আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

ওভেন ব্যবহারে যে ভুলটা সবারই হয়

ওভেনে গরম করার ক্ষেত্রে পাত্রের মাঝখানে খাবার রাখা সঠিক পন্থা নয়।

মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার রান্না করা কিংবা গরম করার মতো সহজ উপায় নেই। ঠাণ্ডা খাবার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ঢুকিয়ে কয়েকটা সুইট চেপে কয়েক মিনিটের অপেক্ষা, ব্যস খাবার তৈরি। তবে সমস্যা একটাই, আর তা হল স্বাদের কমতি। 

সময়ের পরিক্রমায় হয়ত সেই স্বাদের সঙ্গেই আপনি মানিয়ে নিয়েছেন। দুই মিনিটেই যে খাবারটা তৈরি হয়ে যায় সেটা কোনো অদ্ভুত কারণে ওপরে পোড়া আর ভেতরে একটু হিমায়ীত হলেও মেনে নেওয়াই যায়।

মজার ব্যাপার হল এখানে হচ্ছে ভুলটা, মাইক্রোওয়েভ ওভেনের নয়।

ওভেনে খাবার রান্না কিংবা গরম করার সময় সবাই খাবারটা ওভেনের ভেতরের থালাটার মাঝখানে রাখেন। আসলে রাখা উচিত থালার কিনারায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টি পণ্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘প্যানাসিউটিকস’য়ের খাদ্য বিশেষজ্ঞ ও পণ্য উন্নতকরণ ব্যবস্থাপক ম্যাকেঞ্জি ব্রাইসন জ্যাকসন (এমএস) বলছেন, “খাবার ওভেনের থালার কিনারায় রেখে গরম করার পেছনে আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। সেটা বোঝার জন্য মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে সেটা কিছুটা বুঝতে হবে।”

রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “মাইক্রোওয়েভের আওতায় থাকা যেকোনো বস্তু উচ্চমাত্রায় ‘ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন’য়ের সংস্পর্শে আসে। এতে পানির কণা আন্দোলিত হয় এবং তৈরি হয় তাপ।”

“মাইক্রোওয়েভ’ ব্যবহারে আরেকটি ঘটনা ঘটে, তা হল  ‘রানাওয়েই হিটিং’। এক্ষেত্রে যে স্থানটি ইতোমধ্যেই উষ্ণ, তা আরও দ্রুত তাপ গ্রহণ করে গরম হবে। আর যে স্থান ঠাণ্ডা তা গরম হতে বেশি সময় নেবে। এজন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা কিংবা রান্না করা খাবারের কিছু অংশ প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় আর সেই খাবারেরই কিছু অংশ হিমায়ীতই থেকে যায়। আর ‘মাইক্রোওয়েভ’ তার শক্তি কোনো কিছুতে স্থানান্তর করার সুযোগ না পেলে ওভেনের ভেতরেই প্রতিফলিত হতে থাকে।” ব্যাখ্যা করেন ম্যাকেঞ্জি।

এই খাদ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, “এজন্যই ওভেনের ভেতরের থালাটা ঘোরার ব্যবস্থা করা হয়, যাতে ‘মাইক্রোওয়েভ’ খাবারের চারপাশে সমানভাবে পড়ে। তবে খাবারটা মাঝখানে রাখলে তা সমানভাবে পড়ে না। বরং থালার এক কিনারায় রাখলে খাবারটা সমানভাবে গরম হবে।”

আবার রান্নার মাঝে একবার দুবার খাবারটা নেড়ে দিলে আরও ভালো। তবে হাতে গোনা কিছু খাবারের ক্ষেত্রেই এই সুযোগটা পাওয়া যায়।

ওভেনের কোন জায়গাটায় বেশি গরম হয় সেটা বুঝতে একটি উপায় বাতলে দেন ম্যাকেঞ্জি জ্যাকসন।

তিনি বলেন, ‘একটা থালা ভরে মার্শমেলো সাজিয়ে সেটি ওভেনে রান্না করুন ৫০ সেকেন্ড। যে স্থানের মার্শমেলোগুলো ফুলে উঠবে সেই স্থানে গরম বেশি হয়। তাই দ্রুত কোনো খাবার গরম করতে হলে ওই স্থানে খাবার রাখতে হবে।”

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com