আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

আসছে পিঠাপুলির দিন

মুগ পাকন পিঠা

আসছে পিঠাপুলির দিন

উপকরণ: মুগ ডাল আধা কাপ, দুধ ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো, কমলা খাবার রং আধা চা-চামচ, চালের গুঁড়া ১ কাপ, চিনি ও তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: আধা কাপ মুগ ডাল প্যানে অল্প আঁচে ভেজে নিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন পুড়ে না যায়। ভাজা হয়ে গেলে মুগ ডাল তুলে নিন। ডাল ঠান্ডা হলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দুই ঘণ্টার মতো ভিজিয়ে রাখুন। ডাল তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে। এরপর ভিজে ফুলে উঠলে কয়েকবার কচলে ধুয়ে নিতে হবে। ধোঁয়ার পর ডালগুলো একটি হাঁড়িতে নিয়ে নিন। আধা কাপ ডালের জন্য এক কাপ পরিমাণ পানি ও এক কাপ দুধ দিয়ে জ্বাল দিতে হবে (আপনি চাইলে শুধু দুধ অথবা পানি দিয়েও সেদ্ধ করে নিতে পারেন)। এর মধ্যে দিতে হবে সামান্য লবণ। চুলার আঁচ একদম কমিয়ে হাঁড়ি ঢেকে সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। এরপর ডালগুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে সামান্য কমলা খাবার রং দিয়ে পুনরায় জ্বাল দিন। বলক এলে ১ কাপ চালের গুঁড়া দিয়ে দিন। পাঁচ মিনিটের মতো জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। ঢেকে কিছুটা সময় রেখে দিন ঠান্ডা হওয়ার জন্য। এবার চিনি–গুড়ের শিরা তৈরি করে নিতে হবে। এ জন্য ১ কাপ চিনি বা গুড়ের সঙ্গে এক কাপ পরিমাণ পানি নিয়ে জ্বাল দিন। ভালো স্বাদের জন্য এলাচি দিতে হবে দুটি (আপনি চাইলে এলাচির গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন)। পাতলা শিরা তৈরি করার জন্য ঢেকে ৫ মিনিট উঁচু আঁচে জ্বাল দিন। এ শিরা কুসুম গরম অবস্থায় ব্যবহার করতে হবে।

মুগ ডাল দিয়ে খামির তৈরি করার জন্য হাতে তেল মেখে নিন। মুগ ডালগুলো মেখে নিতে হবে। খামির তৈরি হলে ভেজা কাপড় দিয়ে তা ঢেকে রাখুন। এবার খামির থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে গোল বলের মতো বানাতে হবে। বলগুলোর ওপরে সুন্দর নকশা করে প্যানে তেলের মধ্যে মাঝারি আঁচে ৭ থেকে ৮ মিনিট পিঠাগুলো ভেজে নিন। যতক্ষণ পিঠাগুলো ফুলে না উঠবে, ততক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। পিঠাগুলো একেবারে নরম হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।বিজ্ঞাপনবিজ্ঞাপন

দুধ-পুলি পিঠা

আসছে পিঠাপুলির দিন

উপকরণ: চালের আটা ২ কাপ, পানি ৪ কাপ, তেল ৩ চা-চামচ, চিনি ৪ চা-চামচ, নারকেলকুচি ১ কাপ, এলাচিগুঁড়া ১ চা-চামচ, গুঁড়া দুধ ১০০ গ্রাম, আধা কাপ গুড় ও দুধ ২ লিটার।

প্রণালি: একটি হাঁড়িতে দুধ বা পানি গরম করে ২ চা-চামচ চিনি, ১ চা-চামচ তেল ও স্বাদমতো লবণ দিন। পানি ফুটে গেলে চালের আটা দিয়ে নাড়ুন। পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। চুলা নিভিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন এরপর। ডো তৈরি হলে চুলা থেকে পাত্র নামিয়ে ঠান্ডা করুন। ভালো করে হাত দিয়ে মথে নিতে হবে। ডো হাত দিয়ে গোল করে পুরির মতো আকৃতি বানান। অন্য পাত্রে এলাচিগুঁড়া, ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ ও নারকেল কোরা দিন। ৫ মিনিট মৃদু আঁচে রেখে দিন। গুড় দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটা আঠালো হয়ে গেলে নামিয়ে রাখুন।

এবার ছোট ছোট চ্যাপ্টা ঝিনুকের মতো করে রাখা ডোয়ের মাঝখানে নারকেলের তৈরি করা মিশ্রণ কিছুটা দিয়ে দুই মাথা বন্ধ করে মুড়ে দিতে হবে। স্টিমারে ৩০ মিনিট বা পিঠা না হওয়া পর্যন্ত স্টিম করুন। স্টিমার না থাকলে হাঁড়িতে পানি দিয়ে তার ওপর ছিদ্র করা পাতিল রেখে পিঠা সেদ্ধ করতে দিন। সেদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে বাতাসে ছড়িয়ে দিন। অন্য পাত্রে দুধ ও খেজুরের গুড় জ্বাল দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে সেদ্ধ করা পুলি পিঠা দুধের মধ্যে একটা একটা করে ছেড়ে দিন। বেশিক্ষণ জ্বাল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। একটু ফুটে উঠলেই নামিয়ে রাখুন। কিশমিশ ও পেস্তাবাদামকুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।বিজ্ঞাপন

ভাপা পিঠা

আসছে পিঠাপুলির দিন

উপকরণ: চালের গুঁড়া ২ কাপ, নারকেল কুরানো ১ কাপ, খেজুরের পাটালি গুড় ৫০০ গ্রাম, লবণ ও পানি প্রয়োজনমতো।

প্রণালি: প্রথমেই একটি বাটিতে চালের গুঁড়া লবণ ও পানি দিয়ে শুকনা শুকনা করে মেখে নিন। একটি তারের অথবা বাঁশের চালুনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। মাখানো গুঁড়া সুজির মতো হবে। তারপর ছোট ছোট বাটি বা মাটির ঢাকনায় কিছুটা মাখানো সুজির মতো গুঁড়া দিয়ে দিন। তার ওপর নারকেল কোরা ও কেটে রাখা গুড় ছড়িয়ে দিন। তার ওপর আবার চালের গুঁড়ার সুজি দিয়ে সমান করে দিতে হবে।

এবার তৃতীয় ধাপ, ভাপা পিঠা বানানোর ছিদ্রযুক্ত পাতিলে অথবা স্টিমারে পানি ফুটে উঠলে পাতলা কাপড়ে মুড়ে পাতিলের ওপর বসিয়ে দিতে হবে। ৫ থেকে ৭ মিনিট ঢেকে সেদ্ধ করার পর ঢাকনা খুলে তুলে দিন। পরিবেশন করুন ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com