের করতে পেরেছিলেন; তারা পেয়েছেন দীর্ঘায়ু এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জীবনের মানে কার কাছে কী রকম তা তাদের দীর্ঘায়ুর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে নি। কারো কারো কাছে জীবনে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য হয়তো ব্যক্তিগত (সুখ, হাসি, আড্ডা, আনন্দ) আবার কারো কারো উদ্দেশ্য হলো সৃজনশীল কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করা; যেমন: ছবি আঁকা, গান করা, সিনেমা বানানো ইত্যাদি। একটি বিষয়ই এখানে তাৎপর্যপূর্ণ যে, আপনার কাছে আপনার জীবনের কোনো মানে আছে কি না।


এরকমটি হওয়ার একটি কারণ হতে পারে, আপনার যদি বেঁচে থাকার কোনো উদ্দেশ্য থাকে, তবে আপনি সেই উদ্দেশ্যের জন্য হলেও প্রাত্যহিক জীবনের ঝুট-ঝামেলা হাসিমুখে মোকাবেলা করার শক্তি পাবেন। ধরুন, আপনি একজন মেয়ের বাবা, তো রীতিমতো আপনিও চাইবেন, মেয়ের বিয়ে পর্যন্ত অন্তত যাতে সুস্থ সবলভাবে বেঁচে থাকা যায়। ওইদিন যাতে নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন। এই কারণটির জন্য হলেও কিন্তু আপনি নিজের যত্ন নেবেন, শরীর যাতে অল্পতে ভেঙে না যায়, আপনার কিছু হলে আপনার পরিবার কি পরিমাণ বিপদে পড়বে; এই কথা ভেবে আপনি শঙ্কিত হবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে চাইবেন বেশিদিন।


এই ব্যাপারটিই আসলে দীর্ঘায়ু পাওয়ার জন্য প্রচণ্ডরকম সহায়তা করে থাকে। কিন্তু যখন মেয়ের বিয়ে হয়ে যাবে তখন? জীবন শেষ? না, তখন জীবনে বাঁচার নতুন মানে খুঁজে নিতে হবে, যার জন্য আপনি আরো কিছু বছর বাঁচার তাগিদ অনুভব করবেন।হতে পারে, আপনি একটি বই লেখার সিদ্ধান্ত নিলেন, অথবা শেষ বয়সে এসে পৃথিবীটা ঘুরে দেখার তাগিদ অনুভব করলেন! এগুলো আসলে উদাহরণমাত্র। আপনার বেঁচে থাকার মানে আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। অন্য কারো পক্ষে তা করে দেয়া সম্ভব নয়।


প্রতি বছর নিজেকে জীবনের মানে বুঝে ওঠার প্রশ্নটি এজন্যই করা উচিত!কারণ এর কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। সময়ের সঙ্গে এর উত্তর বদলায় এবং এ ব্যাপারটি চিত্তাকর্ষক বলেও অনেকের ধারণা। বিখ্যাত সব মনিষীরাও এই প্রশ্নের উত্তর নানাভাবে দিয়ে গেছেন। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, সুন্দরতর একটি জীবনের কামনাকে যদি একটি প্রদীপ হিসেবে গণ্য করা হয়, ভালোবাসা হলো সেই প্রদীপের শিখা। রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয় বলেছেন, জীবনের চূড়ান্ত অর্থ লুকিয়ে আছে মানবতার কল্যাণ সাধনের মাঝে।তাই ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা হোক, মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ হোক কিংবা হোক শুধু নিজের ব্যক্তিগত সুখের চিন্তা, জীবনটাকে অর্থবহ করতে আগে আপনার জীবনের মানে খুঁজে বের করুন। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করুন- ‘কেন এসেছিনু এ ধরায়?’

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com