আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য

শুধু নিজের সুস্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখাই যথেষ্ট নয়, শিশুদের সুস্বাস্থ্যের দিকেও সমানভাবে নজর দিতে হবে। শিশুদের প্রতি যতই বাড়তি যত্ন নেওয়া হোক না কেন, চেষ্টা করতে হবে একদম ছোট থেকেই তাদের মাঝে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলানোর জন্য। একদম সাধারণ এই অভ্যাসগুলো শিশুদের মাঝে একদম শুরু থেকেই গড়ে তুলতে পারলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা


শিশুরা সহজে খাবার খেতে চায় না। প্রায় প্রতিটি মায়ের একই অভিযোগ, কোন খাবারই সন্তান খেতে চায় না একদম। নিত্যদিন ভিন্ন ঘরানার খাবার তৈরি করেও শিশুদের পছন্দ বোঝা সম্ভব হয় না।
এহেন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপায়ন্তর না পেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দেন অনেকেই সন্তানদের হাতে। চিপস, কেক, সুইট বান, জ্যুস মোটেও স্বাস্থ্যকর কোন খাবার নয়। এতে পুষ্টিগুণ তো একেবারেই থাকে না, উল্টো অস্বাস্থ্যকর নানা উপাদানে ভরা থাকে এই মুখরোচক খাবারগুলো।
সন্তান খাবার খেতে না চাইলেও প্রাকৃতিক উপাদান তৈরি বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করে শিশুদের খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ধরুন আপনি শিশুকে ফুলকপি খাওয়াচ্ছেন। গল্পের ছলে তাকে ফুলকপির পুষ্টিগুণের কথা বলুন। ফুলকপি তার শরীরের জন্য কেন ভালো, খেলে কি হবে- এইগুলো জানান। দেখবেন শিশুর আগ্রহ তৈরি হবে ও খেতে চাইবে।


নিয়মিত দাঁত মাজার অভ্যাস
শিশুদের একটা-দুটো দাঁত ওঠার পর থেকেই দাঁত মাজার অভ্যাসটা তৈরি করতে হয়। বিশেষত নিজে হাতে ব্রাশ ধরে দাঁত মাজার মতো বড় হয়ে গেলে এই অভ্যাসটি অবশ্যই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্বাভাবিকভাবে এই কাজটিও শিশুদের কাছে বিরক্তিকর লাগে এবং তারা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে দাঁত মাজার জন্য জোর না করে একসাথে দাঁত মাজতে হবে। দাঁত ও টুথপেস্টের ছোট গল্প তৈরি করতে হবে। একসাথে দাঁত মাজার সময় মজা করতে হবে। আনন্দময় পরিবেশে দাঁত মাজার মতো একঘেয়ে কাজ সারতে পারলে শিশুরা নিজ থেকেই আগ্রহী হবে দাঁত মাজার ক্ষেত্রে।
দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাস
বেশিরভাগ শিশু রাতে ঘুমাতে চায় না একদম। রাত জাগার অভ্যাস দেখা দেয় একদম ছোট সময় থেকেই। এতে করে শিশুর সাথে তার বাবা-মায়ের ঘুমের সাইকেলেও ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের সাইকেল দ্রুত ঠিক করতে না পারলে, বড় হলে সমস্যা তৈরি হবে। বিশেষত যখন স্কুলে যাওয়ার সময় চলে আসবে, তখন সকালে ঘুম থেকে ওঠা শিশুর জন্য বিভীষিকার মতো মনে হবে।
তাই শিশুর ঘুমের সাইকেল ঠিক করার জন্যে নিজের ঘুমের সাইকেলটিও এগিয়ে নিন। সকল কাজ দ্রুত শেষ করে দশটার মাঝেই রাতে ঘুমের আয়োজন করে ফেলুন। টানা কয়েকদিন এমন করতে পারলে নিজ থেকেই ঘুমের সাইকেল ঠিক হয়ে যাবে।
বাইরে খেলার অভ্যাস


শিশুদের জন্য বাইরে খেলা যতটা জরুরি, ততটাই সত্যি হলো- বাইরে খেলার মতো স্থান এখন একেবারেই নেই। তবে বাসার চেয়ে কিছুটা দূরে কোন পার্ক বা স্থানীয় খেলার মাঠ থাকলে সেখানেই নিয়ে যান শিশুকে। উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলা শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রধান সহায়ক। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তবে বারান্দা অথবা ছাদে নিরাপদ স্থানে খেলা করতে নিয়ে যেতে হবে।
টেবিলে বসে নিজ হাতে খাওয়ার অভ্যাস
অবশ্যই শিশুদের মুখে তুলে খাওয়ানো হলে পেট ভরে খাওয়ানো হয়। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর প্রতিটি শিশুর নিজ হাতে খাওয়ার অভ্যাসটি গড়ে তোলা প্রয়োজন। পরিবারের বাকি সদস্যদের মতো তাকেও টেবিলে বসিয়ে তার সামনে খাবার দিয়ে নিজ হাতে খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এতে করে খাবার খাওয়ার সময় শিশুরা আপনমনে খাবার খাবে ও মাকে জ্বালাতন করবে না।
হাত পরিষ্কার করার অভ্যাস


এই অভ্যাসটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের যতই চোখে চোখে রাখা হোক না কেন, ময়লা জিনিসে তারা হাত দেবেই। এছাড়া খেলাধুলার সময়, আগ্রহবশত কোন জিনিস ধরার সময়, আঁকাআঁকির সময় হাত নোংরা হয়েই যায়। পরে এই নোংরা হাতে কিছু খেলে কিংবা মুখে দিলেই বিপত্তি।
তাই শিশুদের শেখাতে হবে, যেকোন কাজ, খেলা ও জিনিস ধরার পর হাত ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার অভ্যাসটি। এতে করে শিশুর সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে অনেকখানি।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com