দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও রফতানিতে কোনো সুখবর নেই। বরং রফতানি দিন দিন কমছে। গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) বাংলাদেশ থেকে ৭০ হাজার ৯৫০ টন মাছ রফতানি হয়েছে। কিন্তু...
করোনাভাইরাসের আগেই ফেব্রুয়ারি মাসেই খুলনা অঞ্চল থেকে চিংড়ি রফতানি আগের বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়’ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রফতানিতে মারাত্মক প্রভাব সত্ত্বেও খুলনা অঞ্চলে বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে আগের...
নতুন বছরটি উচ্চ চা উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু হলেও রফতানি তুলনামূলক কম ছিল। তবে রফতানিতে বেশ ভালো দাম পেয়েছেন শ্রীলংকার চা রফতানিকারকরা। খবর ডেইলি এফটি। গত জানুয়ারিতে শ্রীলংকার চা উৎপাদন ৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ কেজিতে। এর আগের বছরের একই মাসে দেশটির চা উৎপাদন হয়েছিল ২ কোটি ১৯ লাখ কেজি। এদিকে শ্রীলংকার শুল্ক বিভাগের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এশিয়া সিয়াকা রিসার্চ বলছে, গত জানুয়ারিতে চা রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের ২ কোটি ২০ লাখ কেজি থেকে ৬ শতাংশ কমে ২ কোটি ৮০ হাজার কেজিতে দাঁড়িয়েছে। তবে রফতানি কমলেও আয় ৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯২০ কোটি শ্রীলংকা রুপি বা ১০ কোটি ১০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চা রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ৮০০ কোটি রুপি বা ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের। গত মাসে শ্রীলংকার চায়ের সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ ছিল তুরস্ক, যারা ৩৮ লাখ কেজি আমদানি করেছে। ২৪ লাখ কেজি আমদানি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাশিয়া। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চা আমদানিকারক দেশ হচ্ছে ইরাক (১৭ লাখ কেজি), চীন (১৫ লাখ কেজি), সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএই (১১ লাখ কেজি) ও আজারবাইজান (৯ লাখ ১৯ হাজার ১৮৪ কেজি)। গত মাসে ইরান, সৌদি আরব ও লিবিয়ার চা আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া এতে প্রভাব রেখেছে।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) পাকিস্তানের বাসমতী চাল রফতানিতে ব্যাপক ধস নেমেছে। দেশটির বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত মহামারীর আঘাত, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রতিযোগী ভারত থেকে কম মূল্যে চাল রফতানির কারণে এ সময় পাকিস্তানের বাসমতী রফতানি কমেছে প্রায় ৩৮ শতাংশ। খবর ডন। পাকিস্তানের বাণিজ্য পরিসংখ্যান বলছে, এ ছয় মাসে দেশটির সার্বিক চাল রফতানি হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার টন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রফতানীকৃত চালের মূল্য ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৯৬ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। এর মধ্যে দেশটি থেকে বাসমতী চালের রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭২ টনে। এ বাসমতী রফতানি করে গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের মোট আয় হয়েছে ২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। অন্যদিকে বাসমতী ছাড়া অন্যান্য চালের রফতানি ৩ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার টনে। রফতানীকৃত চালের মূল্য ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৭০ কোটি ডলারে। এ বিষয়ে দেশটির চাল রফতানিকারকদের সংগঠন রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব পাকিস্তানের (আরইএপি) আবদুল কাইয়ুম পারাচা বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা মূলত চীনে বাসমতীবহির্ভূত চাল রফতানি নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। তবে অর্থবছরের চলমান শেষার্ধ্বে (জানুয়ারি-জুন) পণ্যটির রফতানি পরিস্থিতিতে উন্নতি হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে ইউক্রেনের সূর্যমুখী তেলের রফতানি মূল্য গত এক সপ্তাহে টনপ্রতি ১০-১৫ ডলার কমেছে। এগ্রিবিজনেস পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এপিকে-ইনফর্ম গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি-মার্চে সরবরাহের জন্য ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) ব্ল্যাক সি চুক্তিতে ইউক্রেনে উৎপাদিত সূর্যমুখী তেলের দর টনপ্রতি ১ হাজার ২৮৫ থেকে ১ হাজার ২৯৫ ডলারের মধ্যে অবস্থান করছে। গত মাসে ২০২০-২১ মৌসুমের জন্য ইউক্রেনের সূর্যমুখী তেল উৎপাদন ও রফতানির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে এপিকে-ইনফর্ম। তবে তা আগের মৌসুমের তুলনায় কিছুটা কমই থাকবে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাসে ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটিতে ৬২ লাখ ১৯ হাজার টন সূর্যমুখী তেল উৎপাদনের প্রাক্কলন করা হয়েছে। আর রফতানির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে ৫৭ লাখ ৮০ হাজার টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে ৭০ লাখ টন সূর্যমুখী তেল উৎপাদন করেছিল ইউক্রেন। আর পণ্যটির রফতানির পরিমাণ ছিল ৬৬ লাখ ৩২ হাজার টন। বিদেশে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২০২০-২১ মৌসুমের প্রথম চার মাসে সূর্যমুখী তেল রফতানিতে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে ইউক্রেন। এ সময়ে ২২ লাখ টন তেল রফতানি করেছে তারা, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণেই পুরো মৌসুমের জন্য রফতানি পূর্বাভাস বাড়িয়েছে এপিকে-ইনফর্ম। কমেছে গমের রফতানি মূল্যও: গম রফতানিতে আসন্ন নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে শস্যটির রফতানি বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। এতে কমে গেছে ইউক্রেনের গমের রফতানি মূল্য। এপিকে-ইনফর্মের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে গম রফতানিতে টনপ্রতি ১০-১১ ডলার দর হারিয়েছে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশটি। এফওবি ব্ল্যাক সি চুক্তিতে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ গমের টনপ্রতি ২৮০-২৮৮ ডলার দাম পেয়েছে ইউক্রেন। আর ১১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ গমের রফতানি মূল্য ছিল প্রতি টন ২৭৮-২৮৬ ডলার।
কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের দেশ ইউক্রেনে গমের রফতানি মূল্য কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির রফতানি মূল্য আগের সপ্তাহের তুলনায় টনপ্রতি ৮ ডলার কমে এসেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়ার বাজারে গমের রফতানি চাহিদা বাড়তে শুরু করায় ইউক্রেনে কৃষিপণ্যটির রফতানি মূল্য কমিয়ে দিয়েছে। খবর রয়টার্স। কৃষিপণ্যবিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এপিকে-ইনফর্মের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সপ্তাহে ইউক্রেনের বাজারে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে প্রতি টন সাড়ে ১২ শতাংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ গমের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৮০ ডলারে। আগের সপ্তাহেও একই মানের গম টনপ্রতি ২৮৮ ডলারে রফতানি হয়েছিল। অন্যদিকে সর্বশেষ সপ্তাহে ইউক্রেনের বাজারে এফওবি চুক্তিতে প্রতি টন সাড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ গমের রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭৮ ডলারে। আগের সপ্তাহে একই মানের গম টনপ্রতি ২৮৬ ডলারে রফতানি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইউক্রেনে দুই ক্যাটাগরির গমের রফতানি মূল্য টনে ৮ ডলার কমেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অপরিশোধিত তেল রফতানি বেড়েছে ইরাকের। দেশটির তেল মন্ত্রণালয়ের বরাতে গত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। খবর রয়টার্স। নভেল করোনা মহামারীর ধাক্কায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিকল্প সীমিত হওয়ায় অপরিশোধিত তেল উত্তোলন ও রফতানি বাড়িয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। এক্ষেত্রে ওপেক প্লাস দেশগুলোর শ্যেন দৃষ্টির সামনে পড়তে হতে পারে ওপেকের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উত্তোলনকারী দেশটিকে। ইরাকের তেল মন্ত্রণালয় বলছে, গত জানুয়ারিতে দিনপ্রতি অপরিশোধিত তেল রফতানি হয়েছে ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ব্যারেল, গত ডিসেম্বরে তা ছিল ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ব্যারেল। গত মাসে ইরাকের বসরা টার্মিনাল থেকে দিনপ্রতি রফতানি হয়েছে ২৭ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল, ডিসেম্বরে হয়েছে ২৭ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল। কিরকুকের সেইহান পাইপলাইন হয়ে গত মাসে দিনপ্রতি ৯৮ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রফতানি হয়েছে। বছরের শুরুতে তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ইরাকের তেল রাজস্বও বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে তেল থেকে ৪৭৪ কোটি ডলার আয় করেছে ইরাক। ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ছিল ৫৩ দশমিক ২৯৪ ডলার, গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৪৭ দশমিক ৭৬৫ ডলার।
আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া চুল খুলেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বিদেশের বাজারে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশি চুলের। গত মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে...
দেশে বর্তমানে সস, কেচআপ ও টমেটো পেস্টের বাজার বার্ষিক আড়াইশ কোটি টাকার। এই বাজারের পরিধি বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। দেশের বাজার ছাড়িয়ে এসব পণ্য রফতানি...
১৬ জুলাই নেপালে নতুন অর্থবছর শুরু হয়। চলে পরের বছরের ১৫ জুলাই পর্যন্ত। সেই হিসাবে নেপালে এখন ২০২০-২১ অর্থবছর চলছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (১৬ জুলাই ২০২০ থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২১) দেশটি থেকে ছোট এলাচ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। মসলাটির রফতানি বেড়ে পৌনে ৪৮ লাখ কেজিতে পৌঁছে গেছে। নেপালের রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট প্রমোশন সেন্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে নেপাল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার কেজি এলাচ রফতানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে দেশটি থেকে মোট ৩১ লাখ ৩০ হাজার কেজি এলাচ রফতানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এলাচ রফতানি করে নেপাল সব মিলিয়ে ৩৮১ কোটি রুপি আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এলাচ রফতানি বাবদ নেপালের আয় ছল ২৫১ কোটি রুপি।
সর্বশেষ মন্তব্য