আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

দুর্যোগে শীর্ষ ১০ দেশে বাংলাদেশ নবম

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরইডি ও জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএনডিআরআর যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

  • সবচেয়ে বেশি দুর্যোগের শিকার হওয়া ১০ দেশের ৮টিই এশিয়ার।
  • ২০ বছরে দুর্যোগে প্রাণহানি ১২ লাখের বেশি। ক্ষতি ২ লাখ ৯৭ হাজার কোটি ডলার

চলতি শতকের ২০ বছরে বিশ্বের যে ১০টি দেশ সবচেয়ে বেশি দুর্যোগ-আক্রান্ত হয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ নবম। এ সময়ে বাংলাদেশের ১১ কোটি ২০ লাখ মানুষ দুর্যোগের শিকার হয়েছে।

‘দ্য হিউম্যান কস্ট অব ডিজাস্টার: অ্যান ওভারভিউ অব লাস্ট টোয়েনটি ইয়ারস ২০০০-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্য আছে। গত সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যৌথভাবে তৈরি করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অন দ্য এপিডেমিওলজি অব ডিজাস্টারস (সিআরইডি)’ এবং জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ‘ইউএন অফিস ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (ইউএনডিআরআর)’। গতকাল মঙ্গলবার ছিল আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। এ উপলক্ষেই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আগের ২০ বছরের তুলনায় গত ২০ বছরে বিশ্বে সব ধরনের দুর্যোগ, প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। এই সময়ে যে ১০টি দেশ সবচেয়ে দুর্যোগের শিকার হয়েছে, তাঁর ৮টিই এশিয়ার। এশিয়ার বাইরের দুটি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র (দ্বিতীয় অবস্থান) ও মেক্সিকো (অষ্টম)। এশিয়ার ৮টি দেশ হলো চীন (প্রথম), ভারত (তৃতীয়), ফিলিপাইন (চতুর্থ), ইন্দোনেশিয়া (পঞ্চম), জাপান (ষষ্ঠ), ভিয়েতনাম (সপ্তম), বাংলাদেশ (নবম) আফগানিস্তান (দশম)।

আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই ধ্বংসাত্মক কাজ করছি। গত ২০ বছরের দুর্যোগের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে যে কেউ এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছাবেন।

মামি মিজুতোরি, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ হাজার ৩৪৮টি বড় ধরনের দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। বড় ধরনের দুর্যোগের মধ্যে ছিল খরা, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, দাবানল ও অতিরিক্ত তাপমাত্রা। এসব দুর্যোগে এতে ১২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন ৪২০ কোটি মানুষ আর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৯৭ হাজার কোটি ডলারের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে ২০০২ সালে। ওই বছর ৬৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়। ২০১৫ সালে ৪৩ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। গড়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ২০ কোটি মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়ে। মারা যায় ৬০ হাজার মানুষ।

জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি (দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস) মামি মিজুতোরি এই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই ধ্বংসাত্মক কাজ করছি। গত ২০ বছরের দুর্যোগের ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে যে কেউ এই সিদ্ধান্তেই পৌঁছাবেন। করোনা মহামারি চলছে। কিন্তু এরপরও বিশ্বের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃত্ব নিজেদের চারপাশের পৃথিবীটার জন্য কিছুই করছেন না।’

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক দুর্যোগের কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কিছু বিষয় আছে, যার শিকার আমরা হচ্ছি। কিন্তু এতে আমাদের ভূমিকা নগণ্য।’

এনামুর রহমান আরও বলেন, ‘অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়। তবে আমাদের ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য মানুষ ও পশুর প্রাণহানি অনেক কম হচ্ছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে, এমনটাই মনে করেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ গওহার নঈম ওয়ারা। কিন্তু তাঁর কথা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দিন দিন আমলানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এখানে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com