আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

মুখে কালো দাগ ও ব্রণ

নাক কান গলা

আমার বয়স ২৪ বছর। কণ্ঠনালিতে সব সময় কফ জমে থাকে। ঠান্ডা, সর্দি-জ্বর, কাশি—কোনোটিই নেই। কথা বলার সময় একটু পরপর গলা খাঁকারি না দিলে কণ্ঠ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। আবার গলা খাঁকারি দিলেও কোনো কিছু বের হয় না। পরামর্শ চাই।

শামীম রেজা, টঙ্গী, গাজীপুর।

উত্তর: অ্যালার্জিজনিত কারণে কিংবা অম্লতার (অ্যাসিডিটি) সমস্যায় গলায় এমন অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। এ ছাড়া গলায় এ রকম নানা ধরনের অস্বস্তির কারণে বারবার গলা খাঁকারি দেওয়াটা একটা বদভ্যাসে পরিণত হতে পারে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে মুখ ও গলার নিঃসরণ জমা থাকতে পারে, যার আশঙ্কা কম। এ নিয়ে ভাবার তেমন কিছু নেই।

আপনি অ্যান্টিহিস্টামিন এবং গ্যাসের ওষুধ সেবন করে দেখতে পারেন। তবে মূল কাজ হবে কিছু ছোট্ট ছোট্ট অভ্যাস করা। যতক্ষণ সম্ভব, গলা খাঁকারি না দিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। গলা খাঁকারি দেওয়ার ইচ্ছাটাকে অবদমিত করে রাখুন। একেবারেই সম্ভব না হলে সামান্য পানি পান করুন (বাইরে গেলেও সঙ্গে ছোট্ট একটি বোতলে পানি রাখুন)। এরপর আবার গলা খাঁকারি দেওয়ার ইচ্ছা হলে মুখ বন্ধ রেখে গলার ভেতর থেকে স্বরে হালকা কম্পন তৈরি করুন (সামান্য আওয়াজ হবে, খানিকটা গানের রেয়াজের মতো)।এরপর এক ঢোক পানি পান করুন আবার।

আমার বয়স ২৬ বছর। দুই বছর আগে কানের পর্দায় ছিদ্র হলে মাইরিংগোপ্লাস্টির মাধ্যমে ঠিক করি। কিছুদিন পর বাজি ফোটার শব্দে আবার ওই কানে ছিদ্র হয়। এখন আমি যদি আবার অপারেশন করে ফুটো ঠিক করি, তবে কি ভবিষ্যতে আবার পর্দার ফুটো ফিরে আসার আশঙ্কা আছে?

সজীব, চট্টগ্রামবিশ্ববিদ্যালয়

উত্তর: আমাদের কানের পর্দায় তিনটি স্তর থাকে, তবে কানের পর্দা গঠনগত দিক থেকে খুবই পাতলা এবং নমনীয়। কানের স্বাভাবিক পর্দাও বিকট আওয়াজে ফুটো হয়ে যেতে পারে। অস্ত্রোপচার করে যে পর্দা জুড়ে দেওয়া হয়, তাতে থাকে দুটি স্তর। কাজেই তা স্বাভাবিক পর্দার চেয়ে আরও বেশি নমনীয়। স্বাভাবিকের চেয়েও কম তীব্রতার শব্দে এটি ফুটো হয়ে যেতে পারে। তবে সঠিকভাবে যত্ন করলে, খুব একটা আওয়াজের স্থানে না গেলে জুড়ে দেওয়া পর্দা ফুটো হয় না। তাই যতবারই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কানের পর্দা জুড়ে দেওয়া হোক না কেন, অস্ত্রোপচার পরবর্তী–সময়ে কানের যত্ন নিশ্চিত করতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক এ এফ মহিউদ্দিন খান

সাবেক বিভাগীয় প্রধান, নাক কান গলা বিভাগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকাবিজ্ঞাপন

ত্বক

প্র স্বাস্থ্য থেকে অ্যালার্জি সম্পর্কে ধারণা পেলাম। শীত এলেই রোগটি আমার বাড়ে মনে হয়। চার বছর ধরে আমার কনুই ও রানের চিপায় চাকা চাকা এবং ফুলে থাকে। চুলকালে চামড়া ওঠে এবং লালচে পানি বের হয়। রাতে চুলকায় বেশি। আমি ছাত্র, বয়স ২০ বছর। করণীয় কী?

দেলোয়ারহোসেন, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

উত্তর: আপনি টিনেয়া করপোরিস নামের একধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণে ভুগছেন। আপনি টারবিনাফাইন ২৫০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট প্রতি রাতে একটি করে ৬ সপ্তাহ এবং লুলিকোনাজোল ক্রিম প্রতি রাতে আক্রান্ত স্থানে ১৪ দিন লাগিয়ে দেখেন। চুলকানি হলে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট রোজ রাতে খাবেন। সঙ্গে প্রতিদিন ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ খাবার খাবেন (আমলকী, মাল্টা, পেয়ারা ইত্যাদি), যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে। পরিবারে ডায়াবেটিস থাকলে তা নির্ণয়ের পরীক্ষা করে সরাসরি ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আমার মুখে কালো কালো দাগ ও ব্রণ ওঠে। নখ লাগালে ফুলে উঠে। কোনো সমাধান আছে কি? আমার বয়স ২২ বছর।

লিটন, উওরা, ঢাকা।

উত্তর: আপনি ব্রণ ও ব্রণের প্রদাহ থেকে সৃষ্ট কালো দাগের সমস্যায় ভুগছেন। আপনি প্রতিদিন ডক্সিসাইক্লিন ১০০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট একটি, সকালের নাস্তার পর ভরা পেটে খাবেন দুই মাস। সঙ্গে অ্যাডাপ্যালেনজাতীয় ক্রিম প্রতিরাতে আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন দুই মাস। খেয়াল রাখতে হবে, এই ক্রিম শুধু রাতে লাগাবেন, এটা নিয়ে রোদে যাওয়া যাবে না। পাশাপাশি দিনে দুই-তিনবার ত্বকের উপযোগী ভালো সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। দিনে দুই-তিনবারের বেশি মুখ ধোয়া অপ্রয়োজনীয়, এতে ত্বকের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও ন্যাচারাল স্কিন ব্যারিয়ার নষ্ট হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো।

পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. জাহেদ পারভেজ

চর্ম যৌন অ্যালার্জি ও ট্রান্সপ্লেন্ট সার্জন বিশেষজ্ঞ,

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com