আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফসল

আমনের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় খুলনার কৃষকরা

খুলনার মাঠে মাঠে দুলছে রোপা আমনের শীষ। সোনালি ধানের গন্ধে ম ম করছে চারিদিক। এ পর্যন্ত আসতে কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ঝরেছে। এখন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আমনের শীষ। কিন্তু সেই হাসির মধ্যে কৃষকের কপালে একটু হলেও চিন্তার ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছে বিরূপ আবহাওয়া।

চলতি মাসেই প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাতেই চিন্তা বাড়ছে কৃষকের। কৃষি কর্মকর্তারাও বলছেন সে কথা। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না হানলে বেশ ভালো ফলন হবে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে খুলনা মেট্রোসহ জেলার নয় উপজেলায় ৯৩ হাজার ৩১৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯২ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। এতে করে গত অর্থবছরের তুলনায় উৎপাদন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ আবাদের মধ্যে খুলনা জেলার রূপসায় ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, দিঘলিয়ায় ১ হাজার ৯২০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ১৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর, পাইকগাছায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর, তেরখাদায় ৯০৫ হেক্টর, দাকোপে ১৯ হাজার ১৩৫ হেক্টর, কয়রায় ১৪ হাজার ৭২০ হেক্টর, ফুলতলায় ১ হাজার ৪৩০ হেক্টর, দৌলতপুরে ৬৭ হেক্টর ও লবণচরায় ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়েছে।

গত অর্থবছরে খুলনা মেট্রোসহ নয়টি উপজেলায় ৯২ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ করা হয়। আর আবাদের বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৯২ হাজার ৫২০ হেক্টর।

বারবার প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত খুলনার কয়রা উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার কৃষক শেখ সিরাজুদ্দৌলা লিংকন, আব্দুল জব্বার সানা, সুজিত বাইন বলেন, আইলার পর থেকেই কয়রায় ভালো ফসল হয়।

কিন্তু প্রাকৃতি দুর্যোগ পিছু ছাড়ে না। ফসল ঘরে তোলার আগেই দেখা যায় কোনো না কোনো দুর্যোগ হানা দেয়। এবারও আমনের ফসল খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া দপ্তর ঝড়-বৃষ্টির আভাস দিয়েছে। যা আমাদেরমতো কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় তাহলে খুলনায় রোপা আমন আবাদে প্রত্যাশিত ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফরিদুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে রোপা আমন আবাদে বাম্পার ফলন আশা করা হচ্ছে।

পোকামাকড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের সাথে উঠান বৈঠকও করা হচ্ছে।

তেরখাদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা আধুনিক জাতের ধানের বীজ বপন করেছে। আধুনিক জাতের এ বীজে ফলন ভালো হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রোপা আমনের বাম্পার ফলন আশা করছেন তিনি।

তিনি বলেন, কৃষকদের উঠান বৈঠক করানো হয়। ধানের রোগ-বালাই বিশেষ করে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জমিতে আলোর ফাঁদ ব্যবহারের জন্য কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে ধানের গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ছয় মেট্রিক টন আশা করছেন তিনি।

দাকোপ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মেহেদী হাসান খান বলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত কাজ করছেন। পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের আলোর ফাঁদ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রত্যাশিত ফলন আশা করছেন তিনি।

রূপসার নৈহাটী ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের চাষি মো. ওমর আলী শেখ বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে আমনের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



আরেক চাষি মো. খোরশেদ আলম বলেন, আমনের ফলন এবছর ভালো আশা করা হচ্ছে। ইলাইপুর দণিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম শেখ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য উপজেলায় খোঁজ নিলে একই ধরনের মন্তব্য করেন কৃষকরা।

অন্যান্য

মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ
মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাস কৃষি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতকালীন ফসলের শেষ পরিচর্যা এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের প্রস্তুতি এ সময়ে শুরু হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সময়ে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এখানে মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
ধান চাষ

ধান চাষ

বোরো ধানের পরিচর্যা

  • ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করুন।
  • পোকামাকড় যেমন ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার (Brown Plant Hopper) এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নিন।
  • ইউরিয়া এবং পটাশ সারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রয়োগ করুন।

গ্রীষ্মকালীন ধান চাষ

  • গ্রীষ্মকালীন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করুন।
  • উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন করুন।
গম চাষ
গম চাষ

গম চাষ

  • গম ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
  • ফসল কাটার পর জমি পরিষ্কার করুন এবং পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।
ডালশস্য
ডালশস্য

ডালশস্য

  • মুগ, মাসকলাই, এবং ছোলার বীজ বপন করুন।
  • আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং সঠিক সময়ে সেচ দিন।

তৈলবীজ চাষ

সূর্যমুখী এবং সয়াবিন

  • বীজ বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
  • সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করুন।
সবজি চাষ
সবজি চাষ

সবজি চাষ

গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন

  • লাউ, কুমড়ো, করলা, এবং ঢেঁড়স বীজ বপন করুন।
  • আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সেচ প্রদান করুন।

শীতকালীন সবজি সংগ্রহ

  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, এবং মূলা সংগ্রহ করে বাজারজাত করুন।

ফল চাষ

  • আম, লিচু, এবং কাঁঠাল গাছের মুকুল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
  • নতুন ফলের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।
মৎস্য চাষ
মৎস্য চাষ

মৎস্য চাষ

  • পুকুর পরিষ্কার করুন এবং পানি পরিবর্তন করুন।
  • মাছের খাবারের পরিমাণ এবং পুষ্টি বাড়িয়ে দিন।
  • পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।
গবাদি পশু পালন
গবাদি পশু পালন

গবাদি পশু পালন

  • গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।
  • গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা নিশ্চিত করুন।

মার্চ মাসে কৃষি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের আয় বাড়ে। সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে করণীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে সফল কৃষিকাজ নিশ্চিত করা সম্ভব।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফসল

মসুর ডাল চাষের আধুনিক কৌশল

মসুর ডাল চাষের আধুনিক কৌশল
মসুর ডাল চাষের আধুনিক কৌশল

মসুর ডালের জুড়ি মেলা ভার। মাছে ভাতে বাঙালী এখন ডালে ভাতে বাঙালী । আর মসুর ডাল হচ্ছে সকলের প্রিয় ডাল। মসুর ডালে প্রচুর পরিমানে খাদ্যশক্তি ও প্রোটিন রয়েছে।

উপযুক্ত মাটি: সুনিষ্কাশিত বেলে দো-আঁশ মাটি মসুর চাষের জন্য বেশি উপযুক্ত।

জমি তৈরি: জমি ৩-৪টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে সমান করে তৈরি করতে হবে।

মসুর ডাল চাষের উপযুক্ত মাটি ও জমি তৈরি
মসুর ডাল চাষের উপযুক্ত মাটি ও জমি তৈরি

বীজ বপন পদ্ধতি: আমাদের দেশে বেশির ভাগ স্থানে ছিটিয়ে বীজ বপন করে থাকে। তবে সারি করে বীজ বপন করলে ভাল হয়। সারিতে বপন করলে আগাছা দমন, পানি সেচ ও নিষ্কাশণ ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন পরিচর্যা করতে সহজ হয়। সারিতে বপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দুরত্ব ৩০ সেন্টিমিটার রাখলে ভাল হয়। প্রতি হেক্টরে ৩০-৩৫ কেজি বীজের দরকার। ছিটিয়ে বীজ বপন করলে বীজের পরিমাণ সামান্য বেশি দিতে হয়।

বীজ বপনের সময়: কার্তিক মাসের দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় সপ্তাহ (অক্টোবর মাসের শেষ থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ) পর্যন্ত মসুর বীজ বপন করার উত্তম সময়।

সার ব্যবস্থাপনা: জমিতে হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ ।
সারের নাম হেক্টর প্রতি
১. ইউরিয়া ৪০-৫০ কেজি
২. টিএসপি ৮০-৯০ কেজি
৩. এমপি/পটাশ ৩০-৪০ কেজি
৪. অনুজীব সুপারিশমত।

মসুর ডাল চাষের বীজ বপন পদ্ধতি ও সার ব্যবস্থাপনা
মসুর ডাল চাষের বীজ বপন পদ্ধতি ও সার ব্যবস্থাপনা

সার প্রয়োগ পদ্ধতি: সম্পূর্ণ সার জমি শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। যে জমিতে পূর্বে মসুর চাষ করা হয় নাই প্রতি কেজি বীজের জন্য ৯০ গ্রাম হারে অনুমোদিত অনুজীব সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

পরিচর্যা: বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে নিড়ানী দ্বারা আগাছা দমন করা যেতে পারে। অতিবৃষ্টি হলে জমিতে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

মসুর ডাল চাষের পোকা-মাকড়, রোগ বালাই ও ফসল সংগ্রহ
মসুর ডাল চাষের পোকা-মাকড়, রোগ বালাই ও ফসল সংগ্রহ

পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই: মসুরের গোড়া পচাঁ রোগ হলে ফসলের অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া ভিটাভেক্স-২০০ প্রতি কেজি বীজে ২.৫-৩.০ গ্রাম (০.২৫%) মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
মসুরের মরিচা রোগ হলে অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। রোগ প্রতিরোধী বারি মসুর-৩, বারি মসুর-৪ জাতের চাষ করতে হবে। এছাড়া টিল্ট-২৫০ ইসি (০.০৪%) ১২-১৫ দিন পরপর ২-৩ বার ¯েপ্র করতে হবে।
মসুরের স্টেমফাইলাম ব্লাইটরোগ হলে অবশিষ্টাংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এছাড়া রোভরাল ডব্লিউপি নামক ছত্রাক নাশক (০.২%) ১০দিন পরপর ২-৩ বার ¯েপ্র করতে হবে।
ফসল সংগ্রহঃ– মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য চৈত্র (মার্চ) মাসে ফসল সংগ্রহ করা যায়।

বীজ সংরক্ষণ: বীজ ভালভাবে রোদে শুকিয়ে আর্দ্রতার পরিমাণ আনুমানিক ১০%এর নিচে রাখতে হবে। তারপর টিনের পাত্র ও পলিথিনের ব্যাগ বা চটের ব্যাগ অথবা আলকাতরার প্রলেফ দেওয়া মাটির পাত্রে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

অন্যান্য

ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ
ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

ফেব্রুয়ারি মাস কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ফসলের যত্ন, বপন এবং রোপণ কার্যক্রম চালানো হয়। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব। এখানে ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
ধান চাষ

ধান চাষ

বোরো ধানের পরিচর্যা

  • জমিতে পানি সঠিকভাবে ধরে রাখুন।
  • ধানের চারাগাছের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করুন।
  • পোকামাকড় যেমন স্টেম বোরার (Stem Borer) এবং পাতামোড়া পোকার (Leaf Roller) আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।
  • ধানের জমিতে প্রয়োজনীয় সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ প্রয়োগ করুন।
গম চাষ
গম চাষ

গম চাষ

  • জমি আগাছামুক্ত রাখুন এবং সঠিক পরিমাণে সেচ দিন।
  • পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) এবং ব্রাউন রাস্ট (Brown Rust) রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।
ডালশস্য
ডালশস্য

ডালশস্য

  • মসুর, মুগ, এবং ছোলার ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
  • ফসল কাটার পরে জমি পরিষ্কার করে পরবর্তী চাষের জন্য প্রস্তুত করুন।

তৈলবীজ চাষ

সরিষা ফসল সংগ্রহ

  • সরিষার শুঁটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ফসল সংগ্রহ করুন।
  • জমি পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।

সূর্যমুখী এবং সয়াবিন

  • বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
  • সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।
সবজি চাষ
সবজি চাষ

সবজি চাষ

শীতকালীন সবজি সংগ্রহ

  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, এবং মূলা সংগ্রহ করুন।

গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন

  • লাউ, কুমড়ো, ঢেঁড়স, এবং করলার বীজ বপন করুন।
  • আগাছা পরিষ্কার এবং সেচের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।

ফল চাষ

  • আম, কাঁঠাল, এবং লিচু গাছের মুকুল রক্ষায় কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।
  • নতুন ফলের চারা রোপণ করুন।

মৎস্য চাষ

  • পুকুরে নিয়মিত পানি পরিবর্তন এবং মাছের খাবার সরবরাহ করুন।
  • পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।
মাছ ও গবাদি পশুর যত্ন
মাছ ও গবাদি পশুর যত্ন

গবাদি পশু পালন

  • গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় শুষ্ক খড় এবং কাঁচা ঘাস যোগ করুন।
  • রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করুন।

ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিকাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকের আয় বাড়ে। প্রতিটি কাজ সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রমকে আরও সফল করে তোলা সম্ভব।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফসল

বোরো ধান চাষের গুরুত্ব

বোরো ধান চাষের গুরুত্ব
বোরো ধান চাষের গুরুত্ব

বোরো ধানের চাষ বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

বোরো ধান চাষের গুরুত্ব নিচে তুলে ধরা হলো:

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

  • বোরো ধান দেশের মোট চাল উৎপাদনের একটি বড় অংশ যোগান দেয়।
  • এটি খাদ্য চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

বছরব্যাপী ধান উৎপাদন সম্ভব

  • বোরো ধান শীতকালীন মৌসুমে চাষ করা হয় এবং গ্রীষ্মের শুরুতে কাটা হয়।
  • এর ফলে পুরো বছর ধান উৎপাদনের একটি ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
বোরো ধান চাষের গুরুত্ব
বোরো ধান চাষের গুরুত্ব

সেচনির্ভর ধান চাষ

  • বোরো ধান চাষ সেচনির্ভর হওয়ায় খরার প্রভাব কম পড়ে।
  • সেচ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে এটি সারা দেশে চাষযোগ্য।

উচ্চ ফলনশীল ধান

  • বোরো ধান উচ্চ ফলনশীল জাত হওয়ায় এর চাষ থেকে বেশি পরিমাণ চাল পাওয়া যায়।
  • প্রতি হেক্টরে ৫-৮ টন ধান উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন

  • বোরো ধানের উৎপাদন কৃষকের আয় বৃদ্ধি করে।
  • চাল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়।
বোরো ধান চাষের গুরুত্ব
বোরো ধান চাষের গুরুত্ব

শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান

  • বোরো ধানের চাষ, পরিচর্যা, সেচ এবং ফসল কাটার সময় বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়।
  • এর ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল জাত

  • বোরো ধানের উন্নত জাতগুলো খরা, লবণাক্ততা এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম।
  • এটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক।

প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের প্রয়োগ

  • বোরো ধান চাষে উন্নত প্রযুক্তি যেমন সেচ যন্ত্র, উচ্চফলনশীল বীজ এবং বালাইনাশক ব্যবহৃত হয়।
  • এটি চাষাবাদের আধুনিকীকরণে সহায়ক।

রপ্তানি সম্ভাবনা

  • উচ্চমানের বোরো ধান থেকে প্রাপ্ত চাল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব।
  • এটি দেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রার অবদান বাড়ায়।

সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা

  • বোরো ধানের উৎপাদন খাদ্যের সহজলভ্যতা বাড়িয়ে সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।
  • খাদ্য মজুত থাকায় দেশের দুর্যোগকালীন সময় খাদ্য সংকট কম হয়।
বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য
বোরো ধান চাষের গুরুত্ব

বোরো ধানের চাষ বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কৃষি উৎপাদনে একটি অনন্য স্থান দখল করে আছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোরো ধানের উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব, যা দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফসল

বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য

বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য
বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য

বোরো ধান বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শস্য, যা শীতকালীন মৌসুমে (রবি মৌসুম) চাষ করা হয়। সাধারণত নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে বোরো ধানের চাষ শুরু হয় এবং এপ্রিলে ফসল সংগ্রহ করা হয়। এটি সেচনির্ভর ধান, যা সঠিক জল সরবরাহ ও পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো উৎপাদন দেয়।

বোরো ধান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফসল, যা শীতকালীন মৌসুমে রবি ফসল হিসেবে চাষ করা হয়। এটি মূলত সেচনির্ভর এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য
বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য

বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য

বোরো ধান বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেচনির্ভর শস্য। এটি বিশেষত শীতকালীন মৌসুমে (রবি মৌসুম) চাষ করা হয়। এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো:

সেচনির্ভর চাষাবাদ

  • বোরো ধানের চাষ সম্পূর্ণরূপে সেচের ওপর নির্ভরশীল।
  • সঠিক সেচ ব্যবস্থাপনা ফসলের উচ্চ ফলন নিশ্চিত করে।

উচ্চ ফলনশীলতা

  • বোরো ধান সাধারণত উচ্চ ফলনশীল জাত, যা থেকে প্রতি হেক্টরে ৫-৮ টন পর্যন্ত ধান পাওয়া যায়।
  • ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯ এবং হাইব্রিড জাতগুলোর ফলন ক্ষমতা বেশি।

শীতকালীন চাষের উপযোগিতা

  • বোরো ধানের চাষ শীতকালীন (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শুরু হয় এবং গরম আবহাওয়ায় (এপ্রিল-মে) ধান কাটা হয়।
  • এটি ঠাণ্ডা ও কম বৃষ্টিপাতের আবহাওয়ায় ভালোভাবে বৃদ্ধি পায়।

উন্নত জাতের ব্যবহার

  • বোরো মৌসুমে উচ্চফলনশীল এবং লবণাক্ততা সহনশীল জাত যেমন ব্রি ধান-৬৭, ব্রি ধান-৭৫, এবং ব্রি ধান-৮৮ চাষ করা হয়।
  • কিছু জাত খরা বা জলাবদ্ধতাও সহ্য করতে পারে।

দীর্ঘ জীবনকাল

  • বোরো ধানের জীবনকাল সাধারণত ১৪০-১৫০ দিন।
  • এই দীর্ঘ সময়ে ধানের গুণগত মান ভালো থাকে।

পানির প্রয়োজনীয়তা

  • বোরো ধানের জন্য প্রায় ৩০০০-৫০০০ লিটার পানি প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে প্রয়োজন হয়।
  • পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত না হলে ফলন কমে যায়।
বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য
বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য

রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা

  • বোরো ধানের কিছু উন্নত জাত ব্লাস্ট রোগ ও পাতামোড়ানো পোকা প্রতিরোধ করতে পারে।
  • রোগ-বালাই কমানোর জন্য নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক বালাইনাশক প্রয়োগ প্রয়োজন।

দানার গুণগত মান

  • বোরো ধানের দানার মান তুলনামূলক ভালো এবং এটি খাদ্যের জন্য উৎকৃষ্ট।
  • দানাগুলো মাঝারি আকৃতির এবং মসৃণ হয়।

খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান

  • বোরো ধান দেশের মোট চাল উৎপাদনের একটি বড় অংশ সরবরাহ করে।
  • এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

চাষের জন্য উপযোগী জমি

  • উঁচু এবং মাঝারি নিচু জমি বোরো ধানের চাষের জন্য আদর্শ।
  • জলাবদ্ধ জমিতে চাষ না করাই ভালো।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ