আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

শীতে ও করোনাকালে দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট

ধীরে ধীরে শীত জাঁকিয়ে বসছে দেশজুড়ে। ২০২০ সালকে সারা বিশ্ব মনে রাখবে অতিমারির বছর হিসেবে। করোনা তথা কোভিড–১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবজাতির লড়াই এখনো শেষ হয়নি। শীত বাড়ছে, সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সবার মনোযোগ করোনাভাইরাসের প্রতি থাকলেও মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রের আরও নানাবিধ অসুখ রয়েছে, যেগুলো সারা বছরই কমবেশি থাকলেও শীতকালে প্রাদুর্ভাব ও তীব্রতা দুটিই বেড়ে যায়। ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বা সিওপিডি এসবের অন্যতম। শ্বাসকষ্টজনিত আরেকটি সমস্যা অ্যাজমা বা হাঁপানির সঙ্গে সিওপিডির কিছুটা মিল থাকলেও এই রোগ আলাদাভাবে চিহ্নিত করা জরুরি। এই দুই রোগের কারণ জটিলতা এবং চিকিত্সাপদ্ধতির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।

সিওপিডি কী?

সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ হলো এক ধরনের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, যা সাধারণত চিরস্থায়ী এবং ক্রমবর্ধমান। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যথাযথ চিকিত্সা না নিলে তাঁর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তিনি শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হন। সিওপিডি হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে, তবে ধূমপানই হলো প্রধান।বিজ্ঞাপন

কেন হয়?

সিওপিডি হওয়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট একটি কারণ চিহ্নিত করা কঠিন। জন্মগত, অভ্যাসগত এবং পরিবেশগত কিছু বিষয় মিলেই একজন সিওপিডিতে আক্রান্ত হন। দীর্ঘমেয়াদি ধূমপান হলো সিওপিডির প্রধানতম কারণ। কিন্তু এটি ছাড়া আরও কিছু বিষয় সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।

  • রান্নাসহ নানা কাজে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার।
  • বায়ুদূষণ।
  • পেশাগত কারণে ধূলাবালি ও বায়ুদূষণের শিকার হওয়া।
  • ছোটবেলা থেকেই বারবার ফুসফুসের সংক্রামণে আক্রান্ত হওয়া।
  • অপুষ্টি এবং জন্মগতভাবে কম ওজনে জন্ম নেওয়া।

ব্রঙ্কাইটিস ও সিওপিডি কি এক?

প্রথাগতভাবে সিওপিডিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস: অধিকাংশ দিন কাঁশির সঙ্গে ২ চামচ বা তার বেশি পরিমাণ কফ যায় এবং তা একনাগাড়ে ২ বছর বা তার বেশি সময় স্থায়ী হয়, তাহলে তাকে ক্রণিক ব্রঙ্কাইটিস নামে অবিহিত করা হয়।

২. এমফাইসিমা: এমফাইসিমা হলো শ্বাসনালি এবং ফুসফুসের কিছু গুণগত পরিবর্তন। যার ফলে রোগী দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে।

তাই বলা যায়, ব্রঙ্কাইটিস সিওপিডির একটি অংশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিওপিডি আক্রান্ত রোগী এই দুই ধরনের সমস্যা একসঙ্গে নিয়েই হাজির হয়।

কীভাবে বুঝবেন?

৪০ বছর বা তার বেশি বয়স্ক কোনো ব্যক্তির যদি নিচের লক্ষণগুলো থাকে—

শ্বাসকষ্ট: সব সময় এবং সারা বছরই কমবেশি থাকে কিছু হাঁটাচলা এবং শারীরিক পরিশ্রমের পর বেড়ে যায় এবং শ্বাসকষ্টের তীব্রতা ও স্থায়িত্ব বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে।

দীর্ঘমেয়াদি কাশি: শুকনো হতে পারে বা কাশির সঙ্গে কফও যেতে পারে।

বিবেচনা করতে হবে—

  • দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস
  • রান্নার ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বা লাকড়ির চুলায় রান্না করা (বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে)।
  • পেশাগত বা পরিবেশগত কারণে বায়ুদূষণের শিকার হওয়া।
  • পারিবারিক শ্বাসকষ্টের ইতিহাস, জন্মগতভাগে স্বল্প ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া অথবা ছোটবেলা থেকেই ফুসফুসে বারবার সংক্রমণের ইতিহাস আছে কি না।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা

বুকের এক্স-রে: প্রাথমিক পর্যায় রোগীর বুকের এক্স–রে পরীক্ষার মাধ্যমে সিওপিডি আছে কি না, সেটির ধারণা পাওয়া যেতে পারে। যদিও এর সঙ্গে রোগীর ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষার ফল মিলিয়ে নিতে হয়।

স্পাইরোমেট্রি: সিওপিডি সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। এর পাশাপাশি স্পাইরোস্ট্রি পরীক্ষা থেকে রোগীর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা এবং রোগের তীব্রতা সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া কিছু পরিস্থিতিতে আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। যেমন রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই–অক্সাইডের পরিমাণ নির্ধারণ, শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষমতা প্রভৃতি।

চিকিৎসাপদ্ধতি

সিওপিডিতে আক্রান্ত রোগীকে চিকিত্সা দেওয়ার দ্বারা রোগীর লক্ষণ, রোগের তীব্রতা এবং পূর্ববর্তী চিকিত্সা, বিশেষত হাসপাতালে ভর্তির ইতিহাস—এই বিষয়গুলোকে সমন্বয় করে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে রোগীর গ্রুপ অনুসারে তার চিকিত্সাপদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত যে ওষুধগুলো ব্যবহার করা হয়, সেসবের মধ্যে আছে—

  • বিভিন্ন ধরনের ইনহেলার, যার প্রধান কাজ শ্বাসনালি ও ফুসফুসে বায়ু চলাচল স্বাভাবিক রাখা।
  • প্রয়োজনমতো অ্যান্টিবায়োটিক
  • কফ তরল করার ওষুধ
  • ফুসফুসের ব্যায়াম বা পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন—যা কার্যকর
  • কখনো কখনো দীর্ঘমেয়াদি অক্সিজেন থেরাপি, যা রোগী বাড়িতে বসেও নিতে পারে

কখন বুঝবেন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে?

সাধারণত সিওপিডি রোগীর বমি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সারা বছরই থাকে। নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সিওপিডি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু কখনো কখনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিশেষত নিচের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে—

  • রোগীর শ্বাসকষ্ট ও কাশি বেড়ে গেলে, যেমন বিশ্রামের সময়ও শ্বাসকষ্ট হলে
  • পায়ে পানি এলে অথবা ঠোঁট, জিব ও হাতের আঙুল নীল বর্ণ ধারণ করলে
  • কিছুদিন পরপরই অসুখের তীব্রতা বেড়ে গেলে
  • বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে
  • বাড়িতে পর্যাপ্ত সেবার ব্যবস্থা না থাকলে

সিওপিডি থেকে মুক্ত থাকার উপায়

সিওপিডি সারা জীবনের অসুখ। তাই সিওপিডি হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা জরুরি। আর সিওপিডি প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো ধূমপান সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করা ব্যক্তিও ধূমপান পরিহার করলে তার সুফল পেতে শুরু করেন।

ভ্যাকসিনের ভূমিকা

সিওপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ৬৫ বছর বা এর বেশি, পাশাপাশি যাদের ফুসফুসের সামান্য জটিলতা, ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত বিরতিতে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেন। এ ধরনের ভ্যাকসিন নিলে বারবার ফুসফুসের সংক্রমণ এবং তা থেকে তীব্র ধরনের সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়।

করোনা ও সিওপিডি

শীত মৌসুমে সিওপিডির তীব্রতা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। এর ওপর করোনা অতিমারির কারণে সিওপিডিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। তাই সিওপিডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফুসফুস আগে থেকেই কম কর্মক্ষম থাকে। করোনায় আক্রান্ত হলে সিওপিডি রোগীদের জটিলতা ও মৃত্যুঝুঁকি; দু-ই বেড়ে যায়। কাজেই সিওপিডিতে ভোগা ব্যক্তি যাতে করোনায় আক্রান্ত না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি সিওপিডিতে ভোগা ব্যক্তির করোনা হলে তার চিকিত্সার ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com