আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

পরিবেশ

কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে কি বিছানার গদি, খাবারের পাত্র কিংবা কাটলারিতে রূপ দেয়া সম্ভব?

প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য একটি বিশাল সমস্যা – প্রায় সাত লাখ ২৫ কোটি টন প্লাস্টিক আমাদের ভূমিতে ছেয়ে আছে এবং সমুদ্রকে ভরাট করে রেখেছে। এবং এই সমস্যা এখন সর্বত্র।

তবে প্লাস্টিকের একটি ভালো দিকও রয়েছে – কেননা আমাদের প্লাস্টিকের প্রয়োজন এবং প্লাস্টিক যে বিংশ শতাব্দীতে মানুষের জীবনে বিপ্লব ঘটিয়েছে, তা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।

প্লাস্টিক ছাড়া সংগীত এবং সিনেমা রেকর্ড করা সম্ভব হত না।

আধুনিক ওষুধপত্র সম্পূর্ণরূপে প্লাস্টিকের উপর নির্ভরশীল – ভেবে দেখুন রক্তের ব্যাগ, টিউবিং এবং সিরিঞ্জ, পাশাপাশি গাড়ি এবং বিমানের অংশ – সব কিছুই প্লাস্টিকের উপর নির্ভরশীল – যা আমাদের পৃথিবী জুড়ে দ্রুত ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে।

এবং অবশ্যই: কম্পিউটার, ফোন এবং সব ধরণের ইন্টারনেট প্রযুক্তি সম্ভব হয়েছে প্লাস্টিকের কারণে।

প্লাস্টিক তৈরির অর্থ হল জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ, যা কিনা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

তবে আমরা যদি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত না করে প্লাস্টিকের গদি, ফোম ইনসিউলেশন, প্লাস্টিকের কাটলারি, বা পুনরায় ব্যবহারযোগ্য খাবারের পাত্র তৈরি করার কোন উপায় খুঁজে পাই – বা এমন কিছু বের করা যায়, যেটা বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন অক্সাইড সরিয়ে ফেলবে, তাহলে কেমন হয়?

নতুন প্রযুক্তিগুলো, নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইডকে প্লাস্টিকে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, যেন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ গ্যাস ছাড়া হয় সেটা কমানো যায়। কিন্তু এই রূপান্তর কিভাবে সম্ভব?

এর পিছনে যে বিজ্ঞান কাজ করছে সেদিকে নজর দেয়া যাক।

কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে নাইলন

প্লাস্টিক হল সিনথেটিক পলিমার – এটি এক ধরণের লম্বা আকারের অণু। যা চেইনের মতো একটার সাথে একটা যুক্ত থাকে।

ইউকে সেন্টার ফর কার্বন ডাই অক্সাইড ইউটিলাইজেশন (সিডিইউইউকে)-এর গবেষকরা, কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে কীভাবে নাইলন তৈরি করা যায় সেটার উপায় বের করেছেন।

নাইলন হল অ্যাক্রিলামাইড নামক এক ধরণের পলিমার- যা কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে তৈরি।

“আপনি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে নাইলন তৈরি করতে পারবেন- এটা ভাবতে সত্যিই অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে, তবে আমরা এটি করেছি,” – সিডিইউইউকের পরিচালক এবং শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ পিটার স্টাইরিং এ কথা বলেছেন।

“জীবাশ্ম জ্বালানীকে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার না করে আপনি এই শিল্পটি পুরো উল্টে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি রাসায়নিক উপায়ে কার্বন ডাই অক্সাইডের বর্জ্য ব্যবহার করতে পারেন। যা পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবে,” তিনি বলেন।

বর্তমানে, বেশিরভাগ কার্বন ডাই অক্সাইডের নিঃসরণ কার্বনের ব্যবহার থেকে আসে না – এর পরিবর্তে, এই গ্যাস উৎপন্ন হয় অনেক রাসায়নিকের বাই প্রোডাক্ট হিসেবে।

তবে গবেষকদের লক্ষ্য হল কারখানা থেকে নিঃসরিত কার্বনকে ধরে রাখা।

গ্যাসের ওপর ঘুমাচ্ছে পৃথিবী

কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে প্লাস্টিক তৈরি করতে হলে বিজ্ঞানীদের পরিশীলিত অনুঘটক ব্যবহার করতে হবে, অর্থাৎ এমন কিছু পদার্থ ব্যবহার করতে হবে যা রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে ত্বরান্বিত করবে।

জার্মানির পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ কোভেস্ট্রোতে গবেষকরা কার্ডিয়ন ব্র্যান্ড নামে ২০% কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে তৈরি গদি তৈরি করেছেন।

তারা একটি ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটক আবিষ্কার করেছেন যা কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য যৌগগুলোর মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, ফলস্বরূপ একাধিক রাসায়নিক উৎপন্ন হয়- যা থেকে তৈরি হয় পলিইউরেথেন। এই উপাদানটি গদি, কুশন এবং ফ্রিজ ইনসুলশেনে পাওয়া যায়।

বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১৫ কোটি টনেরও বেশি পলইউরেথেন তৈরি হয়।

এর কাঁচামাল হিসাবে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হলে কার্বন নিঃসরণ কমানোয় বড় ধরণের প্রভাব ফেলা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়।

পরিষ্কার বাতাস

বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক তৈরি করছেন।

কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পলিইউরেথেন উৎপাদনকারী আরেক কোম্পানি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ইকোনিক আশা করে যে, তারা দুই বছরের মধ্যে ফোমের পণ্যগুলো বাজারে তুলতে পারবে।

পাশাপাশি থাকবে, কোটিং, সিলেন্টস এবং ইলাস্টোমার জাতীয় পলিমার যা রাবারের মতো স্থিতিস্থাপকতা সম্পন্ন।

কোম্পানির হেড অফ সেলস, লেই টেয়লর বলেছেন যে এই উপাদানগুলো প্রচলিত প্লাস্টিকের মানের সাথে মিলে যায়, কিছু ক্ষেত্রে সেই প্লাস্টিকের মানকেও ছাড়িয়ে যায়।

“আমরা আবিষ্কার করছি যে আমাদের কিছু উপকরণের পারফরম্যান্স আগের চাইতে উন্নত হয়েছে, যেমন এসব পণ্য স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী আবার অনেক ক্ষেত্রে শিখা নিয়ন্ত্রণকারী।”, তিনি বলেন।

ইকোনিকের ধারণা, সমস্ত পলিওলের ৩০% (ক্রস লিঙ্কিং এজেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত অণু) যদি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে তৈরি হয়, তাহলে এর ব্যবহারের ফলে বায়ুমণ্ডল থেকে নয় কোটি টন কার্বন নির্গমন ঠেকানো সম্ভব – যা কিনা চার লাখ গাছ লাগানো কিংবা রাস্তা থেকে দুই লাখ গাড়ি সরিয়ে ফেলার সমান।

তাহলে আরও কী চাই, কারণ মানসম্মত কাঁচামাল থেকে এই কার্বন ডাই অক্সাইড অনেক সস্তা- এক টন প্রপিলিন অক্সাইডের জন্য যেখানে ২০০০ ডলার গুনতে হয় সেখানে প্রতি টন কার্বন ডাই অক্সাইডের দাম মাত্র ১০০ ডলার – তাই এই প্রক্রিয়াটি উৎপাদকদের প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করবে।

উচ্চাভিলাষী ভবিষ্যৎ

অন্যদিকে, বিজ্ঞানীরা পলিকার্বোনেট বিকাশের জন্যও কাজ করে যাচ্ছে। এই পলিকার্বোনেট পুনরায় ব্যবহারযোগ্য খাবারের পাত্র এবং শিশুর বোতল তৈরির জন্য ব্যবহার হয়।

এগুলো তৈরি করা হয় কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে চিনি মিশ্রণ ঘটিয়ে। যেমন-জাইলোস, যা ব্যবহৃত কফির গুড়ো থেকে তৈরি হয়।

বিপিএ ব্যবহার করে তৈরি করা বর্তমান পণ্যগুলির তুলনায় এই সুগার ভিত্তিক সমাধানটি যথেষ্ট নিরাপদ।

২০১০ সালে কানাডায় বেবি বোতল এবং সিপ্পি কাপে বিপিএ নামের রাসায়নিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হতে পারে কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে ইথিলিন উৎপাদন করা।

বিশ্বব্যাপী আমরা যে প্লাস্টিক তৈরি করি তার প্রায় অর্ধেক ইথিলিন দিয়ে তৈরি, যার কারণে এই ইথিলিন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এনরিকো আন্দ্রেওলি, পানি এবং বিদ্যুতের সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত করে এমন একটি অনুঘটক বিকাশের চেষ্টা করছেন, যা থেকে ইথিলিন তৈরি করা যায়।

কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে উৎপাদিত ইথিলিন এবং সেটা দিয়ে তৈরি প্লাস্টিকের পলিথিন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে প্রায় ২০ বছর সময় লাগতে পারে।

তবে অধ্যাপক আন্দ্রেওলি বলেছেন যে এই লক্ষ্যটি অর্জন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ফলপ্রসূ হবে।

“আমরা ৩০ বা ৪০ বছরেও জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে ইথিলিন তৈরি করতে পারব না – তাই কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে এই ইথিলিন তৈরির অন্যান্য উপায় আমাদের খুঁজতে হবে।”

বায়োপ্লাস্টিকস কি সমস্যার সমাধান নাকিসমস্যা উদ্রেককারী?

তবে প্লাস্টিককে ঘিরে কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা পরিবেশের আরও ক্ষতি করেছে।

তার একটি হল বায়োপ্লাস্টিকস -এরমধ্যে রয়েছে আলু দিয়ে তৈরি ডিসপোজেবল কাটলারি তেমনি ভুট্টা, জঞ্জালের ব্যাগ, খাদ্য বর্জ্য থেকে তৈরি বোতল ইত্যাদি – যা নিয়ে সম্প্রতি প্রচুর লেখালেখি হয়েছে।

তবে এই পণ্যগুলোকে যতো দ্রুত পচনশীল হিসেবে প্রচার করা হয়েছিল। এগুলো সে অর্থে এতো সহজে পচে না।

এগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সাধারণত শিল্প কারখানার কমপোস্টারের প্রয়োজন হয়।

এবং কার্বন নিঃসরণের দৃষ্টিকোণ থেকে এই পরিবেশবান্ধব বলে দাবি করা পণ্যগুলো উৎপাদন করতে আরও বেশি জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয়।

কার্বন নিঃসরণের পেছনে, যন্ত্রের সাহায্যে ফসল তোলা কিংবা কারখানায় কাঁচামাল প্রক্রিয়াকরণের বিষয়টিকে আমলে নেয়ার আগে এটা দেখা প্রয়োজন যে প্রচলিত প্লাস্টিকের তুলনায় বায়োপ্লাস্টিক তৈরিতে আরও বেশি হারে কার্বন নির্গত হয়।

যা কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে প্লাস্টিক তৈরির দিকে আমাদের আবার ফিরিয়ে নেবে – এটি হয়তো পৃথিবীর দূষণ সমস্যা সমাধান করবে না, তবে এটি অন্যান্য উপায়ে পৃথিবীকে আরও সবুজ করে তুলতে সাহায্য করবে।

পরিবেশ

সুতার রঙে ‘রঙিন’ মানুষের দুঃখের কাব্য

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার কাঁঠালতলার ফুরিন্দা গ্রামে সুতার রঙে প্রায় রঙিন হয়ে যাওয়া মানুষের দেখা মেলে। তবে জীবনটা সেই অর্থে রঙিন নয়। বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য কেনা হয়েছিল, কিন্তু বেঁচে যাওয়া বা বাতিল হওয়া সুতা নারায়ণগঞ্জের কারখানার মালিকেরা দিয়ে যান মহাজনদের। নতুন করে বিভিন্ন রং করা সুতায় বোনা হয় গামছা, লুঙ্গি বা থ্রিপিস। মহাজনেরা সুতা রং করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের কাজে লাগান। থাকা ও খাবারের খরচ মহাজনের। শ্রমিকেরা মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পান।

কারখানার মালিকের চাহিদা অনুযায়ী কেমিক্যাল মিশিয়ে, জ্বাল দিয়ে বিভিন্ন রঙে সুতা রং করেন। রোদে শুকিয়ে পাঠিয়ে দেন সুতার মালিকের কাছে। বছরের পর বছর কাজ করতে করতে শ্রমিকদের হাত-পায়ে রং লেগেই থাকে। খাওয়ার সময় কটু স্বাদ লাগে। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য অসুখ-বিসুখ তো আছেই। করোনার প্রাদুর্ভাবসহ নানা কারণে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সুতায় রং করার কারিগরদের চাহিদাও কমছে। রঙিন এসব মানুষের ছবিগুলো সম্প্রতি তোলা।

রোদে শুকানোর পর সুতা ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিক।
রোদে শুকানোর পর সুতা ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিক।
কাজে কাজে অনেক বয়স হয়ে গেল।
কাজে কাজে অনেক বয়স হয়ে গেল।
সুতায় চোখমুখ ঢেকে গেছে।
সুতায় চোখমুখ ঢেকে গেছে।
বয়স হলেও কাজে কামাই দেওয়ার উপায় নেই।
বয়স হলেও কাজে কামাই দেওয়ার উপায় নেই।
কেমিক্যাল মেশানোর সময় চোখ জ্বালা করে।
কেমিক্যাল মেশানোর সময় চোখ জ্বালা করে।
এক চুলায় ভাত, আরেক চুলায় রং জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। এটাই শ্রমিকদের জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা।
এক চুলায় ভাত, আরেক চুলায় রং জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। এটাই শ্রমিকদের জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা।
এ ধরনের নোংরা পরিবেশেই শ্রমিকেরা বছরের পর বছর কাজ করছেন।
এ ধরনের নোংরা পরিবেশেই শ্রমিকেরা বছরের পর বছর কাজ করছেন।
রং থেকে বাঁচাতে পা বেঁধেছেন পলিথিন দিয়ে।
রং থেকে বাঁচাতে পা বেঁধেছেন পলিথিন দিয়ে।
হাতে রং লেগে থাকে, খাবারের সময়ও এর কটু স্বাদ পান শ্রমিকেরা।
হাতে রং লেগে থাকে, খাবারের সময়ও এর কটু স্বাদ পান শ্রমিকেরা।
রং মেশাচ্ছেন এক শ্রমিক।
রং মেশাচ্ছেন এক শ্রমিক।
মহাসড়কের পাশে সুতা শুকাতে দিয়েছেন শ্রমিকেরা।
মহাসড়কের পাশে সুতা শুকাতে দিয়েছেন শ্রমিকেরা।
রঙিন এসব মানুষের জীবনটাই শুধু রঙিন নয়।
রঙিন এসব মানুষের জীবনটাই শুধু রঙিন নয়।
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে
জেনে নিন, যেসব গাছ মশা তাড়াবে

মশার আক্রমণ প্রায় সব ঋতুতেই দেখা যায় কমবেশি। এখন শীতকাল। প্রকৃতি এ সময়ে নিজেকে শীতল চাদরে মুড়িয়ে নিলেও মশার প্রকোপ বেড়ে যায় অনেকটাই। গাছ হতে পারে মশা তাড়ানোর সমাধান। এমন কিছু গাছ আছে, যা পড়ে থাকে অযত্নে, কিন্তু মশার যম। মশা দমন করতে ঘরে কিছু গাছ আনলে উপকার তো হবেই, আবার সবুজের ছোঁয়াও পাবেন একই সঙ্গে।

তুলসী, পুদিনা, ল্যাভেন্ডার ও গাঁদাজাতীয় গাছে কীট প্রতিরোধক কিছু যৌগ থাকে। সাইপারমেথিরিন ও ম্যালাথিওন জাতীয় সক্রিয় যৌগ মশার ডিম, লাভা ও মশার বৃদ্ধি রোধ ও ধ্বংস করতে কাজ করে। যৌগিক পদার্থের সাধারণত দুই ধরনের প্রোপার্টিজ থাকে। একটি হলো শারীরিক, অন্যটি রাসায়নিক প্রোপার্টিজ। গাছের পাতার বা ফুলের তীব্র গন্ধ এর শারীরিক প্রোপার্টিজের জন্য। গন্ধ থাকার পাশাপাশি কীট প্রতিরোধক যৌগিকের সক্রিয় উপস্থিতি থাকতে হবে অবশ্যই। তবেই এ ধরনের গাছ মশা দূর করতে বা অনেক ক্ষেত্রে মশা ধ্বংস করতে কাজ করবে। এমনটাই জানালেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের অধ্যাপক নুহু আলম।

মশার মতো কীটপতঙ্গ তাড়াতে পারে এমন কিছু গাছের কথা থাকছে এখানে।

ল্যাভেন্ডার গাছ
ল্যাভেন্ডার গাছ

ল্যাভেন্ডার গাছ

বাড়িতে ল্যাভেন্ডার গাছ থাকলে খেয়াল করে দেখবেন, এর পাতার কাছে কোনো পোকাই বসে না। তার কারণ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় একধরনের এসেনশিয়াল তেল থাকে। তাই এর সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে আসতে পারে না মশা। তাই অনেকে ল্যাভেন্ডারের গন্ধযুক্ত সুগন্ধিও ব্যবহার করে থাকেন। দেশীয় গাছ না হলেও ল্যাভেন্ডার কিন্তু খুব সহজেই জন্মায় এ দেশে। এই গাছের জন্য পানিনিষ্কাশন ও সূর্যের আলোর ব্যবস্থা থাকলেই হয়।

গাঁদা ফুল
গাঁদা ফুল

গাঁদা ফুল

শীতকালের অন্যতম ফুল এটি। বাড়ির চারপাশে বা বারান্দায় সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই হলুদ বা কমলা রঙের এই ফুলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। এই ফুলের গন্ধেও অনেকেই বিমোহিত হন। কিন্তু গাছের পাতা বা ফুলের গন্ধ একেবারে সহ্য করতে পারে না মশা। গাঁদা ফুলের পাপড়ি এবং গাছের পাতায় থাকে অ্যান্টিসেপ্টিক। যার কারণে মশা একেবারেই দূরে থাকে এই গাছ থেকে। গাঁদা ফুলের গাছের যত্ন নেওয়াও বেশ সহজ, প্রয়োজনীয় পানি ও আলো পেলেই এই গাছ জন্মায়।

তুলসী গাছ
তুলসী গাছ

তুলসী গাছ

ঘরের আঙিনায় তুলসী গাছ লাগানোর রীতি বহু পুরোনো। পূজা-অর্চনার পাশাপাশি তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণও আছে। তুলসীগাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূর করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন পানি এবং প্রয়োজনীয় সার ব্যবহারে সহজেই এজাতীয় গাছ বাঁচে।

পুদিনা গাছ
পুদিনা গাছ

পুদিনা গাছ

আজকাল অনেকেই শখ করে বারান্দায় ছোট পুদিনাপাতার গাছ লাগান। রান্না বা চায়ের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি মশার হাত থেকেও বাঁচাতে পারে এই গাছ। পেপার মিন্ট বা মেন্থলের সুগন্ধ মশা তাড়ানোর জন্য কার্যকর। এটি মশার প্রাকৃতিক কীটনাশকও বটে।

ঘাস প্রজাতির উদ্ভিদ সাইট্রোনেলা, রোজমারি ও লেমন বাম জাতীয় কিছু গাছও মশা দূরে রাখতে পারে। আগারগাঁও, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, দোয়েল চত্বর এলাকাসহ যেকোনো নার্সারিতে পেয়ে যাবেন এই গাছের চারা। গাছের চারার বয়স অনুসারে ৭০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন এসব গাছ।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

জার্মানি

মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি

মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি
মাটির নিচে ‘সৌন্দর্যে ঘেরা’ জার্মানি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা জার্মানি। তবে এই সৌন্দর্য শুধু পাহাড়-নদীতেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশটির মাটির নিচেও রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান।  

জালফেল্ড ফেয়ারি গ্রোটোস: ১৯৯৩ সালে জার্মানির এই গ্রোটো গুহার নাম ওঠে গিনেস বুক অফ রেকর্ডসের ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর গ্রোটো গুহা’র তালিকায়। অ্যালাম স্লেট খনন করার ফলে ঠ্যুরিঙ্গেন রাজ্যের এই গুহাটি নানা রঙের স্ট্যালাকটাইটে ভরে ওঠে। এই গুহায় দেখা যায় একশরও বেশি ধরনের বাদামি-হলুদ রঙের খেলা।

লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর: বেলেপাথরে খোদাই করে তৈরি এই গুহা-ঘরগুলো দেখতে অবিকল রূপকথায় পড়া রাজকন্যার প্রাসাদের মতো। কিন্তু আদতে হারৎজ পর্বতের শ্যাফারবের্গ অঞ্চলের এই গুহা-ঘরগুলো উনিশ শতকে বানিয়েছিলেন স্থানীয় খামারকর্মীরা। বর্তমানে এই গুহাঘরের ভেতরে চিত্রায়িত করা আছে এই গুহার শেষ বাসিন্দা লুডভিগ শ্মিডটের জীবনকাহিনী।

বাড জেগেবার্গের কালকবের্গ গুহা: উত্তর জার্মানির একমাত্র প্রাকৃতিক গুহার ভেতর রয়েছে বাদুড়দের বিশ্বের সবচেয়ে বড় শীতকালীন বাসস্থান। এই গুহার ভেতরের প্রাণীদের শীতঘুমে ব্যাঘাত না ঘটাতে পর্যটকদের যাওয়ার সুযোগ মার্চ থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সীমিত রাখা হয়েছে।

লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর
লাঙ্গেনস্টাইন গুহা ঘর

আটেনডর্নের আটা গুহা: জার্মানির সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় গুহা নর্থ-রাইন ভেস্টফালিয়া রাজ্যের গুহা এটি। হঠাৎ করেই ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত হয় এই গুহা। ছয় হাজার মিটার দীর্ঘ এই গুহায় পাওয়া যায় আটা চিজ নামের একটি বিশেষ ধরনের পনীর।

এনেপেটালের ক্লুটার্ট গুহা: বহু হ্রদ, তিনশটি পথ ও ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই গুহাকে এক সময় জার্মানির সবচেয়ে বড় গুহা ভাবা হতো। এখন নর্থ-রাইন ভেস্টফ্রালেনের এই গুহার ভেতর পর্যটকদের জন্য নানা ধরনের রোমাঞ্চকর সফরের সুবিধা রয়েছে। হাঁপানি রোগীদের জন্যেও ভালো এই গুহার ভেতরের পরিবেশ।

হমবুর্গের শ্লসবের্গ গুহা ও দুর্গ: জারলান্ড রাজ্যের এই গুহা প্রকৃতি নয়, তৈরি করেছে মানুষ। লাল বেলেপাথরের খোঁজে খনন করতে গিয়ে আবিষ্কৃত হয় এই গুহা। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গুহা সৃষ্টি হতে শুরু করে মধ্য যুগেই। কিন্তু এর পূর্ণ রূপে গড়ে ওঠা শুরু হয় খননের সময় ঘটা বিস্ফোরণের পরেই।

সোফিয়েন গুহা: সোফিয়েন গুহার ভেতর থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৬০ হাজার বছর পুরোনো ভালুকের হাড়। এছাড়া এই গুহার ভেতরে পাওয়া গেছে তুষার যুগের বহু প্রাণীর দেহাবশেষ। এই গুহায় আজকাল বেশ কিছু অনুষ্ঠান বা জলসা দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় দর্শক।

সোফিয়েন গুহা
সোফিয়েন গুহা

সুইফাল্টেনডর্ফের ড্রিপস্টোন গুহা: জার্মানির সবচেয়ে ছোট এই গুহা মাত্র ৮৮ বর্গফুট বড়। ১৯৮২ সালে একটি সুড়ঙ্গ তৈরির সময় খুঁজে পাওয়া যায় গুহাটি। এই গুহার প্রবেশ পথ একটি হোটেল ও পানশালার ভেতর দিয়ে, যার ফলে হোটেলের খদ্দেরদের কাছে এই গুহাটি একটি বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

রিজেন্ডিং গুহা: জার্মানির উন্টার্সবের্গে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে দীর্ঘ গুহা (তিন হাজার ৭৭০ ফুট লম্বা)। ভেতরে গেলে দেখতে পাবেন নানা আকারের হ্রদ ও একাধিক ঝর্ণা। ২০১৪ সালে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে পর্যটকের জন্য বন্ধ রয়েছে গুহাটি। এখন সেখানে কেবল বিজ্ঞানীরাই যেতে পারেন।

শেলেনবের্গ তুষার গুহা: উন্টার্সবের্গেই রয়েছে জার্মানির একমাত্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত তুষার গুহা বা আইসকেভ। ৬০ হাজার ঘনমিটার বরফের আস্তরণ রয়েছে এই গুহায়, যার মধ্যে বেশ কিছু অংশ প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো। তবে পুরো গুহায় ঘুরতে পারেন না পর্যটকরা। শুধু ৫০০ মিটার অঞ্চলই রয়েছে উন্মুক্ত, এবং সেটাও শুধু হাইকিং করার জন্যেই।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

পৃথিবীর সবচেয়ে গোলগাল প্রাণী কি এগুলোই?

এই প্রাণিটি গোলগাল দেখতে হয়েছে প্রয়োজনের তাগিদে
এই প্রাণিটি গোলগাল দেখতে হয়েছে প্রয়োজনের তাগিদে

পৃথিবীতে অনেক প্রাণী রয়েছে, আর তাদের মধ্যে অনেক প্রাণিই গোলগাল।

সেগুলোকে আপনি গোলাকৃতির আদুরে বল মনে করলেও তাদের এই আকৃতি আসলে প্রকৃতিতে তাদের টিকে থাকতে সহায়তা করে।

প্রাণীজগতের সবচেয়ে গোলগাল কয়েকটি প্রাণীর তালিকা দেয়া হলো এখানে।

রক্ষণাত্মক মনোভাবে একটি পটকা মাছ
রক্ষণাত্মক মনোভাবে একটি পটকা মাছ

পাফার ফিশ/ পটকা মাছ

আমাদের তালিকার শুরেুতেই রয়েছে পাফার ফিশ পরিবার (টেট্রাওডোনটিডায়ে), যারা পটকা মাছ নামেও পরিচিত।

এই গোলাকার মাছ আত্মরক্ষার্থে বলের মত বৃত্তাকার আকার ধারণ করতে পারে।

নিজেদের ইলাস্টিকের মত পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবেশ করিয়ে তারা এই আকৃতি ধারণ করতে পারে। এর ফলে তাদেরকে খুবই কম আকর্ষণীয় মনে হয়, সেসময় এই মাছের আকৃতি দেখে মনে হয় যে এটি খেতেও কঠিন।

বল আকৃতির এই মাছগুলো দেখতে ভাল লাগেও এটিকে ছোঁয়া একেবারেই উচিত নয়।

দুইশো’রও বেশি জাতের পটকা মাছের অধিকাংশের মধ্যেই টেট্রোডোটক্সিন নামের এক ধরনের বিষ রয়েছে, যা সায়ানাইডের চেয়ে ১২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।

আরমাডিলোরা 'আরমার' বা বর্ম তৈরি করতে পারে, তাই তাদের এমন নামকরণ
আরমাডিলোরা ‘আরমার’ বা বর্ম তৈরি করতে পারে, তাই তাদের এমন নামকরণ

আরমাডিলো

স্প্যানিশ ভাষায় আরমাডিলো শব্দের অর্থ ‘বর্ম পরিহিত ছোট প্রাণী।’

পৃথিবীতে মোট ২১ ধরণের আরমাডিলো রয়েছে যাদের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্রটির নাম ‘গোলাপী পরী আরমাডিলো’ (ক্ল্যামিফোরাস ট্রাঙ্ক্যাটাস), যার দৈর্ঘ্য ৯ থেকে ১২ সেন্টিমিটারের মধ্যে হয়।

আরমাডিলোরা দিনে ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমায়। এছাড়া প্রাণী হিসেবে তাদের যথেষ্ট ফ্যাশন সচেতনও বলতে পারেন। লাল, হলুদ, কালো, গোলাপী – এমন নানা রঙয়ের আরমাডিলো হয়ে থাকে।

ছবির ক্যাপশান, প্রজননের সময় পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচারা ডাকাডাকির মাধ্যমে দ্বৈত সঙ্গীত তৈরি করে
প্রজননের সময় পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচারা ডাকাডাকির মাধ্যমে দ্বৈত সঙ্গীত তৈরি করে

টওনি আওল/পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা

যুক্তরাজ্যে পাওয়া যাওয়া সাধারণ প্যাঁচাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির প্যাঁচা হলো টওনি আওল বা পিঙ্গলবর্ণ প্যাঁচা।

এই প্যঁচাগুলোর নরম, গোলাকার মাথা থাকে যেটি তারা ২৭০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরাতে পারে।

প্রজননের সময় এই ধরণের পুরুষ প্যাঁচা শুরুতে স্ত্রী প্যাঁচাকে দীর্ঘ ‘হুউউ’ ডাকে ডাক দেয়।

এরপর অপেক্ষাকৃত কম দীর্ঘ ‘হু’ এবং সবশেশে ‘হুহুহোওওওও’ ডাক দিয়ে শেষ করে।

জবাবে স্ত্রী প্যাঁচা ‘কী-উইক’ ডাকে জবাব দেয়।

দেখে মনে না হলেও এই ধরণের সিল ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে সাঁতার কাটতে পারে
দেখে মনে না হলেও এই ধরণের সিল ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে সাঁতার কাটতে পারে

সিল

সিল সাধারণত একা থাকলেও প্রজননের মৌসুমে একত্রিত হয়।

এই বৃত্তাকার মাছ গড়ে প্রতি ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার সাঁতার কাটতে পারে।

তবে কখনো কখনো তারা ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতেও সাঁতারাতে সক্ষম হয়।

এই ধরণের সিল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

ছবির ক্যাপশান, হেজহগ যখন নিজেকে বলে রুপান্তরিত করে তখন তা দেখতে এরকম হয়
ছবির ক্যাপশান, হেজহগ যখন নিজেকে বলে রুপান্তরিত করে তখন তা দেখতে এরকম হয়

হেজহগ

হেজহগ অনেকটা সজারুর মত দেখতে একটি প্রাণী, নিজেকে শিকারী প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা করতে এর পিঠে অনেকগুলো কাঁটার মত থাকে।

বৃত্তাকার হওয়ায় শরীরের কাঁটামুক্ত অংশগুলো রক্ষা করতে সুবিধা হয় এর জন্য।

ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকায় ১৫ ধরণের হেজহগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে সবকটিই নিশাচর।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

পরিবেশ

ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো

শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিবিসি প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে এমন ছবি চাওয়া হয়েছিল। বাছাই করা কিছু ছবি নিয়ে আমাদের এই ফটো গ্যালারি।

ছবির ক্যাপশান, শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশান, গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
গ্রামেগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন উপায়ে মাছ ধরে থাকেন।
ছবির ক্যাপশান, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা বিবেচনা করে মাছ ধরেন সেখানকার জেলেরা।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
মাছ ধরার কাজে শিশুদের মধ্যে আনন্দ।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
বিভিন্ন কায়দায় মাছ ধরেন জেলেরা।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
ঘটা করে মাছ ধরার একটি দৃশ্য।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
অনেকে পুকুরেও মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
জেলেরা নানাভাবে জাল পেতে মাছ ধরে থাকেন।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
খাল-বিলে পানি কমে গেলে কাঁদা পানিতেও পাওয়া যায় ছোট ছোট মাছ।
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
মাছ ধরতে পেরে আনন্দিত!
সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ