আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

পরিবেশ

নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কিভাবে কমাবেন

কম দামে নতুন পোশাক কিনতে আমরা সবাই ভালোবাসি। বেশিরভাগ সময়ই এগুলো আমরা দ্রুত এবং সস্তায় কিনি এবং একবার পড়ার পরেই তা ছুড়ে ফেলে দেই।

কিন্তু হালের এসব পোশাকই গ্রিন হাউস গ্যাস নি:সরণ, পানি এবং বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। সৃষ্টি করে মাত্রাতিরিক্ত বর্জ্য এবং অন্যান্য দেশে এগুলো পাঠানো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা তেমন ব্যবহার উপযোগী থাকে না।

যুক্তরাজ্যের পরিবেশগত অডিট কমিটি দেশটির সরকারের কাছে এই শিল্প বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পরিবেশ এবং শ্রম বিষয়ক ১৮টি সুপারিশ করেছে তারা। সরকার বলছে, এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছে তারা।

তবে ক্ষতিকর এমন শপিং করার অভ্যাস কমিয়ে আনতে কি করা যায় সে বিষয়ে টেকসই ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হলো:

১. কম কেনাই বেশি কেনা

পরিবেশবাদী আন্দোলনকারী ও টলি ডলি নামে নৈতিক ফ্যাশন বিষয়ক ব্লগার টলমিয়া গ্রেগরি বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, কম কিনতে হবে।”

তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট কোন অনুষ্ঠান যেমন রাতে পরার কিংবা ছুটির দিনে পরার আলাদা আলাদা পোশাক কেনার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের।”

“প্রথম দিকে মানুষ একে আক্রমণাত্মক মনে হতে পারে,” তিনি বলেন।

“কিন্তু এই চর্চা থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাব্য সব ধরণের চেষ্টা করতে হবে আমাদের। মাথায় রাখতে হবে যে এটা একটা ভালো উদ্যোগ।”

একই কথা বলেছেন সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ফ্যাশনের উপযোগিতা, নকশা এবং ফ্যাশন বিষয়ক অধ্যাপক কেট ফ্লেচার। তিনি বলেন, “কম পোশাক কেনা মোটেও দেহের প্রতি মারাত্মক কোন অবিচার বা বঞ্চনা নয়।”

তিনি পরামর্শ দেন, “নিজের ওয়্যারড্রোবে যেসব পোশাক আছে সেগুলোই আগে লক্ষ্য করুন। কারণ ওগুলোই আপনার জীবনমান নির্ধারণ করে।”

তিনি বলেন, “আমরা অনেক সময় এমন পোশাক কিনি যা আমাদের তুষ্ট করার পরিবর্তে অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”

“কেনাকাটা করার সময় মানুষ অত্যন্ত তৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু পরক্ষণেই ওই কেনা বস্তু বা পোশাকের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে,” তিনি বলেন।

“কেনাকাটা নিয়ে মানুষ কতটা সুখী এমন এক গবেষণায় দেখা যায়, মৌলিক চাহিদা মেটার পরে অন্যসব কেনা কাটা মানুষের কল্যাণে তেমন কোন কাজে আসে না।”

তিনি বলেন, পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোর অ্যাগ্রেসিভ মার্কেটিং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব তথ্যকে অগ্রাহ্য করে।

“আমরা আসলে যা দেখি তা হচ্ছে, অতিরিক্ত পাওয়ার বিষয়টি মানুষের কল্যাণের বোধকে কমিয়ে দেয়।”

“এটা একাকীত্ব এবং উচ্চ মাত্রার অবসাদ ডেকে আনে। এটা আমাদের সুখ কেড়ে নিচ্ছে এবং একাকী করে তুলছে,” তিনি বলেন।

২. সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক কিনুন

মিস ফ্লেচার-যিনি টেকসই ফ্যাশন নিয়ে একাধিক বই লিখেছেন তিনি বলেন, “জনপ্রিয় ফ্যাশনের শহরগুলো বা হাই স্ট্রিট কেনা কাটার জন্য খুব সুনির্দিষ্ট পরিসর দিয়ে থাকে যার মধ্য থেকেই মানুষ আগ্রহ নিয়ে কেনাকাটা করে।”

“আপনার রুচি যদি আসলেই নতুনত্ব, আধুনিকতা, পরিবর্তন এবং বৈচিত্র্যের উপর নির্ভরশীল হয় তাহলে, আপনার ওয়্যারড্রোব আর সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক কেনাতেই আপনি এগুলো অনেক বেশি পরিমাণে খুঁজে পাবেন।”

ফ্রান্সেসকা উইলো, ইথিক্যাল ইউনিকর্ন নামে নিজের ফ্যাশন ব্লগের এই লেখিকা বলেন, “প্রথমেই খুঁজে দেখার জন্য সেকেন্ড হ্যান্ডই সবচেয়ে ভালো অপশন। কারণ এটি ইতোমধ্যে অস্তিত্ব রয়েছে এমন জিনিসের উপযোগিতা বাড়িয়ে দেয়।”

তিনি বলেন, “অনেকেই চ্যারিটি শপগুলোকে কৌশলে এড়িয়ে যান। কারণ তারা জানেন যে তারা আসলে কি চাইছেন। কিন্তু ডি-পপ এবং ভিনটেডের মতো সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্যের অ্যাপগুলো আপনার পোশাক নির্বাচনের জন্য আসলেই সহায়ক।”

৩. প্রাকৃতিক উপাদান বাছাই করুন

টেকসই বিষয়ক ব্লগাররা বলেন, “যেকোন মূল্যে” নতুন সিনথেটিক উপাদান দিয়ে তৈরি পোশাক কেনা বন্ধ করতে হবে।

মিস উইলো বলেন, “আমি হেম্প, লিনেন এবং জৈব সুতি বস্ত্র যা গ্লোবাল অরগানিক টেক্সটাইল স্ট্যান্ডার্ডের অনুমোদনের আওতায় পড়ে এমন পোশাক নিখুঁত না হলেও কিনি।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের উচিত কাপড়ের দীর্ঘস্থায়ীত্ব বাড়ানো। এটা নির্ভর করে কিভাবে আপনি কাপড়ের যত্ন নিচ্ছেন তার উপর। নির্দেশিকা দেখে এবং সে অনুযায়ী ধৌত করলে কাপড় টেকসই হয়।”

“বেশিরভাগ মানুষই বেশি গরম পানিতে কাপড় ধুয়ে থাকেন। অথচ ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করলে জ্বালানিও কম ব্যয় করতে হয়।”

তিনি বলেন, “আপনার কাছে থাকা সিনথেটিক কাপড় ধৌত করতে হলে তার সাথে আলাদা ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে যাতে এর থেকে বের হওয়া ক্ষুদ্র তন্তুগুলো জলজ পরিবেশকে দূষিত না করে।”

ব্যাগ কোন সমাধান নয়। তবে এটি আমাদের সৃষ্ট সমস্যাকে কিছুটা হলেও কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. যাচাই করুন

মিস উইলও বলেন, যেকোনো ব্র্যান্ড থেকে নতুন কাপড় কেনার আগে সেগুলো কোথায় এবং কারা বানিয়েছে সে বিষয়ে মানুষের প্রশ্ন করা উচিত।

“ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে অনুমোদন পাওয়া ব্র্যান্ডগুলোর কাপড়ই কেনা উচিত। কারণ তারা অন্তত ন্যায্য মজুরীর বিষয়টি নিশ্চিত করে,” তিনি বলেন।

তিনি বলেন, অনেক ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে এ ধরণের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে যা আপনার সহায়ক হতে পারে।

“অনেক ক্রেতার কাছেই ঝামেলার মনে হতে পারে। সত্যি করে বলতে গেলে ভোক্তাদেরকে আসলেই অনেক কাজ করতে হবে এগুলো মানতে হলে। আর এজন্যই আমাদের প্রক্রিয়া এবং নীতিগত পরিবর্তন দরকার।”

“কিন্তু নিজের থেকেই এই পরিবর্তন শুরু করাটা সহজ। দক্ষ হয়ে উঠুন, তাহলে আপনি নিজেই এই অভ্যাস তৈরি করতে পারবেন। যা আপনাকে তৃপ্তি দেবে,” তিনি বলেন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

পরিবেশ

সুতার রঙে ‘রঙিন’ মানুষের দুঃখের কাব্য

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার কাঁঠালতলার ফুরিন্দা গ্রামে সুতার রঙে প্রায় রঙিন হয়ে যাওয়া মানুষের দেখা মেলে। তবে জীবনটা সেই অর্থে রঙিন নয়। বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য কেনা হয়েছিল, কিন্তু বেঁচে যাওয়া বা বাতিল হওয়া সুতা নারায়ণগঞ্জের কারখানার মালিকেরা দিয়ে যান মহাজনদের। নতুন করে বিভিন্ন রং করা সুতায় বোনা হয় গামছা, লুঙ্গি বা থ্রিপিস। মহাজনেরা সুতা রং করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের কাজে লাগান। থাকা ও খাবারের খরচ মহাজনের। শ্রমিকেরা মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পান।

কারখানার মালিকের চাহিদা অনুযায়ী কেমিক্যাল মিশিয়ে, জ্বাল দিয়ে বিভিন্ন রঙে সুতা রং করেন। রোদে শুকিয়ে পাঠিয়ে দেন সুতার মালিকের কাছে। বছরের পর বছর কাজ করতে করতে শ্রমিকদের হাত-পায়ে রং লেগেই থাকে। খাওয়ার সময় কটু স্বাদ লাগে। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য অসুখ-বিসুখ তো আছেই। করোনার প্রাদুর্ভাবসহ নানা কারণে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সুতায় রং করার কারিগরদের চাহিদাও কমছে। রঙিন এসব মানুষের ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা।

রোদে শুকানোর পর সুতা ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিক।
রোদে শুকানোর পর সুতা ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিক।
কাজে কাজে অনেক বয়স হয়ে গেল।
কাজে কাজে অনেক বয়স হয়ে গেল।
সুতায় চোখমুখ ঢেকে গেছে।
সুতায় চোখমুখ ঢেকে গেছে।
বয়স হলেও কাজে কামাই দেওয়ার উপায় নেই।
বয়স হলেও কাজে কামাই দেওয়ার উপায় নেই।
কেমিক্যাল মেশানোর সময় চোখ জ্বালা করে।
কেমিক্যাল মেশানোর সময় চোখ জ্বালা করে।
এক চুলায় ভাত, আরেক চুলায় রং জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। এটাই শ্রমিকদের জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা।
এক চুলায় ভাত, আরেক চুলায় রং জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। এটাই শ্রমিকদের জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা।
এ ধরনের নোংরা পরিবেশেই শ্রমিকেরা বছরের পর বছর কাজ করছেন।
এ ধরনের নোংরা পরিবেশেই শ্রমিকেরা বছরের পর বছর কাজ করছেন।
রং থেকে বাঁচাতে পা বেঁধেছেন পলিথিন দিয়ে।
রং থেকে বাঁচাতে পা বেঁধেছেন পলিথিন দিয়ে।
হাতে রং লেগে থাকে, খাবারের সময়ও এর কটু স্বাদ পান শ্রমিকেরা।
হাতে রং লেগে থাকে, খাবারের সময়ও এর কটু স্বাদ পান শ্রমিকেরা।
রং মেশাচ্ছেন এক শ্রমিক।
রং মেশাচ্ছেন এক শ্রমিক।
মহাসড়কের পাশে সুতা শুকাতে দিয়েছেন শ্রমিকেরা।
মহাসড়কের পাশে সুতা শুকাতে দিয়েছেন শ্রমিকেরা।
রঙিন এসব মানুষের জীবনটাই শুধু রঙিন নয়।
রঙিন এসব মানুষের জীবনটাই শুধু রঙিন নয়।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে
জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

মশার আক্রমণ প্রায় সব ঋতুতেই দেখা যায় কমবেশি। এখন শীতকাল। প্রকৃতি এ সময়ে নিজেকে শীতল চাদরে মুড়িয়ে নিলেও মশার প্রকোপ বেড়ে যায় অনেকটাই। গাছ হতে পারে মশা তাড়ানোর সমাধান। এমন কিছু গাছ আছে, যা পড়ে থাকে অযত্নে, কিন্তু মশার যম। মশা দমন করতে ঘরে কিছু গাছ আনলে উপকার তো হবেই, আবার সবুজের ছোঁয়াও পাবেন একই সঙ্গে।

তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার ও গাঁদাজাতীয় গাছে কীট প্রতিরোধক কিছু যৌগ থাকে। সাইপারমেথিরিন ও ম্যালাথিওন জাতীয় সক্রিয় যৌগ মশার ডিম, লাভা ও মশার বৃদ্ধি রোধ ও ধ্বংস করতে কাজ করে। যৌগিক পদার্থের সাধারণত দুই ধরনের প্রোপার্টিজ থাকে। একটি হলো শারীরিক, অন্যটি রাসায়নিক প্রোপার্টিজ। গাছের পাতার বা ফুলের তীব্র গন্ধ এর শারীরিক প্রোপার্টিজের জন্য। গন্ধ থাকার পাশাপাশি কীট প্রতিরোধক যৌগিকের সক্রিয় উপস্থিতি থাকতে হবে অবশ্যই। তবেই এ ধরনের গাছ মশা দূর করতে বা অনেক ক্ষেত্রে মশা ধ্বংস করতে কাজ করবে। এমনটাই জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক নুহু আলম।

মশার মতো কীটপতঙ্গ তাড়াতে পারে এমন কিছু গাছের কথা থাকছে এখানে।

ল্যাভেন্ডার গাছ
ল্যাভেন্ডার গাছ

ল্যাভেন্ডার গাছ

বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ থাকলে খেয়াল করে দেখবেন, এর পাতার কাছে কোনো পোকাই বসে না। তার কারণ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় একধরনের এসেনশিয়াল তেল থাকে। তাই এর সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে আসতে পারে না মশা। তাই অনেকে ল্যাভেন্ডারের গন্ধযুক্ত সুগন্ধিও ব্যবহার করে থাকেন। দেশীয় গাছ না হলেও ল্যাভেন্ডার কিন্তু খুব সহজেই জন্মায় এ দেশে। এই গাছের জন্য পানিনিষ্কাশন ও সূর্যের আলোর ব্যবস্থা থাকলেই হয়।

গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুল

গাঁদা ফুল

শীতকালের অন্যতম ফুল এটি। বাড়ির চারপাশে বা বারান্দায় সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই হলুদ বা কমলা রঙের এই ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। এই ফুলের গন্ধেও অনেকেই বিমোহিত হন। কিন্তু গাছের পাতা বা ফুলের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না মশা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি এবং গাছের পাতায় থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক। যার কারণে মশা একেবারেই দূরে থাকে এই গাছ থেকে। গাঁদা ফুলের গাছের যত্ন নেওয়াও বেশ সহজ, প্রয়োজনীয় পানি ও আলো পেলেই এই গাছ জন্মায়।

তুলসী গাছ
তুলসী গাছ

তুলসী গাছ

ঘরের আঙিনায় তুলসী গাছ লাগানোর রীতি বহু পুরোনো। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণও আছে। তুলসীগাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূর করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন পানি এবং প্রয়োজনীয় সার ব্যবহারে সহজেই এজাতীয় গাছ বাঁচে।

পুদিনা গাছ
পুদিনা গাছ

পুদিনা গাছ

আজকাল অনেকেই শখ করে বারান্দায় ছোট পুদিনাপাতার গাছ লাগান। রান্না বা চায়ের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি মশার হাত থেকেও বাঁচাতে পারে এই গাছ। পেপার মিন্ট বা মেন্থলের সুগন্ধ মশা তাড়ানোর জন্য কার্যকর। এটি মশার প্রাকৃতিক কীটনাশকও বটে।

ঘাস প্রজাতির উদ্ভিদ সাইট্রোনেলা, রোজমারি ও লেমন বাম জাতীয় কিছু গাছও মশা দূরে রাখতে পারে। আগারগাঁও, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, দোয়েল চত্বর এলাকাসহ যেকোনো নার্সারিতে পেয়ে যাবেন এই গাছের চারা। গাছের চারার বয়স অনুসারে ৭০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এসব গাছ।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

জার্মানি

মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি

মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি
মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জার্মানি। তবে এই সৌন্দর্য শুধু পাহাড়-নদীতেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশটির মাটির নিচেও রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান।  

জালফেল্ড ফেয়ারি গ্রোটোস: ১৯৯৩ সালে জার্মানির এই গ্রোটো গুহার নাম ওঠে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গ্রোটো গুহা’র তালিকায়। অ্যালাম স্লেট খনন করার ফলে ঠ্যুরিঙ্গেন রাজ্যের এই গুহাটি নানা রঙের স্ট্যালাকটাইটে ভরে ওঠে। এই গুহায় দেখা যায় একশরও বেশি ধরনের বাদামি-হলুদ রঙের খেলা।

লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর: বেলেপাথরে খোদাই করে তৈরি এই গুহা-ঘরগুলো দেখতে অবিকল রূপকথায় পড়া রাজকন্যার প্রাসাদের মতো। কিন্তু আদতে হারৎজ পর্বতের শ্যাফারবের্গ অঞ্চলের এই গুহা-ঘরগুলো উনিশ শতকে বানিয়েছিলেন স্থানীয় খামারকর্মীরা। বর্তমানে এই গুহাঘরের ভেতরে চিত্রায়িত করা আছে এই গুহার শেষ বাসিন্দা লুডভিগ শ্মিডটের জীবনকাহিনী।

বাড জেগেবার্গের কালকবের্গ গুহা: উত্তর জার্মানির একমাত্র প্রাকৃতিক গুহার ভেতর রয়েছে বাদুড়দের বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতকালীন বাসস্থান। এই গুহার ভেতরের প্রাণীদের শীতঘুমে ব্যাঘাত না ঘটাতে পর্যটকদের যাওয়ার সুযোগ মার্চ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে।

লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর
লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর

আটেনডর্নের আটা গুহা: জার্মানির সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় গুহা নর্থ-রাইন ভেস্টফালিয়া রাজ্যের গুহা এটি। হঠাৎ করেই ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত হয় এই গুহা। ছয় হাজার মিটার দীর্ঘ এই গুহায় পাওয়া যায় আটা চিজ নামের একটি বিশেষ ধরনের পনীর।

এনেপেটালের ক্লুটার্ট গুহা: বহু হ্রদ, তিনশটি পথ ও ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুহাকে এক সময় জার্মানির সবচেয়ে বড় গুহা ভাবা হতো। এখন নর্থ-রাইন ভেস্টফ্রালেনের এই গুহার ভেতর পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের রোমাঞ্চকর সফরের সুবিধা রয়েছে। হাঁপানি রোগীদের জন্যেও ভালো এই গুহার ভেতরের পরিবেশ।

হমবুর্গের শ্লসবের্গ গুহা ও দুর্গ: জারলান্ড রাজ্যের এই গুহা প্রকৃতি নয়, তৈরি করেছে মানুষ। লাল বেলেপাথরের খোঁজে খনন করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এই গুহা। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গুহা সৃষ্টি হতে শুরু করে মধ্য যুগেই। কিন্তু এর পূর্ণ রূপে গড়ে ওঠা শুরু হয় খননের সময় ঘটা বিস্ফোরণের পরেই।

সোফিয়েন গুহা: সোফিয়েন গুহার ভেতর থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৬০ হাজার বছর পুরোনো ভালুকের হাড়। এছাড়া এই গুহার ভেতরে পাওয়া গেছে তুষার যুগের বহু প্রাণীর দেহাবশেষ। এই গুহায় আজকাল বেশ কিছু অনুষ্ঠান বা জলসা দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় দর্শক।

সোফিয়েন গুহা
সোফিয়েন গুহা

সুইফাল্টেনডর্ফের ড্রিপস্টোন গুহা: জার্মানির সবচেয়ে ছোট এই গুহা মাত্র ৮৮ বর্গফুট বড়। ১৯৮২ সালে একটি সুড়ঙ্গ তৈরির সময় খুঁজে পাওয়া যায় গুহাটি। এই গুহার প্রবেশ পথ একটি হোটেল ও পানশালার ভেতর দিয়ে, যার ফলে হোটেলের খদ্দেরদের কাছে এই গুহাটি একটি বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

রিজেন্ডিং গুহা: জার্মানির উন্টার্সবের্গে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘ গুহা (তিন হাজার ৭৭০ ফুট লম্বা)। ভেতরে গেলে দেখতে পাবেন নানা আকারের হ্রদ ও একাধিক ঝর্ণা। ২০১৪ সালে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে পর্যটকের জন্য বন্ধ রয়েছে গুহাটি। এখন সেখানে কেবল বিজ্ঞানীরাই যেতে পারেন।

শেলেনবের্গ তুষার গুহা: উন্টার্সবের্গেই রয়েছে জার্মানির একমাত্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত তুষার গুহা বা আইসকেভ। ৬০ হাজার ঘনমিটার বরফের আস্তরণ রয়েছে এই গুহায়, যার মধ্যে বেশ কিছু অংশ প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো। তবে পুরো গুহায় ঘুরতে পারেন না পর্যটকরা। শুধু ৫০০ মিটার অঞ্চলই রয়েছে উন্মুক্ত, এবং সেটাও শুধু হাইকিং করার জন্যেই।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

পৃথিবীর সবচেয়ে গোলগাল প্রাণী কি এগুলোই?

এই প্রাণিটি গোলগাল দেখতে হয়েছে প্রয়োজনের তাগিদে
এই প্রাণিটি গোলগাল দেখতে হয়েছে প্রয়োজনের তাগিদে

পৃথিবীতে অনেক প্রাণী রয়েছে, আর তাদের মধ্যে অনেক প্রাণিই গোলগাল।

সেগুলোকে আপনি গোলাকৃতির আদুরে বল মনে করলেও তাদের এই আকৃতি আসলে প্রকৃতিতে তাদের টিকে থাকতে সহায়তা করে।

প্রাণীজগতের সবচেয়ে গোলগাল কয়েকটি প্রাণীর তালিকা দেয়া হলো এখানে।

রক্ষণাত্মক মনোভাবে একটি পটকা মাছ
রক্ষণাত্মক মনোভাবে একটি পটকা মাছ

পাফার ফিশ/ পটকা মাছ

আমাদের তালিকার শুরেুতেই রয়েছে পাফার ফিশ পরিবার (টেট্রাওডোনটিডায়ে), যারা পটকা মাছ নামেও পরিচিত।

এই গোলাকার মাছ আত্মরক্ষার্থে বলের মত বৃত্তাকার আকার ধারণ করতে পারে।

নিজেদের ইলাস্টিকের মত পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবেশ করিয়ে তারা এই আকৃতি ধারণ করতে পারে। এর ফলে তাদেরকে খুবই কম আকর্ষণীয় মনে হয়, সেসময় এই মাছের আকৃতি দেখে মনে হয় যে এটি খেতেও কঠিন।

বল আকৃতির এই মাছগুলো দেখতে ভাল লাগেও এটিকে ছোঁয়া একেবারেই উচিত নয়।

দুইশো’রও বেশি জাতের পটকা মাছের অধিকাংশের মধ্যেই টেট্রোডোটক্সিন নামের এক ধরনের বিষ রয়েছে, যা সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।

আরমাডিলোরা 'আরমার' বা বর্ম তৈরি করতে পারে, তাই তাদের এমন নামকরণ
আরমাডিলোরা ‘আরমার’ বা বর্ম তৈরি করতে পারে, তাই তাদের এমন নামকরণ

আরমাডিলো

স্প্যানিশ ভাষায় আরমাডিলো শব্দের অর্থ ‘বর্ম পরিহিত ছোট প্রাণী।’

পৃথিবীতে মোট ২১ ধরণের আরমাডিলো রয়েছে যাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রটির নাম ‘গোলাপী পরী আরমাডিলো’ (ক্ল্যামিফোরাস ট্রাঙ্ক্যাটাস), যার দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মধ্যে হয়।

আরমাডিলোরা দিনে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। এছাড়া প্রাণী হিসেবে তাদের যথেষ্ট ফ্যাশন সচেতনও বলতে পারেন। লাল, হলুদ, কালো, গোলাপী – এমন নানা রঙয়ের আরমাডিলো হয়ে থাকে।

ছবির ক্যাপশান, প্রজননের সময় পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচারা ডাকাডাকির মাধ্যমে দ্বৈত সঙ্গীত তৈরি করে
প্রজননের সময় পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচারা ডাকাডাকির মাধ্যমে দ্বৈত সঙ্গীত তৈরি করে

টওনি আওল/পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা

যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাওয়া সাধারণ প্যাঁচাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির প্যাঁচা হলো টওনি আওল বা পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা।

এই প্যঁচাগুলোর নরম, গোলাকার মাথা থাকে যেটি তারা ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাতে পারে।

প্রজননের সময় এই ধরণের পুরুষ প্যাঁচা শুরুতে স্ত্রী প্যাঁচাকে দীর্ঘ ‘হুউউ’ ডাকে ডাক দেয়।

এরপর অপেক্ষাকৃত কম দীর্ঘ ‘হু’ এবং সবশেশে ‘হুহুহোওওওও’ ডাক দিয়ে শেষ করে।

জবাবে স্ত্রী প্যাঁচা ‘কী-উইক’ ডাকে জবাব দেয়।

দেখে মনে না হলেও এই ধরণের সিল ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে সাঁতার কাটতে পারে
দেখে মনে না হলেও এই ধরণের সিল ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে সাঁতার কাটতে পারে

সিল

সিল সাধারণত একা থাকলেও প্রজননের মৌসুমে একত্রিত হয়।

এই বৃত্তাকার মাছ গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার কাটতে পারে।

তবে কখনো কখনো তারা ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতেও সাঁতারাতে সক্ষম হয়।

এই ধরণের সিল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

ছবির ক্যাপশান, হেজহগ যখন নিজেকে বলে রুপান্তরিত করে তখন তা দেখতে এরকম হয়
ছবির ক্যাপশান, হেজহগ যখন নিজেকে বলে রুপান্তরিত করে তখন তা দেখতে এরকম হয়

হেজহগ

হেজহগ অনেকটা সজারুর মত দেখতে একটি প্রাণী, নিজেকে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এর পিঠে অনেকগুলো কাঁটার মত থাকে।

বৃত্তাকার হওয়ায় শরীরের কাঁটামুক্ত অংশগুলো রক্ষা করতে সুবিধা হয় এর জন্য।

ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় ১৫ ধরণের হেজহগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবকটিই নিশাচর।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো

শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিবিসি প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে এমন ছবি চাওয়া হয়েছিল। বাছাই করা কিছু ছবি নিয়ে আমাদের এই ফটো গ্যালারি।

ছবির ক্যাপশান, শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশান, গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
ছবির ক্যাপশান, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ