আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

যে খাবার তিনবেলা খেলে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি

প্রক্রিয়াজাত সাদা আটা, ময়দা, বা চাল খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারলে মিলবে সুস্থ হৃদয়।

সুস্থ থাকতে হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে আর নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে, এই হলো মোটা দাগের সর্বজনীন সত্য।

তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আর শরীরচর্চার নিয়ম আছে অসংখ্য। ভালো মন্দ বিবেচনা করে একটি পদ্ধতি বেছে নিয়ে সেটা শক্তভাবে মেনে চলতে হবে।

হৃদরোগ বিশ্বব্যাপি সবচাইতে বড় মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে প্রথমসারির। তাই এর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া সবার জন্য জরুরি। আর এজন্য খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা দরকার।

১৩ জুলাই ‘দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন’য়ে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ পায়। ৩,১০০ জন অংশ নিয়েছেন এই গবেষণায়। তাদের সবারই বয়স পঞ্চাশের কোঠায় আর প্রত্যেকেই ১৮ বছর ধরে এই গবেষণায় তথ্য সরবরাহ করে আসছেন।

প্রতি চার বছর পর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। মাপা হয়েছে কোমরের বেড়, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা আর জেনে নেওয়া হয়েছে তাদের খাদ্যাভ্যাস।

ফলাফলে জানা যায়, “যারা দিনে তিন ধরনের ‘হোল গ্রেইন’ বা পরিপূর্ণ শষ্যজাতীয় খাবার খেয়েছেন, তারাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সবচাইতে সফল।

‘ডায়েটারি গাইডলাইনস ফর আমেরিকানস ২০২০-২০২৫’ এর উদ্ধৃতি দিয়ে, তিনবারে কতটুকু খাবেন তার উদাহরণ দিতে গিয়ে গবেষকরা বলেন, “হোল গ্রেইন’ পাউরুটির এক ফালি, আধা কাপ ওটস সিরিয়াল, আধা কাট লাল চালের ভাত। একদিনের এতটুকুই হবে আদর্শ মাত্রা।”

বেস্টলাইফ ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষকরা আরও বলেন, “এই আদর্শমাত্রার বেশি খেলেও ক্ষতি নেই বললেই চলে। বাড়তি ‘হোল গ্রেইন’ খেলেও রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ও ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমতে থাকবে। সম্পূর্ণ শষ্যের খাবার শুধু যে হৃদরোগের জন্যই উপকারী তা নয়। কোমরের বেড়ও কমায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায়, সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও।”

গবেষণার জ্যেষ্ঠ লেখক, ডা. নিকোলা ম্যাককিওন বলেন, “স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে পরিপূর্ণ শষ্যজাতীয় খাবার বেছে নেওয়ার মাধ্যমে বয়স বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত সহজ হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয় যারা বেশি বেশি ‘হোল গ্রেইন’ খাবেন তাদের রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখাও হবে অনেক সহজ।”

“আর এসব সমস্যার সবগুলোই হৃদরোগ ডেকে আনে। তাই ‘হোল গ্রেইন’জাতীয় খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি দূর করে দেয়।”

গবেষকদের ব্যাখ্যা হলো, “যেকোনো শষ্যজাতীয় খাবার যখন প্রক্রিয়াজাতকরণে মধ্য দিয়ে যায় তখন এর ভিটামিনে ভরা খোলসের অনেকটাই হারিয়ে যায়। আর ‘হোল গ্রেইন’-জাতীয় খাবার হয় অপ্রক্রিয়াজাত, তাই শষ্যের সকল পুষ্টিগুণ এতে অটুট থাকে।”

গবেষণার আরেক গবেষক, হার্ভার্ড টি. এইচ. চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ের অন্তর্ভুক্ত ব্রিগহাম অ্যান্ড উইমেনস হসপিটাল’য়ের ‘পোস্ট ডক্টরেট রিসার্চ ফেলো’ ক্যালেই সাউয়িকি বলেন, “হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো আর কোমরের বেড় কমানোর ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ শষ্যজাতীয় খাবার নানানভাবে উপকারী।”

একদিকে এতে থাকে ভোজ্য আঁশ, যা পেট ভরা রাখে লম্বা সময়। এই আঁশ পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা হুট করে বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। অপরদিকে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম আর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে কাজ করে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com