উৎপাদন খাতে শ্রমিক সংকট কমে আসায় চলতি বছর থাইল্যান্ডে চাল উৎপাদন বড় পরিসরে বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এছাড়া থাইল্যান্ডের মুদ্রার বিনিময়মূল্য হ্রাস পাওয়ায় কমতে পারে চালের দামও। ফলে এ বছর মালয়েশিয়ায় কৃষিপণ্যটির রফতানি বাড়াতে সক্ষম হবে থাইল্যান্ড। দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগ (ডিএফটি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর পাতায়ামেইল। সম্প্রতি থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কুয়ালালামপুরভিত্তিক ওভারসিজ ট্রেড প্রমোশন কার্যালয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ার চাল আমদানি নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বারনাসের এক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডিএফটির মহাব্যবস্থাপক কিরাতি রাশকানো মালয়েশিয়ায় চাল রফতানি বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানান। থাইল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বারনাসকে জানায়, চলতি বছর থাইল্যান্ডের চাল উৎপাদন প্রত্যাশার তুলনায় বেশি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে শহরের অনেক মানুষ স্থায়ীভাবে গ্রামে ফিরছেন। এসব মানুষ কৃষি খাতে নিয়োজিত হচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন চাল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে তেমনি বাড়ছে শ্রমিক সংখ্যা। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে চলতি উৎপাদন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে বিনা মূল্যে সেচ সুবিধা পাবেন কৃষকরা। উৎপাদন বৃদ্ধি ও থাইল্যান্ডের মুদ্রার বিনিময় মূল্য হ্রাসের কারণে ভারত ও ভিয়েতনামের তুলনায় দেশটির চালের দাম কমে আসতে পারে। এটি রফতানি বাজারে থাইল্যান্ডকে বড় ধরনের সুবিধা দেবে। বারনাস জানায়, চলতি বছর মালয়েশিয়ায় উৎপাদিত চাল স্থানীয় চাহিদা মেটাতে পারবে না। প্রতি বছর দেশটি নয় লাখ টন চাল আমদানি করলেও এ বছর আমদানি বেড়ে ১০ লাখ ৮০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা হওয়ায় দেশটিতে থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
হারুন-অর-রশীদ: [২] সোনালী আঁশ খ্যাত পাটে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে ফরিদপুরের কৃষকদের। বাজারে ভালো দাম আর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুরে দিন দিনই বাড়ছে এর চাষাবাদ। [৩]...
ইসলামের ইতিহাসে মহররম একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস। বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা এ মাসের মর্যাদা ও আমল প্রমাণিত।আবার এ মাসকে ঘিরে আমাদের সমাজে অনেক কল্পকাহিনি প্রচলিত আছে। তবে ইতিহাস...
২০২১-২২ উৎপাদন মৌসুমে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে স্পেনের অলিভ অয়েল উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এগ্রো-এলিমেন্টারি কো-অপারেটিভস অব স্পেন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, স্পেনের অলিভ অয়েল আবাদি অঞ্চলগুলোতে অনাবৃষ্টি ও খরার প্রভাবে আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি সংকটের কারণে সেচ সুবিধা অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। ফলে বেশির ভাগ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হতে পারে। স্পেন বিশ্বের শীর্ষ অলিভ অয়েল উৎপাদনকারী দেশ। এগ্রো-এলিমেন্টারি কো-অপারেটিভস অব স্পেনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটির অলিভ অয়েল উৎপাদন কমে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টনে নেমে আসতে পারে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, উৎপাদন হ্রাসের আশঙ্কা থাকলেও অলিভ অয়েল রফতানি বাড়িয়েছে স্পেন। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ দেশটি ৮ লাখ ৪২ হাজার টন অলিভ অয়েল রফতানি করেছে। গত উৎপাদন মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় রফতানি ২৫ হাজার টন বেড়েছে। এছাড়া ২০১৮-১৯ মৌসুমের তুলনায় বেড়েছে এক লাখ টনেরও বেশি।
তৌহিদুর রহমান: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যতই দিন যাচ্ছে ততই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাল্টা চাষ। সে সঙ্গে বাড়ছে মাল্টা বাগানের সংখ্যা। সর্বপ্রথম জেলায় ৪টি বাগান দিয়ে মাল্টা চাষের...
সোহাগ হোসেন: [২] মাচান পদ্ধতি এই প্রথম মির্জাগঞ্জে চাষ হচ্ছে রঙ বে- রঙের তরমুজ। গাছে গাছে দুলছে বাহারি রঙের এ তরমুজ। যা দেখা চোখ জুড়িয়ে যায়।...
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। তার মধ্যে অন্যতম বর্ষাকাল।বর্ষা এলে চারদিকে খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে থৈ থৈ করে। থৈ থৈ পানিতে দেখা মেলে কৈ, শিং, মাগুর, পাবদা, পুঁটি,...
যুক্তরাষ্ট্রের শেল অয়েল (পাথরের খাঁজ থেকে উত্তোলিত তেল) উত্তোলন বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী মাসে জ্বালানি পণ্যটির উত্তোলন বেড়ে এক বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছাতে পারে। মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইআইএ) মাসভিত্তিক ড্রিলিং প্রডাক্টিভিটি রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস বলছে, আগামী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক ৮১ লাখ ব্যারেল শেল অয়েল উত্তোলনে সক্ষম হবে। পূর্বাভাস সত্য হলে এটি হবে ২০২০ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ উত্তোলন। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ শেল অয়েল উত্তোলনকারী দেশ। সাতটি প্রধান কেন্দ্র থেকে দেশটি শেল অয়েল উত্তোলন করে। এর মধ্যে অন্যতম এবং বৃহৎ কেন্দ্র পারমিয়ান বেসিন। সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ শেল অয়েল উত্তোলনে প্রধান ভূমিকা রাখবে এই বেসিন। এ সময় পারমিয়ান বেসিনে দৈনিক ৪৯ হাজার ব্যারেল করে শেল অয়েল উত্তোলন বাড়তে পারে। সেপ্টেম্বরে এই বেসিনের মোট উত্তোলন দাঁড়াবে দৈনিক ৪৮ লাখ ব্যারেলে, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় সর্বোচ্চ উত্তোলন। এদিকে বাকেন ও অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রে উত্তোলন ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে পারমিয়ান বেসিনের ঊর্ধ্বমুখী উত্তোলন এ ঘাটতি পুষিয়ে দেবে বলে মনে করছে ইআইএ। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈগল ফোর্ড ও সাউথ টেক্সাস এলাকার কেন্দ্রগুলোতে শেল অয়েল উত্তোলন দৈনিক পাঁচ হাজার ব্যারেল করে কমে মাস শেষে মোট দৈনিক ১০ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে। এক্ষেত্রে নর্থ ডাকোটা অঞ্চলের বাকেন ও মন্তানা বেসিনে শেল অয়েল উত্তোলন দৈনিক এক হাজার ব্যারেল করে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেপ্টেম্বরে এসব বেসিন থেকে মোট উত্তোলন হবে দৈনিক ১১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল শেল অয়েল। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম সহায়ক হলো শেল অয়েল। কয়েক বছর ধরে শেল উত্তোলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও গত বছর কভিড-১৯ মহামারী দেখা দিলে শেল অয়েলের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে লকডাউনসহ করোনা প্রতিরোধে নেয়া নানা বিধিনিষেধ। এ সময় শেল অয়েলের বাজারে দরপতন দেখা দেয়। তবে চলতি বছর পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। দাম বাড়তে থাকায় মার্কিন এনার্জি ফার্মগুলোর খনন কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে। জ্বালানি তেল উত্তোলনসংক্রান্ত তথ্য সেবাদাতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজের দেয়া তথ্যমতে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল উত্তোলন কেন্দ্র ১০টি বেড়ে ৩৯৭টিতে উন্নীত হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। গত বছর উত্তোলন কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৭২টি। এদিকে জ্বালানি পণ্যের তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এনভেরাস জানায়, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় জ্বালানি তেলের সংখ্যা বেড়েছে আটটি। মোট সক্রিয় উত্তোলন কেন্দ্রের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭৫টিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাপালাশিয়া ও পারমিয়ান বেসিনে। ইআইএ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেল বেসিনগুলো থেকে সেপ্টেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনও বাড়তে পারে। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মাসে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ১৬ কোটি ঘনফুট বেড়ে দৈনিক ৮ হাজার ৬১০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হতে পারে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামের আবজাল হোসেন ও আরজিনা বেগমের একমাত্র সম্বল ছিল ৩০টি ভেড়া। এগুলোকে সন্তানের মতোই লালন পালন করছিলেন। কিন্তু কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর...
ফেনীর সোনাগাজী উপকূলে মৎস্য আহরণের সম্ভাবনা তিমিরেই থেকে গেছে। সাধারণত যেখানে লাভের সম্ভাবনা থাকে, সেখানে বিনিয়োগ হয়।কিন্তু এ অঞ্চল নিয়ে কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না কেউ। সোনাগাজীতে...
সর্বশেষ মন্তব্য