আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফুল

চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন!

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

চন্দ্রমল্লিকা, জনপ্রিয়তার দিক থেকে গোলাপের পরই এর স্থান। এটি বিভিন্ন বর্ণ ও রঙের হয়ে থাকে। চন্দ্রমল্লিকা জাপানের জাতীয় ফুল। বিভিন্ন জাতের চন্দ্রমল্লিকার ফুলের আকার, রঙ ইত্যাদির প্রকারভেদ আছে। এর মধ্যে তামাটে, সোনালি, হলুদ, বেগুনি, লাল, খয়েরি এবং “গ্রিন গডেস” নামের সবুজ চন্দ্রমল্লিকা অত্যন্ত জনপ্রিয়। চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বাজারে চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনের (Chrysanthemum Farming) সম্ভাবনা রয়েছে। 

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থা (Disease Management)

পাউডারী মিলডিউ: এ রোগ হলে গাছের পাতার উপর সাদা থেকে ধূসর গুঁড়ার মতো আবরণ পড়ে এবং আস্তে আস্তে পাতা কুকড়িয়ে নষ্ট হয়ে যায়। বেশি আক্রমণে পাতা শুকিয়ে গাছ মারা যায়। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

রোগ দমন

মাঠে যথাযথ রোপণ দূরত্ব অনুসরণ করে গাছের জন্য পর্যাপ্ত আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (যেমন-বেকিং সোডা) ১ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ৩-৫ বার স্প্রে করতে হবে।

আক্রমণ বেশি হলে জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন-থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউজি বা কুমুলাস ডিএফ) ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে অথবা প্রোপিকোনাজোল (যেমন-টিল্ট ২৫০ ইসি) ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

পাতায় দাগ পড়া বা ঝলসানো রোগ

এ রোগের আক্রমণে প্রথমে নিচের পাতায় হলদে দাগ পড়ে এবং আক্রমণের মাত্রার উপর নির্ভর করে বাদামী থেকে কালো দাগে পরিণত হয়।

রোগ দমন

গাছের গোড়াতে খড় জাতীয় মালচ্ ব্যবহার করলে তলার পাতার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

পরিমিত সেচ প্রদান করতে হবে এবং সেচের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গোড়ার পাতা না ভিজে।

আক্রমণ বেশি হলে কার্বেন্ডাজিম (যেমন-অটোস্টিন বা নোইন বা এমকোজিম বা বেনলেট) প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম অথবা ট্রাই ব্যাসিক কপার সালফেট (যেমন-কিউপ্রোক্স্যাট ৩৪৫ এসসি) ১ লিটার পানিতে ০.৫ মিলি হারে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

গ্রে মোল্ড

এ রোগের আক্রমণে ফুলের পাঁপড়ি, পাতা এমনকি কাণ্ডেও বাদামী পানি ভেজা দাগ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছে ধূসর থেকে বাদামী পাউডারের মত আস্তরণ পড়ে। দীর্ঘকালীন আর্দ্র ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া এ রোগ বিস্তারে খুবই সহায়ক।

রোগ দমন

এ রোগ দমনে রোপণ দূরত্ব অনুসরণ করে গাছকে পর্যাপ্ত আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।

আক্রমণ বেশি হলে রোভানন বা রোভরাল (০.২%) স্প্রে করা যেতে পারে।

পোকামাকড় ও দমন ব্যবস্থা: চন্দ্রমল্লিকা ফুলে সাধারণত জাব পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়।

? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

জাবপোকা

এ পোকা খুব ছোট আকৃতির, নরম ও কালো-সবুজ বর্ণের। শীতকালে এর প্রকোপ খুব বেড়ে যায়। এ পোকা গাছের পাতা, ডগা এবং ফুল থেকে রস চুষে খেয়ে গাছের ক্ষতি করে। আক্রান্ত নতুন কুঁড়ি ও পাতা কুঁকড়ে যায়।

দমন ব্যবস্থা

এ পোকা দমনে প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত পাতা বা ফুল ছিঁড়ে ফেলে পোকাসহ ধ্বংস করা উচিত।

সাবান গুঁড়া ৫ গ্রাম/লিটার হারে পনিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করেও এ পোকা দমন করা যেতে পারে।

  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

    ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

    ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

    ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

    ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?
  • ? চন্দ্রমল্লিকা চাষে রোগমুক্ত ফলন নিশ্চিত করার সেরা কৌশল শিখুন! ?

দৈনন্দিন

ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?

ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?
ত্বকের যত্নে গোলাপের তেল! কীভাবে তৈরি করবেন?

ত্বক পরিচর্যায় প্রতিদিনই নিত্যনতুন উপাদানের নাম শোনা যায়। তবে রূপচর্চায় গোলাপ একেবারেই নতুন নয়। বহু প্রাচীনকালেও রানিদের গোসলের জন্য তাঁর সখীরা দুধে গোলাপের পাপড়ি ভিজিয়ে রাখতেন। ত্বকচর্চায় গোলাপজলের ভূমিকাও কম নয়। তবে গোলাপের তেলের কথা শুনেছেন কি? রাজা-রানিদের ত্বকের পরিচর্যায় গোলাপের তেলের ব্যবহারও কিন্তু হয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। শোনা যায়, ব্রিটেনের যুবরানি ডায়ানা নিজের ত্বক চর্চার জন্য ব্যবহার করতেন গোলাপের তেল আর অ্যাভোকাডো মাস্ক। ডায়ানার সৌন্দর্য্যের কথা কারও অজানা নয়। চাইলে আপনিও নিজের ত্বক পরিচর্যায় ডায়ানার টিপস ব্যবহার করতে পারেন।

গোলাপের তেল কেন উপকারী?
গোলাপের তেল কেন উপকারী?

গোলাপের তেল কেন উপকারী?

বিউটি এক্সপার্টরা বলছেন, গোলাপের তেল ত্বকে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। গোলাপের তেলে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কোষের তন্তুতে প্রবেশ করে ত্বকে টানটান ভাব নিয়ে আসে। ফলে ত্বক অনেক বেশি উজ্জলতা দেখায়।

কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?
কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?

কীভাবে তৈরি করবেন গোলাপের তেল?

একটি সসপ্যানে অল্প পরিমাণ পানি নিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার একটি কাচের পাত্রে ভাল মানের অলিভ অয়েল নিয়ে তাতে গোলাপের পাপড়ি থেঁতো করে ভিজিয়ে দিন। কাচের পাত্রের মুখ ঢেকে পাত্রটিকে গরম পানির পাত্রে ডুবিয়ে রাখতে হবে। ২৪ ঘণ্টা গরম কুসুম গরম পানিতেই রাখতে হবে কাজের পাত্রটিকে। দরকার হলে বার বার পানি বদলে দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টা পরে একটি ছাঁকনির সাহায্যে তেল ছেঁকে নিন। ওই তেল কোনো গাঢ় রঙের বোতলে ঢেলে রাখুন। রোদে বা গরম জায়গায় রাখবেন না।

কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?
কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?

কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপের তেল?

রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা হাতে নিয়ে মুখে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অথবা মধু কিংবা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখুন। মিনিট ২০ রেখে হালকা কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই হাতে প্যাচ টেস্ট করে নেবেন। কোনো রকম অস্বস্তি না হলে তবেই মুখে মাখুন গোলাপের তেল।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ছাদকৃষি

গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন

 গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন
গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন

বাড়ির ছাদে বা আশেপাশে অনেকেই শখ করে ফুল চাষ করেন। সেই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ গোলাপ ফুল। তাই যদি টবে গোলাপ ফুল চাষ করতে চান, তাহলে এ সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে।

নতুন চারা না লাগিয়ে এক বছরের পুরোনো চারা লাগাতে পারেন। চারাটি সোজাভাবে গর্তের মধ্যে লাগাতে হবে। চারার শেকড় ভালোভাবে মাটি দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিতে হবে। জোড় কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত চারার জোড়ের স্থানটি মাটি থেকে অন্তত ৩-৪ সেন্টিমিটার উপরের দিকে রাখতে হবে।

নতুন শাখা ভালোভাবে বিস্তৃত করার জন্য পুরোনো ডাল, ক্ষত ও রোগাক্রান্ত ডাল কেটে বাদ দিতে হবে। বড় গোলাপ পেতে হলে গাছ নিয়মিত ছাঁটাই করতে হয়। আশ্বিন মাসকে গাছ ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত সময় ধরা হয়।

গাছ ছাঁটাইয়ের ১০-১২ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছপ্রতি ২-৩ কেজি পঁচা শুকনো গোবরের সঙ্গে ৫০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হবে। টবের উপর থেকে ১০ সেন্টিমিটার মাটি সরিয়ে নিচের মাটি কিছুটা আলগা করে সারগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এসময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হয়। হাঁস-মুরগি বা কবুতরের বিষ্ঠা সার হিসেবে গোলাপ গাছে দেওয়া যেতে পারে।

চারা লাগানোর পরে চারার গোড়ায় প্রথমদিকে ঘন ঘন পানি দিতে হবে। টবের মাটিতে ভালোভাবে চারা গজালে এবং নতুন ডালপালা ছাড়ার পরে খরা মৌসুমে প্রতি ১০ দিন পর পর একবার করে সেচের মতো পানি দিতে হবে। প্রত্যেকবার পানি সেচের পরে গাছের গোড়ার মাটি ঝরঝরে করে দিতে হবে।

টবে চাষ করার সময় পোকা আক্রমণ করলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। চারার জোড়া জায়গাটির নিচে কোনো প্রকার ডালপালা বের হলে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিতে হবে। বড় আকারে ফুল পেতে হলে প্রথম দিকে বের হওয়া পুষ্পকুড়ি ভেঙে দিন। মার্চ-এপ্রিল মাসে পঁচা গোবর এবং কম্পোস্টের মালচ গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।

পুরোনো ডালে ফুল ভালো হয় না। তাই ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে। ছাঁটাইকৃত ডালের সামনে ছত্রাকনাশক ঘন করে গুলে লাগিয়ে দিন। গাছের গোড়া থেকে ২০ সেন্টিমিটার দূরে গোল করে মাটি খুঁড়ে শেকড় বের করে দিন। ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস করতে এভাবে মাটি খুঁড়ে ৮-১০ দিন রাখতে পারেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

গোলাপ ফুল কি ত্বকের জন্য উপকারী?

পরিচিতি
সৌন্দর্য্য ও লাবন্যের প্রতীক গোলাপ ফুল

গোলাপ ফুলকে ফুলের রাণী বলা হয়ে থাকে। এর কোমলতা, বর্ণ, সুগন্ধ এমন কেউ নেই যাকে আকৃষ্ট করে না। সাজ সজ্জায় কাটা ফুল হিসেবে কদর রয়েছে। এছাড়া সুগন্ধি প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। শাখা কলম, দাবা কলম এবং চোখ কলম এর মাধ্যমে গোলাপের বংশ বিস্তার করা হয়।

সৌন্দর্য ও ঘ্রাণের দিক দিয়ে গোলাপ অতুলনীয়। আমাদের দৈনন্দিন জিবনে গোলাপ ফুল গুরুক্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।গোলাপের ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল সুন্দর হয়।তাছাড়া গোলাপের পাপড়ির গুড়া বিভিন্ন ধরণের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুলের পাপড়ির গুড়া দিয়ে তৈরি চা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি।

ত্বক উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ করতে গোলাপফুল বেশ কার্যকর। গোলাপ জলের থেকে কাঁচা ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এই উপাদানটি ত্বকের রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর করে চেহারার জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য কীভাবে মুখে গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের লাইফস্টাইল বিভাগে

  • নিয়মিত গোলাপফুলের রস মুখে লাগান। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে, যা চেহারার বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান করে।
  • গোলাপফুলের রস ত্বককে সতেজ রাখে। দুশ্চিন্তা দূর করতে কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি মুখে ঘষে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতাও দূর করবে।
  • যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও স্পর্শকাতর, তাঁরা নিয়মিত ত্বকে গোলাপফুলের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
  • গোলাপফুলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। ত্বকের কালচে ভাব, ব্রণের দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত গোলাপফুলের পাঁপড়ির সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা গোলাপের পাঁপড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পাঁপড়ি শিলপাটায় বেটে এর সঙ্গে চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফুল

চাষ করুন বেলি ফুল

চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফুলের তোড়া, মালায় সুগন্ধি ফুল হিসেবে বেলি ফুলের কদর আছে। তাই এটি একটি অর্থকরী ফুল। ফলে আপনিও চাষ করতে পারেন।

জাত
তিন জাতের বেলি ফুল দেখা যায়। যথা- সিঙ্গেল ও অধিক গন্ধযুক্ত, মাঝারি ও ডাবল ধরনের এবং বৃহদাকার ডাবল ধরনের।

বংশবিস্তার
বেলি ফুল গুটি কলম, দাবা কলম ও ডাল কলম পদ্ধতির মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।

 চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

চাষ ও সার
বেলে মাটি ও ভারি এঁটেল মাটি ছাড়া সবধরনের মাটিতে বেলি ফুল চাষ করা যায়। জমিতে পানি সেচ ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকা ভালো। জমি ৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরা ও সমান করতে হবে। জমি তৈরির সময় জৈব সার, ইউরিয়া, ফসফেট এবং এমপি প্রয়োগ করতে হবে। প্রায় ১ মিটার অন্তর চারা রোপণ করতে হবে। চারা লাগানোর পর ইউরিয়া প্রয়োগ করে পানি সেচ দিতে হবে।

কলম বা চারা
গ্রীষ্মের শেষ থেকে বর্ষার শেষ পর্যন্ত বেলি ফুলের কলম বা চারা তৈরি করা যায়। চারা থেকে চারা ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেমি হতে হবে। চারা লাগানোর জন্য গর্ত খুঁড়ে গর্তের মাটির রোদ খাইয়ে, জৈব সার ও কাঠের ছাই গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। এরপর প্রতি গর্তে বেলির কলম বসাতে হবে। বর্ষায় বা বর্ষার শেষের দিকে কলম বসানোই ভালো। তবে সেচের ব্যবস্থা ভালো হলে বসন্তকালেও কলম তৈরি করা যায়।

টব
জৈব পদার্থযুক্ত দো-আঁশ মাটিতে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি সার পরিমাণমতো মিশিয়ে টবে বেলি ফুলের চাষ করা যায়। টব ঘরের বারান্দা বা ঘরের ছাদে রেখে দেওয়া যায়।

 চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

সেচ
বেলি ফুলের জমিতে সবসময় রস থাকা দরকার। গ্রীষ্মকালে ১০-১২ দিন পরপর শীতকালে ১৫-২০ দিন পরপর ও বর্ষাকালে বৃষ্টি সময়মতো না হলে জমির অবস্থা বুঝে ২-১ টি সেচ দেওয়া দরকার।

আগাছা
জমি বা টব থেকে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। খড় কেটে কুচি করে জমিতে বিছিয়ে রাখলে সেচের প্রয়োজন কম হয় এবং আগাছাও বেশি জন্মাতে পারে না।

ছাঁটাই
প্রতিবছরই বেলি ফুলের গাছের ডাল-পালা ছাঁটাই করা দরকার। শীতের মাঝামাঝি সময় ডাল ছাঁটাই করতে হবে। মাটির ওপরের স্তর থেকে ৩০ সেমি উপরে বেলি ফুলের গাছ ছাঁটাই করতে হবে। অঙ্গ ছাঁটাইয়ের কয়েকদিন পর জমিতে বা টবে সার প্রয়োগ করতে হবে।

 চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

রোগ-বালাই
বেলি ফুল গাছে ক্ষতিকারক কীট তেমন দেখা যায় না। তবে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। এদের আক্রমণে পাতায় সাদা আস্তরণ পড়ে। আক্রান্ত পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় ও গোল হয়ে পাকিয়ে যায়। গন্ধক গুঁড়া বা গন্ধকঘটিত মাকড়নাশক ওষুধ যেমন সালট্যাফ, কেলথেন ইত্যাদি পাতায় ছিটিয়ে মাকড় দমন করা যায়। বেলি ফুলের পাতায় হলদে বর্ণের ছিটেছিটে দাগযুক্ত একপ্রকার ছত্রাক রোগ দেখা যায়। এগ্রোসান বা ট্রেসেল-২ প্রয়োগ করে এ রোগ দমন করা যায়।

ফলন
ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গাছে ফুল ফোটে। ফলন প্রতিবছর বাড়ে। লতানো বেলিতে ফলন আরও বেশি হয়। সাধারণত ৫-৬ বছর পর গাছ কেটে ফেলে নতুন চারা লাগানো হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফুল

শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

জিনিয়া মূলত এর বাহারি রঙের ফুলের জন্য সুপরিচিত। মৌসুমী ফুলের মধ্যে এটি বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি ফুল। তবে এর কোন গন্ধ নেই। এর আদি নিবাস মেক্সিকো। জিনিয়া ফুল সম্পর্কে কিছু তথ্য জানি-

জিনিয়া গাছ Asteraceae অন্তর্ভুক্ত। জিনিয়া ফুল সাদা, হলুদ, লাল, বাদামি, বেগুণি, কমলা, সবুজসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। মূলত মেক্সিকোর এই ফুল এখন সারা পৃথিবীতে চাষ করা হয়। অন্তত ২০ প্রজাতির জিনিয়া এ পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে। সবচেয়ে বহুল প্রাপ্ত জিনিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম Zinnia elegans।

 শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

জিনিয়া শীতকালীন ফুল হলেও সারাবছর চাষ করা যায়। বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা যায়। জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসে এ ফুলের বীজ বপন এবং চারা উত্পাদনের উপযুক্ত সময়। রৌদ্রোজ্জ্বল সুনিষ্কাশিত উর্বর দো-আঁঁশ মাটি এ ফুল উত্পাদনের জন্য বেশি উপযোগী। স্যাঁতসেঁতে জমিতে এর উত্পাদন ভালো হয় না।

জিনিয়া গাছ ৬০-৭০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। গাছে ডালের সংখ্যা কম হয়। পাতার আকার ছোট, রং ধূসর সবুজ এবং বেশ রুক্ষ্ম। গাছে ফুটন্ত ফুল বেশ অনেক দিন পর্যন্ত সৌন্দর্য ধরে রাখতে সক্ষম।

 শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

প্রায় প্রতি শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফুল ধরে। ফুল ঊর্ধ্বমুখী। নমনীয় কোমল অসংখ্য পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট জিনিয়া ফুলের মাঝখানে পরাগ অবস্থিত। আকার ও রঙের বৈচিত্রে ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকার সাথে এর তুলনা করা যেতে পারে।

কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ফুলদানিতে সাজাবার জন্য এবং তোড়া তৈরির জন্য এ ফুল অদ্বিতীয়। জিনিয়ার জনপ্রিয় জাত হচ্ছে ডাবল ফুল। এটি অবিকল চন্দ্রমল্লিকার মতো। আশেপাশের নার্সারিতে খোঁজ নিলেই পেতে পারেন জিনিয়া ফুলের চারা। চাষ করতে পারেন বাড়ির ছাদে এবং বারান্দার টবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ