আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ছাদকৃষি

নওগাঁয় বাড়ির ছাদে বাগান

শখের বশে বাড়ির ছাদে ফল ও সবজির বাগান করেছেন আহসান হাবিব রতন। নওগাঁ শহরের সুলতানপুর এলাকায় বাড়ির ছাদে শোভা পাচ্ছে তার শখের বাগান। ছাদে বাগান করে তিনি যেমন মনে আনন্দ পাচ্ছেন; তেমনি বিশুদ্ধ শাক-সবজি ও ফল পাচ্ছেন।

কৃষি ডিপ্লোমা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন আহসান হাবিব রতন। শখের বশে বাড়ির ছাদে লাগিয়েছেন ফুল, ফল ও সবজির বাগান। প্রথমে বাড়ির ছাদে টবে ফুল গাছ লাগান তিনি। বাগান বাড়াতে একবছর আগে বগুড়া থেকে কমলা গাছ এনে ১০টি ড্রামে রোপণ করেন। এখন সেই গাছে কমলা ধরেছে। শুধু কমলাই নয়; ছোট-বড় টবে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের থাই জাম্বুরা, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, জলপাই, কামরাঙ্গা, করমচা, অ্যালোভেরা, গোলাপ, গাধা ফুল ও ফলের ৮০ রকমের গাছ।

আহসান হাবিব রতন বলেন, ‘ছাদ বাগানের গাছের গোড়ায় ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করি। এছাড়া তিন মাস পর পর পরিচর্যা করা হয়। এতে ছাদে বাগান করা খুবই লাভজনক। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন এলে বিশুদ্ধ ফল খাওয়াতে পারি। প্রতিবেশীরাও বাড়ির ছাদে বাগান করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন।’

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, ‘বাড়ির ছাদকে ফেলে না রেখে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলের আবাদ করা সম্ভব। এতে কীটনাশকমুক্ত ফল উৎপাদন করা সম্ভব। বাড়ির ছাদে বাগান করতে কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তারা সহযোগিতা করবেন। এছাড়া কৃষি বিভাগের ওয়েবসাইট থেকেও অনেকে জানতে পারবেন।’

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

ছাদকৃষি

গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন

 গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন
গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন

বাড়ির ছাদে বা আশেপাশে অনেকেই শখ করে ফুল চাষ করেন। সেই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ গোলাপ ফুল। তাই যদি টবে গোলাপ ফুল চাষ করতে চান, তাহলে এ সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে।

নতুন চারা না লাগিয়ে এক বছরের পুরোনো চারা লাগাতে পারেন। চারাটি সোজাভাবে গর্তের মধ্যে লাগাতে হবে। চারার শেকড় ভালোভাবে মাটি দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিতে হবে। জোড় কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত চারার জোড়ের স্থানটি মাটি থেকে অন্তত ৩-৪ সেন্টিমিটার উপরের দিকে রাখতে হবে।

নতুন শাখা ভালোভাবে বিস্তৃত করার জন্য পুরোনো ডাল, ক্ষত ও রোগাক্রান্ত ডাল কেটে বাদ দিতে হবে। বড় গোলাপ পেতে হলে গাছ নিয়মিত ছাঁটাই করতে হয়। আশ্বিন মাসকে গাছ ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত সময় ধরা হয়।

গাছ ছাঁটাইয়ের ১০-১২ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছপ্রতি ২-৩ কেজি পঁচা শুকনো গোবরের সঙ্গে ৫০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হবে। টবের উপর থেকে ১০ সেন্টিমিটার মাটি সরিয়ে নিচের মাটি কিছুটা আলগা করে সারগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এসময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হয়। হাঁস-মুরগি বা কবুতরের বিষ্ঠা সার হিসেবে গোলাপ গাছে দেওয়া যেতে পারে।

চারা লাগানোর পরে চারার গোড়ায় প্রথমদিকে ঘন ঘন পানি দিতে হবে। টবের মাটিতে ভালোভাবে চারা গজালে এবং নতুন ডালপালা ছাড়ার পরে খরা মৌসুমে প্রতি ১০ দিন পর পর একবার করে সেচের মতো পানি দিতে হবে। প্রত্যেকবার পানি সেচের পরে গাছের গোড়ার মাটি ঝরঝরে করে দিতে হবে।

টবে চাষ করার সময় পোকা আক্রমণ করলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। চারার জোড়া জায়গাটির নিচে কোনো প্রকার ডালপালা বের হলে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিতে হবে। বড় আকারে ফুল পেতে হলে প্রথম দিকে বের হওয়া পুষ্পকুড়ি ভেঙে দিন। মার্চ-এপ্রিল মাসে পঁচা গোবর এবং কম্পোস্টের মালচ গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।

পুরোনো ডালে ফুল ভালো হয় না। তাই ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে। ছাঁটাইকৃত ডালের সামনে ছত্রাকনাশক ঘন করে গুলে লাগিয়ে দিন। গাছের গোড়া থেকে ২০ সেন্টিমিটার দূরে গোল করে মাটি খুঁড়ে শেকড় বের করে দিন। ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস করতে এভাবে মাটি খুঁড়ে ৮-১০ দিন রাখতে পারেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাওনের শখের ছাদ বাগান – দা এগ্রো নিউজ

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাওনের শখের ছাদ বাগান - দা এগ্রো নিউজ
দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাওনের শখের ছাদ বাগান – দা এগ্রো নিউজ

দা এগ্রো নিউজ ঈদ কনটেস্ট বিজয়ী শাওনের কাছ থেকেই জানুন, কীভাবে এবং তিনি এত সুন্দর একটি বাগান গড়ে তুলেছেন। তার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য রইল শুভকামনা।

আমাদের একটু খানি হাতের ছোঁয়ায়, আামাদের ঘরের ছাদ কিংবা বারান্দা হয়ে উঠে আমাদের নন্দন কানন। এই ভালোবাসার ছোঁয়াকে আর একটু পূর্ণতা দিতেই, দা এগ্রো নিউজ এর পক্ষ থেকে আমাদের ছোট্ট একটা প্রচেষ্টা ছিল “শখের বাগান ঈদ কনটেস্ট”, যার বিজয়ী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম শাওন। আজ আমরা তার বাগান তিনি কত ভালোবাসা আর যত্ন দিয়ে তৈরি করেছেন সে সম্পর্কেই জানব।

শাওন এর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। করোনাকালীন সময়ে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শাওন এর বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ।  এই সময়টা তিনি নষ্ট না করে, নানা রকমের ফুল এবং ফলের গাছ দিয়ে গড়ে তুলেছেন তার শখের ছাদ বাগান।

তার বাগানে গোলাপ, এস্টার, পর্তুলিকা, কসমস, সন্ধ্যামালতী, মিলি, থাই লিলি, জাম্বু লিলি, এমারেলিসস লিলি, ক্রিমিনাল লিলি, হলুদ, সাদা, গোলাপি রেইন লিলি, বেলী, নয়ন তারা, অপারাজিতা, টগর, সহ আরও নানা রকমের ফুল গাছ রয়েছে, যা দেখলেই যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে।

শাওন আমাদের সাথে কথা বলার সময় অনেক কিছুই আমাদের জানান। তিনি বলেন,  আমরা মনে করি মাটির আর কত ওজন হবে। তবে আপনি যদি একটা বাগান বা বড় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে যে পরিমাণে মাটি লাগবে তার ওজন নেহায়েত কম নয়। নিয়মিত গাছে পানি দেওয়ার ফলে ভেজা মাটির ওজন আরও বেড়ে যায়।তাই যখন ছাদে বাগান করার পরিকল্পনা করবেন অবশ্যই জেনে নেবেন ছাদের ধারণ ক্ষমতা কতটুকু। যেন পরে বাড়ির কোনো ক্ষতি না হয়। বাড়ির ধারণ ক্ষমতার উপর নির্ধারণ করতে হবে কোন ধরনের গাছ লাগানো সম্ভব। কোনো কারণে যদি ধারণ ক্ষমতা কম হয় তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। অল্প মাটিতে ছোট গুল্মজাতীয় গাছের বাগান করাও সম্ভব।

তার বাগানে আমরা নানা রকমের ফলের গাছও দেখতে পাই, আমের মধ্যে আছে কিং অফ চাকাপাত, বারি ৪, কাটিমন, কিওসাভয়, ব্যানানা ম্যাংগো, আমেরিকান রেড পালমার। থাই সফেদা, থাই জাম্বুরা, বারোমাসি আমড়া, লাল জামরুল। থাই সুপার ১০, থাই ৫, এবং মাধুরি পেয়ারা, থাই মিস্টি কামরাঙ্গা, নাগপুরী কমলা, বারি ১ মাল্টা, ভিয়েতনামী মাল্টা, মালবেরী সহ আরও অনেক ফল। শাওন আশা করছেন তিনি তার পরিবার এর বাৎসরিক ফলের চাহিদা তার বাগান থেকেই সম্পূর্ণ করবেন।

শাওন তার ছাদ বাগানে গাছ লাগানোর জন্য টব, ড্রাম এবং চৌবাচ্চা ব্যবহার করেছেন। আসুন তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই আমরা জেনে নেই কীভাবে আমরা একটি সফল ছাদ বাগান করব।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর টব পদ্ধতি:

টব দরকার মতো সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানো যায়। এজন্য ছাদে ফুল গাছ লাগানো টব অনেকের মত শাওনেরও পছন্দ। তাছাড়াও টবে সার-মাটি দেওয়াও খুব সহজ। আজকাল অনেকেই মত তিনিও পোড়ামাটি এবং প্লাস্টিকের টব ব্যবহার করেছেন। আবার টবের গায়ে রং দিয়ে তার  সৌন্দর্যও বাড়িয়েছেন। তার মতে, টবে গাছ লাগানোর সময় মনে রাখতে হবে যেন ওই গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টবের অল্প মাটিতেই ওই গাছের খাদ্যপুষ্টিও ঠিক থাকে।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় হাফ ড্রাম পদ্ধতি:

শাওন বড় জাতের ফুলের গাছ এবং ফলের গাছের জন্য ড্রাম ব্যবহার করেছেন। তিনি জানান, বড় আকারের ড্রামের মাঝামাঝি কেটে দুই টুকরো করেও তিনি বড় দুটি টব তৈরি করেছেন। ড্রামগুলো সরাসরি ছাদের ওপর না বসিয়ে কয়েকটি টুকরো ইটের ওপর বসিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন ছাদের ওপর হাফ ড্রাম রাখলে ছাদের ক্ষতি হয়, যা আসলে সঠিক নয়।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় চৌবাচ্চা পদ্ধতি:

ছাদে এক থেকে দেড় ফুট উঁচু এবং তিন থেকে চারটি পিলারের ওপর পানির ট্যাঙ্ক বা চৌবাচ্চা আকারের রিং স্লাব বসিয়ে ইটের টুকরো এবং সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী চৌবাচ্চা তৈরি করে তিনি ভবিষ্যৎ এ আরও কিছু গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছেন। যাতে করে একই ধরনের চৌবাচ্চায় মাছ এবং জলজ উদ্ভিদ চাষ করে ছাদের পরিবেশকে আরও  সুন্দর রাখাতে পারবেন বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় ছাদ বাগানের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা: 

বাগানের মাটি থেকে বের হওয়া অতিরিক্ত পানি ছাদের কংক্রিটের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও ছাদে আগাছা জন্মে ছাদের মেঝেকে পিচ্ছিল ও ক্ষয় করে ফেলে তাই যে গাছই বোনা হোক না কেনো এবং যে পদ্ধতিতেই বোনা হোক না কেনো পানি নিষ্কাশনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে জানান শাওন।

তিনি টবের গাছের নিচে আরও একটি মাটির ট্রে রেখেছন। যদিও এটি অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। উপরন্তু মাটির ট্রে পানি শোষণ করে সেটিকে ছাদের মেঝেতেই পৌঁছে দেয়। তাই তিনি জানান, সবচেয়ে ভালো হয় যদি ছাদের মেঝেতে পানি নিরোধক কোনো রং, টাইলস বা আলকাতরার একটা স্তর তৈরি করে তার উপরে যথাযথ একটা নিষ্কাশন নালার ব্যবস্থা করা যায়। নালার উপরে একটা ছাঁকনি রাখা যেতে পারে। এতে পানির সঙ্গে ধুয়ে যাওয়া মাটি নিষ্কাশন নালা বা ছাদে না পড়ে ছাঁকনিতে আটকে থাকবে। এভাবে মাটি এবং ছাদ উভয়ের ক্ষয় রোধ করা যাবে।

অনেকেই পানি নিষ্কাশনের জন্য ছাদের এক কিনারা সামান্য ঢালু রাখেন এটিও বেশ ভালো উপায়। তবে কিছুতেই ছাদের কোনো কিনারা ভেঙে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এতে স্থাপনার বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

শাওন বাড়িতেই খৈল পচা পানি ও নিম পাতা ব্যবহার করে সার তৈরী করে, সেই সার তার গাছে ব্যাবহার করেন। এভাবে তার শখের বাগানকে তিনি দিন দিন আরো প্রসারিত এবং সুন্দর করে তুলছেন।

শাওন বলেন, ভবিষ্যতে তার ত্বীন ফল নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা অনেক বেশি। ভবিষ্যতে মিররীয়/আরবীয় ত্বীন/ডুমুর গাছও লাগাতে চান তিনি। তার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য রইল শুভকামনা।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

ধনেপাতা চাষ করুন টবে

শীতে ধনেপাতা চাষ করুন টবে
শীতে ধনেপাতা চাষ করুন টবে

সালাদের জন্য ধনেপাতা অন্যতম। খাবার সুস্বাদু করতে ধনেপাতার জুড়ি নেই। তাই যারা শহরে থাকেন তারা টবে করে বাসার ছাদে অথবা বারান্দায় ধনেপাতা চাষ করতে পারেন।

গুণাবলি 
ধনেপাতায় ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ক্যারোটিন পাওয়া যায়। টবে ধনেপাতার চাষ করার সুবিধা হচ্ছে- প্রায় বারো মাসই চাষ করা যায়।

সময় 
তবে আশ্বিন থেকে পৌষ অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষ করা যায়।

শীতে ধনেপাতার গুণাবলি, সময়, মাটি, বীজ বপণ, সার
শীতে ধনেপাতার গুণাবলি, সময়, মাটি, বীজ বপণ, সার

মাটি 
সব রকমের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে বেলে দোঁ-আশ থেকে এঁটেল দোঁ-আশ মাটি ধনেপাতা চাষের জন্য উপযোগী। ধনেপাতা আবাদের জন্য পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকতে হবে।

বীজ বপণ 
বীজ ২৪ ঘণ্টা ন্যাকড়ায় জড়িয়ে ভিজিয়ে রাখলে তাড়াতাড়ি গজাবে। ধনেপাতার জন্য চওড়া মুখ বিশিষ্ট টব নির্বাচন করতে হবে। ৩-৪ সেন্টিমিটার গভীরে বীজ বুনে আবার মাটি দিয়ে ঢেকে সেচ দিতে হবে। মাটি ভেজা থাকলে পানি দেওয়ার দরকার নেই।

সার
পরিমাণমতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি এবং গোবর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।

শীতে ধনেপাতার পরিচর্যা, পাতা তোলা
শীতে ধনেপাতার পরিচর্যা, পাতা তোলা

পরিচর্যা 
মাটিতে রস না থাকলে ২-১ দিন পরপর পানি সেচ দিতে হবে। পাখি যাতে পাতা না খায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বীজ বোনার পর পিঁপড়া যাতে খেয়ে ফেলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পিঁপড়া এলে কীটনাশক ছিটিয়ে পিঁপড়া দমন করতে হবে।

পাতা তোলা 
গাছ খুব ঘন হলে তা তুলে পাতলা করে দিতে হবে। গাছ বেশি বড় হওয়ার আগে তুলে খেতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ছাদকৃষি

টবে ফুলের চাষ কেন করবেন

টবে ফুলের চাষ কেন করবেন
টবে ফুলের চাষ কেন করবেন

শহরে যারা থাকেন, তাদের জন্য ফুলের বাগান করার সুযোগ কম। কেবল বিল্ডিংয়ের ছাদ, বারান্দা, সিঁড়িঘরই ভরসা। তাই টবে দু-চারটা ফুলগাছ লাগানো যেতে পারে। সব ফুলের গাছ আবার টবে ভালো হয় না। সেজন্য জেনে নিন টবে চাষের উপযোগী ফুলগাছ কোনগুলো।

টবের উপযোগী
বৃক্ষজাতীয় দীর্ঘজীবী ফুলগুলো টবে রোপণ না করাই ভালো। বিভিন্ন মৌসুমী ফুল টবের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে যে ফুলগাছই রোপণ করা হোক না কেন, সেগুলো যেন রোদ পায়। একটু পরিকল্পনা করে টবে ফুলগাছ রোপণ করলে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুল পাওয়া যাবে।

টবের ফুলগাছ
গ্রীষ্মকালে গন্ধরাজ, রজনীগন্ধা, সূর্যমুখী, জিনিয়া, পিটুনিয়া, মোরগঝুঁটি, দোপাটি, মণিকুন্তলা, বিচিত্রা ইত্যাদি চাষ করা যায়। বর্ষায় ভালো হবে হাইড্রেঞ্জিয়া, বেলি, জুঁই, চাঁপা, পত্রলেখা, তুষারমোতি, দোপাটি, জিনিয়া, সূর্যমুখী (ছোট), স্থলপদ্ম, মালতীলতা প্রভৃতি। শীতকালে গাঁদা, গোলাপ, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, পিটুনিয়া, ভারবেনা, ক্যামেলিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কারনেশন, স্যালভিয়া, গোলাপ, জারবেরা, এজালিয়া ইত্যাদি। সারা বছর কাঞ্চন (সাদা), জবা, কামিনী, করবী, অলকানন্দা, জয়তী, হাজারপুটিয়া, নয়নতারা, সন্ধ্যামালতী বা সন্ধ্যামণি ইত্যাদি। দীর্ঘস্থায়ী হিসেবে বেলি, জুঁই, বাগানবিলাস, গোলাপ, জবা, করবী, গন্ধরাজ, কাঞ্চন, কুন্দ, চাঁপা, মুসেন্ডা, কামিনী, অ্যালামন্ডা, স্থলপদ্ম, পোর্টল্যান্ডিয়া, ব্রানফেলসিয়া, ক্যামেলিয়া, টগর, শিউলি, পয়েনসেটিয়া উল্লেখযোগ্য।

টবের ফুলগাছ
টবের ফুলগাছ

সহজে মরে না
সহজে মরে না বা একটু কম যত্ন নিলেও ফুল ফোটে এমন গাছ রোপণ করতে চাইলে নয়নতারা, সন্ধ্যামণি, দোলনচাঁপা, কলাবতী, অ্যালামন্ডা, গাঁদা, বেলি, নাইটকুইন, হাসনাহেনা, রঙ্গন, মুসেন্ডা, কুঞ্জলতা, টাইমফুল প্রভৃতি পছন্দ করতে পারেন। লাগাতে পারেন ফুল দেওয়া বিভিন্ন ক্যাকটাস, এগুলো সহজে মরে না।

রোপণের নিয়ম
প্রথমে গাছের সঙ্গে মানানসই সাইজের টব সংগ্রহ করতে হবে। তবে ছোট গাছের জন্য বড় টব হলে ক্ষতি নেই, কিন্তু বড় গাছের জন্য ছোট টব চলবে না। প্রতি টবের জন্য দো-আঁশ মাটির সঙ্গে তিন ভাগের একভাগ পরিমাণ জৈব সার বা পচা গোবর মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। এরসঙ্গে একমুঠো হাড়ের গুড়ো, দুই চা-চামচ চুন, দু’মুঠো ছাই মেশাতে পারলে ভালো হয়। এতে টবের মাটি দীর্ঘদিন উর্বর থাকে।

 টবে ফুলের রোপণের নিয়ম
টবে ফুলের রোপণের নিয়ম

পরিচর্যা
মৌসুমী ফুলের ক্ষেত্রে মাসখানেক বয়সের ফুলের চারা টবে রোপণ করা উচিত। অন্য চারার বেলায় অল্পবয়সী ভালো ও তরতাজা, গাট্টাগোট্টা দেখে চারা বা কলম লাগানো ভালো। চারা লাগানোর পর আস্তে আস্তে চাপ দিয়ে গোড়ার মাটি শক্ত করে দিতে হবে। লাগানোর পর গোড়ায় পানি দিতে হবে। গাছকে খাড়া রাখার জন্য অবলম্বনের প্রয়োজন হয়। গাছের চারা অবস্থা থেকেই এ ব্যবস্থা করতে হয়। এ কাজে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করা যেতে পারে। সদ্য লাগানো ফুলের চারা কয়েক দিন ছায়ায় রেখে সহনশীল করে নিতে হয়। এ অবস্থায় সকালে ও বিকেলে রোদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। টবে গাছের গোড়ার মাটি একেবারে গুড়ো না করে চাকা চাকা করে খুঁচে দেওয়া ভালো। এ ক্ষেত্রে মাটি খোঁচানোর গভীরতা হবে ৩-১০ সেন্টিমিটার বা ১ থেকে ৪ ইঞ্চি। এ কাজটি প্রতি ১০ দিনে একবার করে করতে হবে।

সার
কুঁড়ি আসার লক্ষণ প্রকাশ পেলে ৫০ গ্রাম টিএসপি (কালো সার), ১০০ গ্রাম ইউরিয়া (সাদা সার) ও ২৫ গ্রাম এমওপি (লাল সার) একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতি গাছে এক চা-চামচ করে ১০ দিন অন্তর দিতে হবে। তবে এক মৌসুমে এই রাসায়নিক সার তিনবারের বেশি দেওয়া যাবে না। তবে রাসায়নিক সার ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সার কোনোক্রমেই শেকড়ের ওপর না পড়ে। ট্যাবলেট সার দিলে এসব সার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

 টবে বেশি ফুল চাইলে
টবে বেশি ফুল চাইলে

বেশি ফুল চাইলে
বেশিদিন ফুল ফোটাতে চাইলে গাছে ফুল শুকাতে দিবেন না। ফুল শুকানো শুরু হলেই ফুল কেটে দিতে হয়। এতে ভালো ফুল পাওয়া যায়। গাঁদা, অ্যাস্টার, চন্দ্রমল্লিকা প্রভৃতি গাছ থেকে বেশি ফুল বেশিদিন পেতে চাইলে প্রথম দিকে আসা কিছু কুঁড়ি চিমটি দিয়ে ছেঁটে দিতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

টবে লাগান মিষ্টি তেঁতুল গাছ

টবে লাগান মিষ্টি তেঁতুল গাছ
টবে লাগান মিষ্টি তেঁতুল গাছ

পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, হারিয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র। চাষবাসের জমিরও সংকুলান ঘটছে সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে। গগনচুম্বী বাড়ি ঘিরে ফেলছে সমস্ত ফাঁকা জমিন। শখ করে মানুষ খোলা জায়গায় যে গাছ লাগবে অথবা ফল-ফুলের চারা সেই উপায়ও আর নেই। গাছ লাগানোর জন্য সামান্য জায়গাও ফাঁকা থাকছে না আর। তবে আমাদের করণীয় কী? বৃক্ষরোপন কি তবে অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে। বেঁচে থাকার জন্য তো গাছ লাগাতে হবেই। বাড়ির একটুকরো বারান্দা অথবা ব্যালকনিতেও সুন্দর ভাবে ইচ্ছা করলে গাছ লাগানো যায়। বাড়ির ছাদেও বানানো যায় সুন্দর বাগিচা। শহরের মানুষদের জন্য ছাদ বাগানের কোনও বিকল্পও নেই। বাড়ির মধ্যেকার ব্যালকনি অথবা ছাদের একটুকরো জমিতেও, ইচ্ছা করলে টবে চাষ করা যায় বিভিন্ন ফুলের ও ফলের গাছ।

শাকসবজি, পেয়ারা, লেবু প্রভৃতি দেশীয় গাছ টবে বাড়তে দেওয়া থেকে শুরু করে বর্তমানে বহু বিদেশী গাছের চারাও মানুষ ব্যালকনি অথবা ছাদে চাষ করছেন। তার মধ্যে থাই মিষ্টি তেঁতুল টবের চাষ পদ্ধতি হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রথমত মিষ্টি তেঁতুলের চাষ করতে গেলে, নার্সারি থেকে এই বিশেষ তেঁতুলের সঠিক বীজ নিয়ে আনতে হবে। তবে থাই মিষ্টি তেঁতুলের কলম পাওয়া একটু দুষ্কর কাজ। বুঝে সঠিক চারা নিয়ে আসা বাগান মালিকের উপরেই বর্তায়।

থাই মিষ্টি তেঁতুলের ফুল থেকে ফল ধরতে প্রায় ৭ মাস সময় লাগে। বছরে দু’বার থাই মিষ্টি তেঁতুলের গাছে ফল ধরে। প্রথমবার বর্ষাকালে এবং দ্বিতীয়বার শীতকালে। এই গাছের পরিচর্যা আলাদা করে করার কোনও দরকার পড়ে না। গাছের যত্নআত্তি নিতে হয় ঠিকই, কিন্তু তা বলে, আলাদা করে কোনও বিশেষ যত্ন নিতে হয় না।

টবে মিষ্টি তেঁতুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি
টবে মিষ্টি তেঁতুল গাছ লাগানোর পদ্ধতি

গাছ লাগানোর পদ্ধতি (Planting)

থাই মিষ্টি তেঁতুল চাষের জন্য আদর্শ মাটি হল, দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি। এই দু’টি মৃত্তিকার মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিন। তারপর বেছে নেওয়া মাটির দুই ভাগ অংশের সাথে গোবর, ১০০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, পটাশ, ২৫০ গ্রাম, হাড়ের গুঁড়ো এবং ৫০ গ্রাম সরিষার খোল একসঙ্গে মিশিয়ে ২০ ইঞ্চি মাপের বড় টবে জল মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। ১০ থেকে ১২ দিন পর টবের মাটি ভালো করে খুঁচিয়ে দিয়ে আরও ৪-৫ দিন রেখে দিতে হবে। ৪ থেকে ৫ দিন বাদে মিষ্টি তেঁতুলের একটি ভালো চারা ওই টবে লাগান।

টবে মিষ্টি তেঁতুল গাছ পরিচর্যা
টবে মিষ্টি তেঁতুল গাছ পরিচর্যা

পরিচর্যা(Caring)

চারা লাগানোর প্রথম কয়েক মাস তেমন যত্নের দরকার পড়বে না। অবশ্যই গাছে এই সময়টুকু পর্যাপ্ত জলের যোগান, এবং আগাছা পরিষ্কারের কাজ করতে হবে।  ছয় মাস চারা লাগানোর সময়সীমা ফুরোলেই ১ মাস বাদে বাদে গাছে সরষের খোল মিশ্রিত পচা জল দিতে হবে। মনে রাখতে  হবে খোল দেওয়ার আগে গাছের মাটি খুঁচিয়ে নিতে হবে।

টবে মিষ্টি তেঁতুল গাছের রোগ দমন
টবে মিষ্টি তেঁতুল গাছের রোগ দমন

রোগ দমন (Disease management)

সাধারণত থাই মিষ্টি তেঁতুল গাছে পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায় না। কিন্তু বর্ষাকালে অনেক সময় তেঁতুল গাছে ছত্রাক হানা দেয়। এর ফলে তেঁতুল ফেটে যায়। এই অসুবিধার থেকে গাছকে বাঁচাতে হলে, বর্ষাকাল আসার আগেই ভালো ছত্রাকনাশক ওষুধ ১০ দিন অন্তর গাছে স্প্রে করে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বাংলার বেজায় টক তেঁতুলের সঙ্গে থাই মিষ্টি তেঁতুলের কোনও তুলনাই চলে না। অত্যন্ত মিষ্টি খেতে এই তেঁতুল থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় চাষ প্রভূত পরিমাণে হলেও, আমাদের রাজ্য এই ফলের চাষ এখনও ততটা গতি পায়নি। কিন্তু আপনি আপনার ব্যালকনি অথবা ছাদে সহজেই এই থাই তেঁতুলের গাছ লাগাতে পারেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ