মৎস্য
জোড়া বাঘাইড়ে ৩১ কেজি
নাটোরের সিংড়ায় ৩১ কেজি ওজনের দুটি বাঘাইড় মাছ বিক্রির জন্য বাজারে উঠেছে। মাছ দুটি এক নজর দেখার জন্য ভিড় করে উৎসুক জনতা। বুধবার সকালে উপজেলা চত্বরে মাছ দুটি বিক্রি করতে আসেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাছ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন।
জানা যায়, মাছ দুটি যমুনা নদীতে ধরা পড়ে। পরে ইসমাইল হোসেন ক্রয় করে সিংড়ায় নিয়ে আসেন। বড় মাছ ২০ কেজি ওজনের এবং ছোট মাছ ১১ কেজি ওজনের। ছোট মাছটি ৮০০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেন শহরবাড়ি গ্রামের আব্দুস সোবাহান নামের এক ব্যক্তি। অপরদিকে বড় মাছটি এক হাজার টাকা কেজি দরে কয়েকজন মিলে ক্রয় করেন।
মাছ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৫৫ বছর যাবৎ মাছের ব্যবসা করে আসছি। বাঘাইরসহ বড় বড় মাছ সিংড়ায় নিয়ে আসি। মাছ দুটি বিক্রি হওয়ায় আমি খুব খুশি।
অন্যান্য
মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

মার্চ মাস কৃষি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতকালীন ফসলের শেষ পরিচর্যা এবং গ্রীষ্মকালীন ফসলের প্রস্তুতি এ সময়ে শুরু হয়। সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সময়ে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এখানে মার্চ মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
বোরো ধানের পরিচর্যা
- ধানের জমিতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করুন।
- পোকামাকড় যেমন ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার (Brown Plant Hopper) এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সঠিক ব্যবস্থা নিন।
- ইউরিয়া এবং পটাশ সারের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী প্রয়োগ করুন।
গ্রীষ্মকালীন ধান চাষ
- গ্রীষ্মকালীন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করুন।
- উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন করুন।

গম চাষ
- গম ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
- ফসল কাটার পর জমি পরিষ্কার করুন এবং পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।

ডালশস্য
- মুগ, মাসকলাই, এবং ছোলার বীজ বপন করুন।
- আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং সঠিক সময়ে সেচ দিন।


তৈলবীজ চাষ
সূর্যমুখী এবং সয়াবিন
- বীজ বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
- সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন এবং আগাছা নিয়ন্ত্রণ করুন।

সবজি চাষ
গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন
- লাউ, কুমড়ো, করলা, এবং ঢেঁড়স বীজ বপন করুন।
- আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং সঠিক সেচ প্রদান করুন।
শীতকালীন সবজি সংগ্রহ
- বাঁধাকপি, ফুলকপি, এবং মূলা সংগ্রহ করে বাজারজাত করুন।



ফল চাষ
- আম, লিচু, এবং কাঁঠাল গাছের মুকুল রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
- নতুন ফলের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

মৎস্য চাষ
- পুকুর পরিষ্কার করুন এবং পানি পরিবর্তন করুন।
- মাছের খাবারের পরিমাণ এবং পুষ্টি বাড়িয়ে দিন।
- পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।

গবাদি পশু পালন
- গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করুন।
- গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে টিকা নিশ্চিত করুন।
মার্চ মাসে কৃষি কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের আয় বাড়ে। সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে করণীয় কাজগুলো সম্পন্ন করার মাধ্যমে সফল কৃষিকাজ নিশ্চিত করা সম্ভব।
অন্যান্য
ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ

ফেব্রুয়ারি মাস কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। শীতের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরুতে ফসলের যত্ন, বপন এবং রোপণ কার্যক্রম চালানো হয়। সঠিক পরিকল্পনা এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা সম্ভব। এখানে ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ধান চাষ
বোরো ধানের পরিচর্যা
- জমিতে পানি সঠিকভাবে ধরে রাখুন।
- ধানের চারাগাছের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত সেচ নিশ্চিত করুন।
- পোকামাকড় যেমন স্টেম বোরার (Stem Borer) এবং পাতামোড়া পোকার (Leaf Roller) আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহার করুন।
- ধানের জমিতে প্রয়োজনীয় সার যেমন ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ প্রয়োগ করুন।

গম চাষ
- জমি আগাছামুক্ত রাখুন এবং সঠিক পরিমাণে সেচ দিন।
- পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) এবং ব্রাউন রাস্ট (Brown Rust) রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিন।

ডালশস্য
- মসুর, মুগ, এবং ছোলার ফসল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
- ফসল কাটার পরে জমি পরিষ্কার করে পরবর্তী চাষের জন্য প্রস্তুত করুন।




তৈলবীজ চাষ
সরিষা ফসল সংগ্রহ
- সরিষার শুঁটি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ফসল সংগ্রহ করুন।
- জমি পরবর্তী ফসলের জন্য প্রস্তুত রাখুন।
সূর্যমুখী এবং সয়াবিন
- বপনের জন্য জমি প্রস্তুত করুন।
- সঠিক সার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।

সবজি চাষ
শীতকালীন সবজি সংগ্রহ
- বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, এবং মূলা সংগ্রহ করুন।
গ্রীষ্মকালীন সবজি বপন
- লাউ, কুমড়ো, ঢেঁড়স, এবং করলার বীজ বপন করুন।
- আগাছা পরিষ্কার এবং সেচের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করুন।




ফল চাষ
- আম, কাঁঠাল, এবং লিচু গাছের মুকুল রক্ষায় কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক ব্যবহার করুন।
- নতুন ফলের চারা রোপণ করুন।


মৎস্য চাষ
- পুকুরে নিয়মিত পানি পরিবর্তন এবং মাছের খাবার সরবরাহ করুন।
- পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনের জন্য জৈব সার প্রয়োগ করুন।

গবাদি পশু পালন
- গরু এবং ছাগলের খাদ্য তালিকায় শুষ্ক খড় এবং কাঁচা ঘাস যোগ করুন।
- রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
ফেব্রুয়ারি মাসে কৃষিকাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করলে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকের আয় বাড়ে। প্রতিটি কাজ সময়মতো এবং সঠিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার মাধ্যমে কৃষি কার্যক্রমকে আরও সফল করে তোলা সম্ভব।
মৎস্য
বাচা মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও চাষ পদ্ধতি

বাংলাদেশের সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ মাছগুলোর মধ্যে বাচা মাছ একটি পরিচিত নাম। এটি শুধু আমাদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
এখানে আমরা আলোচনা করব বাচা মাছ খাওয়ার উপকারিতা এবং চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত, যা আপনাকে এই মাছের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলবে।

বাচা মাছ খাওয়ার উপকারিতা
বাচা মাছ খাওয়ার অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস
- বাচা মাছ উচ্চ মানের প্রোটিন সরবরাহ করে, যা শরীরের কোষ পুনর্গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক
- এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কার্যকর।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
- বাচা মাছ ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুল মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁতের গঠন উন্নত করে
- ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে এটি হাড়ের গঠন মজবুত করে।
- দাঁতের সুরক্ষায়ও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
- বাচা মাছ ভিটামিন ডি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বাচা মাছ চাষের উপযুক্ত সময় ও পরিবেশ
চাষের জন্য উপযুক্ত সময়
- বাচা মাছ চাষের জন্য গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকাল সবচেয়ে উপযুক্ত।
- পানির তাপমাত্রা ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
চাষের জন্য পুকুরের আকার
- ৩০-৫০ ডেসিমালের একটি মাঝারি আকারের পুকুর বাচা মাছ চাষের জন্য আদর্শ।
- পুকুরে পর্যাপ্ত রোদ এবং সুষম পানিপ্রবাহ থাকা জরুরি।
পানির গুণগত মান
- পিএইচ মাত্রা: ৬.৫-৮
- দ্রবীভূত অক্সিজেন: ৫-৭ পিপিএম
- অ্যামোনিয়া: ০.২ পিপিএম-এর কম হওয়া উচিত।
পুকুর প্রস্তুতি
- পুকুরে আগাছা ও ক্ষতিকারক পোকামাকড় পরিষ্কার করতে হবে।
- চুন প্রয়োগ (প্রতি ডেসিমালে ১ কেজি) এবং জৈব সার ব্যবহার করে পুকুর প্রস্তুত করা হয়।

বাচা মাছ চাষ পদ্ধতি
পোনা সংগ্রহ
- নির্ভরযোগ্য হ্যাচারি থেকে উচ্চমানের বাচা মাছের পোনা সংগ্রহ করুন।
- পোনার আকার ২-৩ ইঞ্চি হওয়া উচিত।
পোনা মজুদ
- প্রতি ডেসিমালে ৪০০-৫০০ পোনা মজুদ করা যেতে পারে।
- পোনা মজুদের আগে পানির গুণগত মান যাচাই করে নিতে হবে।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা
- পোনার প্রথম ১৫ দিনের জন্য মাইক্রোফিড প্রয়োগ করা হয়।
- মাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
- খাদ্য: ধান ভাঙা, মাছের তেল, এবং সরিষার খোল।
রোগ প্রতিরোধ
- পুকুরে নিয়মিত পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট বা চুন ব্যবহার করুন।
- পুকুরের পানি প্রতি ১৫-২০ দিন পর পরিবর্তন করুন।
- মাছের কোনো অস্বাভাবিক আচরণ বা রোগ লক্ষ করলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সংগ্রহ ও বিক্রয়
- চাষ শুরু করার ৪-৫ মাস পর বাচা মাছ সংগ্রহ উপযোগী হয়।
- বাজারে বাচা মাছের চাহিদা বেশি, তাই এটি লাভজনকভাবে বিক্রি করা সম্ভব।

বাচা মাছ চাষের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
- বাচা মাছ চাষের খরচ কম এবং লাভ বেশি।
- প্রতি ডেসিমালে ৫০,০০০ টাকা খরচ করলে প্রায় ৮০,০০০-১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
- এটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
বাচা মাছ চাষ একটি লাভজনক এবং স্বাস্থ্যসম্মত উদ্যোগ। এটি পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখে। সঠিক পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আপনি বাচা মাছ চাষ থেকে প্রচুর লাভবান হতে পারেন।
আপনার এলাকায় বাচা মাছ চাষ শুরু করতে আজই উদ্যোগ নিন এবং এই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ মাছের প্রচার ও প্রসারে অবদান রাখুন।
পরিবেশ
ছবিতে গ্রাম বাংলার খালে-বিলে মাছ ধরার মুহূর্তগুলো
শীতকালে খাল-বিলের পানি কমে যাওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে বেশ ঘটা করে মাছ ধরতে দেখা যায়। বিবিসি প্রবাহ টিভি অনুষ্ঠানের জন্য আপনাদের কাছে এমন ছবি চাওয়া হয়েছিল। বাছাই করা কিছু ছবি নিয়ে আমাদের এই ফটো গ্যালারি।












অন্যান্য
জানুয়ারি মাসের কৃষিতে করণীয় কাজ সমূহ

জানুয়ারি মাস বাংলাদেশের কৃষিতে শীতকালীন রবি মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে ফসলের যত্ন নেওয়া, রোপণ, এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা যায়। জানুয়ারি মাসে কৃষিতে করণীয় কাজগুলো নিম্নরূপ:

ধান চাষ
বোরো ধানের বীজতলা প্রস্তুতি ও পরিচর্যা:
- বীজতলায় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করুন।
- বীজতলায় রোগ বা পোকার আক্রমণ হলে তা দ্রুত প্রতিকার করুন।
- চারা ৩০-৩৫ দিনের হলে জমিতে রোপণের জন্য প্রস্তুতি নিন।
বোরো ধানের জমি প্রস্তুত:
- জমি চাষ ও মই দিয়ে সমান করুন।
- সঠিক পরিমাণ সার প্রয়োগ করে জমি প্রস্তুত করুন।

শাকসবজি চাষ
বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি:
- ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, শিম, বেগুন ইত্যাদির পরিচর্যা চালিয়ে যান।
- অতিরিক্ত শীত বা কুয়াশা থেকে ফসল রক্ষায় পাতার আবরণ ব্যবহার করুন।
সেচ এবং আগাছা দমন:
- প্রয়োজন মতো সেচ দিন।
- জমিতে আগাছা জন্মালে দ্রুত পরিষ্কার করুন।


গম ও ভুট্টা চাষ
গম:
- গমের জমিতে প্রয়োজনীয় সেচ দিন।
- রোগবালাই দেখা দিলে উপযুক্ত বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
ভুট্টা:
- সঠিক পরিমাণ সার প্রয়োগ করুন।
- পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিন।

ডাল ফসল চাষ
- মসুর, খেসারি, মুগ ইত্যাদি ডালের জমিতে নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করুন।
- জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিয়ে আর্দ্রতা বজায় রাখুন।

সরিষা ও অন্যান্য তেল ফসল
- সরিষার ফুল ধরার সময় জমি শুকনো থাকলে সেচ দিন।
- পোকামাকড়ের আক্রমণ হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

আলু চাষ
- আলুর জমিতে সঠিক সেচ এবং রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
- আলু সংগ্রহের আগে জমি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
মাছ ও গবাদি পশুর যত্ন


মাছ চাষ
- পুকুরের পানি পরিষ্কার রাখুন।
- মাছের খাদ্য সরবরাহ নিয়মিত করুন।
গবাদি পশু
- ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করতে গোয়াল ঘর গরম রাখুন।
- গবাদি পশুকে পর্যাপ্ত খাদ্য ও পরিষ্কার পানি দিন।
জানুয়ারি মাসের সঠিক কৃষিকাজ ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন