শাকসবজি
পুঁইশাক চাষের আধুনিক পদ্ধতি: সহজ উপায়ে উচ্চ ফলন ও লাভবান হওয়ার সেরা সমাধান

পুঁইশাক চাষে কিভাবে চারা তৈরি করবেনঃ
সারিতে বুনলে প্রতি শতকে ৮-১০ গ্রাম বীজ লাগবে। আর ছিটিয়ে বুনলে বীজের পরিমাণ বেশী লাগবে। পুঁইশাকের বীজ বপনের জন্য ১৮ থেকে ২০ সেন্টিগ্রেড তামপাত্রা প্রয়োজন। তাই শীতে সময় যখন তাপমাত্রা কম থাকে সেই সময় বীজ বপনকরা ভাল। সাধারণতঃ গ্রীষ্মকালে বর্ষায় এর চাষ ভাল হয়। বীজ ২৪ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে জমিতে বুনতে হয়। কখনও কখনও বেডে চারা তৈরি করা হয়। ফেব্রুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চারা তৈরির জন্য বেডে বা পলিব্যাগে বীজ বোনা হয়। চারা দু সপ্তাহের হলে সেগুলো তুলে মূল জমিতে লাগানো যায় বা ফাঁকা জায়গা পূরণ করা যায়। সারিতে বুনলে প্রতি শতকে ৮-১০ গ্রাম ও হেক্টর প্রতি ১.৫-২.৫ কেজি বীজ লাগবে।
উপযুক্ত জমি তৈরি ও চারা রোপনঃ
জমির আগাছা পরিস্কারের পর ৫ থেকে ৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটির উত্তমরূপে তৈরি করতে হবে। চারা উৎপাদন করে ১৫-২০ দিনের চারা লাগানো যায়। পুঁই শাকের চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারি ১ মিটার এবং প্রতি সারিতে ৫০ সেন্টি মিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হয়।

পুঁইশাক চাষে সার প্রয়োগ/ব্যবস্থাপনাঃ
ইউরিয়া ছাড়া সব সারই জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। চারার বয়স ১০-১২ দিন হলে ইউরিয়া সার প্রথম কিস্তি ৩০-৪০ দিন পর এবং প্রথমবার ফলন তোলার পর বাকি দুই কিস্তি এই মোট তিন কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে। গোবর ও টিএসপির অর্ধেক জমি তৈরীর সময় এবং বাকি অর্ধেক চারা রোপণের সময় গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। পুঁইশাক চাষে শতক প্রতি সারের মাত্রা হল গোবর ৬০ কেজি, সরিষার খৈল ৫০০ গ্রাম, ইউরিয়া ৮০০ গ্রাম টিএসপি ৪০০ গ্রাম এবং এমওপি ৪০০ গ্রাম।

পুঁইশাক চাষে সেচ ও পানি নিষ্কাশনঃ
বর্ষায় সাধারনত সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মাটিতে রস না থাকলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। প্রায়ই মাটি আলগা করে দিতে হবে।
পুঁইশাক চাষে আগাছা ও নিড়ানিঃ
আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ফলন বেশি পেতে হলে বাউনি দিতে হবে। পুঁইশাক গাছের গোড়ায় কখনই পানি জমতে দেয়া যাবে না। তাহলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। আবার অনেক বৃষ্টিপাত হলে দেখা যায় যে গোড়ার মাটি ধুয়ে যায়। তাই বৃষ্টির পর গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে। চারা ২৫-৩০ সেন্টিমিটার উঁচু হলে আগা কেটে দিতে হবে, এতে গাছ ঝোপালো হয়।

পোকামাকড় ও রোগদমনঃ
পুঁইশাকে পাতার বিটল বা ফ্লি বিটল ছাড়া আর কোনো পোকা তেমন ক্ষতি করে না। এই পোকা পুঁইশাকের পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে ফেলে। সারকোস্পোরা পাতার দাগ পুঁইশাকের একটি মারাত্মক রোগ। এছাড়াও আরও কয়েকধরনের রোগ পুঁইশাক গাছে দেখা দিতে পারে। ছত্রাকনাশক স্প্রে করে এসব রোগ নিয়ন্ত্রন করা যায়।
পুঁইশাক গাছের ডগা মাঝে মাঝে কেটে দিতে হবে। এতে শাক খাওয়াও হয় আবার গাছে নতুন ডগাও বের হয়।
পুঁইশাকের ফলন প্রতি শতকে ২০০ থেকে ২৮০ কেজি এবং হেক্টোর প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টন ।
আঙিনা কৃষি
ধনেপাতা চাষ করুন টবে

সালাদের জন্য ধনেপাতা অন্যতম। খাবার সুস্বাদু করতে ধনেপাতার জুড়ি নেই। তাই যারা শহরে থাকেন তারা টবে করে বাসার ছাদে অথবা বারান্দায় ধনেপাতা চাষ করতে পারেন।
গুণাবলি
ধনেপাতায় ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ক্যারোটিন পাওয়া যায়। টবে ধনেপাতার চাষ করার সুবিধা হচ্ছে- প্রায় বারো মাসই চাষ করা যায়।
সময়
তবে আশ্বিন থেকে পৌষ অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষ করা যায়।

মাটি
সব
রকমের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে বেলে দোঁ-আশ থেকে এঁটেল দোঁ-আশ মাটি
ধনেপাতা চাষের জন্য উপযোগী। ধনেপাতা আবাদের জন্য পানি নিষ্কাশনের সুবিধা
থাকতে হবে।
বীজ বপণ
বীজ
২৪ ঘণ্টা ন্যাকড়ায় জড়িয়ে ভিজিয়ে রাখলে তাড়াতাড়ি গজাবে। ধনেপাতার
জন্য চওড়া মুখ বিশিষ্ট টব নির্বাচন করতে হবে। ৩-৪ সেন্টিমিটার গভীরে বীজ
বুনে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে সেচ দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকলে পানি দেওয়ার
দরকার নেই।
সার
পরিমাণমতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি এবং গোবর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

পরিচর্যা
মাটিতে
রস না থাকলে ২-১ দিন পরপর পানি সেচ দিতে হবে। পাখি যাতে পাতা না খায়
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বীজ বোনার পর পিঁপড়া যাতে খেয়ে ফেলতে না পারে
সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পিঁপড়া এলে কীটনাশক ছিটিয়ে পিঁপড়া দমন করতে
হবে।
পাতা তোলা
গাছ খুব ঘন হলে তা তুলে পাতলা করে দিতে হবে। গাছ বেশি বড় হওয়ার আগে তুলে খেতে হবে।
শাকসবজি
শীতে টবে যেসব শাক-সবজি চাষ করবেন

শহর জীবনেও শীতের স্বাদ উপভোগ করতে পারেন। তার জন্য একটু কাজ তো করতেই হবে। সেজন্য কম পরিশ্রমে বাড়ির ছাদ, বারান্দা, কার্ণিশে বিভিন্ন আকারের টবে শাক-সবজির চাষ করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন টবে সবজি চাষের নিয়ম-কানুন-
যা চাষ করবেন: টমেটো, বেগুন, মরিচ, শসা, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, মটরশুটি, কলমি শুটি, কলমি শাক, লাউ, পুঁই শাক, পেঁপে, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, থানকুনি, লেটুস, ব্রোকলি প্রভৃতি।
টবের মাটি: মাটি হতে হবে ঝরঝরে, হালকা এবং পানি ধরে রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন। মাটি চালনি দিয়ে চেলে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। দুই ভাগ বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে দুই ভাগ জৈব সার মিলিয়ে বীজতলার মাটি তৈরি করতে হয়। মাটি এঁটেল হলে একভাগ বালি মিশিয়ে হালকা করে নিতে হয়। মাটিকে জীবাণুমুক্ত করে চারাকে রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে হয়। সাধারণত ১ লিটার ফরমালডিহাইড শতকরা ৪০ ভাগ ৪০ লিটার পানিতে মিশিয়ে এই দ্রবণের ২৫ লিটার প্রতি ঘন মিটার মাটিতে কয়েক কিস্তিতে ভিজিয়ে দিতে হয়। এরপর দু’দিন চটের কাপড় দিয়ে মাটি ঢেকে রেখে পরে চট উঠিয়ে দিলে মাটি জীবাণুমুক্ত হয়।
বীজ বপন: মাটি হালকা ঝরঝরে করে টবের উপরের ভাগ সমতল করতে হবে। হালকাভাবে বীজ ছিটিয়ে দিতে হবে। এরপর জৈব সার দিয়ে বীজগুলোকে ঢেকে দিতে হবে।

সেচ: নিয়মিত ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত ঝাজরি দিয়ে পানি দিতে হবে। পানির ঝাপটায় যাতে বীজের উপর জৈব সারের আবরণ সরে না যায়। আকারে ছোট বীজগুলোর উপর দিয়ে পানি দিলে পানির ধাক্কায় একস্থানে অঙ্কুরোদগমে ব্যঘাত ঘটতে পারে। তাই সব টবের উপর দিয়ে পানি না দিয়ে তলা দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা উচিত।
পরিচর্যা: হেপ্টোক্লোর ৪০ পরিমাণ মত দিয়ে পিঁপড়া ও মাকড়সার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। পাখির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে হলে টবের উপর তারের বা নাইলনের জাল দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। টবের মাটিতে বীজ বপনের আগে বিভিন্ন প্রকার আগাছা জন্মাতে পারে। তাই নিড়ানি দিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলতে হবে। চারার গোড়ায় যেন আঘাত না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। টবগুলো অবশ্যই আলো-বাতাসযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টি-রোদ-তাপ থেকে রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে টব নিরাপদ স্থানে সরানো যেতে পারে।

যোগাযোগ: এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করতে ফিস এক্সপার্ট লিমিটেড এর ০১৭১২৭৪২২১৭ নম্বরে।
সবজি সংগ্রহ: সবজি বেশিদিন গাছে না রেখে নরম থাকতেই তুলে খাওয়া ভালো। সবজি গাছ থেকে ছিঁড়ে সংগ্রহ করা যাবে না। আস্তে করে কেটে সংগ্রহ করতে হবে। তাহলে সবজি গাছের কোন ক্ষতি হবে না।
শাকসবজি
সহজ উপায়ে টবে লঙ্কা চাষ

রান্নাতে লঙ্কা না হলে, খাবার যেন ঠিক জমে না। খাদ্যে স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ তৈরীতে এবং মসলা হিসাবেও লঙ্কা দেশ তথা গোটা বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশে নানাবিধ লঙ্কার চাষ হয়ে থাকে। সৌখিন মানুষ যারা বাড়িতেও বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ টবে করে থাকেন, তারাও এই বিশেষ ধরনের সবজি অর্থাৎ লঙ্কার চাষ করতে ভীষণই পছন্দ করেন।

মাটি (Soil)
গোটা বছর ধরেই লঙ্কার চাষ করা যায়। শীতকাল নাগাদ এই চাষ করলে ফলন বেশি ভালো হয়। বাড়ির বাগান, ছাদে লঙ্কার চাষ অত্যন্ত সহজেই করা যায়। দো-আঁশ মৃত্তিকা লঙ্কা চাষের জন্য আদর্শ। গোবর সার, ইউরিয়া সার লঙ্কা গাছ টবে চাষ করার জন্য জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
নার্সারির থেকে প্রথমে ভালো মানের লঙ্কা চারা কিনে আনতে হবে। মাটি ভালো করে তৈরী করে চারাগাছে বা বীজ বপন করতে হবে। শুকনো লঙ্কার বীজ ৬ ঘন্টার মতন ভিজিয়ে নিয়ে ভালো করে শুকিয়েও টবের মাটিতে পোঁতা যেতে পারে। অঙ্কুরোদ্গম এর ফলে ভালো হবে গাছে যাতে জল না জমে তার জন্য টবের নিচে ছোট ছিদ্র করে দেওয়া উচিত। যেই স্থানে আলো বাতাস পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে সেখানে লঙ্কার গাছ করা উচিত

সার প্রয়োগ (Fertilizer)
লঙ্কা গাছ বাড়ির টবে করতে গেলে সবসময় জৈব উপায়ে করাই ভালো। রাসায়নিক সার না দিয়ে ঘরের উচ্ছিষ্ট সবজি খোসা পচাও জৈব সার হিসাবে লঙ্কা গাছে প্রয়োগ করা যায়। গাছের পরিচর্যা অবশ্যই ভালোবেসে করতে হবে। সময় করে জল দেওয়া থেকে শুরু করে, গাছের আগাছা দূর করা সব নিজের হাতেই করা উচিত। লক্ষ্য রাখতে হবে, জল দেওয়ার পর টবে যেন কখনোই জল না জমে।

কীটপতঙ্গ প্রতিকার (Pest Control)
ঠিকঠাক ভাবে যত্ন করলে একটি লঙ্কা গাছ দু’ দফায় কম করে ৫০ থেকে ৮০ টি লঙ্কা উৎপাদন করতে পারে। কৃষিক্ষেত্রে বেশি পরিমানে লঙ্কা চাষ করা হলে, মূল পচা, পাতা পচা, পাতা কুঁকড়ে যাওয়া, ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রকমের রোগ দেখা যায়। স্বল্প পরিসর অর্থাৎ টবে চাষ করলে এই রোগগুলির তেমন প্রাদুর্ভাব ঘটে না। অনেক সময় টবের লঙ্কা চাষে, পিঁপড়েরা আক্রমণ করে থাকে। এই বিপদ থেকে গাছকে বাঁচাতে সাবান গুঁড়োর ব্যবহার করা যেতে পারে। অল্প পরিমানে সাবানের গুঁড়ো গাছে ছিটিয়ে দিলে পিঁপড়ে হানার থেকে গাছকে রক্ষা করা যায়।
এই পদ্ধতিতে লঙ্কা চাষ করলে, লঙ্কার উৎপাদনও ভালো হবে, সঙ্গে খাবার পাতে ঝালের অভাবও হবে না।
অন্যান্য
মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাস কৃষি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতকালীন ফসলের শেষ পরিচর্যা এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের প্রস্তুতি এ সময়ে শুরু হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সময়ে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এখানে মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
বোরো ধানের পরিচর্যা
- ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করুন।
- পোকামাকড় যেমন ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার (Brown Plant Hopper) এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নিন।
- ইউরিয়া এবং পটাশ সারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রয়োগ করুন।
গ্রীষ্মকালীন ধান চাষ
- গ্রীষ্মকালীন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করুন।
- উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন করুন।

গম চাষ
- গম ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
- ফসল কাটার পর জমি পরিষ্কার করুন এবং পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।

ডালশস্য
- মুগ, মাসকলাই, এবং ছোলার বীজ বপন করুন।
- আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং সঠিক সময়ে সেচ দিন।


তৈলবীজ চাষ
সূর্যমুখী এবং সয়াবিন
- বীজ বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
- সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করুন।

সবজি চাষ
গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন
- লাউ, কুমড়ো, করলা, এবং ঢেঁড়স বীজ বপন করুন।
- আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সেচ প্রদান করুন।
শীতকালীন সবজি সংগ্রহ
- বাঁধাকপি, ফুলকপি, এবং মূলা সংগ্রহ করে বাজারজাত করুন।



ফল চাষ
- আম, লিচু, এবং কাঁঠাল গাছের মুকুল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
- নতুন ফলের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

মৎস্য চাষ
- পুকুর পরিষ্কার করুন এবং পানি পরিবর্তন করুন।
- মাছের খাবারের পরিমাণ এবং পুষ্টি বাড়িয়ে দিন।
- পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।

গবাদি পশু পালন
- গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।
- গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা নিশ্চিত করুন।
মার্চ মাসে কৃষি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের আয় বাড়ে। সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে করণীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে সফল কৃষিকাজ নিশ্চিত করা সম্ভব।
অন্যান্য
ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

ফেব্রুয়ারি মাস কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ফসলের যত্ন, বপন এবং রোপণ কার্যক্রম চালানো হয়। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব। এখানে ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
বোরো ধানের পরিচর্যা
- জমিতে পানি সঠিকভাবে ধরে রাখুন।
- ধানের চারাগাছের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করুন।
- পোকামাকড় যেমন স্টেম বোরার (Stem Borer) এবং পাতামোড়া পোকার (Leaf Roller) আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।
- ধানের জমিতে প্রয়োজনীয় সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ প্রয়োগ করুন।

গম চাষ
- জমি আগাছামুক্ত রাখুন এবং সঠিক পরিমাণে সেচ দিন।
- পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) এবং ব্রাউন রাস্ট (Brown Rust) রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।

ডালশস্য
- মসুর, মুগ, এবং ছোলার ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
- ফসল কাটার পরে জমি পরিষ্কার করে পরবর্তী চাষের জন্য প্রস্তুত করুন।




তৈলবীজ চাষ
সরিষা ফসল সংগ্রহ
- সরিষার শুঁটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ফসল সংগ্রহ করুন।
- জমি পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।
সূর্যমুখী এবং সয়াবিন
- বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
- সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।

সবজি চাষ
শীতকালীন সবজি সংগ্রহ
- বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, এবং মূলা সংগ্রহ করুন।
গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন
- লাউ, কুমড়ো, ঢেঁড়স, এবং করলার বীজ বপন করুন।
- আগাছা পরিষ্কার এবং সেচের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।




ফল চাষ
- আম, কাঁঠাল, এবং লিচু গাছের মুকুল রক্ষায় কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।
- নতুন ফলের চারা রোপণ করুন।


মৎস্য চাষ
- পুকুরে নিয়মিত পানি পরিবর্তন এবং মাছের খাবার সরবরাহ করুন।
- পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।

গবাদি পশু পালন
- গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় শুষ্ক খড় এবং কাঁচা ঘাস যোগ করুন।
- রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিকাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকের আয় বাড়ে। প্রতিটি কাজ সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রমকে আরও সফল করে তোলা সম্ভব।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন