আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

করোনাভাইরাস: শিশু আক্রান্ত হলে যা করণীয়

সময়ের সঙ্গে করোনাভাইরাস রূপ বদলে শিশুদের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশেরই রোগের মাত্রা মৃদু, উপসর্গ নেই বললেই চলে। কিন্তু রোগ ছড়াতে তারা বড় ভূমিকা পালন করছে।

আর সন্তানের সেবা করতে গিয়ে নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে অনেকে ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছেন বাবা-মা।

সন্তানের বয়স যদি ১০ বছরের কম হয় তবে তাকে আলাদা করে রাখা প্রায় অসম্ভব। এমনকি তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোও কঠিন।

এই অবস্থায় কী করণীয়?

বিস্তারিত জানানো হল স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে।

শিশুদের ঝুঁকি বাড়ল কীভাবে?

করোনভাইরাস মহামারীর প্রথম দিকে শিশুরা যে আক্রান্ত হয়নি তা নয়, তবে সংখ্যা ছিল সামান্য। ভাইরাসের সংস্পর্শে তারা এসেছে বিভিন্ন প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া প্রাপ্তবয়স্কদের কাছ থেকেই। করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরন তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিয়ে শ্বাসতন্ত্রকে আক্রমণ করার ক্ষমতা বেড়েছে।

আগেও শিশুদের তা দেখা দিলেও উপসর্গ দেখা যায়নি, তবে এখন দেখা যাচ্ছে। এখন শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ‘মাল্টিসিস্টেম ইনফ্লামাটরি সিন্ড্রোম ইন চিলড্রেন (এমআইএসসি)’তে। যেখানে দেখা দিচ্ছে মৃদুমাত্রার উপসর্গ।

শিশুদের মাঝে লক্ষণ যেমন

প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদের ক্ষেত্রেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্বাসতন্ত্র। শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণ লক্ষণ হল- প্রচণ্ড জ্বর, কাঁপুনি, দম আটকে আসা, কাশি, গন্ধ না পাওয়া, গলা ব্যথা, অবসাদ, শরীর ব্যথা।

এছাড়াও মুখের স্বাদ হারানো, ডায়রিয়া, পেটের গোলমাল, বমি এবং ‘মিউকোকিউটেনিয়াস ইফ্লামাটরি সাইন’ বা একই সঙ্গে ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লিতে প্রদাহ দেখা যাচ্ছে।

বাবা-মায়ের করণীয়

যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলেও তার ‘কোয়ারেন্টিন’য়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পরের ধাপ হবে পরীক্ষা করানো এবং রক্তে ‘অক্সিজেন স্যাচুরেইশন’য়ের মাত্রার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা।

এই মাত্রা ৯৪ এর নিচে নামলেই তাকে অক্সিজেন কৃত্রিমভাবে সরবরাহ করতে হবে, পর্যাপ্ত তরল পান করাতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।

সঙ্গে প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত, প্রয়োজনে হাসপাতালে নিতে হবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই তারা সুস্থ হয়ে যায়। তবে শিশুর আগে থেকেই কোনো রোগ থাকলে সুস্থ হতে আরও সময় লাগতে দেখা গেছে।

আর শিশুর ‘কোয়ারেন্টিন’ বন্ধ করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর কমপক্ষে ১০দিন পেরিয়েছে কি-না। কোনো ওষুধ ছাড়াই টানা ২৪ ঘণ্টা কোনো জ্বর আসেনি এবং অন্যান উপসর্গগুলো কমছে। 

শিশুদের জন্য টিকা

এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনো টিকাই শিশুদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিষয়েই কাজ করে যাচ্ছে।

ভারতের ‘ভারত বায়োটেক’ ‘কোভ্যাক্সিন’য়ের ‘ফেইজ থ্রি ক্লিনিকাল ট্রায়াল’য়ের অনুমোদনের আবেদন করেছে। পাঁচ থেকে ১৮ বছর বয়সের শিশুরা এই টিকা নিতে পারবে।

অপরদিকে ‘ফাইজার’ আর ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা’র শিশুদের জন্য তৈরি নিজ নিজ টিকাগুলো এখনও পরীক্ষাধীন।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com