আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফুল

সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

? সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন! ?
সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

জাতঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট  চন্দ্রমল্লিকা ফুলের বারি চন্দ্রমল্লিকা -১ ও বারি চন্দ্রমল্লিকা -২ জাত দুইটি  উদ্ভাবন করেছে।

জলবায়ু ও মাটি

চন্দ্রমল্লিকা তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং রৌদ্রজ্জল জায়গা পছন্দ করে। বাংলাদেশে শীতকালই এই ফুল চাষের উত্তম সময়। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ সুনিস্কাশিত দো আঁশ ও বেলে মাটি চন্দ্রমল্লিকা চাষের জন্য উপযোগী। মাটির পি এইচ ৬.০-৭.০ হওয়া বাঞ্জনীয়।

চারা তৈরিঃ

বীজ, সাকার ও শাখা কলম থেকে চন্দ্রমল্লিকার চারা তৈরি করা যায়। বীজ থেকে চারা করলে তা থেকে ভাল ফুল পাওয়া যায় না এবং ফুল পেতে অনেক দিন লেগে যায়। অন্য দিকে ডাল কেটে শাখা কলম করলে বা সাকার থেকে চারা করলে এ সমস্যা থাকে না। এদেশে শাখা কলম করেই সাধারনত চারা তৈরি করা হয়। জুলাই মাসের  মাঝামাঝি সময় থেকে শাখা কলম করা শুরু হয়। এক বছর বয়সী সতেজ সবল ডাল থেকে ৮-১০ সেমি লম্বা ডাল তেরছাভাবে কেটে বেডে বা বালতিতে বসিয়ে দিলে তাতে শিকড় গজায়। ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে যখন ফুল দেওয়া শেষ হয়ে যায় তখন গাছগুলোকে মাটির উপর থেকে ১৫-২০ সেমি রেখে কেটে দেয়া হয়। কিছু দিন পর ওসব কাটা জায়গার গোড়া থেকে কিছু সাকার বের হয়। এসব সাকার ৫-৭ সেমি লম্বা হলে মা গাছ থেকে ওদের আলাদা করে ছায়াময় বীজতলায় বা টবে লাগানো হয়। মে- জুলাই মাসে চারাকে বৃষ্টি ও  কড়া রোদ থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

? সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন! ?
সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

চারা রোপনঃ

শেষবারের মত নিদিষ্ট স্থানে কিংবা টবে রোপনের পূর্বে চারাগুলোকে স্বতন্ত্র জমিতে কিংবা টবে পাল্টিয়ে নিয়ে তাদের ফুল উৎপাদনের উপযুক্ততা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। জমি কিংবা টবে চারা রোপনের উপযুক্ত সময় অক্টেবর- নভেম্বর। জাতভেদে ৩০ x ২৫ অন্তর চন্দ্রমল্লিকা রোপন করতে হবে।

সার প্রয়োগঃ

চন্দ্রমল্লিকা গাছ মাটি থেকে প্রচুর পরিমানে খাদ্যোপাদন শোষন করে থাকে। এ কারণে জৈব ও রাসায়নিক খাদ্যযুক্ত মাটিতে এ গাছ খুব ভালভাবে সাড়া দেয়। ভাল ফলন পেতে হলে জমিতে সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি হেক্টরে ১০ টন পঁচা গোবর/কম্পোস্ট,  ৪০০ কেজি ইউরিয়া, ২৭৫ কেজি টিএসপি, ৩০০ কেজি মিউরেট অব পটাশ, ১৬৫ কেজি জিপসাম, ১২ কেজি বোরিক এসিড ও জিংক অক্সাইড সার প্রয়োগ করতে হবে। সাকার রোপণের ১০-১৫ দিন পূর্বে পঁচা গোবর/কম্পোস্ট এবং ইউরিয়া বাদে অন্যান্য সার ৭-১০ দিন পূর্বে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সাকার রোপণের ২৫-৩০ দিন পর ইউরিয়া সারের অর্ধেক প্রয়োগ করতে হবে এবং বাকি অর্ধেক সার সাকার রোপণের ৪৫-৫০ দিন পর গাছের গোড়ার চারপাশে একটু দূর দিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। উপরি প্রয়োগের পর সার মাটির সাথে মিশিয়ে সেচ দিতে  হবে।

? সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন! ?
সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

কুঁড়ি ভাঙ্গাঃ

চন্দ্র মল্লিকার বেড ও টব আগাছা মুক্ত রাখা উচিত। চারা লাগানোর মাস খানেক পর গাছের অগ্রভাগ কেটে দিতে হয়। এতে করে গাছ লম্বা না হয়ে ঝোপালো হয়। চারা গাছে তাড়াতাড়ি ফুল আসলে তা সঙ্গে সঙ্গে অপসারন করতে হয়। বড় আকারের ফুল পেতে হলে  ডিসবাডিং করা উচিৎ অর্থাৎ মাঝের কুঁড়িটি রেখে পাশের দুটি কুঁড়ি কেটে ফেলতে হয়। আর মধ্যম আকারের ফুল পেতে চাইলে মাঝের কুড়িটি অপসারন করা উচিত।

সেচঃ

চন্দ্রমল্লিকার চারা বিকালে লাগিয়ে গোড়ার মাটি চেপে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর হালকা সেচ দিতে হবে। চন্দ্রমল্লিকার গাছ কখনো বেশি পানি সহ্য করতে পারেনা। তাই পানি এমনভাবে দিতে হবে যেন গোড়ায় বেশিক্ষণ পানি জমে না থাকে। চারা রোপনের পূর্বে এবং পরে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিমানমত পানি সেচ জরুরি।

অন্যান্য পরিচর্যা

ঠেস দেয়াঃ

চন্দ্রমল্লিকার ফুল সাধারনত ডালপালার তুলনায় বড় হয়। তাই গাছের গোড়া থেকে কুঁড়ি পর্যন্ত একটা শক্ত কাঠি পুঁতে দিতে হবে।এতে ফুল নুয়ে পড়বেনা। চারা লাগানোর সময় কাঠি একবারেই পুঁতে দেয়া ভাল। এজন্য জাত বুঝে চন্দ্রমল্লিকা গাছের উচ্চতা অনুযায়ী বাঁশের কাঠি চারার গোড়া থেকে একটু দুরে পুঁতে দিতে হবে।একবারে গোড়াই পুতলে বা গাছ বড় হয়ে যাওয়ার পর পুতলে অনেক সময় শিকড়ের ক্ষতি হতে পারে, এমনকি শিকড়ে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার ফলে রোগ জীবানুও গাছে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

? সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন! ?
সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

শোষক পোকা দমনঃ

শোষক পোকা অতি ক্ষুদ্র আকৃতির। ছাই রঙের এ পোকাকে খালি চোখে দেখা যায়না। এপোকা পাতা ও ফুলের রস শোষন করে। ফলে আক্রান্ত পাতা ও ফুলে দাগ পড়ে। পাতা ও ফুল শুকিয়ে যায় এবং আক্রমণ বেশি হলে গাছও শুকিয়ে যায়। এ পোকা দমনের জন্য ২ মিলি ম্যালাথিয়ন ১ লিটার পানিতে তিশেয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করতে হবে।

জাব পোকা দমনঃ

জাব পোকা ফুলের প্রধান ক্ষতিকর পোকা। জাব পোকা গাড় সবুজ, বেগুনি বা কাল রঙের হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয় অবস্থাতেই গাছের নতুন ডগা বা ফুলের রস চুষে খায় এবং গাছের বৃদ্ধি এবং ফলনে মারাত্বক ক্ষতি করে।নোভাক্রন(০.১% ) বা রগর ( ১% ) প্রয়োগ করে এ পোকা দমন করা যায়।

? সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন! ?
সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

পাউডারী মিলডিউ রোগ দমনঃ

এরোগ হলে গাছের পাতা ধূসর রং ধারন করে এবং পাতার উপরে সাদা সাদা পাউডার দেখা যায়। টিল্ট  ২৫০ইসি ০.৫ মিলি বা ২ গ্রাম থিয়োভিট প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে করে এরোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ফুল সংগ্রহঃ

চন্দ্রমল্লিকা ফুল কুঁড়ি অবস্থায় তুললে ফোঁটেনা। বাইরের পাপড়ি গুলো সম্পূর্ণ খুলে গিয়েছে এবং মাঝের পাপড়ি গুলো ফুটতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় খুব সকালে অথবা বিকেলে ধারালো ছুরি দিয়ে দীর্ঘ বোঁটাসহ কেটে ফুল তোলা উচিত।

ফলনঃ

জাত ভেদে ফলন কম বেশি হয়। তবে গাছ প্রতি বছরে গড়ে ৩০-৪০ টি ফুল পাওয়া যায়।

  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

    সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

    সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

    সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

    সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

    সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন
  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন
  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন
  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন
  • সহজ উপায়ে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করুন, আপনার বাগানকে রঙিন স্বপ্নে বদলে দিন

ছাদকৃষি

গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন

 গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন
গোলাপ ফুল টবে যেভাবে চাষ করবেন

বাড়ির ছাদে বা আশেপাশে অনেকেই শখ করে ফুল চাষ করেন। সেই ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ গোলাপ ফুল। তাই যদি টবে গোলাপ ফুল চাষ করতে চান, তাহলে এ সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নিতে হবে।

নতুন চারা না লাগিয়ে এক বছরের পুরোনো চারা লাগাতে পারেন। চারাটি সোজাভাবে গর্তের মধ্যে লাগাতে হবে। চারার শেকড় ভালোভাবে মাটি দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিতে হবে। জোড় কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত চারার জোড়ের স্থানটি মাটি থেকে অন্তত ৩-৪ সেন্টিমিটার উপরের দিকে রাখতে হবে।

নতুন শাখা ভালোভাবে বিস্তৃত করার জন্য পুরোনো ডাল, ক্ষত ও রোগাক্রান্ত ডাল কেটে বাদ দিতে হবে। বড় গোলাপ পেতে হলে গাছ নিয়মিত ছাঁটাই করতে হয়। আশ্বিন মাসকে গাছ ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত সময় ধরা হয়।

গাছ ছাঁটাইয়ের ১০-১২ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছপ্রতি ২-৩ কেজি পঁচা শুকনো গোবরের সঙ্গে ৫০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হবে। টবের উপর থেকে ১০ সেন্টিমিটার মাটি সরিয়ে নিচের মাটি কিছুটা আলগা করে সারগুলো মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এসময় খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শিকড়ের কোনো ক্ষতি না হয়। হাঁস-মুরগি বা কবুতরের বিষ্ঠা সার হিসেবে গোলাপ গাছে দেওয়া যেতে পারে।

চারা লাগানোর পরে চারার গোড়ায় প্রথমদিকে ঘন ঘন পানি দিতে হবে। টবের মাটিতে ভালোভাবে চারা গজালে এবং নতুন ডালপালা ছাড়ার পরে খরা মৌসুমে প্রতি ১০ দিন পর পর একবার করে সেচের মতো পানি দিতে হবে। প্রত্যেকবার পানি সেচের পরে গাছের গোড়ার মাটি ঝরঝরে করে দিতে হবে।

টবে চাষ করার সময় পোকা আক্রমণ করলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। চারার জোড়া জায়গাটির নিচে কোনো প্রকার ডালপালা বের হলে ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দিতে হবে। বড় আকারে ফুল পেতে হলে প্রথম দিকে বের হওয়া পুষ্পকুড়ি ভেঙে দিন। মার্চ-এপ্রিল মাসে পঁচা গোবর এবং কম্পোস্টের মালচ গাছের গোড়ায় দিতে পারেন।

পুরোনো ডালে ফুল ভালো হয় না। তাই ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে। ছাঁটাইকৃত ডালের সামনে ছত্রাকনাশক ঘন করে গুলে লাগিয়ে দিন। গাছের গোড়া থেকে ২০ সেন্টিমিটার দূরে গোল করে মাটি খুঁড়ে শেকড় বের করে দিন। ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস করতে এভাবে মাটি খুঁড়ে ৮-১০ দিন রাখতে পারেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

গোলাপ ফুল কি ত্বকের জন্য উপকারী?

পরিচিতি
সৌন্দর্য্য ও লাবন্যের প্রতীক গোলাপ ফুল

গোলাপ ফুলকে ফুলের রাণী বলা হয়ে থাকে। এর কোমলতা, বর্ণ, সুগন্ধ এমন কেউ নেই যাকে আকৃষ্ট করে না। সাজ সজ্জায় কাটা ফুল হিসেবে কদর রয়েছে। এছাড়া সুগন্ধি প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়। শাখা কলম, দাবা কলম এবং চোখ কলম এর মাধ্যমে গোলাপের বংশ বিস্তার করা হয়।

সৌন্দর্য ও ঘ্রাণের দিক দিয়ে গোলাপ অতুলনীয়। আমাদের দৈনন্দিন জিবনে গোলাপ ফুল গুরুক্তপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।গোলাপের ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল সুন্দর হয়।তাছাড়া গোলাপের পাপড়ির গুড়া বিভিন্ন ধরণের অসুখ সারাতে সাহায্য করে। গোলাপ ফুলের পাপড়ির গুড়া দিয়ে তৈরি চা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি।

ত্বক উজ্জ্বল, টানটান ও মসৃণ করতে গোলাপফুল বেশ কার্যকর। গোলাপ জলের থেকে কাঁচা ফুলের পাঁপড়ি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। এই উপাদানটি ত্বকের রুক্ষতা ও কালচে ভাব দূর করে চেহারার জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের জন্য কীভাবে মুখে গোলাপের পাঁপড়ি ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের লাইফস্টাইল বিভাগে

  • নিয়মিত গোলাপফুলের রস মুখে লাগান। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে, যা চেহারার বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান করে।
  • গোলাপফুলের রস ত্বককে সতেজ রাখে। দুশ্চিন্তা দূর করতে কয়েকটি গোলাপের পাঁপড়ি মুখে ঘষে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতাও দূর করবে।
  • যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও স্পর্শকাতর, তাঁরা নিয়মিত ত্বকে গোলাপফুলের এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে।
  • গোলাপফুলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। ত্বকের কালচে ভাব, ব্রণের দাগ ও খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত গোলাপফুলের পাঁপড়ির সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা গোলাপের পাঁপড়ি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর এই পাঁপড়ি শিলপাটায় বেটে এর সঙ্গে চার টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফুল

চাষ করুন বেলি ফুল

চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

বেশিরভাগ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ফুলের তোড়া, মালায় সুগন্ধি ফুল হিসেবে বেলি ফুলের কদর আছে। তাই এটি একটি অর্থকরী ফুল। ফলে আপনিও চাষ করতে পারেন।

জাত
তিন জাতের বেলি ফুল দেখা যায়। যথা- সিঙ্গেল ও অধিক গন্ধযুক্ত, মাঝারি ও ডাবল ধরনের এবং বৃহদাকার ডাবল ধরনের।

বংশবিস্তার
বেলি ফুল গুটি কলম, দাবা কলম ও ডাল কলম পদ্ধতির মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়।

 চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

চাষ ও সার
বেলে মাটি ও ভারি এঁটেল মাটি ছাড়া সবধরনের মাটিতে বেলি ফুল চাষ করা যায়। জমিতে পানি সেচ ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকা ভালো। জমি ৪-৫টি চাষ ও মই দিয়ে ঝুরঝুরা ও সমান করতে হবে। জমি তৈরির সময় জৈব সার, ইউরিয়া, ফসফেট এবং এমপি প্রয়োগ করতে হবে। প্রায় ১ মিটার অন্তর চারা রোপণ করতে হবে। চারা লাগানোর পর ইউরিয়া প্রয়োগ করে পানি সেচ দিতে হবে।

কলম বা চারা
গ্রীষ্মের শেষ থেকে বর্ষার শেষ পর্যন্ত বেলি ফুলের কলম বা চারা তৈরি করা যায়। চারা থেকে চারা ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ৫০ সেমি হতে হবে। চারা লাগানোর জন্য গর্ত খুঁড়ে গর্তের মাটির রোদ খাইয়ে, জৈব সার ও কাঠের ছাই গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করতে হবে। এরপর প্রতি গর্তে বেলির কলম বসাতে হবে। বর্ষায় বা বর্ষার শেষের দিকে কলম বসানোই ভালো। তবে সেচের ব্যবস্থা ভালো হলে বসন্তকালেও কলম তৈরি করা যায়।

টব
জৈব পদার্থযুক্ত দো-আঁশ মাটিতে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি সার পরিমাণমতো মিশিয়ে টবে বেলি ফুলের চাষ করা যায়। টব ঘরের বারান্দা বা ঘরের ছাদে রেখে দেওয়া যায়।

 চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

সেচ
বেলি ফুলের জমিতে সবসময় রস থাকা দরকার। গ্রীষ্মকালে ১০-১২ দিন পরপর শীতকালে ১৫-২০ দিন পরপর ও বর্ষাকালে বৃষ্টি সময়মতো না হলে জমির অবস্থা বুঝে ২-১ টি সেচ দেওয়া দরকার।

আগাছা
জমি বা টব থেকে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। খড় কেটে কুচি করে জমিতে বিছিয়ে রাখলে সেচের প্রয়োজন কম হয় এবং আগাছাও বেশি জন্মাতে পারে না।

ছাঁটাই
প্রতিবছরই বেলি ফুলের গাছের ডাল-পালা ছাঁটাই করা দরকার। শীতের মাঝামাঝি সময় ডাল ছাঁটাই করতে হবে। মাটির ওপরের স্তর থেকে ৩০ সেমি উপরে বেলি ফুলের গাছ ছাঁটাই করতে হবে। অঙ্গ ছাঁটাইয়ের কয়েকদিন পর জমিতে বা টবে সার প্রয়োগ করতে হবে।

 চাষ করুন বেলি ফুল
চাষ করুন বেলি ফুল

রোগ-বালাই
বেলি ফুল গাছে ক্ষতিকারক কীট তেমন দেখা যায় না। তবে পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে পারে। এদের আক্রমণে পাতায় সাদা আস্তরণ পড়ে। আক্রান্ত পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় ও গোল হয়ে পাকিয়ে যায়। গন্ধক গুঁড়া বা গন্ধকঘটিত মাকড়নাশক ওষুধ যেমন সালট্যাফ, কেলথেন ইত্যাদি পাতায় ছিটিয়ে মাকড় দমন করা যায়। বেলি ফুলের পাতায় হলদে বর্ণের ছিটেছিটে দাগযুক্ত একপ্রকার ছত্রাক রোগ দেখা যায়। এগ্রোসান বা ট্রেসেল-২ প্রয়োগ করে এ রোগ দমন করা যায়।

ফলন
ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গাছে ফুল ফোটে। ফলন প্রতিবছর বাড়ে। লতানো বেলিতে ফলন আরও বেশি হয়। সাধারণত ৫-৬ বছর পর গাছ কেটে ফেলে নতুন চারা লাগানো হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফুল

শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

জিনিয়া মূলত এর বাহারি রঙের ফুলের জন্য সুপরিচিত। মৌসুমী ফুলের মধ্যে এটি বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি ফুল। তবে এর কোন গন্ধ নেই। এর আদি নিবাস মেক্সিকো। জিনিয়া ফুল সম্পর্কে কিছু তথ্য জানি-

জিনিয়া গাছ Asteraceae অন্তর্ভুক্ত। জিনিয়া ফুল সাদা, হলুদ, লাল, বাদামি, বেগুণি, কমলা, সবুজসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। মূলত মেক্সিকোর এই ফুল এখন সারা পৃথিবীতে চাষ করা হয়। অন্তত ২০ প্রজাতির জিনিয়া এ পর্যন্ত চিহ্নিত হয়েছে। সবচেয়ে বহুল প্রাপ্ত জিনিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম Zinnia elegans।

 শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

জিনিয়া শীতকালীন ফুল হলেও সারাবছর চাষ করা যায়। বীজের মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার করা যায়। জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসে এ ফুলের বীজ বপন এবং চারা উত্পাদনের উপযুক্ত সময়। রৌদ্রোজ্জ্বল সুনিষ্কাশিত উর্বর দো-আঁঁশ মাটি এ ফুল উত্পাদনের জন্য বেশি উপযোগী। স্যাঁতসেঁতে জমিতে এর উত্পাদন ভালো হয় না।

জিনিয়া গাছ ৬০-৭০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। গাছে ডালের সংখ্যা কম হয়। পাতার আকার ছোট, রং ধূসর সবুজ এবং বেশ রুক্ষ্ম। গাছে ফুটন্ত ফুল বেশ অনেক দিন পর্যন্ত সৌন্দর্য ধরে রাখতে সক্ষম।

 শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল

প্রায় প্রতি শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফুল ধরে। ফুল ঊর্ধ্বমুখী। নমনীয় কোমল অসংখ্য পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট জিনিয়া ফুলের মাঝখানে পরাগ অবস্থিত। আকার ও রঙের বৈচিত্রে ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকার সাথে এর তুলনা করা যেতে পারে।

কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে ফুলদানিতে সাজাবার জন্য এবং তোড়া তৈরির জন্য এ ফুল অদ্বিতীয়। জিনিয়ার জনপ্রিয় জাত হচ্ছে ডাবল ফুল। এটি অবিকল চন্দ্রমল্লিকার মতো। আশেপাশের নার্সারিতে খোঁজ নিলেই পেতে পারেন জিনিয়া ফুলের চারা। চাষ করতে পারেন বাড়ির ছাদে এবং বারান্দার টবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

আঙিনা কৃষি

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাওনের শখের ছাদ বাগান – দা এগ্রো নিউজ

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাওনের শখের ছাদ বাগান - দা এগ্রো নিউজ
দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শাওনের শখের ছাদ বাগান – দা এগ্রো নিউজ

দা এগ্রো নিউজ ঈদ কনটেস্ট বিজয়ী শাওনের কাছ থেকেই জানুন, কীভাবে এবং তিনি এত সুন্দর একটি বাগান গড়ে তুলেছেন। তার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য রইল শুভকামনা।

আমাদের একটু খানি হাতের ছোঁয়ায়, আামাদের ঘরের ছাদ কিংবা বারান্দা হয়ে উঠে আমাদের নন্দন কানন। এই ভালোবাসার ছোঁয়াকে আর একটু পূর্ণতা দিতেই, দা এগ্রো নিউজ এর পক্ষ থেকে আমাদের ছোট্ট একটা প্রচেষ্টা ছিল “শখের বাগান ঈদ কনটেস্ট”, যার বিজয়ী হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম শাওন। আজ আমরা তার বাগান তিনি কত ভালোবাসা আর যত্ন দিয়ে তৈরি করেছেন সে সম্পর্কেই জানব।

শাওন এর বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়। করোনাকালীন সময়ে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শাওন এর বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ।  এই সময়টা তিনি নষ্ট না করে, নানা রকমের ফুল এবং ফলের গাছ দিয়ে গড়ে তুলেছেন তার শখের ছাদ বাগান।

তার বাগানে গোলাপ, এস্টার, পর্তুলিকা, কসমস, সন্ধ্যামালতী, মিলি, থাই লিলি, জাম্বু লিলি, এমারেলিসস লিলি, ক্রিমিনাল লিলি, হলুদ, সাদা, গোলাপি রেইন লিলি, বেলী, নয়ন তারা, অপারাজিতা, টগর, সহ আরও নানা রকমের ফুল গাছ রয়েছে, যা দেখলেই যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে।

শাওন আমাদের সাথে কথা বলার সময় অনেক কিছুই আমাদের জানান। তিনি বলেন,  আমরা মনে করি মাটির আর কত ওজন হবে। তবে আপনি যদি একটা বাগান বা বড় গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেন তাহলে যে পরিমাণে মাটি লাগবে তার ওজন নেহায়েত কম নয়। নিয়মিত গাছে পানি দেওয়ার ফলে ভেজা মাটির ওজন আরও বেড়ে যায়।তাই যখন ছাদে বাগান করার পরিকল্পনা করবেন অবশ্যই জেনে নেবেন ছাদের ধারণ ক্ষমতা কতটুকু। যেন পরে বাড়ির কোনো ক্ষতি না হয়। বাড়ির ধারণ ক্ষমতার উপর নির্ধারণ করতে হবে কোন ধরনের গাছ লাগানো সম্ভব। কোনো কারণে যদি ধারণ ক্ষমতা কম হয় তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। অল্প মাটিতে ছোট গুল্মজাতীয় গাছের বাগান করাও সম্ভব।

তার বাগানে আমরা নানা রকমের ফলের গাছও দেখতে পাই, আমের মধ্যে আছে কিং অফ চাকাপাত, বারি ৪, কাটিমন, কিওসাভয়, ব্যানানা ম্যাংগো, আমেরিকান রেড পালমার। থাই সফেদা, থাই জাম্বুরা, বারোমাসি আমড়া, লাল জামরুল। থাই সুপার ১০, থাই ৫, এবং মাধুরি পেয়ারা, থাই মিস্টি কামরাঙ্গা, নাগপুরী কমলা, বারি ১ মাল্টা, ভিয়েতনামী মাল্টা, মালবেরী সহ আরও অনেক ফল। শাওন আশা করছেন তিনি তার পরিবার এর বাৎসরিক ফলের চাহিদা তার বাগান থেকেই সম্পূর্ণ করবেন।

শাওন তার ছাদ বাগানে গাছ লাগানোর জন্য টব, ড্রাম এবং চৌবাচ্চা ব্যবহার করেছেন। আসুন তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই আমরা জেনে নেই কীভাবে আমরা একটি সফল ছাদ বাগান করব।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর টব পদ্ধতি:

টব দরকার মতো সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানো যায়। এজন্য ছাদে ফুল গাছ লাগানো টব অনেকের মত শাওনেরও পছন্দ। তাছাড়াও টবে সার-মাটি দেওয়াও খুব সহজ। আজকাল অনেকেই মত তিনিও পোড়ামাটি এবং প্লাস্টিকের টব ব্যবহার করেছেন। আবার টবের গায়ে রং দিয়ে তার  সৌন্দর্যও বাড়িয়েছেন। তার মতে, টবে গাছ লাগানোর সময় মনে রাখতে হবে যেন ওই গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টবের অল্প মাটিতেই ওই গাছের খাদ্যপুষ্টিও ঠিক থাকে।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় হাফ ড্রাম পদ্ধতি:

শাওন বড় জাতের ফুলের গাছ এবং ফলের গাছের জন্য ড্রাম ব্যবহার করেছেন। তিনি জানান, বড় আকারের ড্রামের মাঝামাঝি কেটে দুই টুকরো করেও তিনি বড় দুটি টব তৈরি করেছেন। ড্রামগুলো সরাসরি ছাদের ওপর না বসিয়ে কয়েকটি টুকরো ইটের ওপর বসিয়েছেন। তিনি বলেন, অনেকে মনে করেন ছাদের ওপর হাফ ড্রাম রাখলে ছাদের ক্ষতি হয়, যা আসলে সঠিক নয়।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় চৌবাচ্চা পদ্ধতি:

ছাদে এক থেকে দেড় ফুট উঁচু এবং তিন থেকে চারটি পিলারের ওপর পানির ট্যাঙ্ক বা চৌবাচ্চা আকারের রিং স্লাব বসিয়ে ইটের টুকরো এবং সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী চৌবাচ্চা তৈরি করে তিনি ভবিষ্যৎ এ আরও কিছু গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করছেন। যাতে করে একই ধরনের চৌবাচ্চায় মাছ এবং জলজ উদ্ভিদ চাষ করে ছাদের পরিবেশকে আরও  সুন্দর রাখাতে পারবেন বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।

দা এগ্রো নিউজ ঈদ প্রতিযোগিতায় ছাদ বাগানের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা: 

বাগানের মাটি থেকে বের হওয়া অতিরিক্ত পানি ছাদের কংক্রিটের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও ছাদে আগাছা জন্মে ছাদের মেঝেকে পিচ্ছিল ও ক্ষয় করে ফেলে তাই যে গাছই বোনা হোক না কেনো এবং যে পদ্ধতিতেই বোনা হোক না কেনো পানি নিষ্কাশনের জন্য সঠিক পরিকল্পনা থাকতে হবে বলে জানান শাওন।

তিনি টবের গাছের নিচে আরও একটি মাটির ট্রে রেখেছন। যদিও এটি অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত নয়। উপরন্তু মাটির ট্রে পানি শোষণ করে সেটিকে ছাদের মেঝেতেই পৌঁছে দেয়। তাই তিনি জানান, সবচেয়ে ভালো হয় যদি ছাদের মেঝেতে পানি নিরোধক কোনো রং, টাইলস বা আলকাতরার একটা স্তর তৈরি করে তার উপরে যথাযথ একটা নিষ্কাশন নালার ব্যবস্থা করা যায়। নালার উপরে একটা ছাঁকনি রাখা যেতে পারে। এতে পানির সঙ্গে ধুয়ে যাওয়া মাটি নিষ্কাশন নালা বা ছাদে না পড়ে ছাঁকনিতে আটকে থাকবে। এভাবে মাটি এবং ছাদ উভয়ের ক্ষয় রোধ করা যাবে।

অনেকেই পানি নিষ্কাশনের জন্য ছাদের এক কিনারা সামান্য ঢালু রাখেন এটিও বেশ ভালো উপায়। তবে কিছুতেই ছাদের কোনো কিনারা ভেঙে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এতে স্থাপনার বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

শাওন বাড়িতেই খৈল পচা পানি ও নিম পাতা ব্যবহার করে সার তৈরী করে, সেই সার তার গাছে ব্যাবহার করেন। এভাবে তার শখের বাগানকে তিনি দিন দিন আরো প্রসারিত এবং সুন্দর করে তুলছেন।

শাওন বলেন, ভবিষ্যতে তার ত্বীন ফল নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা অনেক বেশি। ভবিষ্যতে মিররীয়/আরবীয় ত্বীন/ডুমুর গাছও লাগাতে চান তিনি। তার এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য রইল শুভকামনা।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ