আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফল

ক্রেতাসংকটে কাঁঠালের সবচেয়ে বড় বাজার

ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার জৈনাবাজারে। কিন্তু করোনার প্রভাবে ক্রেতা নেই। কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে তাই অনেক বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতা। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো
ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার জৈনাবাজারে। কিন্তু করোনার প্রভাবে ক্রেতা নেই। কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে তাই অনেক বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতা। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো

থরে থরে সাজানো আছে ছোট-বড় কাঁঠাল। কিন্তু ক্রেতা খুবই কম। অনেকেই ক্রেতা না পেয়ে কাঁঠাল বাজার থেকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি কাঁঠালের বাজার গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারের গত শনি ও সোমবারের চিত্র এটি। খুচরা ক্রেতার সংখ্যাও কম। গত বছরের তুলনায় কাঁঠালপ্রতি মূল্য প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্রেতাসংকট—বলছেন বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও লোকজনের ভাষ্যমতে, মিষ্টতা ও সুগন্ধে গাজীপুরের শ্রীপুরের কাঁঠালের দীর্ঘদিনের সুখ্যাতি আছে দেশজুড়ে। উপজেলার জৈনাবাজার এ দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার। কাঁঠালকে এই উপজেলার দাপ্তরিক ব্র্যান্ডিং করেছে জেলা প্রশাসন। স্থাপন করা হয়েছে বিশাল কাঁঠালের ভাস্কর্য। দাপ্তরিক স্লোগান করা হয়েছে, ‘সবুজে শ্যামলে শ্রীপুর, মিষ্টি কাঁঠালে ভরপুর’। এই উপজেলার একসময়ের অর্থনীতির একটি বড় অংশের উৎস ছিল কাঁঠাল বিপণন। শিল্পায়ন হওয়ায় এখন এর ওপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমেছে। কমে গেলেও রয়ে গেছে কাঁঠাল উৎপাদনের জৌলুশ। এলাকার তিন-চতুর্থাংশ মানুষের কাছে এখনো কাঁঠাল বিক্রির এককালীন আয় সারা বছরের একটি বড় অর্থনৈতিক উৎস।

শনি থেকে সোমবার জৈনাবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে সাজানো আছে শত শত কাঁঠালের স্তূপ। অসংখ্য ভ্যানেও কাঁঠাল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভ্যানে ২০-২৫টি কাঁঠাল দড়ি দিয়ে বেঁধে সেগুলো বিক্রির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন বিক্রেতারা। গত সোমবার দুপুরে দেখা যায়, সেখানে ৬-৭টি ট্রাকে বিক্রি হওয়া কাঁঠাল ওঠানো হচ্ছে। তবে পাইকার খুব বেশি নেই। মৌসুমি আড়তদারদের বেশির ভাগই অলস সময় পার করছেন। খুচরা কাঁঠাল বিক্রেতারা ২-৩টি করে কাঁঠাল নিয়ে এসে জৈনাবাজার মোড়ে বিক্রি করছেন। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার বিক্রেতাদের মধ্যে সেই উচ্ছলতা নেই। বাজারে ব্যস্ততা কম।

ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান থেকে কাঁঠাল নামিয়ে অপেক্ষা করছেন বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার এই জৈনাবাজার করোনার প্রভাবে এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো
ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান থেকে কাঁঠাল নামিয়ে অপেক্ষা করছেন বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার এই জৈনাবাজার করোনার প্রভাবে এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো

বাজারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই বাজারটি বছরের জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম থেকেই জমতে শুরু করে। জৈনাবাজারে পুরো উপজেলা ছাপিয়ে আশপাশের এলাকা থেকেও কাঁঠাল এনে বিক্রি করা হয়। পাইকার আসেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। জমজমাট এ বাজার থেকে কাঁঠাল চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মৌসুমি এ বাজারকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজন গ্রাম থেকে কাঁঠাল কিনে জৈনাবাজার আড়তে বিক্রি করেন। বিক্রির পর সেই কাঁঠাল আবার বড় পাইকারের কাছে মধ্যস্বত্বভোগীরা বিক্রি করেন। এরপর গাড়িতে ওঠানো ও কাঁঠাল সাজানোর জন্যও আলাদা আলাদা লোকজনকে কাজে লাগানো হয়। তাঁদের মতে, এ বাজার প্রতিবছর ক্রেতা-বিক্রেতাসহ অনেকের ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে আসে। তবে এবার চিত্র ভিন্ন।

আক্তার হোসেন নয়নপুর থেকে একটি ভ্যানে করে ২০টি বড় কাঁঠাল নিয়ে এসেছেন জৈনাবাজারে। দুপুর ১২টায় তাঁর এক ভ্যান কাঁঠালের দাম উঠেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। তিনি বলেন, গত বছর ও তার আগের বছর এমন ২০টি কাঁঠাল বিক্রি করা গেছে অন্তত ২ হাজার ৫০০ টাকায়। এ বছর দাম অনেক কম। জসিম উদ্দিন নামের এক বাগানমালিক ২টি ভ্যান ভর্তি করে ৩৫টি কাঁঠাল নিয়ে এসেছেন জৈনাবাজারে। দুপুর পর্যন্ত তাঁর কাঁঠালের দাম হাঁকা হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা। তিনি এ দামে বিক্রি করবেন না। জসিম উদ্দিন প্রথম আলোর কাছে বলেন, ‘এমন নিষ্টা (নিকৃষ্ট) বাজার আগে দেখি নাই। দামই কইতে চায় না। মনে অইতাছে পচা মাছ নিয়া আইছি।’

ছোট ছোট ভ্যান-ঠেলাগাড়িতে থরে থরে সাজানো ছোট-বড় কাঁঠাল। তবে অনেকেই ক্রেতা না পেয়ে কাঁঠাল বাজার থেকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো
ছোট ছোট ভ্যান-ঠেলাগাড়িতে থরে থরে সাজানো ছোট-বড় কাঁঠাল। তবে অনেকেই ক্রেতা না পেয়ে কাঁঠাল বাজার থেকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

ষাটোর্ধ্ব বয়সী মজিদ মিয়া এমসি বাজার থেকে দুটি বড় আকারের কাঁঠাল নিয়ে এসেছেন খুচরা বিক্রির জন্য। যে কাঁঠাল গত বছর অন্তত ২০০ টাকা করে বিক্রি হতো, সেই কাঁঠালের এখন দাম বলা হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা করে। তিনি বলেন, ‘কাঁঠাল কী বেচমু, দামই তো কয় না। যা কয়, তা দিয়ে বেচমু না।’ রঙ্গীলা বাজার থেকে মিজানুর রহমান তিনটি ভ্যান ভর্তি করে কাঁঠাল নিয়ে যাচ্ছিলেন জৈনাবাজারের উদ্দেশে। তিনি বলেন, এগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে না পেরে এখন জৈনা পাইকারি বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে বিক্রি না হলে বাড়িতে নিয়ে রাখবেন। বাজার এবার খুব খারাপ। তাই তাঁরা কাঁঠাল নিয়ে বিপদে আছেন। একই আশঙ্কার কথা বলেছেন এমসি বাজার থেকে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসা মো. জিয়াউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘১০০ কাঁঠাল নিয়ে এসেছি। বিক্রি করেছি মাত্র ৩০টি। বাকি কাঁঠাল বিক্রি করতে না পারলে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে। কাঁঠাল পেকে গেলে এগুলো ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’

বাজারে কাঁঠালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মিয়ার উদ্দিন জানান, গত বছর প্রচুর কাঁঠাল উঠেছিল বাজারে। কিন্তু এ বছর তো কাঁঠালের দাম কম। তাই বিক্রিতেও মানুষের আগ্রহ কম। অনেকের কাঁঠাল গাছেই পচে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কাঁঠালের বাজার মন্দা। মৌসুমের শুরুতেই এলাকায় ‍ঘুরে ঘুরে যেসব পাইকার কাঁঠাল কিনতেন, তাঁরা এ বছর খুব বেশি আসেননি। দূরদূরান্ত থেকে আসা পাইকারের সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় খুবই কম। অপর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, এবার কাঁঠাল ব্যবসায় লস হবে অনেকের। বাজারের শ্রমিক আসাদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছর কাঁঠালের বাজার জমজমাট থাকে। অনেক পাইকার আসে দূরদূরান্ত থেকে। প্রচুর লোক কাঁঠাল গোছানো থেকে শুরু করে গাড়িতে কাঁঠাল ওঠানোর কাজ করেন। কিন্তু এ বছর তেমন পাইকার নেই। তাই বাজারের তেমন জমজমাট ভাব নেই।

ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এনে যেমন বাজারে নামাচ্ছেন বাগানমালিকেরা, তেমনি বিক্রি না হলে আবার ফেরতও নিয়ে যাচ্ছেন। করোনার কারণে ক্রেতা না থাকায় এমন দুর্ভোগ তাঁদের। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো
ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এনে যেমন বাজারে নামাচ্ছেন বাগানমালিকেরা, তেমনি বিক্রি না হলে আবার ফেরতও নিয়ে যাচ্ছেন। করোনার কারণে ক্রেতা না থাকায় এমন দুর্ভোগ তাঁদের। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীপুর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে প্রতিবছর ৭৭ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপাদন হয়। গত বছর শ্রীপুরে উৎপাদিত কাঁঠালের বাজার ছিল ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার। কৃষি অফিস বলছে, দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজার বসে শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁঠাল চলে যায়।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাঁঠাল বিক্রি করতে না পারা ব্যক্তিরা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তা বিক্রির ব্যবস্থা করব। তা ছাড়া গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি মাঠে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকের বাজার বসানো হয়েছে। সেখানে নিয়েও কাঁঠাল বিক্রি করতে পারেন তাঁরা। ওই বাজারে কাঁঠাল বিপণনের ভালো সম্ভাবনা আছে।’

  • ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এনে যেমন বাজারে নামাচ্ছেন বাগানমালিকেরা, তেমনি বিক্রি না হলে আবার ফেরতও নিয়ে যাচ্ছেন। করোনার কারণে ক্রেতা না থাকায় এমন দুর্ভোগ তাঁদের। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

    ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এনে যেমন বাজারে নামাচ্ছেন বাগানমালিকেরা, তেমনি বিক্রি না হলে আবার ফেরতও নিয়ে যাচ্ছেন। করোনার কারণে ক্রেতা না থাকায় এমন দুর্ভোগ তাঁদের। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

  • ছোট ছোট ভ্যান-ঠেলাগাড়িতে থরে থরে সাজানো ছোট-বড় কাঁঠাল। তবে অনেকেই ক্রেতা না পেয়ে কাঁঠাল বাজার থেকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

    ছোট ছোট ভ্যান-ঠেলাগাড়িতে থরে থরে সাজানো ছোট-বড় কাঁঠাল। তবে অনেকেই ক্রেতা না পেয়ে কাঁঠাল বাজার থেকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো

  • ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান থেকে কাঁঠাল নামিয়ে অপেক্ষা করছেন বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার এই জৈনাবাজার করোনার প্রভাবে এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো

    ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান থেকে কাঁঠাল নামিয়ে অপেক্ষা করছেন বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার এই জৈনাবাজার করোনার প্রভাবে এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো

  • ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার জৈনাবাজারে। কিন্তু করোনার প্রভাবে ক্রেতা নেই। কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে তাই অনেক বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতা। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো

    ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার জৈনাবাজারে। কিন্তু করোনার প্রভাবে ক্রেতা নেই। কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে তাই অনেক বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতা। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো

  • ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এনে যেমন বাজারে নামাচ্ছেন বাগানমালিকেরা, তেমনি বিক্রি না হলে আবার ফেরতও নিয়ে যাচ্ছেন। করোনার কারণে ক্রেতা না থাকায় এমন দুর্ভোগ তাঁদের। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো
  • ছোট ছোট ভ্যান-ঠেলাগাড়িতে থরে থরে সাজানো ছোট-বড় কাঁঠাল। তবে অনেকেই ক্রেতা না পেয়ে কাঁঠাল বাজার থেকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজারে। ছবি: প্রথম আলো
  • ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান থেকে কাঁঠাল নামিয়ে অপেক্ষা করছেন বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার এই জৈনাবাজার করোনার প্রভাবে এখন প্রায় ক্রেতাশূন্য। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো
  • ট্রাক-পিকআপে করে কাঁঠাল এসেছে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁঠালের পাইকারি বাজার জৈনাবাজারে। কিন্তু করোনার প্রভাবে ক্রেতা নেই। কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে তাই অনেক বাগানমালিক ও পাইকারি বিক্রেতা। গাজীপুরের শ্রীপুরে। ছবি: প্রথম আলো
বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

এগ্রোবিজ

বিদেশ থেকে খালি হাতে ফিরে ড্রাগন চাষে সাফল্য

বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম
বাগানে চাষ করা ড্রাগন হাতে মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম (৩৩)। ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আকামা জটিলতায় খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। এক বছর বেকার থাকার পর ইউটিউবে পতিত জমিতে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন। বাবার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে নেমে পড়েন ড্রাগন চাষে। দেড় বছরের ব্যবধানে এখন উপজেলার সবচেয়ে বড় ড্রাগন বাগান তাঁর। এ বছর খরচ বাদে আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার ইন্দুরকানি গ্রামের বাসিন্দা মিরাজুল। উপজেলার টগরা গ্রামে দেড় একর জমিতে তিনি ড্রাগনের বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর বাগানে এখন সাড়ে তিন হাজার ড্রাগন ফলের গাছ আছে।

মিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক হিসেবে ১০ বছর সৌদিতে কাজ করে ২০১৯ সালে দেশে ফেরেন তিনি। আকামা সমস্যার কারণে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিছু একটা করবেন বলে ভাবছিলেন। একদিন ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখতে পান। সেই থেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেড় একর পতিত জমি ড্রাগন চাষের উপযোগী করেন। গাজীপুর থেকে ৬০ টাকা দরে ৬০০ চারা নিয়ে আসেন। বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শুরু করেন চাষাবাদ। পরের বছর জুনে ফল পাওয়া শুরু করেন।

ড্রাগনের বাগান করতে মিরাজুলের খরচ হয়েছিল ছয় থেকে সাত লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ফল বিক্রি করে তাঁর খরচ উঠে গেছে। সাধারণত মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গাছে ফল আসে। বছরে ছয় থেকে সাতবার পাকা ড্রাগন সংগ্রহ করা যায়। এখন পরিপক্ব ও রোগমুক্ত গাছের শাখা কেটে নিজেই চারা তৈরি করেন। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি বাগানে চুইঝাল, এলাচ, চায়না লেবুসহ মৌসুমি সবজি চাষ করেন। এ ছাড়া ড্রাগনের চারাও উৎপাদন করে বিক্রি করেন তিনি।

মিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাগানের বেশির ভাগ গাছে এ বছর ফল ধরেছে। গত মঙ্গলবার বাগান থেকে দেড় টন ফল সংগ্রহ করেছেন। ২৫০ টাকা কেজি দরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছেন। স্থানীয় বাজারে ৩০০ টাকা কেজি দরে ড্রাগন বিক্রি হয়। নভেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ–ছয়বার বাগান থেকে ফল তোলা যাবে। আশা করছেন, খরচ বাদে এবার আট থেকে নয় লাখ টাকা লাভ থাকবে।

মিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বাগান থেকে চারা নিয়ে অনেকে বাড়িতে ও ছাদে ছোট পরিসরে ড্রাগনের বাগান করেছেন। আমি এ পর্যন্ত ৪০ টাকায় দেড় হাজার চারা বিক্রি করেছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ বয়সের একটি ড্রাগনের চারা রোপণের পর ২৫ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এর মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তবে কয়েক দিন পরপর সেচ দিতে হয়। বৃষ্টির পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। ড্রাগন ফল চাষে রাসায়নিক সার দিতে হয় না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইশরাতুন্নেছা বলেন, মিরাজুল ইসলামকে ড্রাগন চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। উপজেলায় তাঁর বাগানটি সবচেয়ে বড়। তিনি নিরলস পরিশ্রম করে ছোট থেকে বাগানটি বড় করেছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোটেক

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের উদ্যোক্তারা এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি

ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি
ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকেরাফাইল ছবি

ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছেন।

গতকাল সোমবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে অনুষ্ঠিত কৃষি খাতের ব্যবসাবিষয়ক এক সম্মেলনে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এগ্রি বিজনেস কনক্লেভে বাংলাদেশের প্রায় ৪০জন উদ্যোক্তা ডাচ কৃষি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি প্রযুক্তি সহযোগিতা ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছে ওয়েগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা প্রযুক্তি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিলে নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তি সহযোগিতা দিতে রাজি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে ডাচরা প্রস্তুত এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ ছাড়া ডাচ সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বীজ, পশু খাদ্য, পোলট্রি, হর্টিকালচার ও এ্যাকুয়াকালচার বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করেছে, যা ওই দেশের বেসরকারি খাতকে আরও উৎসাহিত করেছে।

আলোচনায় কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করতে তৈরি আছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্কয়ার, ইস্পাহানি এগ্রো, একে খান অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারাগন গ্রুপ, এসিআই, জেমকন গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা ডাচ প্রযুক্তির প্রয়োগ সরেজমিনে দেখতে যাবেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের পোল্ট্রিখাতে সহযোগিতার আলোচনা অনেকটা এগিয়েছে উল্লেখ করে মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৎস্য, পশুপালন ও হর্টিকালচারে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনা আছে।

কনক্লেভ আয়োজনে প্রথমবারের মতো দূতাবাসের সঙ্গে অংশীদার হয়েছে নেদারল্যান্ডসের কৃষি মন্ত্রণালয়, নেদারল্যান্ডস এন্টারপ্রাইজ এজেন্সি, নেদারল্যান্ডস ফুড পার্টনারশিপ, ডাচ-গ্রিন-হাইজডেল্টা, লারিভ ইন্টারন্যাশনাল, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ।

কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানকারী নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের কম। ২০২১-এ কৃষিপণ্য ও খাদ্য রপ্তানি করে নেদারল্যান্ডস ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করেছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

পেঁয়াজের ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে সাথি ফসল বাঙ্গি

পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার
পেঁয়াজ তুলে নেওয়ার পর পুরো জমি ভরে গেছে বাঙ্গিগাছে। ফলন হয়েছে ভালো। পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামে গত শুক্রবার

পাবনার বেড়া উপজেলার বড়শিলা গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম তাঁর দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে এবার প্রায় ৪০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছেন। অথচ পেঁয়াজের জমিতেই সাথি ফসল হিসেবে লাগানো বাঙ্গি থেকে তিনি ৫০ হাজার টাকার মতো লাভ করবেন বলে আশা করছেন। এই বাঙ্গি আবাদে তাঁর কোনো খরচ হয়নি। ফলে পেঁয়াজ আবাদের ক্ষতি পুষিয়ে যাচ্ছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঙ্গি আবাদ কইর‌্যা যে টাকা পাইল্যাম তা হলো আমাগরে ঈদের বোনাস। পেঁয়াজের দাম না পাওয়ায় আমরা (কৃষকেরা) যে ক্ষতির মধ্যে পড়িছিল্যাম, বাঙ্গিতে তা পুষায়া গেছে। এই কয়েক দিনে ১২ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচছি। সব মিলায়া ৫০ হাজার টাকার বাঙ্গি বেচার আশা করতেছি।’

সাইদুল ইসলামের মতো পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার অনেক কৃষক এবার পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করেন। কৃষকেরা পেঁয়াজ আবাদ করতে গিয়ে বিঘায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছিলেন। সেই হিসাবে প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনে তাঁদের খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি। কিন্তু বাজারে সেই পেঁয়াজ কৃষকেরা বিক্রি করতে পেরেছেন প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকায়। এতে প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদে কৃষকদের এবার ২০ হাজার টাকার বেশি লোকসান হয়েছে।

কৃষকেরা বলেন, পেঁয়াজের জমিতে সাথি ফসল হিসেবে বাঙ্গি, মিষ্টিকুমড়া, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জমিতে পেঁয়াজ লাগানোর পর তা কিছুটা বড় হলে এর ফাঁকে ফাঁকে এসব সাথি ফসল লাগানো হয়। পেঁয়াজের জন্য যে সার, কীটনাশক, সেচ দেওয়া হয়, তা থেকেই সাথি ফসলের সব চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। ফলে সাথি ফসলের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয় না।

কৃষকেরা বলেন, বাঙ্গিতেই কৃষকের লাভ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। রমজান মাস হওয়ায় এখন বাঙ্গির চাহিদা ও দাম দুই-ই বেশি।

সাঁথিয়ার শহীদনগর গ্রামের কৃষক আজমত আলী জানান, তাঁর জমিসহ এই এলাকার জমি থেকে ৮ থেকে ১০ দিন হলো বাঙ্গি উঠতে শুরু করেছে। এবার বাঙ্গির ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। বাজারে এসব বাঙ্গি আকারভেদে প্রতিটি ৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দাম থাকলে এক বিঘা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রি হবে।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সাথি ফসলের আবাদ কৃষকদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে তাঁরাও কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

এগ্রোবিজ

কাঁঠালের আইসক্রিম জ্যাম ও চিপস

জাতীয় ফল কাঁঠালের জ্যাম, চাটনি ও চিপস উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) শস্য সংগ্রহের প্রযুক্তি বিভাগের একদল গবেষক। তাঁরা কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করে মোট ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত শনিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) ‘কাঁঠালের সংগ্রহত্তোর ক্ষতি প্রশমন ও বাজারজাতকরণ কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে এবং নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের সহযোগিতায় গবেষণা প্রকল্পটি পরিচালিত হয়।

কর্মশালায় ড. মো. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘এই প্রকল্পের আওতায় আমরা কাঁঠালের প্রক্রিয়াজাত করে মুখরোচক ১২টি প্যাকেট ও বোতলজাত পণ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কাঁঠালের জ্যাম, আচার, চাটনি, চিপস, কাটলেট, আইসক্রিম, দই, ভর্তা, কাঁঠাল স্বত্ব, রেডি টু কুক কাঁঠাল, ফ্রেশ কাট পণ্যসহ আরও বিভিন্ন ধরনের প্যাকেটজাত পণ্য তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। প্রক্রিয়াজাত পণ্যগুলো ঘরে রেখে সারা বছর খাওয়া যাবে। কাঁঠাল থেকে এসব পণ্য উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষক।’

কর্মশালায় নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের মুখ্য পরিদর্শক তারেক রাফি ভূঁইয়া বলেন, উদ্ভাবিত পণ্যগুলো বাজারজাত করার জন্য নিউভিশন কোম্পানি বিএআরআইয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে পণ্যগুলো বিপণনের কাজ চলছে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শস্য সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুল হক খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপস) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আবু হানিফ। উপস্থিত ছিলেন নিউভিশন সলিউশন্স লিমিটেডের প্রকল্প ম্যানেজার কায়সার আলম।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

ফল

কমলা চাষে সার ব্যবস্থাপনা, সেচ, আগাছা ব্যবস্থাপনা ও ফসল তোলা- দা এগ্রো নিউজ

কমলা

সার ব্যবস্থাপনা:  প্রতি গর্তে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া সার, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার ও এমওপি সার ১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:  চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।

ফসল তোলা: মধ্য কার্তিক থেকে মধ্য পৌষ মাসে ফল সংগ্রহ করতে হয়।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com