আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দৈনন্দিন

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে যা করবেন

হৃদরোগ সংক্রান্ত ভয় কম-বেশি সকলকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যস্ত জীবনযাত্রা, শরীরচর্চায় অবহেলার জন্য সবাই হৃদযন্ত্রের সমস্যার সম্ভবনায় ভুগছি। আমাদের নানা ভুল সিদ্ধান্ত ও অজ্ঞতা এই অসুখের মূল কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু সাবধানতা মেনে চললে সহজেই এই অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।  সেই সাথে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

১. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন
হৃদরোগ ঠেকাতে নজর রাখুন কোলেস্টেরলের দিকে। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। প্রতি দিনের খাবার থেকেও সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল শরীর পায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়৷ তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হৃদরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে এই কোলেস্টেরলও দায়ী।

২. ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ব্লাড প্রেশার বাড়লে নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ থাকে না। কখনও কারোর মাথা ব্যথা করে, হঠাৎ মাথা টলে যেতে পারে, কখনও দুর্বল লাগে, সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসের কষ্ট ও বুক ধড়ফড় করে। আবার নিজে থেকে তা ঠিকও হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষই এই ধরণের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। কিন্তু একটানা এই সমস্যা হলে জীবনযাপনে প্রভাব পড়বে, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এছাড়া কিডনি বিকল হতে পারে এমনকি চোখের রেটিনাও নষ্ট হতে পারে।

৩. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন
ডায়াবেটিস রোগীদের বরাবরই হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে যাদের ব্লাড সুগার অসম্ভব পরিমাণে ওঠানামা করে, তাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

৪. ধূমপান বাদ দিন:
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এসব কিছু জানার পরও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ধূমপান করেন। সম্প্রতি একটি তথ্য প্রকাশ হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, সিগারেট খেলেই বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।

৫. তামাকজাত দ্রব্য বর্জন করুন
মদ্যপান, ধূমপান ও মাদকের ব্যবহারও বিশেষ করে তরুণদের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।  এক গবেষণায় বলা হয়েছে,  যারা এসব মাদকদ্রব্যে আসক্ত তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৯ গুণ বেশি।

৬. শরীরচর্চা করুন
ব্যায়াম করতে সময় না পেলে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের জন্য এই উপায় অত্যন্ত কার্যকর।

৭. লো কার্বস ডায়েট করুন
বাঙালির খাওয়া মানেই ভাত-রুটি দিয়ে পেট ভরানো এমন স্বভাব বদলে প্রোটিন বেশি, ফলমূল-সবজি ঠাসা একটা ডায়েটে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। চিনি এড়িয়ে চলুন যতটা

সম্ভব। হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে এর চেয়ে ভালো আর কিছু নেই।

৮. নিয়মিত চেক আপ
হার্টে সমস্যা না থাকলেও তিন মাসে একবার চেক আপ করান। দেখে নিন কোথাও কোনও সমস্যা আছে কি না।

বিজ্ঞাপন
মন্তব্য করুন

অনুগ্রহ করে মন্তব্য করতে লগ ইন করুন লগ ইন

Leave a Reply

দৈনন্দিন

নিপাহ্‌ ভাইরাসঃ খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়

নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
নিপাহ্‌ ভাইরাস খেজুরের রস খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে যা করণীয়
খেজুরের রস সংগ্রহের প্রক্রিয়া।

শীতকাল এলেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার চল বেড়ে যায়। অনেকে গাছ থেকে খেজুরের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস খেয়ে থাকেন।

আবার অনেকে এই রস চুলায় ফুটিয়ে সিরাপ, পায়েস বা ক্ষীর বানিয়ে খান। এছাড়া রসের তৈরি ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়, ভেলি গুড়, বালুয়া গুড়, মিছরি গুড়সহ নানা ধরণের পিঠার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে।

নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক

খেজুর আরব দেশের প্রচলিত ফল হলেও ওইসব দেশে খেজুর, মূলত ফল উৎপাদননির্ভর, যেখানে কিনা বাংলাদেশের খেজুর গাছ রস উৎপাদননির্ভর।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের মতে, বাংলাদেশে সাধারণত কার্তিক থেকে মাঘ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ হয়ে থাকে।

দেশটির সবচেয়ে বেশি রস সংগ্রহ হয় যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে।

মূলত খেজুর গাছের ডালপালা পরিষ্কার করে, ডগার দিকের কাণ্ড চেঁছে তাতে একটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি চোঙ বসিয়ে দেয়া হয়। চোঙের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে দেয়া হয় একটি মাটির হাড়ি বা কলসি।

সেই চোঙ দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা রস এসে জমা হতে থাকে মাটির হাড়ি বা কলসিতে। এভাবে একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লিটার রস সংগ্রহ করা যায় বলে কৃষি তথ্য সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে।

কিন্তু গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিপাহ্‌ ভাইরাস আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি – দা এগ্রো নিউজ

কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি
কই মাছে বাঁধাকপির ছেঁচকি

উপকরণ: বাঁধাকপির কুচি ৪ কাপ, কই মাছের টুকরো ৬টি, তেজপাতা ১টি, শুকনো মরিচ ২টি, মেথি অল্প পরিমাণ, মরিচবাটা ১ চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, নারকেল কোরানো স্বল্প পরিমাণে, হলুদ পরিমাণমতো ও সরিষার তেল পরিমাণমতো।

প্রণালি: তেলে শুকনো মরিচ ও মেথি ফোড়ন দিতে হবে। ফোড়ন হয়ে এলে হালকা করে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। ওই তেলেই বাঁধাকপির কুচি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভালো করে কষে নিতে হবে। তারপর লবণ, মরিচ ও হলুদবাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ বসাতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভাজা মাছগুলো দিয়ে ঢাকা দিতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে এবং মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে অল্প পরিমাণ নারকেল কোরানো দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ – দা এগ্রো নিউজ

ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ
ধনেপাতা ও টমেটোয় শোল মাছ

উপকরণ: বড় শোল মাছ ৫০০ গ্রাম, টমেটো টুকরো আধা কাপ, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, টমেটোবাটা আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা-চামচ, ধনেপাতা আধা কাপ, শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদ অনুসারে ও কাঁচা মরিচ ৭-৮টি (চেরা)।

প্রণালি: শোল মাছ লবণ, হলুদ ও সরিষার তেল মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখতে হবে। আর ওই তেলেই পেঁয়াজ কুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি রং হলে রসুন, আদা, মরিচের গুঁড়া, হলুদ ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। টমেটোবাটা দিতে হবে, কিছুক্ষণ কষানোর পর প্রয়োজনমতো গরম পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিতে হবে। ঝোল মাখা-মাখা হলে টমেটোর টুকরো আর ধনেপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ পর নামিয়ে ফেলতে হবে। নামানোর আগে কাঁচা মরিচ দিতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

লাউ টাকি – দা এগ্রো নিউজ

লাউ-টাকি
লাউ-টাকি

উপকরণ: ছোট টুকরো করে কাটা টাকি মাছ ২ কাপ, ডুমো ডুমো করে কাটা লাউ ৪ কাপ, হলুদ সিকি চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, পেঁয়াজ ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণমতো, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, আদাবাটা আধা চা-চামচ ও রাঁধুনি বাটা সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: তেলে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর একে একে রসুনবাটা, আদাবাটা ও রাধুনি (গুঁড়া সজ) বাটা ও হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষাতে হবে। কষানো হলে লাউ দিতে হবে। লাউ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা টাকি মাছ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে কাঁচা মরিচের ফালি ও সবশেষে ধনেপাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন

দৈনন্দিন

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি – দা এগ্রো নিউজ

বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি
বাঁধাকপির পাতায় চিংড়ি

উপকরণ: চিংড়ি মাছ ২০০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, ক্যাপসিকাম কুচি ১ কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, পেঁয়াজপাতা কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ১ চা-চামচ, ধনেপাতাবাটা ১ চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া পরিমাণমতো, চিলি সস ২ চা-চামচ, টমেটো সস ২ চা-চামচ, বাঁধাকপির ভেতরের পাতা ৪টি, ভিনেগার ২ চা-চামচ, রসুন ১ চা-চামচ ও লবণ স্বাদমতো।

প্রণালি: বাঁধাকপির শক্ত অংশ ফেলে দিন। পাতার ভেতরের অংশ একটু ভাপিয়ে রাখুন। মাছ ধুয়ে ভিনেগার মাখিয়ে রাখুন। এবার কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে তাতে রসুন কুচি দিয়ে মাছগুলো দিন। একে একে কোঁচানো বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, টমেটো ও পেঁয়াজপাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। এরপর কাঁচা মরিচবাটা, ধনেপাতাবাটা, চিলি সস ও টমেটো সস দিয়ে নেড়ে নিন। পানি শুকিয়ে এলে নামিয়ে বাঁধাকপির পাতায় অল্প করে চিংড়ি মাছ সুতা দিয়ে বেঁধে স্টিমারে ভাপিয়ে নিন। সুতো কেটে পাতা খুলে পরিবেশন করুন।

সম্পূর্ণ খবরটি পড়ুন
বিজ্ঞাপন

শীর্ষ সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক: শাইখ সিরাজ
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। দা এগ্রো নিউজ, ফিশ এক্সপার্ট লিমিটেডের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ৫১/এ/৩ পশ্চিম রাজাবাজার, পান্থাপথ, ঢাকা -১২০৫
ফোন: ০১৭১২-৭৪২২১৭
ইমেইল: info@agronewstoday.com, theagronewsbd@gmail.com