আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

নওগাঁ পৌরসভায় বছরের ছয় মাসই জলাবদ্ধতা

পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর ও চকরামপুর এলাকায় বছরের ছয় মাসই পানি থাকে। ভোগান্তিতে রয়েছে এখানকার প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা।

নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর ও চকরামপুর এলাকায় পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে প্রতিবছর বর্ষা শুরু হলেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বছরের ছয় মাসই পানিবন্দী থাকে এখানকার প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা।

এলাকার লোকজন বলছেন, প্রতিবার নির্বাচনের আগে সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরা জলাবদ্ধতা নিরসনের আশ্বাস দেন। গত ২০ বছরেও তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর কোনো জনপ্রতিনিধি খোঁজ নেন না। এর সমাধান চেয়ে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিলেও লাভ হয়নি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা বলেন, ভবানীপুর ও চকরামপুর ১৯৮৯ সালে পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর থেকে ভবানীপুর ও চকরামপুর এলাকায় বসতি গড়ে উঠতে শুরু করে। ক্রমে বাড়তে থাকে বসতি। বর্তমানে এখানকার প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বাস। বসতি গড়ে ওঠার শুরুর দিকে বৃষ্টির পানি যে পথ দিয়ে নামত, সেদিকে একাধিক বাড়ি ও দুটি চালকল নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর থেকে বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কয়েক বছর ধরে বছরে ছয় মাসই পানি জমে থাকছে।

নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতকরণ প্রকল্প-৩-এর আওতায় ভবানীপুর থেকে তুলসীগঙ্গা নদী পর্যন্ত একটি নালা করার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এই প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।

গত শনিবার ঘুরে দেখা যায়, ভবানীপুর মধ্য, দক্ষিণ ও পূর্ব পাড়া ও চকরামপুর এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে আছে। কোথাও বাড়ি, এমনকি শোবার ঘরেও পানি ঢুকেছে।

এলাকার কয়েকজন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে এসব এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবারের অন্তত দুই হাজার মানুষ কষ্টে আছে। চার মাসের বেশি সময় ধরে পানি জমে থাকায় এ দুটি এলাকার প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে কোনো ফসল আবাদ হয়নি।

চকরামপুরের সুমন হোসেনের বাড়ির উঠানে হাঁটুপানি। শোবার ঘরেও পানি। তিনি বলেন, গত জুলাই থেকে বাড়িতে পানি উঠেছে। এখনো নামছে না। শোবার ঘর ও রান্নাঘরে পানি ঢুকে গেছে। প্রতিবছর একই দুর্ভোগ। এই অবস্থার অবসান কবে হবে আল্লাই জানে।

ভবানীপুর এলাকার মীর মোশাররফ হোসেন, দেলওয়ার হোসেন ও এরশাদ আলীসহ সাত-আটজন জানান, পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁরা এলাকার পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা করার দাবি জানিয়ে আসছেন। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা আশার কথা শোনান। সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরাও জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা সব ভুলে যান। এক-দুই দিন টানা বর্ষণ হলেই এলাকায় পানি জমে যায়। সেই পানি ১০-১২ দিনেও সরে না।

জানতে চাইলে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান বলেন, জলাবদ্ধতার এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। গত বছর মেয়র এসব এলাকা ঘুরে গেছেন। তিনি জলাবদ্ধতা কিছুটা কমানোর জন্য রিং পাইপের মাধ্যমে তুলসীগঙ্গা নদীতে পানি বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু আজও সেই রিং পাইপ বসানো হয়নি।

এ বিষয়ে মেয়র নজমুল হক বলেন, ‘নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতকরণ প্রকল্প-৩-এর আওতায় ভবানীপুর থেকে তুলসীগঙ্গা নদী পর্যন্ত একটি নালা করার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে আছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে এই প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এই অর্থবছরেই নালাটির নির্মাণকাজ শুরু হতো।’

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com