আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

সবুজের পরিচর্যা

গৃহের কোণে সবুজের ছোঁয়া। যার সজীবতা মন ভালো করে দেয়। বাড়ির আঙিনায়, বারান্দা এমনকি ছাদে প্লান্টের আইডিয়া বেশ পুরনো। আজকাল ঘরের ভিতরেও শোভা পাচ্ছে ছোট ছোট প্ল্যান্ট। আসলে শহরের বুকে জায়গার অভাবে অনেকেরই গাছের শখ পূরণ হয় না। তাই ঘর সাজাতে ইনডোর প্ল্যান্টই ভরসা। সাজও হবে সজীবতাও অটুট থাকবে। তবে এসব প্ল্যান্ট ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিচর্যার। যেহেতু ইনডোর প্ল্যান্ট ও পরিচর্যা একই পদ্ধতিতে করলে চলবে না। এদের যত্নের ধরন আলাদা আলাদা। আপনার জন্য রইল জরুরি পরামর্শ।
কেমন হবে গাছের যত্ন


গাছের পরিচর্যার প্রথম ধাপ গাছের খাবার অর্থাৎ পানি দেওয়া। শুনে কিছুটা সহজ মনে হলেও পানির পরিমাণ ঠিক না থাকলে বিপদ। তাই গাছের পরিমাপ বুঝে পানি দেওয়া প্রয়োজন। কেননা, অতিরিক্ত পানি গাছের ক্ষতির কারণ। গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলে গাছ পচে যেতে পারে। তাই গাছে প্রতিদিন পানি না দিলেও চলবে। আর যিনি প্ল্যান্ট করবেন তাকেই বুঝে নিতে হবে গাছের চাহিদা। পানি দেওয়ার আগে হাত দিয়ে মাটি চেপে দিতে হবে। আর হ্যাঁ, মাটিতে ভিজে ভাব থাকলে পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। গাছের মাটিতে লম্বা একটি সুচ ঢুকিয়ে তুলে আনুন। যদি সুচে ভিজে মাটি লেগে থাকে তাহলে আর পানির প্রয়োজন নেই।


আর ইনডোর প্ল্যান্টের আরেকটি শর্ত হলো পর্যাপ্ত আলো-বাতাস। যে ঘরে আলো বাতাসের চলাচল রয়েছে সে ঘরে গাছ রাখুন। অন্ধকার ঘর বা খুব রোদ আসে, এমন স্থানে গাছ রাখবেন না। গাছের নতুন চারা বারান্দায় রাখুন। এতে চারা গাছটি ঠিকঠাক বেড়ে উঠবে এবং গাছে ফাঙ্গাসও হবে না। আর যে ঘরে এসি ব্যবহার করেন সে ঘরে গাছ না রাখাই ভালো। এতে গাছের পাতা সহজে ঝরে যেতে পারে। নামে ইনডোর প্ল্যান্ট হলেও গাছ বাড়ন্তের জন্য পর্যাপ্ত আলো, বাতাস এবং পানি প্রয়োজন হয়। তাই কোনো গাছই দীর্ঘদিন ঘরের ভিতর রাখবেন না। মাঝে মাঝে বারান্দা বা ছাদে আলো বাতাসের স্থানে নিয়ে রাখুন। কোন গাছ কতদিন অন্তর বাইরে রাখবেন, কতটা সময় রোদে দেবেন তা নির্ভর করে গাছের প্রকৃতির ওপর। তাই গাছ কেনার সময় তার পরিচর্যার ব্যাপারেও জেনে নিন।
গাছের বেড়ে ওঠার জন্য মাঝে মাঝে গাছের প্রকৃতি অনুযায়ী সার দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তবে বুঝে শুনে সার দিতে হবে। বেশি সার দেওয়ার ফলে গাছ দ্রুত বেড়ে উঠলেও অনেক ক্ষেত্রে কাণ্ড হলুদ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, গাছ তার স্বাভাবিকতা হারায়। এ ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকবার গাছের গোড়ায় পানি দিন। সার ধুয়ে গেলে সমস্যাও মিটবে। টব সব সময় পরিষ্কার রাখুন। ঝরে পড়া ফুল, শুকনো পাতা টবের মধ্যে যেন জমে না থাকে। এতে গাছ ভালো থাকবে।


গাছের পাতায় ধুলোময়লা বা ঝুল জমলে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে হালকা হাতে পাতাগুলো মুছে দিন। ইনডোর প্ল্যান্টের ছোট ছোট গাছগুলোয় স্প্রে-বোতলে পানি ভরে স্প্রে করে পরিষ্কার করুন। গাছে কুঁড়ি ধরলে, টবের স্থান ঘন ঘন পরিবর্তন করবেন না। এতে গাছের কুঁড়ি ঝরে পড়তে পারে। একসঙ্গে সব গাছ পরিষ্কার করতে চাইলে ঝরনার নিচে গাছগুলো রাখুন। তবে পরিষ্কার করার আগে গাছের গোড়ার অংশ ও তার চারদিক প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে দিন। না হলে গাছের মাটি ধুয়ে যেতে পারে। গাছে পোকামাকড় থাকলে পানিতে অ্যাসপিরিন জাতীয় ট্যাবলেট গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি স্প্রে-বোতলে ভরে গাছের পাতায় মাঝেমধ্যে স্প্রে করে দিন। এটি গাছের ইমিউনিটি বাড়ায়।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com