আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

নিরামিষভোজীরা যে ডায়েট অনুসরণ করেন তা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে

ভেগান বা নিরামিষভোজীদের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিলেও বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি।

সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাটি, ১৮ বছর ধরে ৪৮ হাজার মানুষের উপর পরিচালনা করা হয়েছে।

প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে নিরামিষভোজীদের মধ্যে করোনারি হৃদরোগীর সংখ্যা মাংসাশীদের তুলনায় ১০ জন করে কম পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা তিনজন করে বেশি পাওয়া গেছে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস যেমনই হোক না কেন, বিভিন্ন ধরণের বৈচিত্র্যময় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো।

গবেষণায় নতুন কি পাওয়া গেছে?

এপিক-অক্সফোর্ড স্টাডি মূলত একটি দীর্ঘ মেয়াদি গবেষণা প্রকল্প যা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্য নিয়ে পরীক্ষা চালায় তাদের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।

১৯৯৩ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন মাংসাশী। ১৬ হাজারের কিছু বেশি ছিলেন নিরামিষভোজী।

আর সাড়ে সাত হাজার অংশগ্রহণকারী জানান যে তারা আহার হিসেবে মাছ খেতেন।

অংশগ্রহণের সময় এবং ২০১০ সালে আবার নতুন করে এসব অংশগ্রহণকারীদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য, ধূমপান এবং শারীরিক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলোও আমলে নেয়া হয়েছিলো।

সব মিলিয়ে, করোনারি হৃদরোগ বা সিএইচডি’র সংখ্যা মেলে ২৮২০টি, স্ট্রোকের সংখ্যা ১০৭২টি যার মধ্যে ৩০০টি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোকের ঘটনাও রয়েছে। মস্তিষ্কের দুর্বল শিরা ছিড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে এ ধরণের স্ট্রোক হয়।

মাংসাশীদের তুলনায় মাছ ভোজীদের মধ্যে সিএইচডি’র ঝুঁকি ১৩ ভাগ কম ছিলো।

আর নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই হার ২২ভাগ কম ছিলো।

কিন্তু যারা উদ্ভিদ ও শাক সবজি খেয়ে জীবন ধারণ করেন বা যারা নিরামিষভোজী, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ ভাগ বেশি ছিলো।

গবেষকদের ধারণা, ভিটামিন বি১২ এর অভাবের কারণে এই ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তবে তারা বলেন যে, এর প্রকৃত কারণ খুঁজে পেতে হলে আরো গবেষণার দরকার রয়েছে।

এমনও হতে পারে যে, খাদ্যাভ্যাসের সাথে আসলে এর কোন সম্পর্ক নেই। বরং যারা মাংস খায় না তাদের জীবনের অন্যান্য কারণের জন্যই হয়তো এই ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

তার মানে কি নিরামিষভোজী অস্বাস্থ্যকর?

ব্রিটিশ ডায়েটিক এসোসিয়েশনের ডা. ফ্রাঙ্কি ফিলিপস বলেন যে, এটা নাও হতে পারে। কারণ এই গবেষণাটি শুধুমাত্র একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা মাত্র।

“তারা শুধু পর্যবেক্ষণ করেছে যে মানুষ কি খায় এবং তাদেরকে বছরের পর বছর ধরে অনুসরণ করেছে, এটা শুধু সম্পৃক্ততাই জানান দেয়, কারণ বা প্রভাব সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে না,” তিনি বলেন।

“সবার জন্য বার্তা হচ্ছে, সবচেয়ে ভালো হচ্ছে একটি পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস এবং বিভিন্ন ধরণের খাবার খাওয়া।”

“মাংসাশীরা সাধারণত বিভিন্ন ধরণের খাবার খায় না। কারণ তারা প্রতি রাতে খাবার হিসেবে মাংসই খায় এবং কোন ধরণের শাক-সবজি খায় না।”

গবেষণা শুরুর পর থেকে কি মানুষের খাবারে পরিবর্তন এসেছে?

২০১০ সালে গবেষকরা আবার অংশগ্রহণকারীদের কাছে গিয়ে তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।

কিন্তু ডা. ফিলিপস বলেন, নিরামিষভোজীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তিত হয়েছিলো।

“এই তথ্যগুলো কয়েক দশক আগে সংগ্রহ করা হয়েছিলো,” তিনি বলেন।

“স্বাভাবিকভাবেই আজ থেকে ২০ কিংবা ৩০ বছর আগে নিরামিষভোজীদের

সাথে আজকের নিরামিষভোজীদের পার্থক্য তৈরি হয়েছে।”

“নিরামিষভোজীদের খাবারের পরিধি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এগুলো এখন মূল ধারার সাথে যুক্ত হয়েছে।”

আমরা এখন অনেক বেশি মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে অনেক বেশি জানি যা অন্ত্রের ক্যান্সার তৈরি করে।

তাহলে কি খাওয়া উচিত?

ব্রিটিশ জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ইট ওয়েল গাইড নামে খাবার সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা দিয়েছে। আপনি যে ধরণের খাবারই খান না কেন, আপনার থালায় এ ধরণের খাবার থাকাটা জরুরী বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে..

•দিনে কমপক্ষে ৫ ভাগ ফল এবং শাক-সবজি খান

•মূল খাবার হিসেবে উচ্চ মাত্রায় আঁশ সম্পন্ন এবং শ্বেতসার বহুল খাবার যেমন আলু, রুটি, ভাত কিংবা পাস্তা রাখা উচিত

•প্রোটিন ভুলে গেলে হবে না- চর্বিহীন মাংস, মাছ, সামুদ্রিক খাবার, ডাল, তফু কিংবা লবণহীন বাদাম খেতে হবে

•দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থাকতে হবে

•উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি কিংবা লবণ যত কমানো যায় ততই ভালো

কিন্তু যারা নিরামিষভোজী তাদের নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি গ্রহণ সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, যারা মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং মাছ খায় তারা পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১২ পায় যা স্বাস্থ্যকর রক্ত এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়।

যাই হোক, যদিও সকালের নাস্তার বিভিন্ন সিরিয়াল এবং ইস্ট সমৃদ্ধ খাবারে ভিটামিন বি১২ থাকে তবু নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে।

উদ্ভিদ-জাত খাবার থেকে আয়রনও কম পাওয়া যায়। তাই যারা মাংস খান না তাই তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যাতে নিয়মিত গমের রুটি, আটা, শুকনো ফল এবং ডাল খান।

এছাড়া গত মাসে নিরামিষভোজীদের আহ্বান জানানো হয়েছিলো যে তারা যাতে মস্তিষ্কের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন কোলিন পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

সকালের নাস্তায় পাউরুটি না হলে কি চলে! সাধারণত দোকান থেকেই পাউরুটি কিনে খায় সবাই। তবে দোকানের পাউরুটি আর ঘরে বানানো পাউরুটির মধ্যে অবশ্যই ফারাক আছে।

চাইলে কিন্তু স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরেই তৈরি করতে পারেন নরম তুলতুলে পাউরুটি। তাও আবার হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়ে চুলায়ই তৈরি করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক রেসিপি-

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

উপকরণ

১. ময়দা ২ কাপ
২. ইস্ট ২ চা চামচ
৩. চিনি ২ টেবিল চামচ
৪. লবণ আধা চা চামচ
৫. গুঁড়া দুধ ১ টেবিল চামচ
৬. তেল ৪ টেবিল চামচ
৭. কুসুম গরম পানি আধা কাপ+ ১ টেবিল চামচ ও
৮. ডিমের কুসুম ১টি।

পদ্ধতি

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

পানি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এখন পানি দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভালো করে মথে নরম তুলতুলে ডো তৈরি করুন। এবার ডো একটি এয়ারটাইট পাত্রে ঘণ্টাখানেক গরম স্থানে রাখুন।

এক ঘণ্টা পর ডো ফুলে উঠবে। তারপর সেটি বের করে আবারও ভালো করে মথে বাতাস বের করে নিন। এরপর ডো বেলুন দিয়ে রুটির মতো বেলে নিন। রুটি এবার রোল করে চারদিক সমান করে নিন।

এরপর একটি পাউরুটির মোল্ডে সামান্য তেল মাখিয়ে রোলটি মোল্ডে রাখুন। এরপর আবার ১৫ মিনিট গরম স্থানে রেখে দিন। চাইলে গরম পানির পাত্রের মুখে ঢাকনায় পাউরুটির মোল্ড বসিয়ে রাখতে পারেন।

 চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি
চুলায় তৈরি করুন নরম তুলতুলে পাউরুটি

১৫ মিনিট পর দেখবেন ডো ফুলে পুরো মোল্ড ভরে যাবে। এবার ডো’র উপরে ডিমের কুসুম ব্রাশ করে দিন। এখন চুলায় একটা বড় পাত্র বসিয়ে তাতে কিছুটা বালু (১ ইঞ্চি পুরু করে) দিন। এর ভেতরে একটি স্টিলের স্ট্যান্ড (হাড়ি রাখা) বসিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিন।

১ মিনিট উচ্চ তাপে হাঁড়িটা গরম করে নিন। স্টিলের স্ট্যান্ডের উপর পাউরুটির মোল্ড বসিয়ে হাঁড়ির মুখে ঢাকনা দিয়ে উপরে ভারী কিছু দিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ মিনিট। চুলার আঁচ মাঝারিতে রাখুন।

এরপর আঁচ একেবারে কমিয়ে আরও ৫ মিনিট রেখে ঢাকনা খুলে দেখুন। পাউরুটির উপরের অংশ যদি বাদামি হয়ে যায় তাহলে নামিয়ে নিন। এর ১০-১৫ মিনিট পর একটা প্লেটের উপর মোল্ড উল্টে পাউরুটি বের করুন।

এবার একটি ভেজা তোয়ালে বা কাপড় মোটা করে ভাজ করে পাউরুটি ঢেকে রাখুন। এতে পাউরুটি বেশি নরম হয়ে যাবে। ঠান্ডা হলে পাউরুটি কেটে পরিবেশন করুন। এভাবেই ঘরে তৈরি করতে পারেন নরম তুলতুলে পাউরুটি।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!

পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!
পেঁয়াজের রসেই বন্ধ হবে চুল পড়া!

চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। আসলে একেকজনের চুল পড়ার কারণও কিন্তু ভিন্ন। তবে হঠাৎ যদি আপনার অত্যধিক চুল পড়ে ও খুশকি কিংবা মাথার ত্বকে চুলকানির সমস্যা থাকে তাহলে ব্যবহার করুন পেঁয়াজ।

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করেন অনেকেই। চুল পড়া বন্ধের এটি একটি কার্যকরী দাওয়াই। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যেমন পেঁয়াজের হাজারও উপকারিতা আছে ঠিক চুলের ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ খুব উপকারী।

চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চুল ঘন করার ক্ষেত্রেও পেঁয়াজ দুর্দান্ত কার্যকরী। পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। জেনে নিন চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস কীভাবে ব্যবহার করবেন?

>> পেঁয়াজের রস স্ক্যাল্পের যে কোনো সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য পেঁয়াজে অল্প পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।

তারপর তুলা ভিজিয়ে পেঁয়াজের রস মাথার স্ক্যাল্পে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। একদিন পরপর এই টোটকা ব্যবহার করুন।

>> পেঁয়াজের রসের সঙ্গে নারকেল তেলও মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন চুলে। নারকেল তেলের সঙ্গে পেঁয়াজের রস মেশালে এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়। এজন্য প্রথমে ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে সমপরিমাণ নারকেল তেল ভালো করে ফেটিয়ে নিন।

খুশকির সমস্যা থাকলে, মিশ্রণটিতে ৫ ফোঁটা টি-ট্রি অয়েলও মেশাতে পারেন। এরপর মিশ্রণটি ভালো করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর আধাঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

>> অলিভ অয়েল ও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন খুশকির সমস্যা সমাধানে। তাছাড়া অলিভ অয়েল, চুল ও মাথার ত্বককে কন্ডিশনিং করতেও সহায়তা করে। পেঁয়াজের রস চুলকে দ্রুত বড় করে।

এজন্য প্রথমে তিন টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস ও দেড় টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। দুই ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটিও একদিন পরপর করতে পারেন।

>> ক্যাস্টর অয়েল ও পেঁয়াজের রসের ব্যবহারে চুল বড় হয়। এটি চুল পড়া বন্ধ করে। প্রথমে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

>> ডিম ও পেঁয়াজের হেয়ারমাস্ক চুলের পুষ্টি সরবরাহ করে। পাশাপাশি চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটি তৈরি করতে প্রথমে একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রস, একটি ডিম ও ২-৩ ফোঁটা রোজমেরি কিংবা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন।

তারপর এ হেয়ার প্যাকটি স্ক্যাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

ফিলেট ও সাসিমি বিদেশিদের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। তবে বাংলাদেশেও এর সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটিই জানাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি বিদেশে রফতানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

যে সব মাছের মাংসল অংশে ছোট ছোট, কাটা নেই; সে সব মাছ থেকে তৈরি করা হয় ফিলেট (মাছের মাংসল অংশ)। এর জন্য আমাদের দেশের পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, বিভিন্ন ক্যাটফিশ ও সামুদ্রিক মাছ ব্যবহার করা হয়।

 ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

সাসিমি তৈরিতেও এ ধরনের মাছ ব্যবহৃত হয়। তবে সাসিমি হলো- তাজা মাছের পাতলা মাংসল অংশ। এর দৈর্ঘ্য ২.৫ ইঞ্চি ও প্রস্থ দশমিক ৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এটা সস বা বিভিন্ন সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়।

 ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

পাঙ্গাস মাছ থেকে প্রথমে ফিলেট তৈরি করে সাসিমি বানাতে হয়। এজন্য প্রথমে মাছটির মাথার কাছে ছুরি রেখে মাছের মেরুদণ্ড বরাবর লেজের দিকে কাটতে হয়। কাটার পর এর উপরের চামড়া সতর্কতার সঙ্গে ছাড়াতে হয়। এরপর ফিলেট অংশটি পাতলা ছোট ছোট অংশে কেটে তৈরি করতে পারেন ফেলিট সাসিমি।

 ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা
ফিলেট ও সাসিমির সম্ভাবনা

পরিবেশনের জন্য টমেটো, ধনেপাতা, পিঁয়াজ সাসিমির চারিদিকে শৈল্পীক রূপে সাজিয়ে নিতে হয়। আমাদের দেশের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া ফিলেট ও সাসিমি তৈরি করে বিদেশে রফতানির প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বেগুনের দোলমা তৈরির সহজ রেসিপি

 বেগুনের দোলমা তৈরির সহজ রেসিপি
বেগুনের দোলমা তৈরির সহজ রেসিপি

সুস্থ থাকতে সবজি খেতেই হবে। সারাবছরই পাওয়া যায় এমন সবজির মধ্যে বেগুন অন্যতম। সবাই কমবেশি বেগুন ভাজি থেকে শুরু করে নানা পদের তরকারি খান।

তবে সব সময় তো আর সবজির একঘেয়েমি পদ খেতে ভালো না! তাই সাধারণ সবজি দিয়ে চেষ্টা করুন অসাধারণ পদ তৈরি করার। তেমনই এক পদ হলো বেগুনের দোলমা।

এর স্বাদ একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে সব সময়। আর তৈরি করাও বেশ সহজ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক মজাদার এই পদ তৈরির সহজ উপায়-

উপকরণ

১. ভাজা বেগুন আধা কেজি
২. সরিষার তেল এক কাপ
৩. পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ
৪. পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ
৫. টকদই এক কাপ
৬. আদা বাটা এক চা চামচ
৭. রসুন বাটা এক চা চামচ
৮. মরিচের গুঁড়া এক চা চামচ
৯. হলুদের গুঁড়া আধা চা চামচ
১০. লবণ স্বাদমতো
১১. পানি পরিমাণমতো
১২. তেঁতুল গোলা এক কাপ
১৩. চিনি এক চা চামচ
১৪. পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ

পদ্ধতি

ফ্রাইপ্যানে তেল গরম করে নিন। এবার একে একে পেঁয়াজ বেরেস্তা, পেঁয়াজ বাটা, টকদই, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ ও পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন।

এবার কষানো মসলার মধ্যে ভাজা বেগুন, তেঁতুল গোলা, চিনি, পেঁয়াজ বেরেস্তা ও ভাজা জিরার গুঁড় দিয়ে রান্না করুন।

অন্য চুলায় প্যান গরম করে সরিষার তেল দিন। গরম তেলে পাঁচফোড়ন দিয়ে ভেজে নিন। এবার রান্না করা বেগুন পাঁচফোড়নের মধ্যে দিয়ে দিন।

অন্তত পাঁচ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা বেগুনের দোলমা। ভাত, রুটি সবকিছুর সঙ্গেই দারুন মানিয়ে যায় এই পদ।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

আমরা কমবেশি সবাই কদবেল খেতে পছন্দ করি। পুষ্টিগুণে ভরপুর কদবেল। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে আলসার ও কিডনির সমস্যায় কদবেল কতটা উপকারি ফল। বিশেষ করে কাশি, সর্দি, হাঁপানি, ও যক্ষ্মা রোগ নিরাময়ে খুবই কার্যকর। সুগারে কুপোকাত? ওষুধের লম্বা লিস্ট নিয়ে দোকানে ছুটছেন?  কদবেল খান। 

আসুন জেনে নেই কদবেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। 

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ুর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। ফলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

পেট রোগ নিরাময়

কদবেলে ট্যানিন রয়েছে। ট্যানিন দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কদবেল গাছের বাকল মধু সঙ্গে মিশ্রিত করে খেলে পেটের রোগ আমাশা ভাল করে।

বদহজম নিরাময়ে

কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়

কদবেলের ফুল শুকিয়ে পাউডার করে কয়েক মাস সংরক্ষণ করে রাখা যায়। ফল দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠবদ্ধতা ও আমাশা দূর করে।

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ

কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেলের ক্বাথ মলম হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কিডনি সুরক্ষা

এই ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষা থাকবে। যকৃত্‍ ও হৃদপিন্ডের জন্যও উপকারি।

ক্যান্সার নিরাময়ে

স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কদবেল।

স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় কদবেল

দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি

চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে কদবেল। চোখের ছত্রাক জনিত রোগে কদবেল পাতা একটি কাপড়ে পুটলি করে হালকা গরম অবস্থায় সেক নিলে চোখে লাল ভাব নিরাময় হয়।

রূপচর্চায় সহায়ক

কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে ব্রণ ও মেছতার সমস্যা কমে।।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ