সরকারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কর্মসূচির আওতায় নাটোরে কৃষি যন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটায় নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে তিনটি কম্বাইন্ড হারভেস্টরের চাবি হস্তান্তর করেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম শিমুল। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শিমুল বলেন, কৃষি-বান্ধব বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে সীমিত ভূমির উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণ করে কৃষিক্ষেত্রের বিভিন্ন উৎপাদন এখন বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে। নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার রনী খাতুন সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল সাকিব, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস ও উপ দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক আকরামুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মেহেদুল ইসলাম জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে খামার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় নির্ধারিত কৃষি যন্ত্রপাতির উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পঞ্চাশ শতাংশ হ্রাসকৃত মূল্যে তিনটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর বিতরণ করা হলো। পর্যায়ক্রমে আরো সাতজন নির্বাচিত কৃষক এ যন্ত্র পাবেন।
এগ্রোটেক কৃষি খাতের এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে! এটি শুধু কৃষকের জীবনকে সহজতর করে না, বরং বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং লাভজনকতাও অনেক বাড়াতে পারে। প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, খরচ কমানো, এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করছে এগ্রোটেক।
এগ্রোটেক (AgriTech) বা কৃষি প্রযুক্তি হলো আধুনিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতের উন্নতি। এটি শুধুমাত্র কৃষকদের জন্যই নয়, বরং পুরো কৃষি শিল্পের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, খরচ কমানো, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। বাংলাদেশে কৃষি খাতে এগ্রোটেকের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়ছে এবং এর মাধ্যমে কৃষি ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আসছে।
বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, যেখানে কৃষি খাত দেশের অর্থনীতির একটি রুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচিত। তবে, কৃষিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ যেমন উৎপাদনশীলতা কম হওয়া, পরিবেশগত প্রভাব, শ্রমিক সংকট ইত্যাদি মোকাবিলা করতে এগ্রোটেক বা কৃষি প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এগ্রোটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব এবং এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন, খরচ কমাতে পারবেন এবং আরও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন।
বাংলাদেশের কৃষিতে গ্রোটেকের গুরুত্ব 🌟
বাংলাদেশের কৃষিতে গ্রোটেকের গুরুত্ব 🌟
বিশ্বব্যাপী এগ্রোটেকের গুরুত্ব প্রতিদিন বেড়ে চলেছে, কারণ এটি কৃষি খাতের নানা সমস্যার সমাধান করছে। কৃষকদের জন্য সময়োপযোগী প্রযুক্তি সরবরাহ করে, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঠিক ব্যবস্থাপনা, এবং আরও অনেক কিছু সম্ভব হচ্ছে। কৃষির বিভিন্ন অংশে এগ্রোটেকের ব্যবহার কৃষক এবং কৃষি পণ্যের উৎপাদন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এগ্রোটেক বা কৃষি প্রযুক্তি বাংলাদেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা কৃষকদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে এবং কৃষি খাতের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে।
কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি
এগ্রোটেকের সাহায্যে কৃষকরা তাদের জমির পুষ্টির স্তর, জলবায়ু পরিস্থিতি, মাটির অবস্থা ইত্যাদি সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এতে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব, কারণ কৃষকরা সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।
বাংলাদেশের কৃষকরা এগ্রোটেকের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমাতে পারবে। স্মার্ট সেন্সর, ড্রোন এবং অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিক সময়ে সেচ, সার প্রয়োগ, এবং কীটনাশক ব্যবহারের ব্যবস্থা সম্ভব। এতে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকদের উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে।
সঠিক সময়ের কাজ
অটোমেশন, ড্রোন প্রযুক্তি, এবং স্মার্ট সেন্সরের মাধ্যমে কৃষকরা সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে পারেন, যেমন ফসলের সেচ, কীটনাশক ব্যবহার, এবং সার প্রয়োগ। এতে ফসলের উৎপাদন বাড়ে এবং খরচ কমে।
এগ্রোটেক প্রযুক্তি কৃষকদেরকে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, ড্রোন, এবং অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিকাজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে কৃষকরা সঠিক সময়ে কাজ করতে পারেন এবং অপচয় কমাতে সক্ষম হন।
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই কৃষি
এগ্রোটেকের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতিগুলি প্রবর্তিত করা যায়, যা কৃষকদের জন্য টেকসই এবং লাভজনক ফলাফল নিয়ে আসে। উদাহরণস্বরূপ, কীটনাশক ব্যবহারে সঠিক পরিমাণের নজরদারি।
এগ্রোটেকের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি তৈরি করা সম্ভব, যেমন পানি বাঁচানোর প্রযুক্তি, পরিবেশ দূষণ কমানোর প্রযুক্তি এবং জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন। এর ফলে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব কমে এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়।
🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀
এগ্রোটেকের উপকারিতা 🌾💡
এগ্রোটেকের উপকারিতা 🌾💡
এগ্রোটেক শুধুমাত্র প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই কৃষির অগ্রগতি সাধন করে না, বরং কৃষকদের জীবনে এক নতুন বিপ্লব ঘটায়। এর কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা:
উৎপাদন বৃদ্ধি ও খরচ কমানো
এগ্রোটেকের মাধ্যমে কৃষকরা ফসলের ফলন আরও বেশি পেতে পারেন এবং উৎপাদন খরচও কমাতে সক্ষম হন। স্মার্ট সেন্সর এবং অটোমেশন সিস্টেম ফসলের অবস্থার উপর নজর রাখে, যাতে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমে।
এগ্রোটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যেমন মাটির অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, এবং ফসলের অবস্থা। এতে তারা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা তাদের ফলন বাড়াতে সাহায্য করে।
তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ
কৃষকরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের জমির প্রতিটি তথ্য সহজে জানতে পারেন। স্মার্ট ফোন অ্যাপস, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট ইমেজিং ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকরা ফসলের অবস্থা, পণ্যের মূল্য, এবং বাজারের চাহিদা সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বাজার প্রবৃদ্ধি
এগ্রোটেকের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের পণ্য সরাসরি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন, যার মাধ্যমে তারা স্থানীয় বাজার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারেন। এতে বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপন সহজ হয় এবং কৃষকরা লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। যার ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পায়।
উন্নত কৃষি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
এগ্রোটেক কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যাতে তারা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের কৃষি ব্যবসা আরও সাফল্যমণ্ডিত করতে পারেন। বিভিন্ন অ্যাপ এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে কৃষকরা সঠিক তথ্য পান এবং সেগুলি প্রয়োগ করতে পারেন।
খরচ কমানো এবং সময় সাশ্রয়
অটোমেশন, ড্রোন, এবং সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা তাদের কাজ দ্রুত এবং সঠিকভাবে করতে পারেন, যা তাদের জন্য সময় এবং অর্থ বাঁচায়।
টেকনোলজি ব্যবহার করে ফসলের সেচ, সার প্রয়োগ এবং অন্যান্য কাজ দ্রুত ও সঠিকভাবে করা যায়। এটি কৃষকদের জন্য প্রচুর সময় সাশ্রয় করে এবং তাদের শ্রম কমায়। ফলে, তারা অধিক উৎপাদন করতে সক্ষম হন।
🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀
বাংলাদেশে এগ্রোটেকের ভবিষ্যত 🌿🚜
বাংলাদেশে এগ্রোটেকের ভবিষ্যত 🌿🚜
এগ্রোটেকের ভবিষ্যত অত্যন্ত উজ্জ্বল। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে কৃষির চেহারা বদলে যাচ্ছে এবং এটি আগামী দিনে কৃষকদের জন্য আরও সুবিধা এবং সুযোগ সৃষ্টি করবে।
স্মার্ট ফার্মিং এবং অটোমেশন
ভবিষ্যতে স্মার্ট ফার্মিং এবং অটোমেশন সিস্টেমের ব্যবহার বাড়বে, যা কৃষকদের জন্য কৃষিকাজকে আরও সহজ এবং দ্রুত করবে। কৃষকেরা আরও কম সময় ও শ্রমে বেশি ফলন পেতে পারবেন।
ড্রোন প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার
ড্রোনের সাহায্যে জমির সার্ভে, ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ, এবং স্প্রে কার্যক্রম আরও সহজ হবে। এর মাধ্যমে ফসলের স্বাস্থ্য সঠিকভাবে নির্ণয় করা যাবে এবং কৃষকরা দ্রুত সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক মডিফিকেশন
ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক মডিফিকেশন প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হবে। এর মাধ্যমে নতুন ধরনের উচ্চ ফলনশীল এবং রোগপ্রতিরোধী ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উন্নয়ন
কৃষিতে টেকসই প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতির ব্যবহারে আরও উন্নতি হবে, যার মাধ্যমে কৃষি খাত হবে পরিবেশ সুরক্ষিত এবং দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক।
কৃষি ডেটা অ্যানালিটিক্স
কৃষি ডেটা অ্যানালিটিক্সের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের জমির অবস্থা ও উৎপাদনশীলতা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন। এতে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর সম্ভাবনা থাকবে।
🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀🌾💡 বাংলাদেশের কৃষিতে এগ্রোটেকের গুরুত্ব, উপকারিতা ও ভবিষ্যত: কৃষি খাতে আধুনিক বিপ্লবের চাবিকাঠি! 🌱🚀
সামগ্রিকভাবে এগ্রোটেকের শক্তি 💪
সামগ্রিকভাবে এগ্রোটেকের শক্তি 💪
এগ্রোটেক কৃষির বিপ্লব ঘটাচ্ছে এবং বাংলাদেশের কৃষি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। এটি কৃষকদের সাহায্য করছে তাদের কৃষি কাজ আরও দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এবং লাভবান হতে। এগ্রোটেকের ব্যবহারে কৃষকরা তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য অর্জন করতে পারবেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এগ্রোটেক প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশে কৃষির কার্যকারিতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এটি কৃষকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে, ফসলের ফলন বাড়াবে এবং তাদের আয় বৃদ্ধি করবে। ভবিষ্যতে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আরও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করবে, যা বাংলাদেশের কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে।
এখনই কৃষিতে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং আপনার কৃষি ব্যবসাকে আরও লাভজনক ও টেকসই করে তুলুন! 🌱💼🚜
এগ্রোটেকের সাথে আপনার কৃষি ব্যবসাকে উন্নত করুন, আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা নিন এবং লাভবান হোন! 💼💰
দেশে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জনপ্রিয় হচ্ছে হারভেস্টারের ব্যবহার। তবে, কৃষকরা বলছেন, এর যন্ত্রাংশের দাম কমালে এটি আরো জনপ্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরবরাহকারীদের দাবি, ভালো মানের যন্ত্রের দাম সব সময় বেশি। আর, কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন যন্ত্রাংশের দাম কৃষকদের হাতের নাগালে রাখতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আলোচনা হতে পারে।
এক ঘন্টায় এক বিঘা জমি ধান কেটে মাড়াই করে বস্তায় ভরে দেয়া, তাও আবার প্রায় অর্ধেক খরচে, গেল কয়েক মৌসুমে কৃষকের কষ্ট লাঘবের পর এখন বেশ জনপ্রিয় হারভেস্টার মেশিন।
হাওর এলাকায় ৭০ ও সমভূমিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সরকারি ভর্তুকি দেয়া এসব মেশিন নিয়ম অনুযায়ি তিন বছর পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিসিং বা মেরামত করে দেয়ার কথা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।
সরকারের এমন নিয়মে খুশি মানিকগঞ্জের কৃষক হাশমত খানও। গেল বোরো মৌসুমে নেয়া কবুতা ব্রান্ডের এ মেশিন এখনো নতুনের মতো। কিন্তু তার আশঙ্কা যন্ত্রাংশের দাম নিয়ে, ভবিষ্যতে যন্ত্রাংশ প্রয়োজন হলে, দাম দিয়ে সেসব সংগ্রহ করতে হবে।
একই প্রশ্ন উঠে আসে মানিকগঞ্জের নবগ্রাম এলাকায় আবেদিন গ্রুপের দেশব্যাপি কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামতের উদ্বোধনীতে। সেখানেও কৃষকরা যন্ত্রাংশের অতিরিক্ত দামের কথা তুলে ধরেন।
তবে এ প্রসঙ্গে স্থানীয় খামারবাড়ির এক কর্মকর্তা জানান, সরকার ও সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করতে পারে
এদিকে কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন বিদেশ থেকে আমদানিকৃত এসব যন্ত্রপাতির ভালমানের যন্ত্রাংশের দাম বেশি। বাজারে নন ব্রান্ডের যান্ত্রাংশ টেকসই হবে না ফলে দাম কমাতে হলে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ি আগামী এক মাস ৭৫টি ভ্রাম্যমান টিমের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে বিনামূল্যে কৃষকদের সার্ভিস সেবা দিবে আবেদীন গ্রুপ।
জেলার সদর উপজেলায় আজ কৃষকদের মধ্যে ৭০ ভাগ ভূর্তকিতে ১০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ২০২১-২২ অর্থ বছরে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় এসব যন্ত্র বিতরণ করা হয়। কৃষি অফিস চত্ত্বরে অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন।
বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রিয়াজউদ্দিন, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা বশির আহমেদ, কৃষক শফিক মিঝি। উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, ধান কাটতে শ্রমিক সংকট দূর করা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের লক্ষ্যে সরকার এই উদ্যেগ গ্রহণ করেছে। শ্রমিক দিয়ে একর প্রতি জমিতে কৃষকদের যেখানে খরচ হয় ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। সেখানে এই মেশিনের মাধ্যমে ব্যয় হবে মাত্র ৪ হাজার টাকা। ১০ জন শ্রমিক একদিনে যে পরিমাণ ধান কাটতে পারবে, তা এক ঘন্টায় কাটবে কম্বাইন্ড হারভেস্টার।
আধুনিক মৎস্য চাষকে সহজ করতে ‘পন্ডগার্ড’ নামের একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন চুয়াডাঙ্গার তরুণ উদ্ভাবক আহমেদুল কবীর উপল। এর ফলে দেশের মৎস্যচাষে যান্ত্রিকীকরণ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। কমে আসবে শ্রমিক নির্ভরতা। সাশ্রয় হবে খরচ। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতায় যন্ত্রটি মৎস্যচাষিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া গেলে মাছ উৎপাদনে আরও সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের নিভৃত মাঠের একটি পুকুরে স্থাপন করা হয়েছে ‘পন্ডগার্ড’ নামের যন্ত্রটি। সেখানে গিয়ে দেখা যায়- পুকুরের অল্প সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গেই পাহারায় আছে যন্ত্রটি। দিনে রাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছে। উদ্ভাবক আহমেদুল কবীর উপল জানান, আইপি ক্যামেরা, ব্যাটারি, সোলার প্যানেলের সঙ্গে কিছু যন্ত্র আর অ্যাপভিত্তিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ‘পন্ডগার্ড’। যন্ত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সোলার সিস্টেম। যন্ত্রটি নিভৃতপল্লীতে থাকা মাছের খামারের নিরাপত্তায় ব্যবহার করা যাবে। বাড়িতে বসেই দূরের মৎস্য প্রকল্পে করা যাবে নজরদারি। ফলে কমে আসবে শ্রমিক নির্ভরতা।
উদ্ভাবকের মতে, বর্তমানে যন্ত্রটি কেবল নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর হবে। পরবর্তিতে এটি আরও উন্নয়নের মাধ্যমে সংয়ক্রিয়ভাবে মাছের খাবার প্রদান করবে। একই সঙ্গে পানির গুণগতমান নির্ণয় এবং ব্যবহারকারীকে বার্তা প্রেরণ করবে। যা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সারা দেশের পানি গবেষণায়ও কাজে আসবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাসিন্দা কনিকা মৎস্য খামারের স্বত্বাধিকারী মো. নূর আলম লিটন ব্যবহার করছেন উপলের উদ্ভাবিত ‘পন্ডগার্ড’ যন্ত্রটি। তিনি জানান, জয়রামপুর গ্রামের নিভৃত মাঠে তাদের মৎস্য প্রকল্পে ‘পন্ডগার্ড’ ব্যবহার করা হয়েছে। পুকুরটি দুর্গম মাঠে হওয়ায় আগে নিয়মিত সেখানে দেখাশোনা করা যেত না। এখন বাড়িতে বসেই সার্বক্ষণিক পুকুরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন। পুকুরে নিরাপত্তার দায়িত্বরত আক্কাস আলী জানান, কনিকা মৎস্য খামারে তারা দু’জন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন