আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

মৎস্য

জানুন চৌবাচ্চায় বাগদা চিংড়ি মাছ চাষের কৌশল

জানুন চৌবাচ্চায় বাগদা চিংড়ি মাছ চাষের কৌশল
জানুন চৌবাচ্চায় বাগদা চিংড়ি মাছ চাষের কৌশল

বাগদা চিংড়ি (Prawn) দশপদবিশিষ্ট চিংড়ি গোত্রীয় প্রাণী। পৃথিবীতে ৭ ধরনের পরিবারের ৫৪০ প্রজাতির বাগদা চিংড়ি রয়েছে। এ ধরনের চিংড়ি সর্বোচ্চ ৩৩০ মিলিমিটার বা ১৩ ইঞ্চি এবং ওজনে ৪৫০ গ্রাম বা ১ পাউন্ড হয়ে থাকে। আদর্শ রন্ধনপ্রণালী অনুসরণ করে মনুষ্য খাবার উপযোগী দামী অর্থকরী প্রাণী হিসেবে এর ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। চিংড়ি তার আবাসস্থলরূপে উন্মুক্ত মৎস্যক্ষেত্রে বিচরণ করে। তবে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের জন্য এ চিংড়ি খামারেও উৎপাদন করা হয়।

বাগদা চিংড়ি আমাদের দেশে একটি পরিচিত মাছ । এটি খেতে যেমন সুস্বাদু এবং এটি দেখতেও সুন্দর । বর্তমানে  চিংড়ি রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে ।  বাগদা চিংড়ি দশপদ বিশিষ্ট চিংড়ি গোত্রীয় প্রাণী । আমাদের দেশে ছোট বড় প্রায় সকলেরই প্রিয় এই মাছ । আপনি ইচ্ছা করলে চৌবাচ্চায় এই বাগদা চিংড়ির চাষ করতে পারেন ।

আসুন জেনে নেই কিভাবে বাড়িতে বাগদা চিংড়ি (Shrimp farming) চাষ করতে হবে । 

চৌবাচ্চা বাছাই
চৌবাচ্চা বাছাই

চৌবাচ্চা বাছাই

ক) বাড়িতে বাগদা চিংড়ি চাষ করার জন্য আপনি মাঝারি সাইজের চৌবাচ্চা ব্যবহার করতে পারেন । 

খ) তবে খেয়াল রাখবেন যেন চৌবাচ্চাটি গভীর হয় । 

সঠিক সময় ও মৌসুম

ক) বছররের যেকোন সময়েই আপনি বাগদা চিংড়ি চাষ করতে পারেন । 

খ) তবে খেয়াল রাখবেন যে বাগদা চিংড়ি পোনা ছাড়ার ক্ষেত্রে আপনাকে সকাল অথবা সন্ধ্যা এই দুই সময়ের যেকোন একটি নির্বাচন করতে হবে । 

গ) কারণ এসময় তাপমাত্রা সহনীয় অবস্থায় থাকে । তা না হলে মাছ মরে যেতে পারে ।

 পোনা ছাড়া ও তার পরিচর্যা-

ক) বাগদা চিংড়ি চাষ করার জন্য আপনাকে প্রথমে পোনা সংগ্রহ করতে হবে । 

খ) এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার নিকটস্থ যেকোন নার্সারী হতে পোনা আহরন করতে পারেন । 

গ) এছাড়াও আপনি প্রাকৃতিক ভাবে নদী থেকে বাগদা চিংড়ি পোনা আহরণ করতে পারেন । 

চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৌশল
চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৌশল

চাষাবাদ পদ্ধতি ও কৌশল

ক) বাগদা চিংড়ি চাষ করার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়ম অবলম্বন করতে হবে । 

খ) বাড়িতে চৌবাচ্চায় বাগদা চিংড়ি চাষ করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে বাগদা চিংড়ির পোনাকে পলিব্যাগ সহ কিছুক্ষণ চৌবাচ্চার পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে । 

গ) এরপর ব্যাগের পানি ও পাত্রের পানির তাপমাত্রা একই মাত্রায় আনতে হবে । তারপর ব্যাগের মুখ খুলে পাত্রের পানি অল্প অল্প করে ব্যাগে দিতে হবে এবং ব্যাগের পানি অল্প অল্প করে পাত্রে ফেলতে হবে । 

ঘ) ৪০-৫০ মিনিট সময় ধরে এরূপভাবে পোনাকে পাত্রের পানির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে ।

খাবারের পরিমাণ ও  খাবার প্রয়োগ

ক) বাগদা চিংড়ি চাষে আপনাকে নিয়মিত উপযুক্ত খাবার প্রয়োগ করতে হবে। উপযুক্ত সুযোগ বা পরিবেশে খাদ্য ব্যবহার না হলে তা বাগদা চিংড়ির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

খ) মাছ স্বাভাবিকভাবে প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে শেওলা খেয়ে থাকে। তবে আপনি শামুক, ঝিনুক, কেঁচো, স্কুইড, কাঁকড়া,  মাংস, ইত্যাদি দিতে পারেন। 

ঘ) এছাড়াও চাল, ডাল, গম, ভূট্টা ইত্যাদি দানাদার উদ্ভিজ্জ খাদ্য চিংড়িকে দেওয়া যায়। 

রোগ বালাই ও তার প্রতিকার
রোগ বালাই ও তার প্রতিকার

রোগ বালাই ও তার প্রতিকার

ক) বাগদা চিংড়ির বেশকিছু রোগ বালাই হয়ে থাকে। মনে রাখবেন চিংড়ির জীবন চক্রে এক বা একাধিক অস্বাভাবিক অবস্থা যা চিংড়ির স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে বা অবস্থাভেদে চিংড়ি মারা যায়। 

খ) এছাড়াও চিংড়ি চাষে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, পরজীবী, ইত্যাদি দ্বারা আক্রমণ হতে পারে। তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে।

বাগদা চিংড়ির চাষে সার প্রয়োগ –

ক) বাগদা চিংড়ি চাষ করার জন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে সার দিতে হবে। 

খ) তা নাহলে বাগদা চিংড়ির বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়ে থাকে। তাই মাঝেমধ্যে সার দিতে হবে। 

পরিচর্যা

ক) বাড়িতে চৌবাচ্চায় বাগদা চিংড়ি চাষ করতে হলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে চৌবাচ্চাটির তলদেশ সার্বক্ষণিক পরিস্কার রাখতে হবে। 

খ) অন্যান্য জলজ প্রাণী নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। অসুস্থ চিংড়ি খাদ্য গ্রহন করে না। তাই অসুস্থ চিংড়িকে আলাদা করতে হবে। 

গ) নিয়মিত পানিতে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে। প্রয়োজনে পানি বদল করে দিতে হবে।  

বাগদা চিংড়ির খাদ্য গুণাগুণ-

মাছ সংগ্রহ
মাছ সংগ্রহ

ক) বাগদা চিংড়ির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুন বিদ্যমান। 

খ) এছাড়াও চিংড়িতে অনেক ধরণের খাদ্য গুন রয়েছে। এটি খেতে অনাক সুস্বাদু। 

কখন বাগদা চিংড়ি মাছ সংগ্রহ করবেন

বাগদা চিংড়ি মাছ যখন উপযুক্ত বয়স হবে এবং বড় হবে তখন চিংড়ি মাছ সংগ্রহ করতে হবে।

মাছ সংগ্রহ

বাড়িতে চৌবাচ্চায় আপনি সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করলে বেশকিছু বাগদা চিংড়ি পেতে পারেন যা আপনার পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে আপনি বাজারে বিক্রিও করতে পারেন। 

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ‘প্রায় বিলুপ্তি’র পথে ১০০-এর বেশি দেশীয় মাছ

চান্দা মাছ এখন আর দেখাই যায় না।
চান্দা মাছ এখন আর দেখাই যায় না।

বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে ‘প্রায় নেই’ হয়ে গেছে।

প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন বলছে, এর মধ্যে ‘প্রায় বিলুপ্ত’ হবার পথে বাঘাইর, পিপলা শোল বা বাক্কা মাছ, মহাশোল, নান্দিলা মাছ, চান্দা, ভাঙ্গান বাটা, খরকি মাছ, কালো পাবদা, চেনুয়া মাছসহ বেশ কিছু মাছ রয়েছে।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশের একমাত্র মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক মোস্তফা আলী রেজা হোসেন জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

“আইইউসিএন বাংলাদেশের বিপন্ন প্রাণীর তালিকা করার জন্য দুটি জরিপ চালিয়েছিল, ২০০০ সালে প্রথম জরিপে ৫৪ প্রজাতির মাছ বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে সর্বশেষ জরিপে তাতে আরো ৬৪ প্রজাতির মাছ যুক্ত হয়।”

“এই তালিকায় সেই সব মাছকেই চিহ্নিত করা হয়েছিল যেগুলো গত ১০ বা ২০ বছরে দেখা যায়নি।”

বিলুপ্ত মাছ নেই

বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে ১০০র বেশি দেশীয় মাছ থাকলেও এখনো কোন মাছকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি।

কুইচ্চা মাছ
কুইচ্চা মাছ

আইইউসিএনের এ সংক্রান্ত নিয়মটি হচ্ছে, সর্বশেষ কোন একটি প্রজাতির মাছের দেখা পাবার পর পরবর্তী ২৫ বছরে যদি সেই প্রজাতির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন বলছিলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে নান্দিল নামে এক সময় একটি মাছ দেখা যেত, কিন্তু গত ২০ বছরে সেটির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ দেখা যায়নি।

আবার সিলেট অঞ্চলের পিপলা শোল নামে একটি মাছ দেখা যেত, যা এখন আর দেখা যায় না। গত ১০ বছরে দেখা যায়নি এই মাছ।

“দেখা যায়নি, কিন্তু তবু বিলুপ্ত ঘোষণা করার আগে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।”

“যদি এর মধ্যে বিপন্ন মাছেদের অস্তিত্বের ব্যপারে কোন তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে হয়ত আইইউসিএনের পরবর্তী জরিপে এগুলোর ব্যপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকতে পারে।”

বাণিজ্যিকভাবে বাইম মাছেরও চাষ হচ্ছে।
বাণিজ্যিকভাবে বাইম মাছেরও চাষ হচ্ছে।

প্রায় বিলুপ্ত কোন কোন প্রজাতি?

আইইউসিএনের ২০১৫ সালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণীতে মোট ৬৪ প্রজাতির মাছকে রেড লিস্ট বা লাল তালিকাভুক্ত করেছে, এর মানে হচ্ছে এসব প্রজাতির মাছ হয় প্রায় বিলুপ্ত, মহাবিপন্ন ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

বাঘাইর মাছ
বাঘাইর মাছ

২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘আপডেটিং স্পেসিস রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রকল্পের অধীনে এই তালিকা করা হয়।

এ সংক্রান্ত প্রথম জরিপটি হয়েছিল ২০০০ সালে, সে সময় ৫৪টি প্রজাতিকে রেড লিস্টভুক্ত করা হয়েছিল।

জরিপে মূলত স্বাদু পানির এবং আধা লোনা পানির মাছকেই গণনায় ধরা হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ঐ ‘রেড লিস্ট’ তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন।

কী কী মাছ এখন আর তেমন দেখা যায় না?

বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০।

মেনি মাছ
মেনি মাছ

এর মধ্যে ২০১৫ সালে আইইউসিএন এর সর্বশেষ মূল্যায়নে ২৫৩ প্রজাতির মাছের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল।

তাতে দেখা গেছে সময়ের বিবর্তনে যেসব মাছ বিলুপ্তপ্রায় তার বেশির ভাগই নদীর মাছ মানে স্বাদু পানির মাছ।

তবে, ৩০০ প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্তত ৪০ প্রজাতির মাছের ব্যাপারে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থার কাছে হালনাগাদ কোন তথ্য নেই।

আইইউসিএন কয়েকটি ভাগে মাছের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছিল।

এর মধ্যে কিছু মাছ ক্রিটিক্যালি এনডেঞ্জারড বা প্রায় বিলুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ এগুলো সন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে সেগুলো অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

এর বাইরে মহা বিপন্ন, বিপন্ন এবং সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে বহু প্রজাতি।

চাষের টেংরা মাছ চাহিদা আছে বাজারে
চাষের টেংরা মাছ চাহিদা আছে বাজারে

বাংলাদেশে বিপন্ন মাছের মধ্যে রয়েছে—পাঙ্গাস, দারি, ককসা, টিলা বা হিরালু, টিলা ককসা, রানি বা বউ মাছ, বেতাঙ্গি, বেটি বা পুতুল মাছ, কালা বাটা, ঘর পোয়া, ঘর পইয়া, ঘোড়া মাছ, এলানগা, কচুয়া পুটি, বোল, চিতল, গজার, টেংরা, রিটা, গাঙ্গিনা বা চাকা মাছ, বট শিং, ঘাউড়া, সাল বাইম।

এছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে বাও বাইম, চাপিলা, গুতুম, পুঁইয়া, পিয়াসি, জারুয়া বা উট্টি, ছেপ চেলা, গোফি চেলা, বাটা মাছ, নারু মাছ বা গনিয়া, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা, বেলে, শিং, আইড়, বোয়াল, তেলি, কুইচ্চা মাছ, বামোস মাছ।

কেন এই অবস্থা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা বলছেন, মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে তিনি প্রথমেই জলাশয় কমে যাওয়াকে দায়ী করেন।

“শহর ও গ্রাম দুইখানেই নদী-খালসহ সব ধরণের জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কমার সঙ্গে দিনে দিনে কমছে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণও।”

মলা মাছ
মলা মাছ

“কেবল দেশী জাত ও স্বাদের মাছই নয়, এর সঙ্গে কচ্ছপসহ নানা ধরণের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।”

সেই সঙ্গে রয়েছে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে।

এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আছে কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলা হয়, তার ফলেও মাছ মরে যায়, বলেন মিজ ফাতেমা।

এর সঙ্গে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে, বাংলাদেশ মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশী মাছের চাষের কারণেও দেশী প্রজাতির মাছ কমে গেছে।

বাজারে এক সময় দেশীয় চাষের মাছের আধিক্য দেখা যেতো।
বাজারে এক সময় দেশীয় চাষের মাছের আধিক্য দেখা যেতো।

“ধরুন এখানে তেলাপিয়া, কার্পজাতীয় মাছ আনা হয়েছে, আবার এক সময় আফ্রিকান মাগুর আনা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে আনা হলো পিরানহা–এগুলো দেশী মাছের খাবার ও বাসস্থল দখল করতো। অনেক সময় দেশী মাছ খেয়ে ফেলতো কোন কোন বিদেশী প্রজাতি।”

যদিও পরে আফ্রিকান মাগুরের চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু তারপরেও বিদেশী মাছের প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে অনেক মাছ কমে গেছে।

কৃত্রিম প্রজনন ও চাষ কি সমাধান?

বাংলাদেশে দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছের হার কমে যাবার প্রেক্ষাপটে গত দুই দশকে কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে মাছের সরবারহ বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর সাড়ে ৪২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক মানুষ
মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক মানুষ

এর মধ্যে নদী, বিল ও হাওরসহ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে ২৫ শতাংশ, পুকুর, ডোবার মত বদ্ধ জলাশয় থেকে ৫৭ শতাংশ এবং বাকি অংশ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে।

দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়।

বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের কর্মকর্তা বলরাম মহালদার জানিয়েছেন, কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে বাজারে চাহিদা আছে এমন মাছই বেড়েছে।

“কিন্তু বাজারে চাহিদা কম এমন মাছ তো চাষ করছে না কেউ, ফলে সেগুলোর অস্তিত্ব সংকট আগের মতই থাকছে। যেমন খলিশা, চাপিলা, মেনি, ফলি, বাও বাইম, গুতুম, কুইচ্চা মাছ, বামোস ইত্যাদি ধরণের মাছ দেখতে পাবেন না।”

“এখন বাজারে পাবদা বা গুলশা মাছ বা পাঙ্গাস পাবেন আপনি, সেগুলোর চাহিদা আছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হলে, বিপন্ন মাছের ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।”

তবে ফসলি জমি নষ্ট করে দেশে মাছ চাষ করা নিয়ে পরিবেশবাদীদের এক ধরণের বিরোধিতাও রয়েছে।

তাদের পরামর্শ বিদ্যমান নদী ও পুকুরগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে।

তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যদিও এখন কৈ, শিং, পাবদা, মাগুর, সর পুটি, চিতলসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির মাছ সহজলভ্য হয়েছে, কিন্তু সেই সব মাছের স্বাদ আগের মত নয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

বাংলাদেশ

নিরাপদ খাদ্য: দেশি মাছ কাকিলাকে যেভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা

ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে কাকিলা মাছ।
ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে কাকিলা মাছ।

বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বেশ কিছু ছোট মাছের প্রজাতি বিপন্ন হয়ে পড়লেও এসব মাছের মোট উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মৎস্য বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে।

বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বেশ কিছু ছোট মাছের প্রজাতি বিপন্ন হয়ে পড়লেও এসব মাছের মোট উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মৎস্য বিজ্ঞানীদের গবেষণায় ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে।

কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা উন্মুক্ত জলাশয়ের এরকম ৩১টি মাছকে বিলুপ্ত হওয়ার বিপদ থেকে রক্ষা করছেন। শুধু তাই নয়, এর ফলে পুষ্টিসমৃদ্ধ এসব মাছ এখন সহজে পুকুরেও চাষ করা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশে স্বাদু পানিতে ২৬০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ১৪৩টি মাছই ছোট মাছ। যেসব মাছ আকারে নয় সেন্টিমিটারের ছোট সেগুলোকে ছোট মাছ বা স্মল ইন্ডিজেনাস স্পেসিস কিম্বা এসআইএস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করে যে আন্তর্জাতিক সংগঠন আইইউসিএন, তারা বাংলাদেশের ৬৪টি প্রজাতির মাছকে ইতোমধ্যে বিপন্ন বলে উল্লেখ করেছে।

এসব মাছের মধ্যে রয়েছে মহাশোল, খরকি, পিপলা শোল, কালা পাবদা, বাঘ মাছ ইত্যাদি।

এ কারণে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে অস্তিত্বের হুমকির মধ্যে পড়া এসব মাছের বেশ কয়েকটিকে রক্ষার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

মৎস্য বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গত কয়েক বছরে ৩০টি মাছকে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে।

এসব মাছের মধ্যে রয়েছে শিং, মাগুর, পুঁটি, বাইম, টেংরা, ফলি, বাতাসি, ঢেলা, বৈরালি, গুতুম, খলিসা ইত্যাদি।

মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত এক দশকে ছোট মাছের উৎপাদন চারগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে এই মাছের উৎপাদনের পরিমাণ যেখানে ছিল ৬৭,০০০ মেট্রিক টন, সেখানে ২০১৮ সালের উৎপাদন ছিল প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন।

কৃত্রিম প্রজননে জন্ম নেওয়া কাকিলা মাছের পোনা।
কৃত্রিম প্রজননে জন্ম নেওয়া কাকিলা মাছের পোনা।

এসব ছোট মাছের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে চাষ করা ৩০টি মাছ।

এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি আরো একটি মাছের কৃত্রিম প্রজনন করতে সক্ষম হয়েছেন। ৩১তম এই মাছটির নাম কাকিলা। কোথাও কোথাও এটি কাইক্কা এবং কাখলে মাছ নামেও পরিচিত।

শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডেও এই মাছটি পাওয়া যায় কিন্তু এর রঙ ও আকারে কিছু তারতম্য রয়েছে।

সবশেষ যোগ হলো কাকিলা

কাকিলা মাছের দেহ সরু ও লম্বাটে। অনেকটা সিলিন্ডারের মতো। মুখের সামনে ধারালো দাঁতযুক্ত লম্বা ঠোঁট। দেখতে অনেকটা কুমিরের মতো।

নদ-নদী, হাওর-বাঁওড়, খাল ও বিলের মতো অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে এক সময়ে এই কাকিলা মাছ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। বাজারেও উঠতো এই মাছ। ফলে সাধারণ মানুষ এটা খেতে পারতো।

কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনসহ মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে এই মাছের বসবাসের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। কীটনাশক ব্যবহারের কারণে এর প্রজনন ও বিচরণ ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলাশয় ভরাট করায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে এসব মাছের অবাধ চলাচল।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল আউয়াল হোসেন বলেন, “আগে এই মাছটা প্রচুর পাওয়া যেত। কিন্তু এখন কিছু কিছু অঞ্চল ছাড়া আর কোথাও তেমন একটা পাওয়া যায় না। এরই প্রেক্ষিতে সরকার এই মাছটিকে রক্ষার উদ্যোগ নেয়।”

যশোরের স্বাদু পানি উপকেন্দ্রে প্রায় তিন বছর ধরে নিবিড় গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা এবছরের অগাস্ট মাসে এর কৃত্রিম প্রজনন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন।

কাকিলা মাছের পোনা পরীক্ষা করে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
কাকিলা মাছের পোনা পরীক্ষা করে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

কীভাবে বাঁচানো হচ্ছে

কাকিলা মাছটিকে উন্মুক্ত জলাশয় থেকে ধরে প্রথমে সেটিকে পুকুরের মতো বদ্ধ জলাশয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। মাছটিকে ধরা ও পরিবহনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় যাতে এর কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়।

বিজ্ঞানী মি. হোসেন বলেন, “কাকিলা মাছ অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটিকে পানিতে রেখে, পানির ট্যাঙ্কে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেনের প্রবাহ দিয়ে, গাড়িতে করে খুব সাবধানে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে এটি পুকুরের পানিতে ছেড়ে দিয়ে কন্ডিশনিং করা হয়েছে।”

তিনি জানান, প্রথমে পুকুরে মাছটির জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়: মাছটি স্রোত পছন্দ করে কীনা, জলজ উদ্ভিদের মধ্যে থাকতে ভালোবাসে কীনা- এসব বিষয় মাথায় রেখে মোটামুটি একটা পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।

এভাবে এটিকে এক/দুই বছর ধরে নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। অভ্যস্ত করা হয় নতুন পরিবেশে।

এসময় মাছটির আচার আচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নজর রাখা হয়। হ্যাচারিতে উৎপাদিত কার্প জাতীয় মাছের জীবিত পোনা এবং জলাশয় থেকে সংগৃহীত জীবিত ছোট মাছ খাইয়ে পুকুরের বদ্ধ পরিবেশে তাকে অভ্যস্ত করা হয়।

“পুকুরে জাল টেনে ধরার পর মাছটিকে আবার পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। একসময় জালের উপরে এসব মাছ মরে যেত। কিন্তু একটা সময় দেখা গেল এটি মাছের গা-সওয়া হয়ে গেছে। অর্থাৎ নতুন পরিবেশে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে,” বলেন মি. হোসেন।

এর পরে এই মাছের প্রজননের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রজনন করা হয় যেভাবে

কাকিলা মাছ সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে প্রবহমান জলাশয়ে, বিশেষ করে নদীতে এবং বর্ষাকালে প্লাবিত এলাকায় প্রজনন করে থাকে। পরিণত মাছেরা ভাসমান জলজ উদ্ভিদ নেই এমন স্থানে বসবাস করলেও জলজ উদ্ভিদের পাতার নিচে ও ভাসমান শেকড়ে স্ত্রী মাছ ডিম পাড়ে।

বিজ্ঞানীরা দেখলেন জুলাই, অগাস্ট মাসে কাকিলা মাছের ডিমের পরিপক্বতা সবচেয়ে ভাল থাকে। এজন্য তারা এই সময়কালকেই বেছে নেন মাছটির প্রজননের জন্য।

কাকিলা মাছের শরীরে ইনজেকশনের সাহায্যে হরমোন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কাকিলা মাছের শরীরে ইনজেকশনের সাহায্যে হরমোন প্রয়োগ করা হচ্ছে।

মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানী মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, “এপ্রিল মাস থেকেই আমরা প্রজননের বিষয়ে পরীক্ষা চালাতে শুরু করি। প্রথমে এর দৈহিক বৈশিষ্ট্যের ওপর গবেষণা চালানো হয়। যখন দেখা যায় যে মাছটি প্রজননের জন্য তৈরি তখন বিভিন্ন ডোজে বিভিন্ন ধরনের হরমোন প্রয়োগ করা হয়।”

এভাবে বেশ কিছু পরীক্ষা চালানোর পর এক পর্যায়ে দেখা গেল যে নির্দিষ্ট একটি ডোজে মাছটি উত্তেজিত হয়ে পড়ছে। এসময় মা মাছটি ডিম পাড়ে এবং পুরুষ মাছটিও সেখানে তার শুক্রাণু ছেড়ে দেয়। তখন সেখানে ডিম নিষিক্ত হয়। তখনই বিজ্ঞানীরা ধরে নেন যে হরমোনের ডোজ প্রজননের জন্য উপযোগী হয়েছে।

এর পর চৌবাচ্চার ভেতরে ঝর্ণার ধারা তৈরি করে সেখান চার জোড়া মাছ ছেড়ে দেওয়া হয়। এই মাছটি সাধারণত কচুরিপানার মতো জলজ উদ্ভিদের গায়ে ডিম পাড়ে। একারণে চৌবাচ্চার ভেতরে সেরকম একটি পরিবেশ তৈরি করা হয়।

দেখা গেছে হরমোন ইনজেকশন দেওয়ার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পরে মা কাকিলা মাছটি ডিম ছাড়ে এবং এর পর বাবা মাছটি সেখানে তার স্পার্ম ছেড়ে দেয়। সেই ডিম যাতে কোনো ধরনের দূষণের কারণে নষ্ট হয়ে না যায়, অথবা বড় মাছ এগুলোকে খেয়ে না ফেলে, সেজন্য ডিমগুলোকে রাখা হয় ইনটেনসিভ কেয়ারে।

“কাকিলা মাছের ডিম আঠালো হয়। সেগুলো কচুরিপানার গায়ে শক্ত হয়ে লেগে থাকে। দেখা যায় যে বাবা কিম্বা মা মাছ এসব ডিম খাচ্ছে না। বরং যেখানে বেশি ডিম সেখানে তারা পাহারা দিচ্ছে। বোঝা গেল যে তাদের প্যারেন্টাল কেয়ার অত্যন্ত শক্তিশালী,” বলেন মি. ইসলাম।

অবশেষে ২৫শে অগাস্ট রাত চারটার সময় ডিম থেকে মাছের পোনা বের হয়।

এই মাছের বিষয়ে বিজ্ঞানীদের এখনও পূর্ণাঙ্গ ধারণা নেই। কারণ এর আগে কখনো কাকিলা মাছ নিয়ে কখনো গবেষণা হয়নি। ফলে মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদেরকেই এই প্রথমবারের মতো একাজ করতে হচ্ছে।

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল আউয়াল হোসেন জানান তাদের বর্তমান এই গবেষণা থেকে পাওয়া ধারণা নিয়েই তারা ধাপে ধাপে আরো সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।

কাকিলার পুষ্টিগুন

কাকিলা মাছ খেতে যেমন খুব সুস্বাদু, তেমনি অনুপুষ্টিসমৃদ্ধ। এই মাছে আছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, লিপিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, আয়োডিন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ পদার্থ।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অন্যান্য ছোট মাছের তুলনায় কাকিলা মাছে এসব উপাদান বেশি থাকে।

মি. ইসলাম বলেন, “সাধারণ মানুষের বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য এসব খনিজ পদার্থ খুবই উপকারী। যারা অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় ভুগছে তাদের জন্য এবং দেহের রক্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এসব খনিজ পদার্থ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়,” বলেন মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

মৎস্য

শীতে মাছের খামারের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীতে মাছের খামারের যত্ন নেবেন যেভাবে
শীতে মাছের খামারের যত্ন নেবেন যেভাবে

শীত এলে মাছ চাষিরা খামারের মাছ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। ঠান্ডায় মাছ খাদ্য গ্রহণ অনেকটা কমিয়ে দেয়। এর প্রভাবে অতিরিক্ত খাদ্য পচে গিয়ে পুকুরে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার ফলে পানিতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় এবং সর্বোপরি মাছের মৃত্যু ঘটে।

আবদ্ধ পুকুরের ঠান্ডা পানিতে মাছ তাদের চলাচল কমিয়ে দেয়। যার ফলে মাছের মেটাবলিজম কমে যায় এবং ক্ষুধা কমে যায়। অন্যদিকে পানি ঠান্ডা থাকায় বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। দিন ছোট হওয়ায় রোদ অল্প সময় পুকুরের পানিতে পড়ে। ফলে পুকুরের পানির তাপমাত্রা কমে যায়

সাধারণত তাপমাত্রা ২৮-৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে মাছের মেটাবলিজম বা পরিপাক ভালো হয়। এর কম হলে পরিপাক ক্রিয়া কমে যাওয়ায় বৃদ্ধির হার কমে যায়।

অন্যদিকে সূর্যের আলো কম পাওয়ায় প্রাকৃতিক অক্সিজেন উৎপাদন কমে যায়। ফলে মাছের শ্বাসকার্য চালাতে কষ্ট হয়। মাছ খাবি খেতে শুরু করে। তাই অক্সিজেনের অভাবে মাছের মৃত্যু ঘটে।

তাছাড়া পুকুরের পানিতে অবস্থিত ফাইটোপ্লাঙ্কটন তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় পানিতে দ্রবীভূত কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলেও মাছের শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।

প্রাকৃতিক খাদ্যকণা যেমন ফাইটোপ্লাংটন বা উদ্ভিদকণা ও জুপ্লাংটন বা প্রাণিকণা কমে যাওয়ায় মাছের খাবার স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়।

শীতকালে পানির পিএইচ স্বাভাবিক থাকে না। মাছের বৃদ্ধির জন্য স্বাভাবিক পিএইচের মান ৬-৮ এর মধ্যে থাকা উচিত। যদি ৬ এর থেকে কম হয়, তাহলে পানি বেশি অম্লীয় হয়ে যাবে এবং মাছ খাবার খেতে অনীহা দেখাবে। আবার ৮ এর থেকে বেশি হয়ে গেলে পানি ক্ষারীয় হবে এবং অতিরিক্ত ক্ষারত্বের ফলে মাছ মারা যেতে পারে।

শীত মৌসুমে মাছে বিভিন্ন ধরনের পরজীবীজনিত, ফাঙ্গালজনিত এবং ব্যাকটেরিয়ালজনিত রোগ দেখা যায়।

এসময় সঠিকভাবে মাছের পরিচর্যা না করলে মাছের উঁকুন রোগ, অপুষ্টিজনিত রোগ (চোখ অন্ধ হওয়া, হাড় বাঁকা), ক্ষতরোগ, লেজ ও পাখনা পচা রোগ, ফুলকা পচা রোগ এবং উদর ফোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাছ মরে যেতে পারে।

শীতকালে মাছের খামারের পরিচর্যা
পুকুরের পাড়ের উঁচু গাছপালা যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। যাতে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে। কৃত্রিম উপায়ে পানিতে অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে।

জাল টেনে, সাঁতার দিয়ে এবং বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে পানিতে অক্সিজেনের বৃদ্ধি ঘটাতে হবে আর বড় পুকুর বা ঘের হলে কৃত্রিম অক্সিজেন ট্যাবলেট যেমন-এসআই অক্সিট্যাব ৪ থেকে ৫ কেজি প্রতি একরে সন্ধ্যায় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর পুকুরে জাল টানলে স্বাস্থ্য, মাছের সংখ্যা ও ওজন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে। এছাড়া জাল টানার ফলে পুকুরের তলদেশের বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস বের হয়ে যাবে।

ক্ষতিকর গ্যাস অ্যামোনিয়ার প্রভাবে মাছ মারা গেলে প্রয়োজনে এসআই এমোফ্রি-এল অথবা এসআই এমোফ্রি-পি প্রতি শতাংশে ৫ মিলিলিটারের সাথে ২০ মিলিলিটার করে চিটাগুর প্রয়োগ করতে হবে।

অতিরিক্ত শ্যাওলা, ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানা, আগাছাসহ সব ক্ষতিকর জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কার করতে হবে।

পুকুরের পানির পিএইচ ৬-৮ এর মধ্যে রাখতে শীতের শুরুতে ১৫ থেকে ২০ দিন বা একমাস অন্তর অন্তর পুকুরে প্রতি একরে ৬-৭ কেজি এসআই বায়োজিও প্লাস প্রয়োগ করতে হবে।

পিএইচের মান অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে প্রতি একরে ২ লিটার ভিনেগার বা এসিডিন নামের এসিডিফায়ার প্রয়োগ করতে হবে। পিএইচ একেবারে কমে গেলে এসআই রয়েল জিও প্রতি একরে ১৫-২০ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।

পুকুরে উদ্ভিদকণা বৃদ্ধির জন্য অজৈব সার বিশেষ করে ইউরিয়া (বিঘা প্রতি মাসে ৪-৫ কেজি) ও ট্রিপল সুপার ফসফেট (বিঘা প্রতি মাসে ৫-৬ কেজি) ৩ দিন ভিজিয়ে রেখে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও এসআই ফাইটোগ্রো প্রতি একরে ৩-৪ লিটার কড়া রোদের সময় প্রয়োগ করা যেতে পারে।

শীতের সময় মাছের সুষম বৃদ্ধি বজায় রাখতে মূল খাবারের মাছের হজমশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে উৎকৃষ্টমানের উৎসেচক বা এনজাইম সমৃদ্ধ গ্রোথ প্রমোটর যেমন-এসআই গ্রোফিস প্রয়োগ করা উচিত। এতে মাছের খাবারের চাহিদা বাড়বে। তার সাথে অবশ্যই ভালোমানের ইমিউনোমডুলেটর জেলি যেমন-এসআই রয়েল জেল প্রতিকেজি খাদ্যের সাথে ১০ মিলিলিটার করে মিশিয়ে ১৫-২০ দিন টানা খাওয়াতে হবে।

শীতে সাধারণত পুকুরের পানি কমে যায়। তাই প্রয়োজনমতো পানি সরবরাহ করতে হবে। মাছের ঘনত্ব স্বাভাবিক বা কম রাখতে হবে।

পুকুরের পানি বেশি দূষিত হলে পানি পরিবর্তন করতে হবে। প্রয়োজনে পানি দূষণ রোধে ভালো মানের দানাদার সয়েল পোবায়োটিক যেমন-এসআই প্রোক্লিন ৬-৮ গ্রাম করে সরাসরি পানিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।

প্রয়োজনে ভালো মানের জীবাণুনাশক (এসআই ক্লোর-টি) ১টি করে ট্যাবলেট প্রতি শতাংশে এবং কপার সালফেট পেন্টাহাইড্রেট-১০% (এসআই ফাইটোক্লিন) ৩০ মিলিলিটার করে প্রতি শতাংশে প্রয়োগ করতে হবে।

শীতের পুরো সময়ে পানির গুণগত মান ধরে রাখতে ১৫ দিন পরপর প্রতি একর পানিতে একটি উৎকৃষ্ট মানের ওয়াটার প্রোবায়োটিক যেমন-এসআই রয়েল প্রো ৫০০ গ্রামের সাথে ২ কেজি লাল চিনি পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

অন্যান্য

মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ
মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাস কৃষি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতকালীন ফসলের শেষ পরিচর্যা এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের প্রস্তুতি এ সময়ে শুরু হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সময়ে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এখানে মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
ধান চাষ

ধান চাষ

বোরো ধানের পরিচর্যা

  • ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করুন।
  • পোকামাকড় যেমন ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার (Brown Plant Hopper) এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নিন।
  • ইউরিয়া এবং পটাশ সারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রয়োগ করুন।

গ্রীষ্মকালীন ধান চাষ

  • গ্রীষ্মকালীন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করুন।
  • উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন করুন।
গম চাষ
গম চাষ

গম চাষ

  • গম ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
  • ফসল কাটার পর জমি পরিষ্কার করুন এবং পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।
ডালশস্য
ডালশস্য

ডালশস্য

  • মুগ, মাসকলাই, এবং ছোলার বীজ বপন করুন।
  • আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং সঠিক সময়ে সেচ দিন।

তৈলবীজ চাষ

সূর্যমুখী এবং সয়াবিন

  • বীজ বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
  • সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করুন।
সবজি চাষ
সবজি চাষ

সবজি চাষ

গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন

  • লাউ, কুমড়ো, করলা, এবং ঢেঁড়স বীজ বপন করুন।
  • আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সেচ প্রদান করুন।

শীতকালীন সবজি সংগ্রহ

  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, এবং মূলা সংগ্রহ করে বাজারজাত করুন।

ফল চাষ

  • আম, লিচু, এবং কাঁঠাল গাছের মুকুল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
  • নতুন ফলের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।
মৎস্য চাষ
মৎস্য চাষ

মৎস্য চাষ

  • পুকুর পরিষ্কার করুন এবং পানি পরিবর্তন করুন।
  • মাছের খাবারের পরিমাণ এবং পুষ্টি বাড়িয়ে দিন।
  • পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু পালন
গবাদি পশু পালন

গবাদি পশু পালন

  • গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।
  • গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা নিশ্চিত করুন।

মার্চ মাসে কৃষি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের আয় বাড়ে। সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে করণীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে সফল কৃষিকাজ নিশ্চিত করা সম্ভব।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

অন্যান্য

ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ
ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

ফেব্রুয়ারি মাস কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ফসলের যত্ন, বপন এবং রোপণ কার্যক্রম চালানো হয়। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব। এখানে ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
ধান চাষ

ধান চাষ

বোরো ধানের পরিচর্যা

  • জমিতে পানি সঠিকভাবে ধরে রাখুন।
  • ধানের চারাগাছের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করুন।
  • পোকামাকড় যেমন স্টেম বোরার (Stem Borer) এবং পাতামোড়া পোকার (Leaf Roller) আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • ধানের জমিতে প্রয়োজনীয় সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ প্রয়োগ করুন।
গম চাষ
গম চাষ

গম চাষ

  • জমি আগাছামুক্ত রাখুন এবং সঠিক পরিমাণে সেচ দিন।
  • পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) এবং ব্রাউন রাস্ট (Brown Rust) রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।
ডালশস্য
ডালশস্য

ডালশস্য

  • মসুর, মুগ, এবং ছোলার ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
  • ফসল কাটার পরে জমি পরিষ্কার করে পরবর্তী চাষের জন্য প্রস্তুত করুন।

তৈলবীজ চাষ

সরিষা ফসল সংগ্রহ

  • সরিষার শুঁটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ফসল সংগ্রহ করুন।
  • জমি পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।

সূর্যমুখী এবং সয়াবিন

  • বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
  • সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।
সবজি চাষ
সবজি চাষ

সবজি চাষ

শীতকালীন সবজি সংগ্রহ

  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, এবং মূলা সংগ্রহ করুন।

গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন

  • লাউ, কুমড়ো, ঢেঁড়স, এবং করলার বীজ বপন করুন।
  • আগাছা পরিষ্কার এবং সেচের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।

ফল চাষ

  • আম, কাঁঠাল, এবং লিচু গাছের মুকুল রক্ষায় কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।
  • নতুন ফলের চারা রোপণ করুন।

মৎস্য চাষ

  • পুকুরে নিয়মিত পানি পরিবর্তন এবং মাছের খাবার সরবরাহ করুন।
  • পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।
মাছ ও গবাদি পশুর যত্ন
মাছ ও গবাদি পশুর যত্ন

গবাদি পশু পালন

  • গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় শুষ্ক খড় এবং কাঁচা ঘাস যোগ করুন।
  • রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করুন।

ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিকাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকের আয় বাড়ে। প্রতিটি কাজ সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রমকে আরও সফল করে তোলা সম্ভব।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ