ইসলাম ডেস্ক: কিবলার দিকে মুখ করে কিংবা পিঠ দিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করার বিষয়ে হাদীসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, لَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ، وَلَا تَسْتَدْبِرُوهَا...
উপজেলা পর্যায়ে কৃষিসংক্রান্ত বিভিন্ন কমিটিতে কৃষক প্রতিনিধি সম্পৃক্ত হচ্ছে। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনাও হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, কমিটির গত বৈঠকে উপজেলা পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির নতুন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষকলীগকে সম্পৃক্ত করার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়ের কমিটির নতুন কর্মসূচিতে কৃষকলীগের সদস্য সম্পৃক্ত করার জন্য মাঠ প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে গতকালের বৈঠকে এ সুপারিশ সংশোধন করা হয়। সেখানে কৃষক প্রতিনিধি রাখার সুপারিশ করা হয়। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষিঋণ, সেচ কমিটি, সার ও বীজ মনিটরিং কমিটি, কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি কাজ করে। এসব কমিটিতে কৃষক প্রতিনিধি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
মাহদী হাসান তাকী: লক্ষ কোটি প্রসংশা করি যিনি আমাদের কে নূর নবীর উছিলায় এ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। আরো লক্ষ কোটি দরূদ সালাম জানায় সেই নবীর উপর যাকে...
পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে এক সপ্তাহ যাবৎ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত । ফলে জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এদিকে...
ইসলামি ডেস্ক: মুমিন ব্যক্তি কখনো আতঙ্কিত হয়না। সে সর্বদা মহান আল্লাহর ফয়সালা ও সিদ্ধান্তের ওপর সমর্পিত থাকে। বিশেষ করে বান্দা যখন আল্লাহ তায়ালার হুকুম মেনে চলে...
২০১৩ সাল হতে রাশিয়া থেকে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) বাংলাদেশ এমওপি সার আমদানি করছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিদ্যমান। এবার রাশিয়া থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে চায় বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। আর বাংলাদেশ থেকে আম নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি। গতকাল বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ সময় বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) ড. একেএম মুনিরুল হক, ঢাকায় রুশ দূতাবাসের অ্যাটাশে খানুভা আমাতুলা উপস্থিত ছিলেন। কৃৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষকদের ডিএপি সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সরকার চার দফা ডিএপি সারের দাম কমিয়ে ৯০ টাকা থেকে কেজিপ্রতি ১৬ টাকা করেছে। ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ ডিএপি ও পটাশিয়াম আমদানি করতে আগ্রহী। সেজন্য একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে চায় বাংলাদেশ। এছাড়া কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াকে আলু আমদানির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়া চাইলে পুনরায় আলু আমদানি শুরু করতে পারে।
তৌহিদুর রহমান নিটল: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। খরচের তুলনায় বিদেশী এ ফলের ব্যাপক চাহিদা আর লাভের অংক বেশি হওয়ায় নতুন...
ইসলাম ডেস্ক: বাবা-মায়ের মাধ্যমে মানুষের এ পৃথিবীতে আগমন সন্তানের। অতএব পিতা-মাতার তুল্য হিতৈষী, পরম শ্রদ্ধাভাজন গুরু আর কেউ নেই। পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্য পালন যে কত গুরুত্বপূর্ণ,...
একসময় বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশ। পাশাপাশি গড়ে উঠেছিল জ্বালানি তেলভিত্তিক বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে সাশ্রয়ী প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসায় গুরুত্ব বাড়ে কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) বিদ্যুতের। কিন্তু বিশ্ববাজারে অব্যাহত দরবৃদ্ধির কারণে সরকারকে এখন এলএনজি নিয়েও চাপে পড়তে হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে ফার্নেস ও ডিজেলের দাম পড়তির দিকে। তুলনামূলক সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে সামনের দিনগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলনির্ভরতা বাড়ার জোর সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমছে। অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে এলএনজির দাম এখনো তুলনামূলকভাবে বেশি। পরিবেশ দূষণকারী হিসেবে কয়লার জনপ্রিয়তাও দিন দিন কমছে। ফলে আবারো আলোচনায় উঠে আসছে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এরই ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অদূরভবিষ্যতে বাংলাদেশকেও জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকতে হতে পারে। জ্বালানিবিষয়ক তথ্যসেবা ও আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষক সংস্থা এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটসের এক সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণেও একই কথা উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, বিশেষত বাংলাদেশ ও পাকিস্তান জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। বাংলাদেশে বর্তমানে জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মোট উৎপাদন সক্ষমতা সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে ব্যবহার হচ্ছে আড়াই হাজার মেগাওয়াট। অন্যদিকে দেশে এখন গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ছয় হাজার মেগাওয়াটের মতো। সর্বশেষ গত মাসেও দেশে দৈনিক এলএনজি আমদানি হয়েছে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ১৭ মিলিয়ন ঘনফুট এসেছে দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চুক্তির ভিত্তিতে। বাকি তিন মিলিয়ন ঘনফুট কেনা হয়েছে স্পট মার্কেট থেকে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য স্পট মার্কেট থেকে সরবরাহকৃত এ তিন মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজিকেই ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্পট মার্কেটে এলএনজি দাম বেড়ে যায়। সে সময় প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ৩ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৪ ডলারে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে না পারায় সে সময় দেশে গ্যাস সংকটও দেখা দিয়েছিল। দেশে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা বাড়ায় ২০০৯ সালে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। এগুলোর বড় অংশই ছিল ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলভিত্তিক। ডিজেলচালিত এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার পরও বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনায় এসব কেন্দ্রের অনেকগুলো নবায়ন করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সরকারি ও বেসরকারি বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসায় রেন্টাল ও কুইক রেন্টালভিত্তিক অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ আর নবায়ন করেনি পিডিবি। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের স্থাপিত সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াট। মোট এ সক্ষমতায় জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের অংশ ৩২ শতাংশ। ব্যয় ও প্রাপ্যতা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই একক জ্বালানিপণ্যে নির্ভরশীলতার পথ থেকে সরে এসেছে। নির্ভর করা হচ্ছে একাধিক জ্বালানিপণ্যের ওপর। জ্বালানিপণ্যগুলোর ওপর নির্ভরশীলতার এ বণ্টনকে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে ফুয়েল মিক্স হিসেবে। কার্যকর একটি ফুয়েল মিক্সভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। কিন্তু এলএনজির দাম বাড়ায় সে পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়েছে। এলএনজির দাম বাড়তে শুরু করার পর ধারণ করা হয়েছিল, এটি সাময়িক। কিন্তু নানা পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরের মার্চের আগে পণ্যটির দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময় পর্যন্ত জ্বালানি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সুবিধা নিতে পারে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের ওঠানামা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তবে অস্বাভাবিক হলে সেটি ভিন্ন কথা, যেটি এলএনজির ক্ষেত্রে হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সাশ্রয়ী বিবেচনায় এলএনজির পরিবর্তে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালিয়ে সাময়িক সুবিধা নেয়া যেতে পারে। সব হিসাব-নিকাশ করে দেখতে হবে আদৌ এটি সাশ্রয়ী কিনা। তবে এটি কোনো স্থায়ী পরিকল্পনা নয়, জ্বালানির দাম বাড়লে বিকল্প উপায়ে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাশ্রয়ী করা যায় তারও ব্যবস্থা থাকা জরুরি। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এখন পড়তির দিকে। গত বছরের ডিসেম্বর নাগাদ পণ্যটির দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৪৫ ডলার। চলতি বছরের জুলাইয়ে তা উঠেছিল ৭৪ ডলারে। গত আট মাসে ব্যারেলপ্রতি ৫-১০ ডলার কমলেও তা ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। তবে চলতি মাসে আবার তা কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যারেলপ্রতি দাম নেমে এসেছে ৬২ ডলারে। ধারণা করা হচ্ছে, এ নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকবে। তবে সরকার বলছে, আগামীতে আমদানীকৃত জ্বালানি দিয়েই গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা হবে। বিদ্যুতের নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, আসন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর জ্বালানি জোগান নিশ্চিত করতে সরকার এলএনজি চুক্তি করছে। দেশী গ্যাসের সংকট থাকায় আমদানীকৃত জ্বালানি দিয়েই এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। এলএনজির বর্তমান মূল্য বিবেচনায় জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রয়োজন ছাড়া চালু করা হবে না। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দিচ্ছে। আগামীতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হবে। বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের ফুয়েল মিক্সে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ার কথা। এ অনুযায়ী মোট উৎপাদন সক্ষমতার ১০ শতাংশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক করার লক্ষ্য ধরা হয়। যদিও এখনো তা ২-৩ শতাংশের ওপরে নেয়া যায়নি। বর্তমানে কয়লার পরিবর্তে সৌরশক্তি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ অনুযায়ী সৌরশক্তিভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন ৩০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে একটি রোডম্যাপ করা হচ্ছে। বর্তমানে এটি আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। বিপিডিবির বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৬৭০ গিগাওয়াট ঘণ্টা। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৬৭২ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। এর মধ্যে ফার্নেস অয়েল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়েছে প্রতি ইউনিট ১২ টাকা ৬৯ পয়সা। অন্যদিকে গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৩ টাকা ২৫ পয়সা, হাইড্রো থেকে ২ টাকা ৫০ পয়সা ও কয়লা থেকে ৮ টাকা ৭৪ পয়সা। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ায় এবং বহুমুখী জ্বালানির ব্যবহার বাড়ায় ২০১৭-১৮ সালের দিকে সরকারি ও বেসরকারি অন্তত অর্ধশতাধিক ছোট-বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় অংশই ছিল গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতিকর ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে নবায়নযোগ্য প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। একই সঙ্গে আমদানীকৃত এলএনজি দিয়ে বিদ্যুতের জ্বালানি নিশ্চিত করতে বেশকিছু দেশের সঙ্গে চুক্তি করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম ঊর্ধ্বমুখী ও স্থিতিশীল থাকায় চলতি বছরের শীত মৌসুমে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ: আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শ্রেষ্ঠ উম্মাহ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তাই এ উম্মাহর শ্রেষ্ঠত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির...
সর্বশেষ মন্তব্য