আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শিশুর অতিরিক্ত প্রস্রাব

শিশুর প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে অভিভাবকদের উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এ উৎকণ্ঠা অমূলকও নয়। শিশুর কখনো প্রস্রাব বেশি হয়, কখনো কম, অনেক সময় শিশুর প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়। এমন হলে তা অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

কখন বলব এটা সমস্যা

অতিরিক্ত প্রস্রাব বলতে সাধারণত শিশুর ঘন ঘন প্রসাব হওয়াকে বোঝায়। তবে পরিমাণে বেশি প্রসাব হওয়াকেও শিশুর অতিরিক্ত প্রস্রাব বলা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে দুটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, ২৪ ঘণ্টায় শিশু তার প্রতি কেজি ওজনের অনুপাতে ১০০ মিলির বেশি প্রস্রাব করলে, তাকে পল্যুরিয়া বা অতিরিক্ত প্রস্রাব বলে ধরা হয়। এ সময় বাচ্চা বিছানায় প্রস্রাব করতে পারে।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন

কারণ জানা জরুরি

শিশুর অতিরিক্ত প্রস্রাবের কারণের মধ্যে অন্যতম—ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদি বা জন্মগত কিডনি রোগ, মানসিক সমস্যা, সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট জটিলতা, কিডনির জন্মগত ত্রুটি, রক্তে পটাশিয়ামের অভাব কিংবা ক্যালসিয়ামের আধিক্য প্রভৃতি। সুনির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণেও শিশুর অতিরিক্ত প্রস্রাব হতে পারে। কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে অতিরিক্ত প্রস্রাবের পাশাপাশি শিশুর শ্বাসের সমস্যা, রক্ত কমে যাওয়া, শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।

অনেক সময় তুলনামূলক বড় শিশুরা বেশি বেশি পানি পান করে। সেই অনুপাতে প্রস্রাবও করে বেশি। এ সমস্যাকে ‘সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া’ বলা হয়। তবে এতে আক্রান্ত শিশুরা রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কিংবা সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করতে চায় না। এই সমস্যায় ভোগা শিশুদের প্রায়ই নানা মানসিক সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।বিজ্ঞাপন

যা করতে হবে

শিশু অতিরিক্ত প্রস্রাব করলে অভিভাবকদের আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। শুরুতে এর কারণ শনাক্ত করাতে হবে। কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে অনুমান করতে হবে। বিষয়গুলো হলো— শিশুর প্রস্রাবের পরিমাণ আসলেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কি না। অতিরিক্ত হলে কত দিন ধরে হচ্ছে। এর সঙ্গে শিশুর শরীরে অন্য কোনো উপসর্গ আছে কি না। শিশুর দৈনন্দিন পানি পানের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ সমস্যা দূর করা যাচ্ছে কি না।

সুস্থ–স্বাভাবিক শিশু সাময়িকভাবে কিছু দিন বেশি প্রস্রাব করলে কিংবা দু–এক দিন বিছানায় প্রস্রাব করলে, শিশুটিকে লজ্জা দেবেন না। বরং লজ্জা কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করুন। রাত আটটার পরে শিশুটিকে পানি খেতে নিরুৎসাহিত করুন। এসব করলে অনেক সময় সমস্যা দূর হয়ে যায়।

যদি তা না হয়ে শিশুর প্রস্রাবের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে তার শারীরিক অথবা মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে, তাহলে সমস্যাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এ পরিস্থিতিতে শিশুটির সঠিক রোগ নির্ণয় ও কার্যকর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি না করাই সমীচীন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com