বাংলাদেশ থেকে চীনে সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রফতানি প্রায় দুই বছর পর পুনরায় শুরু হয়েছে। রবিবার ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানায়। করোনাভাইরাস অতিমারি শুরুর পর থেকেই চীনা...
কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নোনা ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের ডিমের চাহিদাও বাড়ছে। চাঁদপুর থেকে নরম ও পচে যাওয়া ইলিশের পেট কেটে বের করা হয়...
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে শ্রীলংকার চা রফতানি খাতে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮ হাজার ১০০ কোটি শ্রীলংকান রুপিতে দাঁড়িয়েছে। জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক...
পাটজাত পণ্য রফতানি ভর্তুকির নীতিমালায় আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। এখন থেকে পাটজাত পণ্য রফতানির বিপরীতে রফতানি ভর্তুকি পেতে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) ও বাংলাদেশ জুট...
বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্য রফতানি বাড়িয়েছে ইউক্রেন। উৎপাদন প্রবৃদ্ধি এবং ব্যাপক আমদানি চাহিদার কারণে ফুলে-ফেঁপে উঠছে দেশটির খাদ্যশস্য রফতানি খাত। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও রয়টার্স। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের...
টানা দ্বিতীয় মাসের মতো বেড়েছে সৌদি আরবের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি। জুনে এ বছরের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছে দেশটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে। গতিশীল হচ্ছে স্থবির অর্থনীতি। এটি সৌদি আরবের জ্বালানি তেলের বাজারকে চাঙ্গা করে তুলছে। খবর আরব নিউজ। চলতি বছরের জুনে সৌদি আরব দৈনিক ৫৯ লাখ ৬৫ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে। মে মাসের তুলনায় রফতানি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। জয়েন্ট অর্গানাইজেশনস ইনেশিয়েটিভ (জোডি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সরকারি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে জুনে সৌদি আরবের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন দৈনিক ৩ লাখ ৮৩ হাজার ব্যারেল করে বেড়েছে। এ সময় দেশটি দৈনিক ৮৯ লাখ ২৭ হাজার ব্যারেল উত্তোলন করে। মে মাসে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল দৈনিক ৮৫ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল। জুলাইয়ে রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক এবং ওপেক নিয়ে গঠিত সংগঠন ওপেক প্লাসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে জোটভুক্ত দেশগুলো ১ আগস্ট থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল দৈনিক চার লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে উত্তোলন বৃদ্ধি করছে সৌদি আরব। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে সরবরাহও বাড়াচ্ছে দেশটি। এদিকে রফতানি বৃদ্ধি করায় সৌদি আরবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ কমেছে। জুনে দেশটির মজুদ ৬ লাখ ৩৬ হাজার টন কমে ১৩ কোটি ৫১ লাখ ৩৯ হাজার ব্যারেলে নেমে যায়। মে মাসে মজুদের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেল।
চলতি বছরের জুলাইয়ে কমেছে ভিয়েতনামের কফি রফতানি। দেশটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ কফি রফতানিকারক। কিন্তু উৎপাদন ঘাটতি, জাহাজীকরণ ব্যয় ও নভেল করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে ধারাবাহিকভাবে কমছে দেশটির রফতানি। তবে কফি রফতানি কমলেও বেড়েছে চাল রফতানি। ভিয়েতনামের সরকারি শুল্ক বিভাগ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ও এগ্রিকালচারডটকম। গত জুলাইয়ে ভিয়েতনাম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১ লাখ ২২ হাজার ২০৩ টন কফি রফতানি করে। জুনের তুলনায় রফতানি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। ভিয়েতনাম কাস্টমস এক বিবৃতিতে জানায়, এ বছরের প্রথম সাত মাসে দেশটির কফি রফতানি ৮ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। এ সময় সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৩ টন কফি রফতানি হয়। জানুয়ারি-জুলাই পর্যন্ত কফি রফতানি আয় এসেছে ১৭৮ কোটি ডলার। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পানীয় পণ্যটির রফতানি আয় দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। এদিকে গত জুলাইয়ে ভিয়েতনামের চাল রফতানি এর আগের মাসের তুলনায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় দেশটির ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯২ টন চাল রফতানি হয়। তবে বছরের প্রথম সাত মাসের হিসাবে চাল রফতানি কমেছে। এ সময় দেশটি ৩৫ লাখ টন চাল রফতানি করে। গত বছরের প্রথম সাত মাসের তুলনায় কৃষিপণ্যটির রফতানি ১২ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
উৎপাদন খাতে শ্রমিক সংকট কমে আসায় চলতি বছর থাইল্যান্ডে চাল উৎপাদন বড় পরিসরে বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এছাড়া থাইল্যান্ডের মুদ্রার বিনিময়মূল্য হ্রাস পাওয়ায় কমতে পারে চালের দামও। ফলে এ বছর মালয়েশিয়ায় কৃষিপণ্যটির রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে থাইল্যান্ড। দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ (ডিএফটি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর পাতায়ামেইল। সম্প্রতি থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক ওভারসিজ ট্রেড প্রমোশন কার্যালয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ার চাল আমদানি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বারনাসের এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিএফটির মহাব্যবস্থাপক কিরাতি রাশকানো মালয়েশিয়ায় চাল রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানান। থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বারনাসকে জানায়, চলতি বছর থাইল্যান্ডের চাল উৎপাদন প্রত্যাশার তুলনায় বেশি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে শহরের অনেক মানুষ স্থায়ীভাবে গ্রামে ফিরছেন। এসব মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত হচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন চাল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে তেমনি বাড়ছে শ্রমিক সংখ্যা। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে চলতি উৎপাদন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাবেন কৃষকরা। উৎপাদন বৃদ্ধি ও থাইল্যান্ডের মুদ্রার বিনিময় মূল্য হ্রাসের কারণে ভারত ও ভিয়েতনামের তুলনায় দেশটির চালের দাম কমে আসতে পারে। এটি রফতানি বাজারে থাইল্যান্ডকে বড় ধরনের সুবিধা দেবে। বারনাস জানায়, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত চাল স্থানীয় চাহিদা মেটাতে পারবে না। প্রতি বছর দেশটি নয় লাখ টন চাল আমদানি করলেও এ বছর আমদানি বেড়ে ১০ লাখ ৮০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা হওয়ায় দেশটিতে থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
বৈশ্বিক ভুট্টা রফতানিতে দ্বিতীয় ব্রাজিল। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চলতি মাসে দেশটির ভুট্টা রফতানি মন্দার মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মেরিটাইম এজেন্সি কার্গোনেইভ এবং ব্রাজিলের গ্রেইন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অ্যানেক আগস্টে ভুট্টা রফতানি হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি জানায়, চলতি বছরের আগস্টে ব্রাজিলের ভুট্টা রফতানি কমে প্রায় ৩০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। গত বছরের আগস্টে রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৭ লাখ টন। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ব্রাজিল সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টন ভুট্টা রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে জানায় অ্যানেক। চলতি বছর ব্রাজিলে ভয়াবহ খরার কারণে ভুট্টার আবাদ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়। জুনে শুরু হওয়া তীব্র তুষারপাত নতুন করে আবাদি অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানে। এসব কারণে দেশটির ভুট্টা উৎপাদনে ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে কমছে রফতানির সম্ভাবনাও। গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্রাজিলের ভুট্টা বিশ্ববাজারে প্রসিদ্ধ। কৃষিপণ্যটি রফতানিতে ব্রাজিলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্রাজিল বেশির ভাগ ভুট্টাই মিসরে রফতানি করেছে। দেশটির ভুট্টার অন্যান্য প্রধান রফতানি গন্তব্য ছিল ভিয়েতনাম, তাইওয়ান ও ইরান।
চলতি বিপণন মৌসুমে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে খাদ্যশস্যের বাম্পার ফলন হওয়ায় দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থেকে ব্যাপক খাদ্যশস্য রফতানি করতে সক্ষম হবে ইউক্রেন। কৃষিপণ্য-বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এপিকে-ইনফর্ম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে ইউক্রেনে খাদ্যশস্যের ২০২১-২২ বিপণন মৌসুম শুরু হয়েছে। আগামী বছরের জুনে এ মৌসুম শেষ হবে। এ সময় দেশটি সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৭০ লাখ টন খাদ্যশস্য বিশ্ববাজারে সরবরাহ করতে সক্ষম হবে বলে জানায় এপিকে ইনফর্ম। ২০২০-২১ মৌসুমে রফতানি করা হয়েছিল ৪ কোটি ৫৫ লাখ টন। সে হিসাবে রফতানি বাড়বে ১ কোটি ১৫ লাখ টন। প্রধান খাদ্যশস্যের মধ্যে ২ কোটি ১১ লাখ টন গম, ৪৪ লাখ টন যব ও ৩ কোটি ১০ লাখ টন ভুট্টা রফতানি করা হতে পারে। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে জানায়, মৌসুমের শুরু থেকে ওই সময় পর্যন্ত ইউক্রেন ৪৬ লাখ ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য রফতানি করেছে। গত মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। চলতি বছর ইউক্রেনের খাদ্যশস্য উৎপাদন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার টনে পৌঁছতে পারে। এর মধ্যে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টন গম, ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার টন ভুট্টা ও ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টন যব উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় এপিকে-ইনফর্ম।
সর্বশেষ মন্তব্য