আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

লাইভস্টক

জেনে নিন কবুতর পালনের সহজ উপায়

জেনে নিন কবুতর পালনের সহজ উপায়
জেনে নিন কবুতর পালনের সহজ উপায়

অনেকেই শখের বশে কবুতর পালন করেন। এছাড়া আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবেও কবুতর পালন করছেন কেউ কেউ। বিশেষ করে বেকারত্ব দূর করতে কবুতর পালন ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। কবুতর পালন করতে বেশি জায়গারও প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে কম খরচে অল্প সময়ে বাচ্চা পাওয়া যায়, বাজারে দামও বেশি। তাই খুব সহজেই কবুতর পালন করে আয় করা সম্ভব।

লাভজনক এই পাখি পালনের জন্য বাড়তি জ্ঞান ও শিক্ষার প্রয়োজনও হয় না। শুধু সামান্য নজরদারি আর সতর্ক হলেই কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর করা যায়। কবুতর প্রতি মাসে দুটি করে বাচ্চা দেয়। বাচ্চার বয়স ২১ দিন হলেই বিক্রির উপযোগী হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো অন্যান্য পাখির মতো কবুতর খাদ্যের অপচয় বেশি করে না। বরং বলা যায় অপচয়রোধী পাখি কবুতর।

কবুতরের বিভিন্ন জাত রয়েছে। বলা হয় পৃথিবীতে ৬০০ জাতের কবুতর রয়েছে। ‘জালালি কবুতর’ উন্নত জাতের দেশি কবুতর। এ ছাড়াও মাংস উৎপাদনের জন্য হোয়াইট কিং, টেক্সেনা, সিলভার কিং, হামকাচ্চা, কাউরা, হোমার, গোলা, ডাউকা, লক্ষ্যা ও পক্কা উল্লেখযাগ্য কবুতরের জাত।

আমাদের দেশে শখের বশে সিরাজী, ময়ুরপঙ্খী, লাহোরি, ফ্যানটেইল, জেকোভিন, মুখি, গিরিবাজ, টাম্পলার, লোটন প্রভৃতি কবুতর বেশি চাষ করা হয়। গিরিবাজ কবুতর উড়ন্ত অবস্থায় ডিগবাজি খেয়ে মানুষের নজরকাড়ে।

কবুতরের জন্য ঘর তৈরি পদ্ধতি
কবুতরের জন্য ঘর তৈরি পদ্ধতি

কবুতরের জন্য ঘর তৈরি পদ্ধতি আগে জেনে নিতে হবে। ক্ষতিকর প্রাণী ও পাখি যাতে কবুতরকে খেয়ে ফেলতে না পারে সে জন্য প্রয়োজন উঁচু ও শক্ত ঘর তৈরি করতে হবে। হালকা কাঠ, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই, শন, পলিথিন, খড় ইত্যাদি সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে কবুতরের ঘর বানানো যায় সহজেই।

প্রতি জোড়া (একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী) কবুতরের জন্য এক বর্গফুট করে ঘর হলেই চলে। একই সঙ্গে একই জায়গায় কবুতরের ঘর কয়েক তলা করা যেতে পারে। এতে খরচও বাঁচে। এক বর্গফুট মাপের ঘরের সামনে ৫ থেকে ৬ ইঞ্চির বারান্দা অবশ্যই রাখতে হবে, যাতে কবুতর সহজে দূর থেকে উড়ে এসে আশ্রয় নিতে পারে আবার খাবারও খেতে পারে। প্রতি ঘরের দরজা রাখতে হবে ৪ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি।

ঘর সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে ঘর পরিষ্কার করে দিতে হবে। ডিম পাড়ার সময় যাতে সহজেই খড় সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য কবুতরের ঘরের আশপাশে খড় রেখে দিতে হয়। ঘর রাখতে হবে সবসময় শুকনো। কবুতর সাধারণত জোয়ার, ভুট্টা, ধান, চাল, কলাই, কাউন, মটর, খেসারি, সরিষা, গম কবুতরের পছন্দনীয় খাবার। এসব খাদ্য প্রতিদিন প্রত্যেকটি কবুতরের জন্য ৩৫ থেকে ৬০ গ্রাম খাদ্য প্রয়োজন।

কবুতরের খাবার
কবুতরের খাবার

এছাড়া বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় কবুতরের খাবার। তবে সেসব খাদ্যে ১৫% থেকে ১৬ % আমিষের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। প্রতি ঘরের সামনে নিয়ম করে খাবার রেখে দিতে হবে সকাল ও বিকালে, সেই সঙ্গে দিতে হবে পর্যাপ্ত পানির জোগানও। ঘরে কবুতরের সুষম খাদ্য তৈরি করা যায়।

কবুতরের জন্য প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যে ভুট্টা ভাঙা ৩৫ গ্রাম, গম ভাঙা ২০ গ্রাম, সরিষা দানা ১৫ গ্রাম, ছোলা ভাঙা ২০ গ্রাম, সয়াবিন ভাঙা ৫ গ্রাম, চালের কুঁড়া ৪.৫ গ্রাম, লবণ ০.৫ গ্রাম।

কবুতরের কবুতরের খুব বেশি রোগের প্রকোপ দেখা যায় না। তবে যেসব রোগ হয় সেগুলোর মধ্যে বসন্ত, কলেরা, রক্ত আমাশয় যাকে বলা হয়ে থাকে ককসিডিওসিস, আরও আক্রমণ করতে পারে কৃমি।

কবুতরের বসন্ত রোগে পালকবিহীন স্থানে ফোস্কা পড়ে। গলার ভেতর ঘা হয়, খেতে পারে না। রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত কবুতরের গুটিতে টিংচার আয়োডিন বা স্যাভলন লাগানো যেতে পারে। কবুতরের বয়স যখন চার সপ্তাহ তখন পিজিয়ন পক্স টিকা বুকে ও পায়ের পালক তুলে সিরিঞ্জ দিয়ে দিলে বসন্ত রোগ হয় না।

কলেরা রোগ হলে অস্বাভাবিকভবে কবুতরের দেহের তাপমাত্রা বাড়ে। শ্বাসকষ্ট হয়, পিপাসা বাড়ে, সবুজ বা হলুদ রঙের ঘন ঘন পায়খানা হতে পারে, কবুতরের ওজন কমে যায়। শেষে কবুতর হঠাৎই মারা যায়। কলেরা রোগে আক্রন্ত কবুতরকে রোগ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেরামাইসিন ক্যাপসুল বা ইনজেকশন বা কসুমিক্স প্লাস দেয়া যেতে পারে। রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগে রক্ত পায়খানা হয়। খাবার প্রতি অরুচি বাড়ে ও শরীরে দুর্বলতা দেখা যায়। শেষে পালক ঝুলে পড়ে।

রোগ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গ বা রোগের আশঙ্কা করলে পানিতে মিশিয়ে ই.এস.বি-৩ আ এমবাজিন জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে প্যাকেটের নির্দেশনা মতো। কৃমি হলে কবুতর দুর্বল হয়ে পড়ে ও ডায়রিয়া হয়। পানির পিপাসা বাড়ে। রক্তশূন্যতা দেখা যায়। ঠিকমতো কবুতরের যত্ন নিলে এটি পালন করে আনন্দ লাভের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায়।

লাইভস্টক

গরুর দুধ জ্বরের লক্ষণ, করণীয় ও চিকিৎসা

গরুর দুধ জ্বরের লক্ষণ, করণীয় ও চিকিৎসা
গরুর দুধ জ্বরের লক্ষণ, করণীয় ও চিকিৎসা

উন্নত জাতের গাভী এবং উচ্চ দুধ উৎপাদনে সক্ষম গাভী বাচ্চা প্রসব করবে অথবা করেছে। এমন অবস্থায় খামারীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন তার গাভী বাচ্চা প্রসব করার পরে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারছে না। মনে হচ্ছে যেন মারা গেছে, হাত পা ছেড়ে দিয়েছে। তখন দ্রুত অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের স্বরনাপন্ন হয়। পরে চিকিৎসায় গাভী সুস্থ হয়ে উঠে। এই রোগের নাম মিল্ক ফিভার বা দুগ্ধ জ্বর। এটিই কেবল মাত্র একটি রোগ যার নামেই ফিভার (জ্বর) উল্লেখ্য আছে কিন্তু আসলে এই রোগে কোন জ্বর দেখা যায়না। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এই রোগ খুবই পরিচিত। বিশেষত যারা উন্নত জাতের এবং ভালো মানের সংকর জাতের গাভী লালন পালন করেন। প্রতিবার বাচ্চা প্রসবের সময় বা আগে পরে না হলেও প্রায়ই ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়। যার কারণে কিছু মানুষ গাভী পালনে ভয় পায়। এই রোগ একটি মেটাবোলিক রোগ, যা সাধারনত ক্যালসিয়ামের অভাব জনিত কারনেই হয়ে থাকে।

রোগের কারনঃ এটা পুষ্টি উপাদান ঘাটতি জনিত রোগ। শরীরের সঠিক ভাবে কার্য সম্পাদন করতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম প্রয়োজন তার অভাব হলে এই রোগ হয় । বাচ্চা প্রসবের সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় অনেক বেশি পরিমাণে। যার কারনে গাভী হঠাৎ পড়ে যায় এবং ঘাড়ের মাথা দিয়ে বসে থাকে।

রোগের কারনঃ
ক) রক্তে ক্যালসিয়াম কমে গেলে এই রোগ হতে পারে। সাধারনত ১০০ সি সি রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমান থাকতে হয় ৯ মিলিগ্রামেরও বেশি। কোন কোন বিশেষ কারণে এই মাত্রা উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে যেতে পারে, এমনকি তা ৩/৪ মিলিগ্রামে নেমে আসে। আর তখনই এই রোগের সৃষ্টি হয়।
খ) বাচ্চা প্রসবের সময় জরায়ুতে যদি ফুল আটকে থাকে বা কোন কারনে যদি জরায়ু বাইরের দিকে চলে আসে, কিংবা জরায়ুর কোন স্থানে যদি বাচ্চা আটকে থাকে ,তাহলেও এই মিল্ক ফিভার হতে পারে।
গ) কিছু হরমোনের বৈরি কার্যক্রমের কারনেও হতে পারে। যেমন এড্রেনালিন গ্রন্থির রস নিঃসরণের তারতম্যের কারণেও এই রোগ হতে পারে।
ঘ) গাভীর দেহে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতির ফলে স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়ার জন্যেও এই রোগ হতে পারে।
ঙ) বাচ্চা প্রসবের পর পালান একবারে খালি করে দুধ দোওয়া হলেও এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
গাভী গর্ভকালীন সময়ে নিজের রক্ত থেকে ক্যালসিয়াম বাচ্চার( ফিটাসের ) দেহে পাঠায়। প্রায় প্রতি ঘন্ঠায় ০২৫ বা প্রতিদিন ১০ গ্রাম এবং বাচ্চা প্রসবের ২৪ ঘন্টা মধ্যে প্রতিঘন্ঠায় ১ গ্রাম বা সারাদিনে সর্বোচ্চ ৩০ গ্রাম ক্যালসিয়াম প্রসব কালীন দুধে বের হয়। এই কারণেই গর্ভকালীন এবং প্রসবোত্তর উপযুক্ত পরিমানে ক্যালসিয়ামের সরবরাহ না থাকলেই এই রোগ বেশি হয়।
আরো কিছু কারণে এই ক্যালসিয়াম হ্রাস পায় যথা-

প্রথমত: গাভীর পাকান্ত্র থেকে শোষিত ও অস্থি থেকে বের হয়ে আসা ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ফিটাস ও কলোস্ট্রামের চাহিদার পরিমাণ অপেক্ষা অধিক কম হলে এই রোগ হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এবং কলস্ট্রাম পিরিয়ডে পাকান্ত্রে সুষ্টভাবে ক্যালসিয়াম শোষিত না হলে। আর যেসব কারনে সুষ্ট ভাবে হয় না তা হতে পারে-
খাদ্যে ক্যলসিয়ামের অভাব
ক্ষুদ্রান্তে অদ্রবণীয় ক্যালসিয়াম অক্সালেটের সৃষ্টি
অন্ত্র প্রদাহ
ক্যালসিয়াম ফসফরাসের অনুপাতের তারতম্য
ভিটামিন ডি এর অভাব ইত্যাদি।

এপিডেমিওলজি
এপিডেমিওলজি

এপিডেমিওলজি

ক) প্রি-ডিসপোজিং ফ্যাক্টরস (pre disposing factors)
বয়সঃ সাধারণত বয়স্ক গাভিতে বেশি দেখা যায়। ৪/৫ বাচ্চা প্রসবের পর এর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। কারণ বৃদ্ধ বয়সে একদিকে অস্থি থেকে ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশন হ্রাস, অন্যদিনে পাকান্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ হ্রাস পায়। উচ্চ ফসফরাস যুক্ত খাদ্য ভিটামিন ডি কে তার মেটাবলাইটে বাধা প্রদান করে ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ
জাতঃ জার্সি জাতের গাভী এরোগ বেশি আক্রান্ত হয়। আকারে ছোট কিন্তু বেশি দুধ দেয় বলেই এই সমস্যা হতে পারে।
পুষ্টিঃ একটানা ৪৮ ঘন্ঠা অনাহারে বা নিম্ন মানের খাবার পরিবেশন করলে ক্যালসিয়ামের অভাবে হতে পারে।
সময়কালঃ ঘাস খাওয়ানোর চেয়ে ঘরে বেধে খাওয়ালে এই সমস্যা বেশি হতে পারে।
হরমোনঃ প্রসব ও ইস্ট্রাস পিরিয়ডে ইস্ট্রোজেন হরমোন বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ক্যালসিয়াম বেটাবলিজমে বাধা পায়।

প্রাদুর্ভাব ও সংবেদনশীলতা (Occurance & susceotibility)
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব দেশেই অধিক দুধ উতপাদনকারী গাভী এবং অনেক সময় ছাগী, ভেড়ী ও মহিষেরও এই রোগ হয়।
দুদ্ধ জ্বর বিক্ষিপ্ত প্রকৃতির রোগ তবে খামার ভুক্ত গাভীর এই সমস্যা ২৫-৩০ ভাগ হওয়ার ইনিহাস রহিয়াছে।
প্রাদুর্ভাবের পর্যায়ঃ সাধারণত তিন পর্যায়ে রোগটির লক্ষন প্রকাশ পায়-১। গর্ভাবস্থার শেষ কয়েকদিন,২। প্রসবকালীন ও ৩। প্রসবোত্তর ( ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত)।

অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ
এই রোগের ফলে গাভীর সাময়িক দুধ উৎপাদন হ্রাস পায়। ফলে খামারী অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
দ্রুত চিকিতসা নিলে ভাল হয়ে যায় , তবে যদি বেশি দেরি করা হয় তাহলে যে কোন সমস্যা হতে পারে।
এই রোগে মৃত্যুর হার কম।
রোগের লক্ষণঃ এই রোগের নামে জ্বর থাকলেও আসলে জ্বর হয়না। তবে নিম্নোক্ত সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।
গাভীর তাপমাত্রা হ্রাস পায় অনেক সময় স্বাভাবিক থাকে।
দুদ্ধ জ্বরে আক্রান্ত গাভীর উপসর্গ গুলোকে তিন ভাবে ভাগ করা যায়-
প্রথম পর্যায়ঃ
মৃদু উত্তেজনা ও অনৈচ্ছিক পেশী খিঁচুনি।
স্নায়ুবিক দুর্বলতা ,অতিসংবেদনশীলতা, ক্ষুধা মন্দা ও দুর্বলতা।
ভাগীর হাটতে ও খাদ্য গ্রহণে অনিচ্ছা ,পরবর্তীতে পিছনের পা দ্বয় শক্ত হয় এবং টলমল করে হাঁটে।
হ্রদ গতি বৃদ্ধি পায় এবং দেহের তাপমাত্রা সামান্য কিছু বৃদ্ধি পায়।
এসব উপসর্গ সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য থাকে এবং অলক্ষিতভাবে চলে যায়।
এপর্যায়ে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে (৭৫ /) নেমে আসে
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ
গাভী মাটিতে সুয়ে পড়ে এবং আর উঠে দ্বাড়াতে পারেনা।
গাভী শুয়ে মাথা ও ঘাড় বাকিয়ে ফ্লাঙ্কের উপর রাখে।
আংশিক পক্ষাঘাত() ও অবসাদ প্রকাশ পায় এবং রক্তে ক্যালসিয়াম অধিক মাত্রায় হ্রাস পায়।
সুক্ষ পেশী কম্পন ও ও গভীর ও দ্রুত হ্রদ গতি থাকে।
গাভীর দেহের প্রান্ত বিশেষ করে কান ও নাক ঠান্ডা থাকে এবং দেহের তাপমাত্রা ৯৬-১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে।
তৃতীয় পর্যায়ঃ
প্রাণী অবসাদ গ্রস্থ থেকে দেহের এক পাশে মাথা গুজে শুয়ে থাকে। এই বিশেষ ভঙ্গী দুগ্ধ জ্বরের বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য।
পেট ফেঁপে যায়।
চিকিৎসা বিহীন ভাগীর মৃত্যু ঘটে।
রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমান সর্বনিম্নে নেমে যায় (১ mg/dl) ।
প্রসব পুর্ব ও প্রসবকালীনঃ
প্রসবের পুর্বে দুদ্ধজ্বর হলে প্রসব আরম্ভ হয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
বাচ্চা প্রসবের জন্য কোন কোথ দেয়না।
জরায়ুর নিস্ক্রিয়তার ফলে প্রসবে বিঘ্ন ঘটে।
বাচ্চা প্রসব হলে হাইপোক্যালসেমিয়ায় জরায়ুর নির্গমন ঘটে।
রোগ নির্নয়ঃ সাধারন্ত নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করে রোগ নির্নয় করতে হয়।
ক) রোগের ইতিহাস নিয়ে এবং এর উপর ভিত্তি করে-
১. গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের ইতিহাস , প্রাপ্ত বয়স্ক ভাগী বিশেষ করে ৫-৯ বছর বয়সে এই রোগ বেশি হয়।
২. সাধারণত বাচ্চা প্রসবের ১৫ মিনিট পরে গাভী , ৩০ মিনিট পরে বকনা, এবং প্রসববিঘ্ন যুক্ত গাভী ৪০ মিনিট পর দাঁড়ায় । এই সময়ের মধ্যে বাচ্চা প্রসবের পর না দাঁড়ালে মিল্ক ফিভার রোগ সন্দেহ এবং পরিক্ষা করা প্রয়োজন।
৩. রোগের লক্ষনের সাথে প্রকাশিত উপসর্গ মিলিয়ে রোগ নির্নয় করা হয়।
৪. রক্তের ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম নির্নয় করেও এরোগ নির্নয় করা হয়।
চিকিৎসাঃ
রোগের লক্ষন প্রকাশের সাথে সাথে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ নিন। তাহলে দ্রুতই এই রোগের সমাধান করা যাবে। যেমন চিকিৎসা দেয়া হয়-
১। যত দ্রুত সম্ভব ক্যালসিয়াম বোরো গ্লুকোনেট সলুশন ইনজেকশন দিতে হবে। প্রা ৪৫০ কেজি দৈহিক ওজনের গাভীকে ৫০০ মিলি ক্যালসিয়াম বোরো গ্লুকোনেট যার মধ্যে প্রায় ১০৮ গ্রাম ক্যলসিয়াম থাকে, অর্থেক মাত্রা ত্বকের নিচে এবং বাকী অর্থেক শিরায় ৫-১০ মিনিট ধরে দেয়া হয়।
২। সঠিক ভাবে সঠিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম রক্তে গেলেই গাভী দ্রুত সাড়া প্রদান করে সুস্থ্য হয়ে উঠবে। তবে প্রায় ১৫ গাভীকে আলাদা করে চিকিৎসা বা ছাটায়ের জন্য রাখা হয়।
৩। যদি মাত্রা অপর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম সলুশন দিয়ে চিকিৎসা করলে গাভী সুস্থ্য ও হয়না এবং দাড়াতেও পারেনা। অথবা সাময়িক ভাবে পশু সুস্থ্য হলেও পুনরায় একই সমস্যার সম্মুক্ষীন হয়। অপর দিকে ক্যালসিয়াম সলুশন অতিরিক্ত মাত্রায় এবং দ্রুত শিরায় দিলে প্রানীর মৃত্যুর আশংখ্যা থাকে।
বর্তমানে ক্যালসিয়াম , ফসফরাস এবং ম্যাগনোসিয়াম গ্লুকোজ সমন্বয়ে সলুশন বাজারে পাওয়া যায়। দুদ্ধজ্বরে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা হ্রাস পায় কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই দুদ্ধ জ্বরের চিকিৎসার ওষুধ নির্বাচনের জন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ এ উত্তম। দুই ভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়-
১। খাদ্য সংশোধন(Feed correction)
২। প্রি ডিস্পোজিং ফ্যাক্টরস সংশোধন  ( Predisposing factors correction)
প্রথমতঃ খাদ্য সংশোধন , হতে পারে এমন-
গাভী শুষ্ক অবস্থায় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ করা।
তবে শুধু ক্যালসিয়াম দেয়া যাবেনা ঐ সময়- কারণ
দেহকে সম্পর্ণ পাকান্ত্রের ক্যালসিয়াম শোষনের উপর নির্ভরশীল করে তুলে। অতে অস্থির ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশন প্রায় নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। প্রসব ও কলস্ট্রামের প্রচুর ক্যালসিয়াম প্রয়োজনে অস্থি থেকে দ্রুত ক্যালসিয়াম মবিলাইজেশন হতে পারেনা।
খাদ্যে পরিমাণ মত ফসফরাস সরবরাহ।
গাভীর কনসেন্ট্রেট খাদ্যে শতকরা ১৫ ভাগ মনো সোডিয়াম ফসফেট মিশিয়ে খাও্যালে এই রোগ প্রতিহত হয়।

দ্বিতীয়তঃ প্রি ডিস্পোজিং ফ্যাক্টোরস সংশোধন
বয়সঃ বয়স্ক গাভির প্ররযাপ্ত পরিচর্যা নিতে হবে।
জাতঃ জার্সি জাতের এই রোগ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ যতœ ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
গাভীর শুষ্ক ও প্রসবকালীন এবং প্রসবোত্তর সুষম পুষ্টির ব্যবস্থা করা।
একটু সচেতন হয়ে আমরা গাভীর ব্যবস্থাপনা করলেই এই রোগ হতে সহজেই আমাদের প্রানীকে রক্ষা করতে পারবো। আর রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সুস্থ করা যায়। ফলে আমাদের দুদ্ধ উৎপাদন ও স্বাভাবিক থাকবে আমরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারব।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

কোয়েল পাখির জাত

কোয়েল পাখির জাত
কোয়েল পাখির জাত

কোয়েল পোল্ট্রির ক্ষুদ্রতম সদস্য। বিশ্বব্যাপী বহু বুনো প্রজাতি/কোয়েল পাখির জাত রয়েছে, যেমন- ‘রেইন কোয়েল’, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কোয়েল’, ‘মাউন্টেন কোয়েল’, ‘মন্টেজুমা কোয়েল’, ‘হারলেকুইন কোয়েল’, ‘রঙিলা কোয়েল’ ইত্যাদি।

তবে এসব কোয়েল পাখির জাতের মধ্যে ‘জাপানি কোয়েল’ ও ‘বব হোয়াইট কোয়েল’ ছাড়া অন্য কোন প্রজাতিকে যেমন গৃহপালিত করা হয়নি, তেমনি বাণিজ্যিকভিত্তিতে পোল্ট্রি হিসেবে এই দু’প্রজাতি ছাড়া অন্য কোন কোয়েল পালন করা হয় না।

জাপানি কোয়েল ডিম মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হলেও বব হোয়াইট কোয়েল মূলত মাংসের জন্যই পোষা হয়।

বাণিজ্যিক জাপানি কোয়েল পাখির জাত বেশ কয়েকটি আছে এবং উপজাতও রয়েছে, যেমন- ‘ফারাও’, ‘ব্রিটিশ রে’, ‘ইংলিশ হোয়াইট’, ‘ম্যানচুরিয়ান গোল্ডেন’, ‘টুক্সেডো’, ‘ফন/ব্রাউন’ কোয়েল ইত্যাদি।

নিম্নে ডিম মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা জাপানি কোয়েল পাখিরফারাওফনউপজাতের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো

কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’
কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’

কোয়েল পাখির জাত ‘ফারাও’

উৎপত্তি প্রাপ্তিস্থান 

এই উপজাতের জাপানি কোয়েলটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এদের উৎপত্তি জাপান, চীনসহ এশিয়া অন্য কয়েকটি দেশে। জাপানে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে এর ডিম উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোহয়েছে। 

বৈশিষ্ট্য

  • এরা ছোট ও গাট্টাগোট্টা পাখি।
  • পালকের মূল রং বাদামি; এর উপর থাকে গাঢ় চকোলেট বা কালো রঙের ছোঁপ।
  • বুকের উপরের অংশের বাদামি রঙের উপর কালো বা খয়েরি গোলাকার ফোঁটা থাকে।
  • বুকের নিচের অংশ তামাটে।
  • এরা ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে। বার্ষিক ডিম উৎপাদন- ২৭৫-৩০০টি।
  • প্রাপ্তবয়ষ্ক কোয়েলের ওজন- ১৫০- ১৭৫ গ্রাম।
কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’
কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’

কোয়েল পাখির জাত ‘ফন বা ব্রাউন’

উৎপত্তি প্রাপ্তিস্থান: এদের উৎপত্তি ও প্রাপ্তিস্থান ফারাওয়ের মতোই। 

বৈশিষ্ট্য:

  • এদের পালকের রঙের ধরন ফারাওয়ের মতোই, কিন্তু রং একেবারেই হালকা। কোন কালচে ভাব নেই।
  • বাচ্চাগুলোর দেহের কোমল পালকের রং হলদে; এর উপরের ছোপগুলো বেশ হালকা।
  • এরা অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির। ফারাওয়ের মতো মারামারি বা ঠোঁকরাঠুকরি করে না।
  • বাকি সব বৈশিষ্ট্য ফারাওয়ের মতোই।
  • এরা ৬-৭ সপ্তাহ বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে। বার্ষিক ডিম উৎপাদন- ২৭৫-৩০০টি।
  • এদের প্রাপ্তবয়ষ্ক কোয়েলের ওজন- ১৫০-১৭৫ গ্রাম।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে

গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে
গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে প্রাণীর অভ্যন্তরীণ বিপাকীয় এবং অভ্যাসগত পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশে সংকরায়ণের ফলে তৈরি জাত শীত সহ্য করতে পারে না। গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে।

খাদ্য অভ্যাস : শীতকালে প্রাণী শরীরে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ফলে দুধের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বাড়তি উৎপাদনের জন্য চাই বাড়তি শক্তি। তাই শীতকালে গরুকে অধিক খাবার দেয়া জরুরি। তবে একই সাথে এটাও মনে রাখতে হবে শীতকালে গরুর শরীরে কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের প্রবলতা দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে থেকে রক্ষা করতে গরুকে অধিক আশযুক্ত খাবার যেমন ঘাস খড় দেয়া আবশ্যক।

পানি : শরীরবৃত্তীয় কাজে কম পানি দরকার হওয়ায় এবং অধিক ঠান্ডা হওয়ায় শীতকালে সকল প্রাণী পানি পানের পরিমান কমিয়ে দেয়। এই সমস্যা উত্তরণের জন্য গরুকে ট্যাংকে সংরক্ষিত বাসি ঠান্ডা পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে হবে। গরুর জন্য বিশুদ্ধ ফ্রেশ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।

বাসস্থান : শীতকালে ঠান্ডা বাতাস যেন সরাসরি গরুর গায়ে না লাগে এইজন্য ঠান্ডা বাতাস প্রবেশের রাস্তা গুলো চটের বস্তা অথবা পলিথিন বা অন্য কোন উপায়ে বন্ধ করে দিতে হবে। ঠান্ডা বাতাসে গরুর নিউমোনিয়া সহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রয়োজনে গরুকে পুরান কম্বল বা পাটের বস্তা এই জাতীয় জিনিস দিয়ে রাতে জড়িয়ে রাখতে হবে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: ঠান্ডায় গরুর শেডে যেন পানি জমে না থাকে অথবা গরুর প্রস্রাব জমে না থাকে এবং ফ্লোর যেন অধিক শুষ্ক থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। দরকার হলে ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করতে হবে।

রোগ ব্যাধি : শীতকালে গরু নিউমোনিয়া, কাশি সহ ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এই রোগের বিষয়ে বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। ঠান্ডা জনিত কোনো সমস্যার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা করতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাতের কাছে বিশুদ্ধ মধু এবং তুলসী গাছ রাখতে হবে।

বাছুরের যত্ন : ঠান্ডায় সবচে বেশি আক্রান্ত হয় নবজাতক বাছুর। যেহেতু বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই ঠাণ্ডাজনিত রোগের শিকার ও সবচে বেশি হয়। তাই শীতকালে অবশ্যই বাছুরকে গরম কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে এবং গরম এবং শুষ্ক জায়গা রাখতে হবে। কোনো প্রকার ঠান্ডা জনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শীতে আপনার বিশেষ যত্নই আপনার খামারকে শীতকালীন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। আর এজন্য আপনার সচেতনতা সবচে বেশি জরুরি।

গরুর শীতকালীন পরিচর্যা করবেন যেভাবে সংবাদের তথ্য বাংলাদেশ গবাদি পশু ও পাখি খামারি উন্নয়ন সংগঠন নামক কমিউনিটি সংস্থা থেকে নেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

পোলট্রি খামারে শীতকালীন পরিচর্যা

পোলট্রি খামারে শীতকালীন পরিচর্যা
পোলট্রি খামারে শীতকালীন পরিচর্যা

বর্তমানে আমিষের অভাব দূরীকরণে আমাদের দেশে পোল্ট্রি পালনের বিষয়টিকে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে। সরকার দেশের যুব সমাজের জন্য স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ ঋণ দিয়ে পোল্ট্রি পালনে উত্সাহিত করছে।

শীতকালে পোল্ট্রি খামারের বিশেষ যত্ন না নিলে কমে যেতে পারে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি, লেয়ার খামারে ডিমের সংখ্যা এবং বেড়ে যেতে পারে মৃত্যু ঝুঁকি। তাই শীতকালে মুরগির বাচ্চার সঠিক তাপমাত্রা সরবরাহ করা একটি প্রধান সমস্যা।

এছাড়াও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খামারিরা মুরগির ঘরে পলিথিন বা মোটা কাপড়ের পর্দা ঝুলিয়ে রাখেন। এ কারণে মুরগির বাচ্চার ঘরে মুক্ত বাতাস বিশেষ করে অক্সিজেন সরবরাহে অপ্রতুলতা, এমোনিয়া গ্যাস বৃদ্ধির কারণে শ্বাসকষ্ট, মুখমণ্ডল ফুলে যাওয়াসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা যায়। ফলে প্রতিদিনই বাচ্চা মারা যায়। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিচের বিষয়গুলো ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে:

১. ঘরে অবশ্যই ছালার বা চটের পর্দা ঝুলাতে হবে।

২. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাবল করে চটের পর্দা সেলাই করে তবেই পর্দা ঝুলাতে হবে। অতিরিক্ত শীতে চিক গার্ডের চারদিকে এবং উপরে মশারীর মত করে চটের পর্দা ঝুলানো যেতে পারে।

৩. ব্রুডার বক্সে ২০০ ওয়াটের বাল্ব লাগিয়ে ব্রুডিং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এছাড়াও তাপ দেওয়ার ঘরে অতিরিক্ত কিছু বাল্ব রিফ্লেকটারসহ নিচু করে ঝুলানো যেতে পারে এবং প্রয়োজন অনুসারে এগুলো জ্বালাতে হবে।

৪. লোডশেডিং এবং তীব্র শীতের সময় তাপ দেয়ার ঘরে চিক গার্ডের চারদিকে প্রয়োজনমত কেরোসিনের স্টোভ জ্বালিয়ে ব্রুডিং তাপমাত্রা ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কেরোসিনের স্টোভের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেগুলো নীলাভ আগুন বের হয় এবং যেগুলো হোটেল রেস্তরাঁয় ব্যবহূত হয়।

৫. ব্রুডিং তাপমাত্রা কম হলে বাচ্চা এক জায়গায় জড়ো হয়ে গাদাগাদি করে থাকে, বিশেষ করে রাতের বেলায় এবং এতে করে নিচে চাপে পড়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে অনেক বাচ্চা মরে যেতে দেখা যায়। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য ঘরের তাপমাত্রা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং মাঝে মাঝে বাচ্চাগুলোকে নাড়িয়ে দিতে হবে যেন অনেকক্ষণ একসাথে গাদাগাদি করতে না পারে।

সবসময় মনে রাখতে হবে ইলেকট্রিক ব্রুডারের মাধ্যমে তাপ সরবরাহ করার চেয়ে গ্যাস ব্রুডার ব্যবহার করাই সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত। কারণ ইলেকট্রিক ব্রুডার ব্যবহারের মাধ্যমে মুরগির ঘরে আলোর কর্মসূচি সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে শীতকালে ইলেকট্রিক ব্রুডারের পাশাপাশি গ্যাস ব্রুডার ব্যবহার করলে সঠিকভাবে আলোর কর্মসূচি পালন করা যাবে, সেইসাথে ব্রুডিং তাপমাত্রাও যখন যা প্রয়োজন সেভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যেমন- ১ম সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ২য় সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ৩য় সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ৪র্থ সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা:৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইড, ৫ম সপ্তাহে ব্রুডিং তাপমাত্রা: ৮০ ডিগ্রি ফারেনহাইড রাখতে হবে তবে চিক গার্ড খুলে দিতে হবে। ব্রুডিং -এর সময় প্রথম ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত দৈনিক একবেলা প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম করে Electrolyte খাওয়ালে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

লাইভস্টক

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি
কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি

বর্তমানে কোয়েল পালন অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। হাঁস-মুরগির পরিপূরক হিসেবে কোয়েল পাখি বেশ জনপ্রিয়। এই পাখিটির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং ডিমও খুব উপাদেয়। ফলে এটি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বেশ ভালোভাবে মেটায়।

সাধারণভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বয়সের কোয়েল দিনে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করতে পারে। মাত্র ৬ সপ্তাহে বা ৪২ দিনে কোয়েল পাখি ডিম এবং মাংস প্রদানের জন্য দৈহিকভাবে উপযোগী হয়।

স্বল্প জায়গা ও স্বল্প পুঁজিতে কোয়েল পালন করা যায়। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ১টি মুরগির জায়গায় ৮টি কোয়েল পালন করা সম্ভব। ফলে প্রান্তিক চাষীদের কিংবা যারা শখের বসে খামার করে, তাদের কাছে কোয়েল পালনও দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখানে আমরা কোয়েল পাখির খাবার তালিকা এবং কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি জানব।

এখানে আপনি  কোয়েল পাখি পালন ও জাপানি কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো সম্পর্কে  জানতে পারবেন। কোয়েল পাখির বাসস্থান সম্পর্কে ধারণা পাবেন। বিভিন্ন বয়সের জাপানি কোয়েলের কোয়েল পাখির খাবার তালিকা তৈরি করতে পারবেন। কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা এবং কোয়েল পাখি পালনে আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।

কোয়েল পালনের সুবিধা(Benefits of bater farming)
কোয়েল পাখি পালন

কোয়েল পাখি পালন

জাপানি কোয়েল পোল্ট্রি শিল্পের নতুন সদস্য। বাণিজ্যিক জাপানি কোয়েলের অনেকগুলো জাত ও উপজাত রয়েছে, যেমন- ফারাও, ব্রিটিশ রেঞ্জ, ইংলিশ হোয়াইট, ম্যানচুরিয়ান গোল্ডেন, টুক্সেডো ও ব্রাউন কোয়েল।

মুরগির পরে পোল্ট্রি শিল্পে আরও যেসব পোল্ট্রি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, তাদের মধ্যে কোয়েল পাখি পালন, হাঁস, রাজহাঁস ও কবুতর পালন অন্যতম। পোল্ট্রি শিল্পে তুলনামূলকভাবে জাপানি কোয়েল বর্তমানে বিকল্প পোল্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

জাত ও উপজাতভেদে কয়েল পাখির বিভিন্ন জাত ও উপজাতগুলোর পালকের রং, ওজন, আকার, আকৃতি, ডিম পাড়ার হার, ডিমের ওজন, বেঁচে থাকার হার ইত্যাদিতে পার্থক্য থাকলেও ডিম ও মাংস উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় একই।

খাঁচায় কোয়েল পালন
কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো

কোয়েল পাখির বাচ্চা ফোটানো

জাপানি কোয়েল পালনের প্রথম ধাপই হলো ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো।

  • বাচ্চা ফোটানোর লক্ষ্যে ডিম উৎপাদনের জন্য প্যারেন্ট স্টকের বয়স ১০-৩০ সপ্তাহের মধ্যে হওয়া ভালো।
  • উর্বর ডিম ফোটানোর জন্য স্ত্রীঃপুরুষ অনুপাত ১ঃ২ হওয়া প্রয়োজন।
  • কোয়েলের ডিম অত্যন্ত পাতলা খোসাবিশিষ্ট হওয়ায় সাবধানে সংগ্রহ করতে হবে।
  • ডিমের ওজন ৯-১১ গ্রাম হলে ভালো।
  • মুরগির ডিমের মতোই প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পদ্ধতিতে কোয়েলের ডিম ফোটানো যায়।
  • জাপানি কোয়েলের ডিম গড়ে ১৭ দিনে ফোটে।
কোয়েল পাখি পালনে দ্বিগুন অর্থ লাভ করুন
কোয়েল পাখির বাচ্চা লালন পালন

কোয়েল পাখির বাচ্চা লালন পালন

জাপানি কোয়েলের প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় গ্রাম।

  • ৪-৫ সপ্তাহ পর্যন্ত কোয়েলের বাচ্চাগুলোকে লিটারে রেখে মুরগির বাচ্চার মতো তাপ প্রদান করতে হবে যাকে ব্রুডিং বলে।
  • ঘরটিকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
  • ব্রুডারের ভিতরের অর্থ্যাৎ চিকগার্ডের মধ্যে প্রতি বাচ্চার জন্য ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ১২৫-১৪০ বর্গ সেমি জায়গা প্রয়োজন।
  • চিকগার্ডের মধ্যে পযার্প্ত বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত ট্রেতে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

কোয়েল পালনে ব্রুডারের নিচে আদর্শ তাপমাত্রা হলো

বয়সতাপমাত্রা (সেলসিয়াস)
দিন৩৫ সে.
১৪ দিন৩২.২০ সে.
১৫২১ দিন২৯.৫০ সে.
২২২৮ দিন২৬.৫০ সে.
কোয়েল পাখির বাসস্থান
কোয়েল পাখির বাসস্থান

কোয়েল পাখির বাসস্থান

জাপানি কোয়েল মেঝে থেকে খাঁচায় পালন অধিকতর ভালো।

  • কোয়েলের বাসস্থানটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে ঐ ঘরে পর্যপ্ত পরিমাণে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
  • ৫০টি কোয়েল পালনের জন্য ১২০ সেমি দৈর্ঘ্য, ৬০ সেমি প্রস্থ ও ৫ সেমি উচ্চতার একটি খাঁচাই যথেষ্ট।
  • খাঁচার মেঝেটি তারের জাল দিয়ে তৈরি হতে হবে।
  • খাঁচার মেঝের জালের ফাঁক হবে ৪ মিমি ৪ মিমি।

গবেষণায় দেখা গেছে, কোয়েলকে ১২ মাস খাঁচায় এবং মেঝেতে পালনে যথাক্রমে ১৩৫. গ্রাম এবং ১৪০. গ্রাম দৈহিক ওজন হয় এবং মাসিক ডিম উৎপাদন বাড়ে যথাক্রমে ৬০% এবং ৫৮%

কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা
কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা

কোয়েল পাখির খাবার ও পানির ব্যবস্থাপনা

জাপানি কোয়েলের স্বাস্থ্য রক্ষা, দৈহিক বৃদ্ধি, ডিম মাংস উৎপাদনের জন্য সুষম কোয়েল পাখির খাবার প্রয়োজন।

  • ০-৩ সপ্তাহ বয়সের পাখির জন্য খাদ্যে আমিষের প্রয়োজন শতকরা ২৭%, ৪-৫ সপ্তাহে ২৪% এবং ৬ সপ্তাহ থেকে বাকি সময়ের জন্য ২২% প্রয়োজন।
  • সাধারণত একটি পূর্ণ বয়ষ্ক কোয়েল প্রতিদিন ২০-২৫ গ্রাম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে।
  • প্রতিটি বাচ্চার জন্য ১ মাস পর্যন্ত ১ মিমি পানির জায়গা দিতে হবে। খোলা পানি দেয়া যাবে না। এতে বাচ্চা সহজেই পানিতে পড়ে যাবে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে মারাও যেতে পারে।
  • কোয়েল পাখির খাবার ও পানির পাত্র মুরগির খামারে ব্যবহৃত আকারে একটু ছোট হলে ভাল হয়। তবে কোয়েল খুব ঘন ঘন পানি পান করে। তাই কোয়েলের খাচায় কয়েকটি স্থানে পানির ব্যবস্থা খাকতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে পানির পাত্রগুলো যেন খাঁচার সাথে শক্ত করে আটকানো থাকে। যাতে পানির পাত্র উপচে বা উল্টে পড়ে কোয়েলের গা ভিজে না যায়।

প্রারম্ভিক (স্টারটার) ( সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন

খাদ্য উপাদান (%)পরিমাণ (%) সূত্রপরিমাণ (%) সূত্র
. গম ভাঙ্গা৫০.০০৫০.০০
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৭.০০০৬.০০
. তিলের খৈল১৫.০০২৩.০০
. শুটকি মাছের গুঁড়া২০.০০১৮.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া০২.০০০২.৪০
. মাছের তেল০১.০০
. লবণ০০.২৫০০.৩০
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

বৃদ্ধির (গ্রোয়ার) ( সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন

খাদ্য উপাদান (%)পরিমাণ (%) সূত্রপরিমাণ (%) সূত্র
. গম ভাঙ্গা৫৩.০০৫৩.০০
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০০৮.০০
. তিলের খৈল১৫.০০২৩.০০
. শুটকি মাছের গুঁড়া১৮.০০১৫.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া০৩.৫০০৩.৪০
. মাছের তেল০১.০০
. লবণ০০.২৫০০.৩০
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

লেয়ার রেশন ( সপ্তাহ) বয়সের জাপানি কোয়েল পাখির খাবার তালিকা বা রেশন

খাদ্য উপাদানপরিমাণ (%)
. গম ভাঙ্গা৫০.০০
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০
. তিলের খৈল২৩.০০
. শুটকি মাছের গুঁড়া১২.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া০৫.০০
. মাছের তেল
. লবণ০০.৪০
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.৩০

কোয়েল পাখির আদর্শ খাবার বা রেশন

খাদ্য উপাদান সপ্তাহ পর্যন্ত (%)৪র্থ সপ্তাহশেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত (%)
. গম/ভুট্টা ভাঙ্গা৪৮.০০৫০.০০
. চালের কুঁড়া৮.০০৮.০০
. তিলের খৈল২২.০০২০.০০
. প্রোটিন কনসেনট্রেট৯.০০৮.০০
. সয়াবিন মিল১০.০০১০.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া২.৫০৩.৫০
. লবণ০.৫০০.৫০
মোট১০০.০০১০০.০০

কোয়েল পাখির খাবার গ্রহনের আদর্শ গাইড লাইন

বয়সখাদ্যের পরিমাণ/কোয়েল/দিন
সপ্তাহ৩-৪ গ্রাম
২য় সপ্তাহ৭-৯ গ্রাম
৩য় সপ্তাহ১১-১৪ গ্রাম
৪র্থ সপ্তাহ১৫-১৮ গ্রাম
৫ম সপ্তাহ১৮-২০ গ্রাম
৬ষ্ঠ সপ্তাহ হতে শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত২০-২৪ গ্রাম

কোয়েল পাখি পালনে আলোর ব্যবস্থাপনা

বয়সপ্রয়োজনীয় আলোক ঘন্টা
৪র্থ সপ্তাহ১২ ঘন্টা
৫ম সপ্তাহ১৩ ঘন্টা
৬ষ্ঠ সপ্তাহ১৪ ঘন্টা
৬ষ্ঠ সপ্তাহ হতে শেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত১৬ ঘন্টা

কোয়েল পাখির দানাদার খাবার তৈরিকরণ

কোয়েল পাখির আদর্শ খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদান সপ্তাহ পর্যন্ত (%)৪র্থ  সপ্তাহশেষ ডিম দেয়া পর্যন্ত (%)
. গম/ভুট্টা ভাঙ্গা৪৮.০০৫০.০০
. চালের কুঁড়া৮.০০৮.০০
. তিলের খৈল২২.০০২০.০০
. প্রোটিন কনসেনট্রেট৯.০০৮.০০
. সয়াবিন মিল১০.০০১০.০০
. ঝিনুকের গুঁড়া২.৫০৩.৫০
. লবণ০.৫০০.৫০
মোট১০০.০০১০০.০০
কোয়েলেই কোটিপতি শামীম
কোলের পাখির ডিম

বিভিন্ন বয়সের কোলের পাখির খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদানফরমুলা: প্রারম্ভিক (স্টারটার) ( সপ্তাহ)ফরমুলাপ্রারম্ভিক (স্টারটার) ( সপ্তাহ)
. গম ভাঙ্গা৫০.০০ %৫০.০০ %
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৭.০০ %০৬.০০ %
. তিলের খৈল১৫.০০ %২৩.০০ %
. শুটকি মাছের গুড়া২০.০০ %১৮.০০ %
. ঝিনুকের গুড়া০২.০০ %০২.৪০ %
. মাছের তেল০১.০০ %
. লবণ০০.২৫ %০০.৩০ %
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

বিভিন্ন গ্রোয়ার বা বৃদ্ধি পর্যায়ের কোলের পাখির খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদানফরমুলা: বৃদ্ধি (গ্রোয়ার) ( সপ্তাহ)ফরমুলা: বৃদ্ধি (গ্রোয়ার) ( সপ্তাহ)
. গম ভাঙ্গা৫৩.০০ %৫০.০০ %
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০ %০৮.০০ %
. তিলের খৈল১৫.০০ %২৩.০০ %
. শুটকি মাছের গুড়া১৮.০০ %১৫.০০ %
. ঝিনুকের গুড়া০৩.৫০ %০৩.৪০ %
. মাছের তেল০১.০০ %
. লবণ০০.২৫ %০০.৩০ %
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.২৫০০.৩০

বিভিন্ন লেয়ার বা ডিম পাড়া কোলের পাখির খাবার তালিকা

খাদ্য উপাদানলেয়ার রেশন ( সপ্তাহ)
. গম ভাঙ্গা৫০.০০ %
. চাউলের মিহি কুঁড়া০৯.০০ %
. তিলের খৈল২৩.০০ %
. শুটকি মাছের গুড়া১২.০০ %
. ঝিনুকের গুড়া০৫.০০ %
. মাছের তেল
. লবণ০০.৪০ %
. ভিটামিনমিনারেল প্রিমিক্স০০.৩০ %

কোয়েল একটি সৌখিন পাখি বর্তমানে এর মাংস এবং ডিম খুব জনপ্রিয়। কোয়েলের বাচ্চা ফোটানো, বাচ্চা লালন পালন, খাদ্য এবং পানি ব্যবস্থাপনা রেশন তৈরি করা এবং আলোক ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ