চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শ্রীলংকার চা রফতানি খাতে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ১০০ কোটি শ্রীলংকান রুপিতে দাঁড়িয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক...
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শ্রীলংকার চা রফতানি খাতে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ১০০ কোটি শ্রীলংকান রুপিতে দাঁড়িয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক...
বৈশ্বিক চা রফতানি বাজারে শ্রীলংকার বড় হিস্যা রয়েছে। চায়ের আন্তর্জাতিক চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে দেশটি। চলতি বছরের প্রথমার্ধে শ্রীলংকা চা রফতানি বাড়িয়েছে। ফলে বেড়েছে চা রফতানি আয়। খবর সিনহুয়া। শীর্ষস্থানীয় চা ব্যবসায়ী প্রতিনিধি প্রতিষ্ঠান এশিয়া সিয়াকা কমোডিটিসের বরাত দিয়ে শ্রীলংকার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, এ বছরের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত শ্রীলংকার চা রফতানি আয় এসেছে ৬৫ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ে পানীয় পণ্যটি থেকে রফতানি আয় এসেছিল ৫৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। গত বছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চা রফতানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত শ্রীলংকা ১৩ কোটি ৬৭ লাখ কেজি চা রফতানি করেছে। তবে গত বছরের তুলনায় রফতানি বাড়লেও ২০১৯ সালের তুলনায় কম রফতানি হয়েছে। ওই বছর দেশটি ১৪ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা রফতানি হয়েছিল। বছরের প্রথমার্ধে শ্রীলংকার চায়ের প্রধান ক্রেতা ছিল তুরস্ক। এ সময় দেশটি শ্রীলংকা থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা আমদানি করে। ইরাক ১ কোটি ৬০ লাখ কেজি, রাশিয়া ১ কোটি ৩৩ লাখ কেজি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশটি থেকে ১ কোটি ২ লাখ কেজি চা আমদানি করেছে।
পঞ্চগড়ে উৎপাদিত আলু যাচ্ছে মালয়েশিয়া ও শ্রীলংকায়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে গ্রানুলা ও ডায়মন্ড জাতের এসব আলু বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ১৪...
পাম অয়েল আমদানি ও পাম গাছ রোপণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শ্রীলংকা। একই সঙ্গে দেশের পাম উৎপাদকদের পর্যায়ক্রমে পাম গাছগুলো উপড়ে ফেলতে বলেছে লংকান সরকার। তবে...
চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্যবসায় বেশ ভালো লাভ হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলংকা চা বোর্ড। এ সময়ে তারা কেবল চা রফতানি করেই আয় করেছে ৪ হাজার ১০০ কোটি...
শ্রীলংকার রফতানি আয় বাড়াতে ভূমিকা রাখছে মসলা ও ভোজ্যতেলের মতো বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য। এছাড়া নারকেলভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য, রাবার, চা, বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় পণ্য গত বছরের প্রথম...
নগদ অর্থ সংকটে ভোগার কারণে আমদানি নিষেধাজ্ঞায় শ্রীলংকার মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলুদের সরবরাহ সংকটে শ্রীলংকানদের নিত্যদিনের রসনায় প্রভাব পড়েছে। এছাড়া চোরাকারবারিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে মসলা ব্যবসা। খবর এএফপি। কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন খাত স্থবির হয়ে পড়ায় নগদ অর্থ সংকটে ভুগছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। চলতি বছর ৪৫০ কোটি ডলারের আন্তর্জাতিক ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় গত মার্চ থেকে বেশকিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শ্রীলংকা সরকার। আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে গাড়ি, ফ্লোর টাইলস ও মেশিনারি যন্ত্রাংশ। তবে হলুদ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভে ফাটছে রসনাবিলাসীরা। মসলাটি সব তরকারি রান্নাবান্না ও স্থানীয় কুইজিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া হেলথ সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও অনেকে এটা ব্যবহার করে। কিন্তু প্রতি বছর লংকানরা যে ৭ হাজার ৫০০ টন হলুদ গ্রহণ করে তার এক-পঞ্চমাংশ কেবল দেশে উৎপাদন হয়। মহামারী শুরুর পর থেকে হলুদের দাম ২০ গুণ বেড়ে কেজিপ্রতি রেকর্ড ৯ হাজার রুপি (৪৮ ডলার) পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। এটা অনেক শ্রীলংকান শ্রমিকের সাপ্তাহিক বেতনের সমান। প্রার্থনা ভীরাসিংহে নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, মহামারী শুরুর পর থেকে আমাদের তরিতরকারি পুরো পাল্টে গেছে। বাজারে যে হলুদ মিলছে তা বেশির ভাগই নিম্নমানের। আমরা কখনই মনে করিনি হলুদ এতটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে। আমরা এটাকে খুবই স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের নিত্য রান্নাবান্নায় তা ব্যবহার করতে পারছি না। বাজারে গুরুত্বপূর্ণ এ মসলার ঘাটতিতে সুযোগ নিচ্ছে চোরাকারবারিরা। সম্প্রতি শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা ২৫ টন মসলা আটক করেছেন, যেগুলো কন্টেইনারের পেঁয়াজ চিহ্নিত করা ছিল। এছাড়া ভারতীয় জেলেদের নৌকা থেকেও কয়েক টন মসলা আটক করেছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। যারা হলুদের জন্য অপেক্ষা করছিল তাদের চোখের সামনেই জব্দ হওয়া পণ্য পুড়িয়ে দেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, বাজারে দামের অস্থিরতা ঠেকাতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সস্তা পণ্য আমদানির বিপরীতে স্থানীয় বাজারকে শক্তিশালী করতে চাচ্ছে সরকার। গত বছর রেকর্ড ৩ দশমিক ৯ শতাংশ সংকোচনের পর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন রক্ষণমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। অগুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী রফতানিতে শ্রীলঙ্কা সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গাড়ির টায়ার, ফ্লোর টাইলস ও টয়লেট সামগ্রীর মতো অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে। শিগগিরই এ রফতানি নিষেধাজ্ঞা চক্র থেকে শ্রীলংকা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা। শুরুতে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিলেও বর্তমানে তা ২০২১ সালের শেষ নাগাদ বহাল থাকছে। এ রক্ষণশীল ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে শ্রীলংকার প্রধান বাণিজ্য অংশীদারগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বলছে, কলম্বোর বিরুদ্ধে তারা শিগগিরই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) নালিশ করতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর শ্রীলংকার দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার হচ্ছে ইইউ। এদিকে শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক গবেষণাপ্রধান চন্দ্রনাথ অমরাসেকারা গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা খোয়ানোর চেয়ে জরিমানার মুখোমুখি হওয়ায় সমস্যা দেখছি না। নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছরের প্রথম ১১ মাসে আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে। তবে এ কঠোর সিদ্ধান্তে শ্রীলংকার মুদ্রাস্বল্পতা কমেছে এবং শ্রীলংকান রুপির মান কিছুটা বেড়েছে। বিশ্লেষক ডব্লিউএ বিজেবর্ধনা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, এ স্বেচ্ছাচারী আমদানি নিষেধাজ্ঞায় প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে এবং দুর্নীতির বিস্তার ঘটবে। এটা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বার্থবিরোধী। কারণ তারাই মসলার মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দেশে বাল্ব পেঁয়াজের যথেষ্ট ঘাটতি থাকার কারণে পুরো বছর চাহিদা মেটানো সম্ভব বারি উৎপাদিত ‘বারি পাতা পেঁয়াজ-১’ এর মাধ্যমে। এটি বসতভিটাসহ মাঠ পর্যায়ে সারাবছর চাষ করা...
শ্রীলংকার সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির সুযোগ নিয়ে সেদেশের কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। মুসলিম কেউ মারা গেলে তার মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করা...
সর্বশেষ মন্তব্য