আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

পরিবেশ

বায়ু দূষণ আর ধূমপানের মধ্যে কোনটি বেশি ক্ষতিকর?

ফুসফুসের অসুখ, ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এইসব মারাত্মক রোগের সঙ্গে বায়ু দূষণের সংযোগ রয়েছে। যে কারণে একে ‘নতুন ধরণের ধূমপান’ বলা হচ্ছে।

কিন্তু বায়ু দূষণ আমাদের আয়ুর ঠিক কতটা কেটে ফেলতে পারে?

বিজ্ঞানীদের একটি নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ঘরের বাইরের দূষিত বাতাস আমাদের আয়ু গড়ে প্রায় তিন বছর পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছে, যা আগের যেকোনো গবেষণা ফলাফলের চেয়ে বেশি এবং ধূমপানের ফলে যে পরিমাণ আয়ু কমে তার চেয়েও বেশি।

কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, যুদ্ধসহ সব ধরণের সংঘাতে পৃথিবীতে প্রতি বছর মানুষের আয়ু যতটা কমে, তার চেয়ে প্রায় দশগুণ বেশি গড় আয়ু কমে বায়ু দূষণের কারণে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর মৃত্যুর হার ধূমপানের ফলে হওয়া মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে।

এজন্য ২০১৫ সালে মানুষের গড় আয়ু ও মৃত্যুর হার গণনা করেন, এবং তারা দেখতে পেয়েছেন, বায়ু দূষণের কারণে পৃথিবীতে ৮৮ লাখ মানুষ মারা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে ধূমপানের কারণে প্রতি বছর ৮২ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় বিশ্ব জুড়ে। এর মধ্যে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় সরাসরি সিগারেট এবং তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারের কারণে।

বিশ্ব মহামারী

দূষিত বায়ুর মধ্যে থাকলে একজন মানুষের হৃদরোগ এবং ফুসফুসের অসুখ হবার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া স্বাস্থ্যের ওপর এর অন্য নেতিবাচক প্রভাব তো আছেই।

গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক থমাস মুনজেল মনে করেন, তাদের গবেষণা প্রমাণ করে যে এখন বায়ু দূষণের বিশ্ব-মহামারী চলছে।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এখন নীতি নির্ধারক এবং চিকিৎসকদের বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

“গত কয়েক দশকে ধূমপানের তুলনায় বায়ু দূষণের দিকে অনেক কম মনোযোগ দেয়া হয়েছে।”

অধ্যাপক মুনজেল বলছেন, কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি নির্গমন যদি শূন্যে নামিয়ে আনা যেত তাহলে মানুষের গড় আয়ু অন্তত এক বছর বাড়ানো যেত।

আঞ্চলিক ও জাতীয় ক্ষতি

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বায়ু দূষণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবসমূহ জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রভাব ফেলে।

যেমন পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে গড় আয়ু চার বছরের মতো হ্রাস পেয়েছে, যেখানে গড় আয়ু সবচেয়ে কম হ্রাস পেয়েছে ওশেনিয়াতে।

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বায়ু দূষণের প্রভাব একেক দেশে একেক রকম হয়। আফ্রিকার চাঁদে বায়ু দূষণেরে কারণে গড় আয়ু কমেছে সাত বছরের বেশি, আবার কলম্বিয়াতে কমেছে চার মাসের কিছু বেশি সময়।

মনুষ্যসৃষ্ট নির্গমন

গবেষকেরা মানুষের কারণে হওয়া দূষণ এবং প্রাকৃতিক কারণে হওয়া বায়ু দূষণ – যেমন মরুর লু হাওয়া এবং দাবানলের কারণে হওয়া দূষণ- দুটোই পরীক্ষা করে দেখেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে পৃথিবীর দুই তৃতীয়াংশ অকাল মৃত্যুর কারণ যে দূষণ তা মূলত মানুষের সৃষ্টি।

অধ্যাপক মুনজেল বলেন, “এ হার উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। তার মানে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবছর বিশ্ব জুড়ে ৫৫ লাখের মতো মৃত্যু পুরোপুরি এড়ানো যেত যদি বায়ু দূষণ না থাকতো।”

এছাড়া বায়ু দূষণের সঙ্গে ছয় ধরণের রোগ, যেমন উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো রোগের সংযোগ নিরীক্ষা করে দেখেছে বিজ্ঞানীদের এই দলটি।

তারা দেখেছেন, এর মধ্যে হৃদরোগের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়। এরপরেই রয়েছে ফুসফুসের সংক্রমণ। আর বায়ু দূষণের কারণে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বয়স্ক ব্যক্তিরা।

আরেকজন গবেষক হোসে লেলিভেল্ড বলেন, “আমরা যখন বায়ু দূষণের কারণে হওয়া বিভিন্ন রোগের চিত্র দেখছিলাম, আমরা দেখেছি কার্ডিওভাসকুলার অর্থাৎ হৃদরোগের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে, যা ধূমপান হৃদপিণ্ডের যে ক্ষতি করে প্রায় তার সমান।”

“বায়ু দূষণ অক্সিডেটিভ চাপ বাড়িয়ে মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীর ক্ষতি করে, যা পরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক হার্ট-অ্যাটাক এবং হার্ট-ফেলের কারণ হয়ে ওঠে।”

বয়স্ক মানুষ বেশি ঝুঁকিতে

গবেষকেরা দেখেছেন বায়ুদূষণের কারণে সবচেয়ে বিপদে পড়েন বয়স্ক ব্যক্তিরা। সারা দুনিয়ায় এ কারণে যত মৃত্যু হয় তার ৭৫ শতাংশই ঘটে যাদের বয়স ৬০ এর ওপরে।

গবেষণার ফলাফলের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রোগ-তত্ত্ববিদ স্যামুয়েল চাই বলেছেন, এই গবেষণা প্রমাণ করছে যে বায়ু দূষণ পুরো বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্যই কতো বড় হুমকি সৃষ্টি করেছে।

“বায়ু দূষণ যে নতুন ধূমপান এ তো আর গোপন কথা নয়, সুতরাং জনস্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের এখন এ নিয়ে সিরিয়াস হবার সময় এসেছে।”

এখন বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নীতি তৈরি করতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

পরিবেশ

ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো

শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিবিসি প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে এমন ছবি চাওয়া হয়েছিল। বাছাই করা কিছু ছবি নিয়ে আমাদের এই ফটো গ্যালারি।

ছবির ক্যাপশান, শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশান, গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
ছবির ক্যাপশান, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন

  • ৪৫.৬৭ শতাংশ জমির মাটিরই অম্লতা বেশি
  • অম্লতা বেশি হলে মিলবে না কাঙ্ক্ষিত ফলন
  • দেশের সব অঞ্চলের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে
  • সমাধানে ডলোচুন প্রয়োগের সুপারিশ
মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন
মাটির অম্লতা বেড়েছে, কমেছে ফসলের উৎপাদন

দেশের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। ফসল উৎপাদনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। একদিকে কৃষক কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছে না, অন্যদিকে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্তিকা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভবিষ্যতে সংকট আরও বেড়ে হুমকিতে পড়বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। আজ ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রাক্কালে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন তাঁরা।

অম্ল মাটি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মো. নাজমুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গঙ্গা অববাহিকা ছাড়া দেশের সব অঞ্চলের মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বাড়ছে। অম্লতা যত বাড়বে, ফসলের উৎপাদনও তত কমবে। মাটিতে অম্লতার পরিমাণ বেশি হলে গম, ভুট্টা, আলু, সবজি, ডালসহ রবি শস্যে কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে না।’

মাটির গুণগত মান নিয়ে গবেষণা করে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই)। সংস্থাটির অম্ল মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির তথ্য অনুসারে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের আবাদযোগ্য জমিতে অম্লতার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে অধিক অম্ল থেকে অত্যধিক অম্ল জমির পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০১০ সালে ছিল ৪১ দশমিক ২৩ শতাংশ, আর ২০২০ সালে অম্লতার পরিমাণ আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশে। মাটিতে অম্লতা বাড়ার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউরিয়া সারের অধিক ব্যবহার, ক্যালসিয়ামসহ ক্ষারীয় উপাদান হ্রাস, এক জমিতে অধিক চাষাবাদ, ফসল তোলার পর গাছ খেতের মাটির সঙ্গে মিশতে না দিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা ইত্যাদি।

গবেষকদের তথ্যমতে, মাটির অম্লত্ব কিংবা ক্ষারীয় অবস্থার ওপর ফসলের বৃদ্ধি ও ফলন অনেকাংশে নির্ভর করে। অম্লতার মাত্রা নির্ধারণ করা হয় মাটির পিএইচ নির্ণয়ের মাধ্যমে। পিএইচ মান ৪ দশমিক ৫ এর নিচে হলে সেই মাটিকে অত্যধিক অম্ল, ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৫ পর্যন্ত অধিক অম্ল, ৫ দশমিক ৬ থেকে ৬ দশমিক ৫ হলে মৃদু অম্ল এবং ৬ দশমিক ৬ থেকে ৭ দশমিক ৩ এর মধ্যে হলে তাকে নিরপেক্ষ মাটি বলা হয়। ফসলের জন্য মাটির আদর্শ পিএইচ ধরা হয় ৬ দশমিক ৫।

এসআরডিআইয়ের গবেষণার তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মোট ফসলি জমির পরিমাণ প্রায় ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৭৮ হাজার হেক্টর জমির মাটি অত্যধিক অম্ল (পিএইচ মান ৪.৫ এর নিচে) এবং প্রায় ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টর জমির মাটি অধিক অম্ল (পিএইচ মান ৪.৫ থেকে ৫.৫)। অর্থাৎ মোট আবাদি জমির প্রায় অর্ধেকের (৪৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) মাটি অধিক থেকে অত্যধিক অম্ল। অধিক অম্ল মাটিতে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মলিবডেনামের স্বল্পতা এবং অ্যালুমিনিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের আধিক্য থাকায় ফসলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং ফলন কমে যায়।

বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল এবং বরেন্দ্র ও মধুপুর গড় অঞ্চলের অধিকাংশ মাটি অধিক থেকে অত্যধিক অম্ল। এসব অঞ্চলের কৃষিজমি থেকে ফসলের কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসআরডিআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অম্ল মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. নূরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জমিতে দিন দিন অম্লতার পরিমাণ বাড়বে। সার ব্যবহারে কৃষকের খরচ বাড়বে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলন মিলবে না।

মাটির অম্লতা কমিয়ে আনতে জমিতে ডলোচুন ব্যবহার ভালো সমাধান হতে পারে বলে এই মৃত্তিকাবিজ্ঞানী জানান। তিনি বলেন, এ জন্য সাধারণত প্রতি শতাংশ জমিতে ৪ কেজি থেকে ৮ কেজি ডলোচুন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে মাটির বুনটের ওপর নির্ভর করে ডলোচুন প্রয়োগের মাত্রা কম-বেশি হতে পারে। তা ছাড়া জমিতে জৈব পদার্থ ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

জয়পুরহাটে ভারত থেকে আসা মেছো বিড়াল ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ

জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত ঘেঁষা কমরপুর হাজীপাড়া গ্রামে ঢুকেপড়া গেছো মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করে একটি জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগ।

ওই গ্রামে মেছো বিড়াল ঢুকে পড়েছে জেনে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সেখানে ছুটে যায়। এলাকাবাসীসহ তারা মেছো বিড়ালটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হলে রাজশাহী বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে মেছো বিড়ালটি উদ্ধার করে পাশের আরেকটি জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।

কমরপুর হাজীপাড়া গ্রামের লাইজু, কুতুবউদ্দিন, নেপালসহ প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, দুপুরে হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বাঁশ ঝাড়ে বন্য প্রাণীটি দেখে চিৎকার করে স্থানীয়দের খবর দেন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ভিড় জমাতে থাকেন। জনতার ভয়ে প্রাণী বাঁশঝাড়ে ঢুকে পড়ে। বন্যপ্রাণীটি ভারতের কোনো এক বন-জঙ্গল থেকে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে এসে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

জয়পুরহাট থানার চকবরকত পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মিলাদুন্নবী জানান, স্থানীয়দের খবর পেয়ে বন্যপ্রাণীসহ এলাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী বন বিভাগকেও জানানো হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

চামড়ার জন্যে এশিয়ান হাতি নিধন বাড়ছে

সতর্কবার্তা: এই প্রতিবেদনের কিছু ছবি অনেকের জন্য পীড়াদায়ক হতে পারে।

“আমার এমন অনুভূতি হতে লাগলো যেন কেউ একজন কষে আমার পেটে একটা ঘুঁষি মেরেছে। আমি ছবিটার দিকে তাকাতে পারছিলাম না। জীবনে এই প্রথমবারের মতো আমি অসহায় বোধ করছিলাম”, বলছিলেন মিয়ানমারে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার সংস্থাটির প্রধান, ক্রিস্টি উইলিয়ামস।

চামড়া পুরোপুরি চেঁছে ফেলা হয়েছে এরকম একটি মৃত হাতির ছবির কথা বলছিলেন তিনি।

ক্রিস্টি উইলিয়ামস বলছিলেন, “প্রাণীটার সারা শরীরে চামড়া তুলে ফেলা হয়েছে। শুধু দেখা যাচ্ছে পচন ধরা গোলাপি মাংস।”

ক্রিস্টি উইলিয়ামস বলছেন কুড়ি বছর ধরে হাতি সংরক্ষণের কাজ করতে গিয়ে তিনি অনেক কিছু দেখেছেন।

কিন্তু ওই ছবিতে যা দেখেছেন তা একেবারে ভিন্ন মাত্রায় ভয়াবহ।

কোথায় হাতির চামড়ার চাহিদা বেশি?

বিশ্বব্যাপী হাতির জন্য সবচাইতে বড় ঝুঁকির জায়গাগুলোর একটি হল তার আবাসস্থল ধ্বংস করা আর লম্বা সাদা দাঁতের জন্য চোরা শিকারির দ্বারা তাদের নিধন।

হাতির সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য এই দুটি বিষয়কেই মূলত দায়ী করা হয়।

কিন্তু ইদানিং নতুন বিপদ হয়ে এসেছে চামড়ার জন্যে এশিয়ান হাতি শিকার।

১৯৯০-এর দশকে হাতির চামড়ার তৈরি সামগ্রী পাওয়া গিয়েছিলো চীনে।

ইদানিং আরও অনেকগুলো দেশের নাম যুক্ত হয়েছে সেই তালিকায়, যেখানে হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি সামগ্রী জনপ্রিয় হচ্ছে।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা এলিফ্যান্ট ফ্যামিলির কর্মকর্তা ডেভিড অগেরি বলছেন, “পুরো অঞ্চল জুড়ে হাতির চামড়া দিয়ে তৈরি সামগ্রীর ব্যবসা প্রসার লাভ করছে। বিশেষ করে চীন, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়াতে আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি।”

যে কারণে এর চাহিদা বাড়ছে

চীনে হাতির চামড়া দিয়ে এক ধরনের গুড়া তৈরি করা হয়।

সেখানে অনেকেই মনে করেন হাতির চামড়ার ঔষধি গুণাবলী রয়েছে, যা দিয়ে আলসার, পাকস্থলীর প্রদাহ এমনকি ক্যান্সারও নিরাময় করা যায় বলে বিশ্বাস করেন চীনের অনেকে।

হাতির চামড়ার নিচে যে চর্বি রয়েছে তা দিয়ে তৈরি হয় এক ধরনের ক্রিম যা ত্বকের প্রদাহ নিরাময়ে ঔষধ হিসেবে বিক্রি হয়।

হাতির দাঁত ও চামড়া দিয়ে গহনাও প্রস্তুত হচ্ছে। কিছু দেশে এসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে।

চাহিদা বাড়ছে তাই হাতি নিধন বাড়ছে

মিয়ানমারে হাতি নিধনের মাত্রা অনেকে বেড়ে গেছে।

ক্রিস্টি উইলিয়ামস বলছেন, “বিষ মেশানো ডার্ট (তীর) ছুঁড়ে মারা হচ্ছে হাতির দিকে। এই ক্ষেত্রে হাতিটি সাথে সাথে মারা যায় না। বিষের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ যন্ত্রণা নিয়ে হাতিটি কয়েকদিন বেঁচে থাকে।”

তিনি বলছেন, “এমনও হতে পারে যে হাতিটি পুরোপুরি মারা যাওয়ার আগেই তার শরীরের চামড়া ছাড়ানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। হাতির শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারবারিরা হাতির চামড়ার গুঁড়োর সাথে প্যাঙ্গুলিন বা বনরুই নামের আরেকটি প্রাণীর আঁশ দিয়ে ভেষজ ঔষধ বানাচ্ছে।”

এলিফ্যান্ট ফ্যামিলি বলছে তাদের কাছে এর প্রমাণ রয়েছে।

বিপন্ন প্রাণী

বনরুই একটি বিপন্ন প্রাণী। এশিয়ার হাতিও বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। এশিয়ার ১৩ টি দেশে এশিয়ান হাতি পাওয়া যায়।

তার মধ্যে শুধু ভারতেই এই প্রাণীটির ৬০ শতাংশের আবাসস্থল। আফ্রিকার হাতির মতো এশিয়ার স্ত্রী হাতির লম্বা দাঁত নেই।

সেই কারণে হাতির দাঁতের জন্য তাদের মারা হয়নি। তাদের অপেক্ষাকৃত কম বিপদগ্রস্ত মনে করা হতো।

কিন্তু চামড়ার চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সেটি আর বলা যাচ্ছে না। এখন সব ধরনের হাতিই মারা পড়ছে।

মিয়ানমারে ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২০৭টি হাতি শিকার করা হয়েছে।

এটিকে ভয়াবহ লক্ষণ বলে বর্ণনা করে এলিফ্যান্ট ফ্যামিলি বলছে, তাদের হিসেবে মিয়ানমারে মোট হাতির সংখ্যাই দুই হাজার।

১৯৪০ এর দশকে সেখানে ১০ হাজারের মতো হাতির বাস ছিল।

কিন্তু সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। মিয়ানমারের বন অধিদপ্তরের প্রধান ড. নি নি ক্যাও বলছেন, ২০১০ সাল থেকে বিষয়টা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলছেন, “হাতির পুরো শরীরটাই বিক্রি হচ্ছে। চীনে হাতির শুঁড় বেশ জনপ্রিয়। চামড়া দিয়ে তৈরি হচ্ছে গহনা। হাতির মাংসও বিক্রি হচ্ছে।” মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় হাতির হাড়গোড় পাওয়া বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।

যেভাবে চলে ব্যবসা

ভিয়েতনামে এরকম হাতির সংখ্যা এখন মোটে ১০০টি।

সেখানে ২০১৩ সালে পুরো চামড়া চেঁছে ফেলা একটি মৃত হাতি পাওয়ার পর সেখানেও যে হাতি আরও বেশি বিপদগ্রস্ত সে সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেলো।

যদিও চীনে হাতির চামড়া বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে তৈরি সামগ্রীর বড় ব্যবসা রয়েছে, কিন্তু চোরা শিকারিদের দ্বারা হাতি নিধন ঠেকাতে চীন তেমন কিছুই করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাতির শরীরের কোন কিছু বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর হয়েছে দেশটি। এর ফলে দোকানে এখন আর এসব পণ্য বিক্রি হয় না।

বিক্রি এবং অর্থ আদানপ্রদান পুরোটাই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে।

ডেভিড অগেরি বলছেন, অনলাইন ভিত্তিক হয়ে ওঠার কারণে এসব পণ্য বিক্রি প্রতিহত করা মুশকিল হয়ে উঠেছে।

আইইউসিএনের কর্মকর্তা সন্দ্বীপ তুমার তিউয়ারি বলছেন, “হাতির চামড়া, হাতির দাঁত বা আইভরির মতো এতটা দামি নয়। কিন্তু হঠাৎ করে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে যদি হাতির চামড়ার চাহিদা বেড়ে যায় তাহলেই হাতিদের জন্য নতুন করে বিপদ নেমে আসবে।”

গবেষণায় দেখা গেছে এক কিলোগ্রাম হাতির চামড়া মিয়ানমারে ১০৮ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। চীনে সেটি ২০০ ডলারে বিক্রি হয়।

হাতির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দিয়ে তৈরি সামগ্রী যে দামে বিক্রি হয় তাতে শিকার আরও বেড়ে যেতে পারে।

মিয়ানমার সম্প্রতি এই পণ্যের বিক্রির উপরে আরও কড়াকড়ি আরোপ করেছে। চীনও তাকে অনুসরণ করছে। তবে ক্যাম্পেইনাররা বলছেন, এটা যথেষ্ট নয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কীটনাশকের কারণে ঝুঁকির মুখে কৃষি

পটুয়াখালীতে নগরায়নের ফলে দিন দিন কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। এরপরও জেলায় ২ লাখ ৩ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম ফসলের চাষাবাদ করে চাষিরা। ফলন বাড়ানোর জন্য মাত্রাতিরিক্ত সার ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কীটনাশক ব্যবহার করে। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে উপকূলীয় এলাকার কৃষি। তবে কী পরিমাণ মাটি ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে এখনই সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা।

পটুয়াখালী মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসএসও) মো. মামুন জানান, অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাটির ক্ষতি হচ্ছে। বাংলাদেশের আবাদযোগ্য মাটির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ওপর এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণা হয়নি। এ ক্ষতি পুষিয়ে আনতে গবেষণা দরকার।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুল হক জাগো নিউজকে জানান, সার বেশি পরিমাণে ব্যবহার মারাত্মক সমস্যা। মাটিতে একটি সার বেশি পরিমাণে ব্যবহার করলে অন্য সার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। যদি মাটিতে ওই উপাদান বেশি থাকে তখন গ্রন কমে যায়। ওই খাবার যখন মানুষ খায়; তখন মানুষের শরীরে পুষ্টির সমস্যা দেখা দেয়। কীটনাশক একটি সমস্যা। মাটিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে ক্ষতিকারক পোকাসহ উপকারী অনুজীব মারা যায়।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষকরা ধানের খড় জমিতে রেখে আসে। এ খড় মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া যায়। তবে ইতোমধ্যে যেসব মাটিতে পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে, তা অনেক অংশে কমে যাবে।

জানা গেছে, গাছ বাড়ার জন্য ১৭টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজন হয়। এসব পুষ্টি উপাদানের কিছু (হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও কার্বন) আসে পানি ও বাতাস থেকে। বাকি ১৪টি (নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্লোরিন, লৌহ, ম্যাঙ্গনিজ, বোরন, দস্তা, তামা, মলিবডেনাম, কোবাল্ট) আসে মাটি থেকে। ১৯৫০ সালের পর থেকে মাটিতে মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের মাটির ৬-৭টি মৌলিক পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দিয়েছে। আগামী ২০-৩০ বছর পর আরও ৩-৪টি পুষ্টি উপাদানের অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বেশি ফলন পাওয়ার অভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রমতে, ২০১০ সালে পটুয়াখালী জেলায় কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৬শ হেক্টর। ২০২০ সালে কৃষি জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৬০১ হেক্টরে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন নগরায়নের ফলে জেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে ১০ হাজার হেক্টর।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, ‘কৃষকরা জৈব সারের চেয়ে রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করে। তবে জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়, তার জন্য আমরা কাজ করছি। এ অঞ্চলে কীটনাশক ব্যবহার হয়। কৃষকরা সচেতনতার অভাবে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কীটনাশক ব্যবহার করে। পরিমিত মাত্রায় যাতে কীটনাশক ব্যবহার করে, তার জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।

ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো

কোয়েলই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে

কোয়েলই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে – দা এগ্রো নিউজ

কফি চাষের প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে কফি চাষের সম্ভাবনা

কফি চাষের প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশে কফি চাষের সম্ভাবনা

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার: ফলনের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর সেরা উপায়!

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার: ফলনের গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ানোর সেরা উপায়!

জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং তাদের উপকারিতা

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! – দা এগ্রো নিউজ

জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ: নিয়ম, উপকারিতা ও গুরুত্ব

জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষ: নিয়ম, উপকারিতা ও গুরুত্ব – দা এগ্রো নিউজ

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র

চাকরি হারিয়ে কোয়েল চাষ করছেন ঢাবি ছাত্র – দা এগ্রো নিউজ

খামার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পদ্ধতি: পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ

খামার বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির পদ্ধতি: পরিবেশবান্ধব ও লাভজনক কৃষি উদ্যোগ – দা এগ্রো নিউজ

??বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি ???

বীজ পরিচর্যা করবেন কিভাবে: বীজ পরিচর্যার গুরুত্ব ও উন্নত ফলনের জন্য সঠিক পদ্ধতি – দা এগ্রো নিউজ

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের

মাছ চাষে স্মার্ট প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশি তরুণের – দা এগ্রো নিউজ

স্মার্ট এরিয়েটর এর সাথে অটো ফিডিং সিস্টেম – লাভজনক মাছ চাষ করার প্রযুক্তি

স্মার্ট এরিয়েটর এর সাথে অটো ফিডিং সিস্টেম – লাভজনক মাছ চাষ করার প্রযুক্তি – দা এগ্রো নিউজ

ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন

ফাতেমা ধান’ চাষে বাম্পার ফলন – দা এগ্রো নিউজ

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার

ফল বাগানে সঠিক স্প্রে যন্ত্রের ব্যবহার – দা এগ্রো নিউজ

কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয়

কৃত্রিম মাংসের বার্গার, যা থেকে ‘রক্ত’ও ঝরে – আর বেশি দূরে নয় – দা এগ্রো নিউজ

জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান

জমি এবং কৃষক ছাড়াই যেভাবে কৃষিকাজে বিপ্লব আনছে জাপান – দা এগ্রো নিউজ

ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছ

ঐতিহ্যবাহী দেশীয় মাছ – দা এগ্রো নিউজ

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন

দেশি সুস্বাদু ও লাভজনক শিং মাছের চাষ পদ্ধতি: সঠিক পদ্ধতিতে অধিক লাভ করুন – দা এগ্রো নিউজ

খামার বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করব কীভাবে?

খামার বর্জ্য থেকে মিশ্রসার তৈরি করব কীভাবে? – দা এগ্রো নিউজ

শীর্ষ সংবাদ