আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ঘুমে নাক ডাকা বন্ধ করতে থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নিঃসন্দেহে বিব্রতকর-এটি বলার অবকাশ রাখে না। কখনও এমন পরিস্থিতে পরেন নাই এমন লোক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যপার। কিছুদিন আগে আমরা কয়েক বন্ধু মিলে রাত্রি যাপনের উদ্যেশে বেড়াতে যাই, রাত্রি যাপন করার সময় লক্ষ্য করলাম কয়েক বন্ধুর নাক ডাকার শব্দে আমাদের রাত্রি যাপন ও আনন্দ মাটি হয়ে যায়। নাক ডাকা কিন্তু কিছু রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে, যিনি নাক ডাকেন- তাঁর জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণও বটে। মধ্যবয়স্ক ৪০% ও ২০% নারী ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। নাক ডাকা কিন্তু এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি হওয়া মানে আপনার জন্য কঠিন কোনো রোগ অপেক্ষা করছে। এছাড়াও নাক ডাকার কারনে অনেকের মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথাও হয়ে থাকে। তাই অবহেলা না করে নাক ডাকা নর-নারীরা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং নিচের নিদের্শনা মেনে চলুন। আবার অনেকে না বুঝে নোজ রিং বা স্নো রিং নাকে ব্যবহার করেন, কিন্তু উচিত নয়।
অনেক কারণে আপনার নাক ডাকা হতে পারে

১. ঘুমের মধ্যে (স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগের লক্ষণ) শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথে কোনো বাধা এলে বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে, ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়। সোজা কথায় আমাদের মুখের, গলার ও জিহবা মাংস পেশি দুর্বল হয়ে বা শ্বাস নালীর পথে বাধাগ্রস্ত হলে নাক ডাকার সমস্যায় পড়তে হয়।
২. ওজন বৃদ্ধির (কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগের লক্ষণ) কারনে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয় এবং স্থুল ব্যক্তিদের এমন সমস্যা বেশি হয়। শ্বাসনালীতে চর্বি জমার কারনে বায়ু নালীর ব্যাস কমে আসার কারণে ব্রেনে অঙিজেনের সরবরাহ ঠিকমত হয় না, আর কারনে কার্ডিওভ্যাসকুলার সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ কারণে গলার চারপাশে চর্বি জমাতে নাক ডাকা সমস্যাটি হয়।
৩. জন্মগত কারণে কারও শ্বাসযন্ত্র সরু থাকে বা চোয়ালে সমস্যা থাকলে ঘুমের মধ্যে নাকে আওয়াজ হয়।
৪. গলার মাংসপেশির নমনীয়তা কমে যাওয়াও এ সমস্যার একটা প্রধান কারন। গলার মাংসপেশি মজবুত করা উচিত।
৫. ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ ও ঘুমের ঔষধ সেবন করলে নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে।
৬। থাইরয়েডের সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগের ফলে নাক ডাকতে পারে।
৭. উচ্চ রক্তচাপের কারণে, যারা রাতে নাক ডাকেন তাঁরা প্রায় উচ্চ রক্তচাপে ভুগেন। মস্তিষ্কের ধমনীতে ব্লক হবার কারনে ঘুমানোর সময় নাক ডাকে। রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা হতে পারে।
৮. চিত হয়ে ঘুমালে জিব পেছনে চলে গিয়ে অনেক সময় শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয়। ফলে নাক ডাকার আওয়াজ হয়। এ জন্য ডানে বা বায়ে একপাশ হয়ে শুতে হবে।
সমাধান বা কিভাবে নাক ডাকা বন্ধ করবেন এবং থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ

বেশিরভাগ নর-নারীর ক্ষেত্রই দুর্বল মাংসপেশির জন্য নাক ডাকা হয়ে থাকে। তাই এখন মুখ-মন্ডল ও গলার মাংসপেশিকে কিভাবে মজবুত ও শ্বাসনালী মুক্ত করতে পারি। এগুলো ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ ১০ মিনিট করে অভ্যাস করুন দেখবেন আর নাক ডাকা সমস্যাটি থাকবে না। একনাগারে চালিয়ে যাবেন, ধৈর্যহারা হলে চলবে না। এবাবে করলে নাক ডাকা অবশ্যই বন্ধ হবে।
১. প্রথমে আপনার জিহবা যতটুকু সম্ভব মুখ থেকে বের করে নিচে চিবুক স্পর্শ করতে চেষ্টা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড স্থায়ী করে প্রতিবারে ৫ থেকে ৬ বার করুন। এগুলো প্রথম করতে কষ্ট হবে বা করতে পারবেন না কয়েকবার করার পর সহজ হয়ে যাবে।
২. এবার মুখ থেকে জিহবা বের করে উপরে নাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে ১০ সেকেন্ড স্থায়ী করে প্রতিবারে ৫ থেকে ৬ বার করুন।
৩. এটি আগের ব্যায়ামের মতোই শুধু সামান্য ব্যবধান হলো জিহবা নাকে স্পর্শ করার আগে আপনার মুখ সামান্য পরিমাণ উঠাবেন এতে আপনার গলার মাংসপেশিতে চাপ পড়বে। এভাবে ১০ সেকেন্ড স্থায়ী করে প্রতিবারে ৫ থেকে ৬ বার করুন।


৪. এরপর মুখে বড় হা করে আপনার এক আঙ্গুলের সাহায্যে ভেতর থেকে বাইরের দিকে গালের মাংস পেশিতে চাপ প্রয়োগ করে মুখের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করবেন। এভাবে দু’গালে কয়েকবার করে করবেন, এভাবে ৫ থেকে ৬ বার ১০ সেকেন্ড স্থায়ী করতে হবে।
৫. এখন মুখে বাতাস ভর্তি (মুখে বাতাস পূর্ণ থাকবে) করে আস্তে আস্তে ভেতরে থেকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মুখে বাতাস চাড়ুন। বাতাস ছাড়ার সময় দ্রুত বাতাস বের হবে না। এগুলো ছাড়াও-
৬. প্রতিদিন ঘুমানোর আগে নাক ভালো করে পরিষ্কার করবেন। সম্ভব হলে নাকে সামান্য তেল বা ক্রিম জাতীয় কিছু লাগাবেন।
৭. ঘুমানো আগে হালকা গরম পানির সাথে লবণ মিশ্রিত করে গলাতে গল গল করে নিবেন। এভাবে প্রতিবারে ৫ সেকেন্ড করে ১৫ -২০ সেকেন্ড করবেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com